Ajker Patrika

মাজার-ধর্মীয় স্থাপনায় পাথর নিক্ষেপকারীরা কালপ্রিট: ধর্ম উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালীমন্দিরে মতবিনিময় সভায় ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালীমন্দিরে মতবিনিময় সভায় ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাজার ও ধর্মীয় স্থাপনায় যারা পাথর নিক্ষেপ করে, তারা কালপ্রিট—তাদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বলে থাকি, যেকোনো ধর্মের উপাসনালয়, মাজার, ধর্মীয় স্থাপনায় যারা পাথর নিক্ষেপ করে অথবা অপবিত্র করতে চায়, তারা কালপ্রিট, তারা অপরাধী, তাদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় নেই।’

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালীমন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, এগুলো অনেকটা পলিটিক্যালি মোটিভেটেড। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মাজারে হামলা চালায়, মন্দিরকেও অপবিত্র করার চেষ্টা করে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে আমাদের এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশকে কেউ বিনষ্ট করতে না পারে।’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘কেউ যদি কোনো অপরাধ করে থাকে, সেই অপরাধের জন্য ওই ব্যক্তি দায়ী হবে, সম্প্রদায় নয়। আমি আবার রিপিট করছি, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো অপরাধ করে থাকে, ধর্ম অবমাননা করে থাকে, কটূক্তি করে থাকে, ব্যঙ্গ করে থাকে, এর জন্য সেই ব্যক্তিই দায়ী থাকবে। তার কমিউনিটি নয়, সম্প্রদায় দায়ী নয়।

‘কিন্তু আমরা অনেক সময় আইন হাতে তুলে নিই। হামলা, মামলা, লুটপাট করি। আইন হাতে নিলেই আইনের শাসন নষ্ট হয়ে যাবে। অপরাধী শাস্তি পাবে, তার জন্য নিরপরাধ মানুষের বাড়িঘর আক্রান্ত হতে পারে না। আমরা সব সময় এ ব্যাপারে সচেতন আছি।’

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় দুর্গাপূজা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় এখন জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার জন্য নিউইয়র্কে আছেন। উনি যাওয়ার সময় বলে গেছেন—আমার আসতে আসতে তো দশমী হয়ে যাবে, তুমি সতর্ক থাক, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করে যাতে মানুষ সুন্দরভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা উদ্‌যাপন হয়, এ ব্যাপারে তোমাকে রাত-দিন পরিশ্রম করতে হবে।

‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা মোতাবেক দুর্গাপূজা নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি আমরা গ্রহণ করেছি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা নিশ্চিত করেছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি।’

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘দুর্গাপূজা যেখানে উদ্‌যাপন হবে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসান। রাতের বেলা অনেক সময় হামলা হয়, অন্ধকারের মধ্যে ঢিল মারে, অপবিত্র করতে চায়। এ ব্যাপারে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ থাকবে। গোয়েন্দারাও বিভিন্ন জায়গায় তৎপরতা চালাবে।’

ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে সবাইকে পূজায় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘লোকাল পিপলকে আপনারা ইনভলব করেন। আপনাদের ডানে-বামে যেসব মানুষ আছেন, তিনি যে ধর্মেরই হোক, তাঁদের সহযোগিতা চাইবেন। দুর্গাপূজাটা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে আপনারা উদ্‌যাপন করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক। আমাদের প্রথম এবং শেষ ঠিকানা বাংলাদেশ। আমাদের দ্বিতীয় কোনো বাড়ি নেই, দ্বিতীয় কোনো ঠিকানা নেই। আমাদের সেকেন্ড হোম বলতে কিছু নেই। এই হোম, এই বাংলা, এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশই আমাদের ঠিকানা। আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি। এ দেশের যত অর্জন, নানা ধর্ম, নানা বর্ণ, নানা জাতির মানুষের অবদান আছে। আমরা কারও অবদানকে খাটো করতে চাই না।’

এ সময় হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিতসহ মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নওগাঁয় গরুবোঝাই ভটভটি উল্টে দুই ব্যবসায়ী নিহত

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
ধামইরহাটে গরুবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধামইরহাটে গরুবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর ধামইরহাটে গরুবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটি উল্টে চাপা পড়ে দুই ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়-সাতজন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ীরা হলেন আড়ানগর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে ভুট্টু (৪৫) ও একই গ্রামের জয়নুলের ছেলে নূর আলম (৩০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিরা গরু কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। শনিবার সকালে ভটভটিতে করে গরু নিয়ে জয়পুরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় একটি মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় তাদের বহন করা ভটভটি। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এ সময় ভটভটিতে থাকা অন্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর জানান, সকালে বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় ভটভটি উল্টে চাপা পড়ে দুজন নিহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সখীপুরে জোঁকের অস্বাভাবিক উৎপাত, উদ্বেগ-শঙ্কা

