Ajker Patrika

বাবা-মেয়ের পাল্টাপাল্টি ১২ মামলা

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২২, ১৬: ১৪
বাবা-মেয়ের পাল্টাপাল্টি ১২ মামলা

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় একটি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক নুরুল হকের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। অন্যদিকে মেয়ে ছালেহা বেগম (স্কুলশিক্ষক) ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছেন বাবা নুরুল হক।

নুরুল হক (৬০) উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভিপাড়ার বাসিন্দা এবং স্থানীয় শাহ মুজিব উল্লাহ মাজার হেফজখানার সাবেক শিক্ষক। তাঁর মেয়ে ছালেহা বেগম (২৮) পূর্ব ইছামতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সর্বশেষ গত বুধবার বাবার করা একটি মামলায় চট্টগ্রাম আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন ছালেহা বেগম। তিনি বলেন, তাঁকে হয়রানি ও স্কুল থেকে চাকরিচ্যুত করাতে তাঁর বাবা চেষ্টা চালাচ্ছেন। 

বাবা কেন তাঁকে হয়রানি করছেন জানতে চাইলে ছালেহা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মামার সঙ্গে দেনা-পাওনার জের ধরে আমার মায়ের ঝামেলা শুরু হয় ২০১৫ সালের দিকে। একপর্যায়ে আমার বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্যত্র থাকা শুরু করেন এবং আরেকটা বিয়ে করেন। জানতে পেরেছি, তিনি আমাদের বাড়িটি স্থানীয় আমেরিকাপ্রবাসী কাজী খালেদ ইমরানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।’ 

ছালেহা বেগম আরও বলেন, ‘এরপর খালেদ ইমরানের লোকজন আমাদের ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বললে মায়ের খোরপোষ ও ঘর বিক্রির কাগজপত্র অকার্যকর করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে নিম্ন আদালতের আশ্রয় নিই। তবে নিম্ন আদালত আমাদের আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর উচ্চ আদালতে আপিল করি আমরা। সেখান থেকে বলা হয়, যত দিন এই মামলার রায় না হচ্ছে, তত দিন এই ঘর বিক্রির বিষয়টি স্থগিত থাকবে এবং আমরা ওই ঘরেই থাকব।’ 

স্কুলশিক্ষক সালেহা বেগম বলেন, ‘উচ্চ আদালতের এই আদেশ অমান্য করে ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সকালে আমেরিকাপ্রবাসী খালেদ ইমরানের প্রতিনিধি এই এলাকার বাসিন্দা মৃত ইব্রাহীম খলিলের ছেলে সেলিমের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তখন আমার মা হাসিনা আহমদ ও ভাই আবু তাহেরকে জখম করে এবং আমাকে ও আমার ১৬ বছর বয়সী বোনের শ্লীলতাহানি করে বাড়ি থেকে বের করে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। এসব কিছুর ইন্ধনদাতা আমার বাবা নুরুল হক।’ 

স্কুলশিক্ষক ছালেহা বেগম আরও বলেন, ‘ওই দিন রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নিতে থানার পুলিশ প্রথমে গড়িমসি করে। পরে আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে রাত ১০টার দিকে রাঙ্গুনিয়া থানা মামলা নেয়। এ ঘটনার দিন থেকে সন্ত্রাসীরা আমাদের ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে। ফলে উচ্চ আদালতের আদেশ থাকার পরও আমরা এখনো অবধি ঘরে যেতে পারিনি। কিছুদিন বোনের বাসায় ছিলাম, পরে শহরে ভাড়া বাসায় থাকছি। খুব মানবেতর জীবন যাপন করছি আমরা।’ 

ছালেহা বেগম অভিযোগ তুলে বলেন, ‘ঘরছাড়া করেও ক্ষান্ত হননি আমার বাবা। আমার স্কুলের চাকরি খেয়ে ফেলবেন বলে আমাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে বলে বেড়াচ্ছেন। এমনকি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার থেকে শুরু করে অনেকের কাছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে আসছেন তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অভিযোগে জিডি করেছেন।’ 

ছালেহা বেগম বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় আমাকে হয়রানি করতে গত ২০ এপ্রিলের একটি মিথ্যা ঘটনা দেখিয়ে ২৫ এপ্রিল কোর্টে আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন বাবা। সেই মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ২০ এপ্রিল বেলা ৩টার দিকে উপজেলার রোয়াজারহাট এলাকায় তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলতে চেয়েছি এবং তাঁর কাছ থেকে টাকাপয়সা কেড়ে নিয়েছি। তবে অভিযোগে তাঁর সব কথা ছিল মিথ্যা ও বানোয়াট। আর সেদিন আমি স্কুল থেকেই এসেছি বিকেল ৪টার পরে। আর সেই মামলায় যারা সাক্ষী দিয়েছেন, তাঁরা এর আগে আমাদের ওপর হামলা করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন এবং সে বিষয়ে তাঁরা তিন-চারটা মামলার আসামিও।’ 

স্কুলশিক্ষক ছালেহা বেগম আরও বলেন, ‘ওই মামলার তদন্ত আসে রাঙ্গুনিয়া থানায়। তবে রাঙ্গুনিয়া থানা এ বিষয়ে আমাদের কিছুই জানায়নি। তারা এক পক্ষের বক্তব্য নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটির সত্যতা পেয়েছে বলে রিপোর্ট দেয়। আর গত মঙ্গলবার জানতে পারি, সেই মামলায় আমার নামে ওয়ারেন্ট হয়েছে। শুনেই বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছি।’ ছালেহাদের বিরুদ্ধে তাঁর বাবা তিনটি মামলা করেছেন বলে জানান তিনি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলশিক্ষিকার বাবা নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি একজন কোরআনে হাফেজ এবং তিনবার হজ করেছি। আমি কেন মেয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করব? যা সত্য তার পরিপ্রেক্ষিতেই মামলা করেছি। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনাটি সত্য।’ 

নুরুল হক আরও বলেন, ‘জায়গা-জমির জন্যই আমার মেয়ে ছালেহা বিভিন্ন সময়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। ছালেহা ও তার মা আমার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করেছে।’ 

অন্যদিকে ছালেহার বাবা নুরুল হকের দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে সালেহা বলেন, ‘১২টি নয়, ৯টি মামলা করেছি আমরা। তা হচ্ছে পারিবারিক সুরক্ষা ও সহিংসতা মামলা ১১/ ২০২২, ভরণপোষণ মামলা ৬০৮/ ২১, কবলা অকার্যকর মামলা ১২২/ ২১, দেনমোহর ও খোরপোষ মামলা-৩/ ২১, সিআর মামলা ২৮০/ ২১ ও ৮৬/ ২১, জিআর মামলা ২২০/ ২১ ও ২২৮/ ২১) এবং তাঁর মায়ের করা যৌতুকের মামলা ১৪৩/ ২০। 

এর মধ্যে পারিবারিক সুরক্ষা মামলায় আদেশ হয় এবং গত ৬ জুন থানাকে জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু রাঙ্গুনিয়া থানা এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন স্কুলশিক্ষক ছালেহা বেগম। তিনি বলেন, ‘মূলত আমাদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’ 

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুব মিল্কী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা-মেয়ের ঝামেলা দীর্ঘদিনের। নুরুল হক তাঁর স্ত্রী হাসিনার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় নুরুল হক স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। এর পরও হাসিনা তাঁর সন্তানদের নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থেকে যান। এর পর থেকেই মূলত তাঁদের মধ্যে মামলা ও পাল্টা মামলা শুরু হয়। অনেক দিন আগে থানায় একটি ভাঙচুরের মামলা ছাড়া সব কটি মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে। গত মঙ্গলবার একটি মামলায় মেয়ে ছালেহা বেগমের নামে পরোয়ানা এলেও তিনি পরদিন বুধবার আদালত থেকে জামিন নেন। এ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে কোনো পরোয়ানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল বিএম কলেজে অবহেলায় ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
পরিবারের সদস্যদের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত
পরিবারের সদস্যদের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার কলেজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রায় ২ ঘণ্টা পর রুমানা আক্তার সুমিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরদিন শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে সহপাঠীর মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) এ ঘটনায় দফায় দফায় সভা শেষে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপর দিকে কলেজে চিকিৎসক না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্ররা।

আজ ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহপাঠী সুমির মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলেন। এ ঘটনায় তাঁরা ওই বিভাগের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় সঠিক তদন্তে অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।

জানতে চাইলে কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় রোববারও অর্ধশত শিক্ষার্থীর সঙ্গে বসেছি। মেয়েটি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। সে নলছিটির নাচমহল এলাকার কৃষিজীবী আ. রাজ্জাকের কন্যা।’

মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় বিভাগে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরে বেলা ৩টার দিকে এক চাচি এসে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করান। রাত ১০টায় হাসপাতালে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরদিন শুক্রবার সোয়া ৯টায় মারা যান তিনি।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন যে, সুমি রক্তক্ষরণে ভুগছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। তারপরও যেহেতু একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেহেতু কারও অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক।’

আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক নেই। ছাত্ররা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অধ্যক্ষকে বলেছেন।

বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মো. তাজুল ইসলামকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ টি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি অসুস্থ ছিলেন। আগেই মেয়েলি রোগে রক্তপাত হয়েছিল তাঁর। বিভাগের কাজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর সেবা করা হয়। কিন্তু হয়তো একটু দেরি করে ফেলেন ওই বিভাগের শিক্ষকেরা। পরে তাঁর চাচা এসে নিয়ে যান। এখানে শিক্ষকদের বিচক্ষণতার ঘাটতি থাকতে পারে। যে কারণে আজ তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে। তিনি আরও বলেন, কলেজের নিজস্ব চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দ্রুত একজন চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিএম কলেজ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, প্রশাসনের চরম অবহেলা ও উদাসীনতাই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন শুরু ২০ নভেম্বর

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬, ১৭ ও ২৪ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের, ১৭ জানুয়ারি ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের আর ২৪ জানুয়ারি ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ও বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা হবে।

মানবিক শাখার আবেদন ফি ১ হাজার ৩২০ টাকা, বাণিজ্য ইউনিটে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষায় থাকবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন, ৮০টি প্রশ্নের মধ্যে প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।

আবেদনের যোগ্যতার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান শাখায় ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জয়পুরহাটে চাতালের হাউসে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসলামের ছেলে।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, নিহত শিশুর মা-বাবা ওই চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো তাঁরা বিকেলে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সবার অজান্তে শিশুটি ধান সেদ্ধ করার হাউসের পাশে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়।

পরে তাকে না পেয়ে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে হাউসের পানিতে শিশুটিকে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু

বাগেরহাট প্রতিনিধি
স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কীটনাশক পান করে পিয়াসী (২২) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

এর আগে গত শুক্রবার নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই নারী। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান।

মৃত পিয়াসী উপজেলার কামারগ্রামের সজীব শেখের স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সজীব শেখ ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। এর আগেও পিয়াসী বিষ পান করে সে যাত্রায় বেঁচে যান।

এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুল হক বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, এখন পর্যন্ত ওই পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত