নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বাড়ির সামনে, উঠোনে বসে আছেন নারীরা। তাঁরা মুখে কাপড় দিয়ে কান্না আড়াল করছেন। ভেজা চোখে স্বজনদের কেউ কেউ আবার বিলাপ করছেন। দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে তাঁরা স্মৃতিচারণা করছেন মিনারুল, মনিরা, মাহিম আর ছোট্ট মিথিলাকে নিয়ে। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে মিনারুলের বাড়িতে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
মিনারুল আর তাঁর স্ত্রী ছেলেমেয়ের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে বামনশিকড় গ্রাম। প্রতিবেশীরা বলেছেন, একসঙ্গে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুর মতো এমন মর্মান্তিক ঘটনা তাঁরা দেখেননি। একসঙ্গে চারজনের মৃত্যু হলেও তাঁদের লাশ পৃথক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বামনশিকড় গ্রামের গোরস্থানে আজ বিকেলে মিনারুল ইসলাম (৩০) ও তাঁর ছেলে মাহিমকে (১৪) পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়। আর মিনারুলের শ্বশুরবাড়ির ইচ্ছা অনুযায়ী, স্ত্রী মনিরা খাতুন (২৮) ও মেয়ে মিথিলাকে (৩) দাফন করা হয় রাজশাহী নগরের টিকাপাড়া গোরস্থানে।
গতকাল শুক্রবার লাশ চারটি বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছিল। আজ দুপুরের পর ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে মিনারুল এবং তাঁর ছেলে মাহিমের লাশ তাঁর বাবা রুস্তম আলী এবং বড় ভাই রুহুল আমিনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর মনিরা এবং তাঁর মেয়ে মিথিলার লাশ তাঁর বাবা আব্দুস সালাম এবং মা শিউলী বেগম তাঁদের রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি এলাকার বাড়ি নিয়ে যান।
পবার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শায়েদ আলী মোর্শেদ বলেন, ‘আব্দুস সালাম এবং শিউলী বেগমসহ নিকটাত্মীয়রা মনিরা ও মিথিলার লাশ তাঁদের নিজ এলাকায় দাফনের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করেন। তাঁরা তাঁদের মেয়ে এবং নাতনির লাশ নিজ এলাকায় দাফন করলে মানসিক শান্তি পাবেন বলছিলেন। তাই মনিরা ও মিথিলার লাশ তাঁদের দেওয়া হয়। মিনারুল আর তাঁর ছেলের লাশ বাবাকে দেওয়া হয়। তাঁরা গ্রামে লাশ দাফন করেন।’
আজ বিকেলে মিনারুল এবং তাঁর ছেলে মাহিমের লাশ বামনশিকড় গ্রামে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। শুরু হয় শোকের মাতম। বাবা ও ছেলেকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে। কয়েক শ মানুষ চোখের পানি ফেলে বাবা-ছেলের জানাজায় অংশ নেন।
শোকার্ত মিনারুলের বাবা রুস্তম আলী বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেল। আমরা চারজনেরই লাশ চেয়েছি। ইচ্ছে ছিল, তাদের দাফন একসঙ্গেই হবে। কিন্তু সেটি আর হলো না। মৃত্যুর পরেও তারা ঠাঁই ঠাঁই হয়ে গেল। একসঙ্গে থাকতে পারল না। মনিরার বাবা-মায়ের অনুরোধে আমরা পৃথক স্থানে দাফনের বিষয়টি মেনে নিয়েছি।’
ছেলে, ছেলের বউ আর নাতি-নাতনিদের হারিয়ে শোকে কাতর দাদি আঞ্জুয়ারা বেগম। ছোট্ট মিথিলা আধো আধো শব্দে কথা বলত। তার জন্য দাদি আঞ্জুয়ারা বেগমের ছিল অগাধ স্নেহ ও ভালোবাসা। মিথিলার যেকোনো ছোট্ট আবদারও নিমেষেই পূরণ করতেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদরের মিথিলা দাদির কাছে মাছ খাওয়ার বায়না ধরেছিল। কিন্তু এটিই যে তার জীবনের শেষ ইচ্ছে হয়ে থাকবে, তা ভাবতেও পারেননি দাদি। নাতনির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আঞ্জুয়ারা। বারবার বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ‘দাদু আমার মাছ খেতে খুব ভালোবাসত। আগের দিন দুপুরে আমাকে মাছ রান্না করে দিতে বলেছিল। কিন্তু তখন বাড়িতে মাছ ছিল না। তাই সকালেই বাজার থেকে মাছ কিনে এনেছিলাম। সকাল ৭টার মধ্যে রান্না শেষও করেছিলাম। কিন্তু মিথিলা আর ওঠেনি। তার মাছ খাওয়ার শেষ ইচ্ছে আমি পূরণ করতে পারিনি।’
গতকাল শুক্রবার সকালে মিনারুল, তাঁর স্ত্রী মনিরা, ছেলে মাহিম ও মেয়ে মিথিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। একটি ঘরের বিছানায় ছিল মনিরা ও মিথিলার লাশ। আর পাশের ঘরের বিছানায় ছিল মাহিমের লাশ। এ ঘরেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিলেন মিনারুল। ঘর থেকে দুই পাতার একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এটি মিনারুল লিখে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এ কারণে যে আমি একা যদি মরে যাই, তাহলে আমার বউ, ছেলে, মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে? কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না। তাই আমাদের বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম, সেই ভালো হলো।’ এতে আরও লেখা আছে, ‘আমি মিনারুল প্রথমে আমার বউকে মেরেছি। তারপর আমার মাহিনকে মেরেছি। তারপর আমার মিথিলাকে মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি।’
মিনারুল আর তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের এমন মৃত্যু নিয়েই গ্রামে সর্বত্র আলোচনা চলছে। মিনারুলের আচার-ব্যবহার, মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা আর চলাফেরা নিয়ে কথা বলছেন প্রতিবেশীরা। গ্রামের কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘মিনারুল খুব ভালো ছেলে ছিল। কারও সঙ্গে খুব বেশি মিশত না, খুব ভদ্র ছিল। মাথা নিচু করে চলত। কিন্তু ঋণের কারণে, এক কথা এনজিওর চাপে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মিনারুল এমনটি করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘কিস্তির টাকা দিতে দেরি হলে এনজিওর লোকেরা মিনারুলের বাড়িতে এসে বসে থাকত। যতক্ষণ পর্যন্ত টাকা না দিত, ততক্ষণ উঠতেন না। রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্তও তাঁরা বসে থাকতেন। এগুলো নিয়ে মিনারুল খুব বিব্রত হতো। তারও মানইজ্জত ছিল। এটি নিয়ে মিনারুল লজ্জা পেত। কিস্তি দিতে গিয়ে অভাব লেগে থাকত। শুনেছি, অনেক টাকা ঋণও ছিল। এ কারণেই হয়তো মিনারুল পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে গেল।’
এদিকে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা, অন্যটি অপমৃত্যুর মামলা। গতকাল শুক্রবার রাতেই রাজশাহীর মতিহার থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক জানান, মিনারুলের আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা রুস্তম আলী বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। আর মনিরা, মাহিম ও মিথিলাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন মনিরার মা শিউলী বেগম। তবে আসামি হিসেবে মামলা দুটিতে কারও নাম উল্লেখ নেই। আসামি অজ্ঞাত। তদন্তের পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
বাড়ির সামনে, উঠোনে বসে আছেন নারীরা। তাঁরা মুখে কাপড় দিয়ে কান্না আড়াল করছেন। ভেজা চোখে স্বজনদের কেউ কেউ আবার বিলাপ করছেন। দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে তাঁরা স্মৃতিচারণা করছেন মিনারুল, মনিরা, মাহিম আর ছোট্ট মিথিলাকে নিয়ে। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে মিনারুলের বাড়িতে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