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৪৩
সখীপুর উপজেলার মুচারিয়া পাথার এলাকায় গাছের পাতায় ঘোরাফেরা করছে জোঁক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সখীপুর উপজেলার মুচারিয়া পাথার এলাকায় গাছের পাতায় ঘোরাফেরা করছে জোঁক। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলাজুড়ে এবার জোঁকের অস্বাভাবিক উপদ্রব দেখা দিয়েছে। বিশেষত এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জোঁকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোপা আমন ধান কাটা ও দৈনন্দিন কৃষিকাজ নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। ছোট জলাশয়, ধানখেত থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত এদের আনাগোনায় হাঁস, মুরগি, গবাদিপশু ও শিশুরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা; যেমন দাড়িয়াপুর, হামিদপুর, গজারিয়া, মুচারিয়া পাথার, বড়চওনা, দারিপাকা, কচুয়া, কালিয়া, মৌলভীবাজার, শ্রীপুর, বটতলী, কালিদাস, বোয়ালী, প্রতিমা বংকীসহ প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে জোঁকের উপদ্রব লক্ষ করা গেছে। গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার শরীরে জোঁক লেগে রক্ত শোষণ করছে।

শুধু মাঠ নয়, বাড়ির আঙিনা, শিশুদের খেলার মাঠ, স্যাঁতসেঁতে জায়গা, পানির পাত্র ও ঝোপঝাড়েও এদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভেজা মাটি বা ঘাসের সংস্পর্শে এলেই জোঁক শরীরে উঠে আসছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন কৃষিকাজে নিযুক্ত শ্রমিকেরা। অনেক এলাকায় জোঁকের ভয়ে শ্রমিকেরা মাঠে নামতে অনীহা প্রকাশ করছেন।

উপজেলার মুচারিয়া পাথার গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, জোঁকের উপদ্রবে খেতখামারে কাজ করতে ভয় করে। গরু-ছাগলের নাক দিয়ে জোঁক গিয়ে রক্ত শুষে নেয়। জোঁক তাড়াতে অনেকেই লবণ, তামাকের গুঁড়া, ডেটলমিশ্রিত পানি ব্যবহার করছে। কেউ কেউ গামবুট বা পলিথিন দিয়ে পা মুড়িয়ে মাঠে নামছে।

পাথারপুর জনতা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয় মাঠেও জোঁক আছে। জোঁকের ভয়ে মাঝেমধ্যে তাদের ক্লাস বন্ধ থাকে।

গরুর পায়ে লেগে থাকা জোঁক দেখাচ্ছেন কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা
গরুর পায়ে লেগে থাকা জোঁক দেখাচ্ছেন কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুকনো ধানখেতে জোঁকের উপস্থিতি দেখা যায়নি। তবে এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকায় বাড়ির আঙিনার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জোঁকের উপদ্রব বেশি। আমরা কৃষকদের বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও কৃষকদের নিয়মিত সচেতন করছেন।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার জোঁকের উপদ্রব একটু বেশি। গবাদিপশু সুরক্ষায় আক্রান্ত এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি, ওষুধ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সখীপুরে ইয়াবাসহ শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে বহিষ্কার

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার শ্রমিক দল নেতা সামছুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার শ্রমিক দল নেতা সামছুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৩৮০টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সামছুল আলম (৩৫) নামের এক শ্রমিক দল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার দেবরাজ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আজ শনিবার সকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার সামছুল আলম উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং কুতুবপুর শুকনারছিট এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে।

সখীপুর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার দেবরাজ এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে ওই এলাকা থেকে মাদকদ্রব্যসহ সামছুলকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ৩৮০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।

এদিকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দলীয় সকল পদ থেকে সামছুল আলমকে বহিষ্কার করা হয়। উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. মতিন ও সদস্যসচিব বাবুল মিয়া এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ, দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সামছুলকে দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিবাস চক্রবর্তী বলেন, ‘আসামি কোনো দলের নেতা কি না, তা আমাদের জানা নেই। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি
অভিযুক্ত শিক্ষক দৌড়ে গিয়ে পুলিশ বক্সে আশ্রয় নিলে সেখানে তাঁকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযুক্ত শিক্ষক দৌড়ে গিয়ে পুলিশ বক্সে আশ্রয় নিলে সেখানে তাঁকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদ্রাসার এক শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ওই শিক্ষক দৌড়ে গিয়ে পুলিশ বক্সে আশ্রয় নিলে সেখানে তাঁকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে ওসির নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেয়। এ সময় পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশ বক্সে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাত ১১টায় পুলিশ বক্স থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত মোহাম্মদ মহসিন (৩৫) নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কাচুটিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার দারুল হিকমা হাফিজিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষক।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাত সোয়া ৯টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে গণপিটুনি দেন মাদ্রাসার আশপাশের বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী শিশুশিক্ষার্থীর স্বজনেরা। এরপর প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে গিয়ে মাওনা চৌরাস্তা এলাকার জেলা পুলিশ বক্সে আশ্রয় নেন অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপর কয়েক শ মানুষ পুলিশ বক্স ঘিরে ফেলে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করেন। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তাঁকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, প্রথমে বিষয়টি জানার পরপরই পুলিশ পাঠানো হয়। পরে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে পড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে ধাওয়া দিয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত