নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ৮৯ শতাংশ রোগী আগে থেকে বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা নানান স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৩৪ জন রোগীর ওপর চার মাস ধরে গবেষণা করে এই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ইসমাইল খানের নেতৃত্বে এ যৌথ সমীক্ষা পরিচালিত হয়। আজ বুধবার সিভাসুতে এই উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গবেষণার বিস্তারিত তুলে ধরেন মো. ইসমাইল খান।
ইসমাইল জানান, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা এসব রোগীর রক্তের শ্বেতকণিকা, হিমোগ্লোবিন, অক্সিজেনের চাপ, সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি), ফেরিটিন এবং ডি ডাইমারের মাত্রা ছিল মারাত্মক কম বা বেশি। এই উপাদানগুলোর বড় রকমের হেরফেরের কারণে আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরও তাঁদের বাঁচানো যায়নি।
গবেষণায় দেখা যায়, আইসিইউতে ভর্তি থাকা ২৩৪ রোগীর মধ্যে ১৫৬ জন মৃত্যুবরণ করেন। সুস্থ হয়ে ফেরেন ৭৮ জন। মৃত্যু হওয়া ৭৩ শতাংশ রোগীর বয়স ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব। সব মিলিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৯ দশমিক এক শতাংশ রোগী বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা আগে থেকে নানান স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন।
জরিপে দেখা যায়, ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীর শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ ছিল স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ৪০০০-১১০০০ ঘন মিলিমিটার অধিক। মৃত্যু হওয়া এসব রোগী এই শ্বেত রক্তকণিকা মাত্রা ছিল ২৬১১০ দশমিক ৬ ঘন মিলিমিটার। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বেত রক্তকণিকা ২৬১১০ দশমিক ৬ ঘন মি. মি বেশি হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
মৃত্যু হওয়া ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ রোগীর হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ছিল স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম, যার গড় পরিমাণ ১০ দশমিক ৬ ডেসিলিটার। যার স্বাভাবিক মাত্রা ১২-১৭ ডেসিলিটার। এ ছাড়া মৃত্যু হওয়া ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ রোগীর অক্সিজেনের চাপ ৫০ দশমিক ৪ শতাংশে নেমেছিল। যার স্বাভাবিক মাত্রা ৭০-৯০ শতাংশ।
৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ রোগীর রক্তে সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। স্বাভাবিক মাত্রা লিটারে ৫ মিলিগ্রামের কম। কিন্তু সিআরপি প্রতি লিটারে গড়ে ১০২ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
আবার ৭৬ দশমিক এক শতাংশ রোগীর রক্তে ট্রপোনিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, শূন্য দশমিক ৮১ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত ছিল। এর স্বাভাবিক মাত্রা শূন্য দশমিক ৪ ন্যানোগ্রাম। মৃত্যুবরণকারী ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ রোগীর রক্তে ডি-ডাইমারের পরিমাণ স্বাভাবিকের (০.৫ মাইক্রোগ্রাম/মিলিলিটারের কম) চেয়ে উচ্চমাত্রা পরিলক্ষিত হয়, যা ছিল ২ দশমিক শূন্য ২ মাইক্রোগ্রাম।
মৃত্যুবরণকারী ৭৫ শতাংশ রোগীর রক্তে ফেরিটিনের স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চমাত্রা পরিলক্ষিত হয়, যার পরিমাণ ছিল প্রতি মিলিলিটারে ৯০১ দশমিক ৫ ন্যানোগ্রাম। স্বাভাবিক মাত্রা ৯ থেকে ৩৭০ ন্যানোগ্রাম/মিলিলিটার।
গবেষণায় দেখা যায়, আইসিইউতে মৃত্যু হওয়া ৮৯ দশমিক এক শতাংশ রোগী (১৩৯ জন) আগে এক বা একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। যাদের মধ্যে ৯৩ জন ব্যক্তি ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদ্রোগ ও হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
গবেষণাকাজে যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক বিদ্যুৎ বড়ুয়া, সহকারী অধ্যাপক ইফতেখার আহমেদ, জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট রাজদ্বীপ বিশ্বাস, জুনিয়র কনসালট্যান্ট মৌমিতা দাশ, সিভাসুর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ত্রিদীপ দাশ, সিভাসুর মলিকিউলার বায়োলজিস্ট প্রণেশ দত্ত, সিরাজুল ইসলাম ও তানভির আহমেদ নিজামী।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ৮৯ শতাংশ রোগী আগে থেকে বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা নানান স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৩৪ জন রোগীর ওপর চার মাস ধরে গবেষণা করে এই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ইসমাইল খানের নেতৃত্বে এ যৌথ সমীক্ষা পরিচালিত হয়। আজ বুধবার সিভাসুতে এই উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গবেষণার বিস্তারিত তুলে ধরেন মো. ইসমাইল খান।
ইসমাইল জানান, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা এসব রোগীর রক্তের শ্বেতকণিকা, হিমোগ্লোবিন, অক্সিজেনের চাপ, সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি), ফেরিটিন এবং ডি ডাইমারের মাত্রা ছিল মারাত্মক কম বা বেশি। এই উপাদানগুলোর বড় রকমের হেরফেরের কারণে আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরও তাঁদের বাঁচানো যায়নি।
গবেষণায় দেখা যায়, আইসিইউতে ভর্তি থাকা ২৩৪ রোগীর মধ্যে ১৫৬ জন মৃত্যুবরণ করেন। সুস্থ হয়ে ফেরেন ৭৮ জন। মৃত্যু হওয়া ৭৩ শতাংশ রোগীর বয়স ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব। সব মিলিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৯ দশমিক এক শতাংশ রোগী বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা আগে থেকে নানান স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন।
জরিপে দেখা যায়, ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীর শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ ছিল স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ৪০০০-১১০০০ ঘন মিলিমিটার অধিক। মৃত্যু হওয়া এসব রোগী এই শ্বেত রক্তকণিকা মাত্রা ছিল ২৬১১০ দশমিক ৬ ঘন মিলিমিটার। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বেত রক্তকণিকা ২৬১১০ দশমিক ৬ ঘন মি. মি বেশি হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
মৃত্যু হওয়া ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ রোগীর হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ছিল স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম, যার গড় পরিমাণ ১০ দশমিক ৬ ডেসিলিটার। যার স্বাভাবিক মাত্রা ১২-১৭ ডেসিলিটার। এ ছাড়া মৃত্যু হওয়া ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ রোগীর অক্সিজেনের চাপ ৫০ দশমিক ৪ শতাংশে নেমেছিল। যার স্বাভাবিক মাত্রা ৭০-৯০ শতাংশ।
৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ রোগীর রক্তে সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। স্বাভাবিক মাত্রা লিটারে ৫ মিলিগ্রামের কম। কিন্তু সিআরপি প্রতি লিটারে গড়ে ১০২ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
আবার ৭৬ দশমিক এক শতাংশ রোগীর রক্তে ট্রপোনিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, শূন্য দশমিক ৮১ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত ছিল। এর স্বাভাবিক মাত্রা শূন্য দশমিক ৪ ন্যানোগ্রাম। মৃত্যুবরণকারী ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ রোগীর রক্তে ডি-ডাইমারের পরিমাণ স্বাভাবিকের (০.৫ মাইক্রোগ্রাম/মিলিলিটারের কম) চেয়ে উচ্চমাত্রা পরিলক্ষিত হয়, যা ছিল ২ দশমিক শূন্য ২ মাইক্রোগ্রাম।
মৃত্যুবরণকারী ৭৫ শতাংশ রোগীর রক্তে ফেরিটিনের স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চমাত্রা পরিলক্ষিত হয়, যার পরিমাণ ছিল প্রতি মিলিলিটারে ৯০১ দশমিক ৫ ন্যানোগ্রাম। স্বাভাবিক মাত্রা ৯ থেকে ৩৭০ ন্যানোগ্রাম/মিলিলিটার।
গবেষণায় দেখা যায়, আইসিইউতে মৃত্যু হওয়া ৮৯ দশমিক এক শতাংশ রোগী (১৩৯ জন) আগে এক বা একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। যাদের মধ্যে ৯৩ জন ব্যক্তি ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদ্রোগ ও হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
গবেষণাকাজে যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক বিদ্যুৎ বড়ুয়া, সহকারী অধ্যাপক ইফতেখার আহমেদ, জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট রাজদ্বীপ বিশ্বাস, জুনিয়র কনসালট্যান্ট মৌমিতা দাশ, সিভাসুর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ত্রিদীপ দাশ, সিভাসুর মলিকিউলার বায়োলজিস্ট প্রণেশ দত্ত, সিরাজুল ইসলাম ও তানভির আহমেদ নিজামী।

অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
৫ মিনিট আগে
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন।
১১ মিনিট আগে
ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগে
হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ...