মিনারুল আর তাঁর স্ত্রী ছেলেমেয়ের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে বামনশিকড় গ্রাম। প্রতিবেশীরা বলেছেন, একসঙ্গে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুর মতো এমন মর্মান্তিক ঘটনা তাঁরা দেখেননি। একসঙ্গে চারজনের মৃত্যু হলেও তাঁদের লাশ পৃথক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বামনশিকড় গ্রামের গোরস্থানে আজ বিকেলে মিনারুল ইসলাম (৩০) ও তাঁর ছেলে মাহিমকে (১৪) পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়। আর মিনারুলের শ্বশুরবাড়ির ইচ্ছা অনুযায়ী, স্ত্রী মনিরা খাতুন (২৮) ও মেয়ে মিথিলাকে (৩) দাফন করা হয় রাজশাহী নগরের টিকাপাড়া গোরস্থানে।
গতকাল শুক্রবার লাশ চারটি বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছিল। আজ দুপুরের পর ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে মিনারুল এবং তাঁর ছেলে মাহিমের লাশ তাঁর বাবা রুস্তম আলী এবং বড় ভাই রুহুল আমিনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর মনিরা এবং তাঁর মেয়ে মিথিলার লাশ তাঁর বাবা আব্দুস সালাম এবং মা শিউলী বেগম তাঁদের রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি এলাকার বাড়ি নিয়ে যান।
পবার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শায়েদ আলী মোর্শেদ বলেন, ‘আব্দুস সালাম এবং শিউলী বেগমসহ নিকটাত্মীয়রা মনিরা ও মিথিলার লাশ তাঁদের নিজ এলাকায় দাফনের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করেন। তাঁরা তাঁদের মেয়ে এবং নাতনির লাশ নিজ এলাকায় দাফন করলে মানসিক শান্তি পাবেন বলছিলেন। তাই মনিরা ও মিথিলার লাশ তাঁদের দেওয়া হয়। মিনারুল আর তাঁর ছেলের লাশ বাবাকে দেওয়া হয়। তাঁরা গ্রামে লাশ দাফন করেন।’
আজ বিকেলে মিনারুল এবং তাঁর ছেলে মাহিমের লাশ বামনশিকড় গ্রামে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। শুরু হয় শোকের মাতম। বাবা ও ছেলেকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে। কয়েক শ মানুষ চোখের পানি ফেলে বাবা-ছেলের জানাজায় অংশ নেন।
শোকার্ত মিনারুলের বাবা রুস্তম আলী বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেল। আমরা চারজনেরই লাশ চেয়েছি। ইচ্ছে ছিল, তাদের দাফন একসঙ্গেই হবে। কিন্তু সেটি আর হলো না। মৃত্যুর পরেও তারা ঠাঁই ঠাঁই হয়ে গেল। একসঙ্গে থাকতে পারল না। মনিরার বাবা-মায়ের অনুরোধে আমরা পৃথক স্থানে দাফনের বিষয়টি মেনে নিয়েছি।’
ছেলে, ছেলের বউ আর নাতি-নাতনিদের হারিয়ে শোকে কাতর দাদি আঞ্জুয়ারা বেগম। ছোট্ট মিথিলা আধো আধো শব্দে কথা বলত। তার জন্য দাদি আঞ্জুয়ারা বেগমের ছিল অগাধ স্নেহ ও ভালোবাসা। মিথিলার যেকোনো ছোট্ট আবদারও নিমেষেই পূরণ করতেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদরের মিথিলা দাদির কাছে মাছ খাওয়ার বায়না ধরেছিল। কিন্তু এটিই যে তার জীবনের শেষ ইচ্ছে হয়ে থাকবে, তা ভাবতেও পারেননি দাদি। নাতনির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আঞ্জুয়ারা। বারবার বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ‘দাদু আমার মাছ খেতে খুব ভালোবাসত। আগের দিন দুপুরে আমাকে মাছ রান্না করে দিতে বলেছিল। কিন্তু তখন বাড়িতে মাছ ছিল না। তাই সকালেই বাজার থেকে মাছ কিনে এনেছিলাম। সকাল ৭টার মধ্যে রান্না শেষও করেছিলাম। কিন্তু মিথিলা আর ওঠেনি। তার মাছ খাওয়ার শেষ ইচ্ছে আমি পূরণ করতে পারিনি।’
গতকাল শুক্রবার সকালে মিনারুল, তাঁর স্ত্রী মনিরা, ছেলে মাহিম ও মেয়ে মিথিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। একটি ঘরের বিছানায় ছিল মনিরা ও মিথিলার লাশ। আর পাশের ঘরের বিছানায় ছিল মাহিমের লাশ। এ ঘরেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিলেন মিনারুল। ঘর থেকে দুই পাতার একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এটি মিনারুল লিখে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এ কারণে যে আমি একা যদি মরে যাই, তাহলে আমার বউ, ছেলে, মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে? কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না। তাই আমাদের বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম, সেই ভালো হলো।’ এতে আরও লেখা আছে, ‘আমি মিনারুল প্রথমে আমার বউকে মেরেছি। তারপর আমার মাহিনকে মেরেছি। তারপর আমার মিথিলাকে মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি।’
মিনারুল আর তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের এমন মৃত্যু নিয়েই গ্রামে সর্বত্র আলোচনা চলছে। মিনারুলের আচার-ব্যবহার, মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা আর চলাফেরা নিয়ে কথা বলছেন প্রতিবেশীরা। গ্রামের কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘মিনারুল খুব ভালো ছেলে ছিল। কারও সঙ্গে খুব বেশি মিশত না, খুব ভদ্র ছিল। মাথা নিচু করে চলত। কিন্তু ঋণের কারণে, এক কথা এনজিওর চাপে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মিনারুল এমনটি করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘কিস্তির টাকা দিতে দেরি হলে এনজিওর লোকেরা মিনারুলের বাড়িতে এসে বসে থাকত। যতক্ষণ পর্যন্ত টাকা না দিত, ততক্ষণ উঠতেন না। রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্তও তাঁরা বসে থাকতেন। এগুলো নিয়ে মিনারুল খুব বিব্রত হতো। তারও মানইজ্জত ছিল। এটি নিয়ে মিনারুল লজ্জা পেত। কিস্তি দিতে গিয়ে অভাব লেগে থাকত। শুনেছি, অনেক টাকা ঋণও ছিল। এ কারণেই হয়তো মিনারুল পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে গেল।’
এদিকে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা, অন্যটি অপমৃত্যুর মামলা। গতকাল শুক্রবার রাতেই রাজশাহীর মতিহার থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক জানান, মিনারুলের আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা রুস্তম আলী বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। আর মনিরা, মাহিম ও মিথিলাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন মনিরার মা শিউলী বেগম। তবে আসামি হিসেবে মামলা দুটিতে কারও নাম উল্লেখ নেই। আসামি অজ্ঞাত। তদন্তের পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড ২০০৯ সালে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মালিকানাধীন দুই একর জমিতে কেন্দ্রটি স্থাপন করে। এই কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে স্বস্তি ফিরে আসে।
২২ মিনিট আগেআবু তাহের বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে সোহরাব রাঢ়ী, বনি আমিন, জাকির রাঢ়ী, জাকির হাওলাদার, বাবুল মুন্সী ও ইসমাইল সিকদারসহ স্থানীয় যুবদলের নেতা-কর্মীরা ঘরটি দখল করে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। যেহেতু এটি একটি মক্তব ঘর, সেই কারণে তাঁদের নিষেধ করেছিলাম।
৩১ মিনিট আগেঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে আত্মগোপনে চলে যাওয়া নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাককে ১৭ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ঘটনায় তাঁর পরিবারের করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) সূত্র ধরে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী বাজার থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
৩৪ মিনিট আগেবরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
৬ ঘণ্টা আগে