৪৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার নিষ্কৃতি চাকমা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিএসসিআর এবং পিজিএস একাডেমিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির প্রশংসা করে নিষ্কৃতি চাকমা বলেন, সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে ব্রেস্ট ক্যানসারে প্রাণহানির ঝুঁকি অনেক কমে আসে।
অনুষ্ঠানে ডা. সায়রা বানু শিউলীর নেতৃত্বে চিকিৎসক দল উদ্বুদ্ধকরণ ও ভিডিও প্রদর্শনীসহ নারী পুলিশ সদস্যদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রবিউল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সিএসসিআর চেয়ারম্যান ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, মহিলা শল্যচিকিৎসক দলের প্রধান ডা. সায়রা বানু শিউলী, ডা. বিন্দু রানী গোপ, ডা. অন্তরা কর, সিএসসিআর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এবং সিএসসিআর ও পিজিএস একাডেমিয়ার সহযোগিতায় অক্টোবর মাসজুড়ে বিনা মূল্যে চিকিৎসা, পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ ছাড় এবং বিনা মূল্যে ব্রেস্ট সার্জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি শনি, সোম ও বুধবার বেলা ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সিএসসিআর হাসপাতালে বিনা মূল্যে স্ক্রিনিং ও পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, মেয়রের সুপারিশে ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের বিনা মূল্যে অস্ত্রোপচার কার্যক্রমও মাসব্যাপী অব্যাহত থাকবে।

অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার নিষ্কৃতি চাকমা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিএসসিআর এবং পিজিএস একাডেমিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির প্রশংসা করে নিষ্কৃতি চাকমা বলেন, সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে ব্রেস্ট ক্যানসারে প্রাণহানির ঝুঁকি অনেক কমে আসে।
অনুষ্ঠানে ডা. সায়রা বানু শিউলীর নেতৃত্বে চিকিৎসক দল উদ্বুদ্ধকরণ ও ভিডিও প্রদর্শনীসহ নারী পুলিশ সদস্যদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রবিউল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সিএসসিআর চেয়ারম্যান ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, মহিলা শল্যচিকিৎসক দলের প্রধান ডা. সায়রা বানু শিউলী, ডা. বিন্দু রানী গোপ, ডা. অন্তরা কর, সিএসসিআর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এবং সিএসসিআর ও পিজিএস একাডেমিয়ার সহযোগিতায় অক্টোবর মাসজুড়ে বিনা মূল্যে চিকিৎসা, পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ ছাড় এবং বিনা মূল্যে ব্রেস্ট সার্জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি শনি, সোম ও বুধবার বেলা ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সিএসসিআর হাসপাতালে বিনা মূল্যে স্ক্রিনিং ও পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, মেয়রের সুপারিশে ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের বিনা মূল্যে অস্ত্রোপচার কার্যক্রমও মাসব্যাপী অব্যাহত থাকবে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ৮৯ শতাংশ রোগী আগে থেকে বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা নানান স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৩৪ জন রোগীর ওপর চার মাস ধরে গবেষণা করে এই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
০৮ ডিসেম্বর ২০২১
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন।
১১ মিনিট আগে
ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগে
হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ...
৪৪ মিনিট আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় নলকূপ খনন করতে গিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া গ্রামের হোটেলশ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে গভীর নলকূপের জন্য খনন করতে গিয়ে এই গ্যাসের সন্ধান মিলে। আর সেই গ্যাস দিয়েই নূর মোহাম্মদের পরিবারসহ আশপাশের কয়েকটি পরিবার ১১ দিন ধরে রান্নাবান্না করছে।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোটেলশ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে ১৪ অক্টোবর সকালে মিস্ত্রিরা দেড় ইঞ্চি পাইপ দিয়ে প্রায় ৫৫ ফুট গভীরে মাটি খনন শুরু করেন। কিছু সময় পর পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হতে শুরু করে। পরে আরও দুটি স্থানে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত খনন করলেও একইভাবে গ্যাস পাওয়া যায়। দুটি খনন বন্ধ করে দেওয়া হলেও একটি স্থান দিয়ে অনবরত গ্যাস বের হতে থাকে।
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন। স্থানীয় যুবক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা সরকারের সম্পদ। পাশের জামালপুর জেলায় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের খবর এসেছে। এখানেও অনুসন্ধান করলে গ্যাসক্ষেত্রের সম্ভাবনা থাকতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ খোঁজ নিতে আসেনি।’
গৃহিণী শারমিন আক্তার (২৮) বলেন, ‘প্রায় ১০ দিন ধরে এই গ্যাস দিয়েই আমরা রান্না করতেছি। আশপাশের মহিলারাও এখানেই রান্না করছে। তবে কিছুটা ভয়ও লাগে। আমরা চাই দ্রুত যেন এই বিষয়ে একটা ব্যবস্থা হয়।’
বাড়ির মালিক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘গ্যাস তো ঝুঁকিপূর্ণ জিনিস। নিচে কতটা গ্যাস আছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা হলে বিপদ হতে পারে। সরকার বিষয়টি দেখলে ভালো হতো।’
রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ হযরত বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাই এবং উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। তবে আমরা কিছুটা আতঙ্কে আছি। কারণ, কখন কী ঘটে বলা যায় না।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। আজ বিকেলে বাপেক্স এবং আগামীকাল তিতাস গ্যাসের প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে আসবে।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় নলকূপ খনন করতে গিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া গ্রামের হোটেলশ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে গভীর নলকূপের জন্য খনন করতে গিয়ে এই গ্যাসের সন্ধান মিলে। আর সেই গ্যাস দিয়েই নূর মোহাম্মদের পরিবারসহ আশপাশের কয়েকটি পরিবার ১১ দিন ধরে রান্নাবান্না করছে।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোটেলশ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে ১৪ অক্টোবর সকালে মিস্ত্রিরা দেড় ইঞ্চি পাইপ দিয়ে প্রায় ৫৫ ফুট গভীরে মাটি খনন শুরু করেন। কিছু সময় পর পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হতে শুরু করে। পরে আরও দুটি স্থানে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত খনন করলেও একইভাবে গ্যাস পাওয়া যায়। দুটি খনন বন্ধ করে দেওয়া হলেও একটি স্থান দিয়ে অনবরত গ্যাস বের হতে থাকে।
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন। স্থানীয় যুবক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা সরকারের সম্পদ। পাশের জামালপুর জেলায় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের খবর এসেছে। এখানেও অনুসন্ধান করলে গ্যাসক্ষেত্রের সম্ভাবনা থাকতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ খোঁজ নিতে আসেনি।’
গৃহিণী শারমিন আক্তার (২৮) বলেন, ‘প্রায় ১০ দিন ধরে এই গ্যাস দিয়েই আমরা রান্না করতেছি। আশপাশের মহিলারাও এখানেই রান্না করছে। তবে কিছুটা ভয়ও লাগে। আমরা চাই দ্রুত যেন এই বিষয়ে একটা ব্যবস্থা হয়।’
বাড়ির মালিক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘গ্যাস তো ঝুঁকিপূর্ণ জিনিস। নিচে কতটা গ্যাস আছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা হলে বিপদ হতে পারে। সরকার বিষয়টি দেখলে ভালো হতো।’
রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ হযরত বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাই এবং উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। তবে আমরা কিছুটা আতঙ্কে আছি। কারণ, কখন কী ঘটে বলা যায় না।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। আজ বিকেলে বাপেক্স এবং আগামীকাল তিতাস গ্যাসের প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে আসবে।’

করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ৮৯ শতাংশ রোগী আগে থেকে বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা নানান স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৩৪ জন রোগীর ওপর চার মাস ধরে গবেষণা করে এই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
০৮ ডিসেম্বর ২০২১
অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
৫ মিনিট আগে
ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগে
হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ...
৪৪ মিনিট আগেঝালকাঠি, প্রতিনিধি

ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় নাসিম আকনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসিমের সঙ্গে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক শহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
শহিদুল ইসলামের বরাত দিয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সায়েম আকন বলেন, ‘নলবুনিয়া এলাকায় একটি ঠিকাদারির কাজ পরিদর্শন শেষে তাঁরা মোটরসাইকেলে রাজাপুরে ফিরছিলেন। পথে পাথরঘাটাগামী হামিম পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নাসিম আকন ছিটকে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পান এবং ডোবায় পড়ে যান। শহিদুলও মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান।’
আবু সায়েম আকন আরও বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। শহিদুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। তবে নাসিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। বাসটি শনাক্ত করে চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।’

ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় নাসিম আকনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসিমের সঙ্গে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক শহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
শহিদুল ইসলামের বরাত দিয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সায়েম আকন বলেন, ‘নলবুনিয়া এলাকায় একটি ঠিকাদারির কাজ পরিদর্শন শেষে তাঁরা মোটরসাইকেলে রাজাপুরে ফিরছিলেন। পথে পাথরঘাটাগামী হামিম পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নাসিম আকন ছিটকে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পান এবং ডোবায় পড়ে যান। শহিদুলও মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান।’
আবু সায়েম আকন আরও বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। শহিদুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। তবে নাসিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। বাসটি শনাক্ত করে চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।’

করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ৮৯ শতাংশ রোগী আগে থেকে বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা নানান স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৩৪ জন রোগীর ওপর চার মাস ধরে গবেষণা করে এই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
০৮ ডিসেম্বর ২০২১
অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
৫ মিনিট আগে
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন।
১১ মিনিট আগে
হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ...
৪৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে।
আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ চিকিৎসা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি বার্ষিক অনুদান এক কোটি থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এখন সেবা কার্যক্রম আরও ভালো চলবে।’
সচিব আরও বলেন, অনুদানের দুই কোটি টাকার মধ্যে ৪০ শতাংশ ব্যয় হবে বেতন-ভাতা প্রদানে। আর ৬০ শতাংশ ব্যবহৃত হবে সরঞ্জাম ক্রয় ও চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে। উন্নত কার্ডিয়াক সেবা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স সংযোজনের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষিত জনবল বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যসচিব।
হৃদ্রোগ এখন দেশের অন্যতম স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যুহারের প্রধান কারণ উল্লেখ করে সচিব বলেন, হৃদ্রোগ প্রতিরোধ, প্রাথমিক শনাক্তকরণ ও উন্নত চিকিৎসাসেবায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরাঞ্চলের জনগণের সেবায় প্রতিষ্ঠানটিকে আরও শক্তিশালী করতেই বার্ষিক সরকারি অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট রাজশাহীর পরিচালক ও চিফ কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. মো. রইছ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. হাবিবুর রহমান এবং সিভিল সার্জন রাজিউল করিম।
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য এনামুল হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী। আরও বক্তব্য দেন নির্বাহী সদস্য ডা. মো. ওয়াসিম হোসেন।

হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এখন প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে।
আজ শনিবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাকক্ষে হৃদ্রোগ চিকিৎসা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি বার্ষিক অনুদান এক কোটি থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এখন সেবা কার্যক্রম আরও ভালো চলবে।’
সচিব আরও বলেন, অনুদানের দুই কোটি টাকার মধ্যে ৪০ শতাংশ ব্যয় হবে বেতন-ভাতা প্রদানে। আর ৬০ শতাংশ ব্যবহৃত হবে সরঞ্জাম ক্রয় ও চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে। উন্নত কার্ডিয়াক সেবা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স সংযোজনের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষিত জনবল বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যসচিব।
হৃদ্রোগ এখন দেশের অন্যতম স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যুহারের প্রধান কারণ উল্লেখ করে সচিব বলেন, হৃদ্রোগ প্রতিরোধ, প্রাথমিক শনাক্তকরণ ও উন্নত চিকিৎসাসেবায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরাঞ্চলের জনগণের সেবায় প্রতিষ্ঠানটিকে আরও শক্তিশালী করতেই বার্ষিক সরকারি অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট রাজশাহীর পরিচালক ও চিফ কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. মো. রইছ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. হাবিবুর রহমান এবং সিভিল সার্জন রাজিউল করিম।
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য এনামুল হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী। আরও বক্তব্য দেন নির্বাহী সদস্য ডা. মো. ওয়াসিম হোসেন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ৮৯ শতাংশ রোগী আগে থেকে বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা নানান স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৩৪ জন রোগীর ওপর চার মাস ধরে গবেষণা করে এই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
০৮ ডিসেম্বর ২০২১
অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
৫ মিনিট আগে
আজ শনিবার সকালে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। কেউ কেউ রান্না করে চলে গেছেন। এক ব্যক্তি ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি বসিয়েছেন।
১১ মিনিট আগে
ঝালকাঠির রাজাপুরে বাসের ধাক্কায় মো. নাসিম উদ্দিন আকন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগে