Ajker Patrika

চবির ডিন নির্বাচন কাল, হলুদ দলের প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন

চবি প্রতিনিধি
চবির ডিন নির্বাচন কাল, হলুদ দলের প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৮টি অনুষদের ডিন নির্বাচন হবে আগামীকাল বুধবার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আইন অনুষদে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলের প্রার্থী অধ্যাপক জাকির হোসেন। 

আজ মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। 

চিঠিতে তিনি লিখেন, ‘আগামী ৩০ মার্চ আইন অনুষদের ডিন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত আছে। উক্ত নির্বাচনে আমি মো. জাকির হোসেন ও অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রার্থী রয়েছি। গত ২৩ মার্চ মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুককে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও তিনি উপাচার্য হিসেবে যোগদান না করে আইন অনুষদের ডিন নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতা বহাল রেখেছেন। কাউকে উপাচার্য নিয়োগের আগে তাঁর কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়। চাহিদা অনুযায়ী জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার মানে তিনি নিয়োগে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছেন। তাই নিয়োগের রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন জারির পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিতভাবে না জানানোর আগ পর্যন্ত তিনি এই নিয়োগ গ্রহণ করেছেন বলে পরিগণিত হয়। যাইহোক, ২৭ মার্চের সিভয়েজ. কম পত্রিকা ও ২৮ মার্চের আজকের পত্রিকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিসেবে এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। আপনি পত্রিকা দুটিকে জানিয়েছেন, অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক আপনাকে জানিয়েছেন যে, তিনি রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করবেন না। এতে প্রতীয়মান হয় যে, উপাচার্য হিসেবে যোগদানের চেয়ে ডিন পদ অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুকের কাছে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ।’ 

চিঠিতে আরও লিখেন, ‘আমি ও অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত শিক্ষকদের ফোরাম হলুদ দলের সদস্য। হলুদ দল আমাকে ডিন নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন। এতেও প্রমাণিত হয় ডিন পদের প্রতি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুকের গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ রয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ডিন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন অনুষদের সহকর্মীদের মধ্যে ভয়ংকর বিভেদ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার এমন এক অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যেখানে সহকর্মীদের মধ্যে ওয়ার্কিং রিলেশনও হুমকির মুখে পড়েছে। অনুষদের সহকর্মীদের সম্পর্কের বুনন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েকজন সহকর্মী তাঁদের বিব্রতকর অবস্থা ও মনঃকষ্টের কথা আমাকে জানিয়েছেন। সহকর্মীদের মাঝে সালাম-শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময়েও বিভেদ-বিদ্বেষের প্রভাব দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।’ 

অধ্যাপক জাকির হোসেন আরও বলেন, ‘আইন অনুষদের ডিন নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোনো কোনো কর্তাব্যক্তিও সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ায় সহকর্মী ভোটারদের মাঝে এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। আইন বিভাগের একজন শিক্ষক সহকর্মীদের কাউকে কাউকে ডেকে দফায় দফায় নির্বাচন বিষয়ে অনুচিত প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন যার ফলে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ বাংলাদেশের মধ্যে একটি অনন্য আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সহকর্মীদের মাঝে বিদ্বেষে বিষাক্ত পরিবেশের কারণে অনুষদের শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একটি নির্বাচনের কারণে শিক্ষার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেওয়া গর্হিত অপরাধ। যে নির্বাচন সহকর্মীদের একে অপরের শত্রুতে পরিণত করে, আইন শিক্ষার অনন্য উচ্চতার প্রতিষ্ঠানকে ‘কাশিম বাজার কুঠিতে রূপান্তরিত করে, কোনো বিবেকবান মানুষ সেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের অংশীজন থাকতে পারেন না। কাজেই এমন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমি সমীচীন মনে করি না। আইন অনুষদের বৃহত্তর স্বার্থে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকল বিভেদ-বিদ্বেষ-শত্রুতা ও বিব্রতকর অবস্থা অবসানের লক্ষ্যে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের স্বার্থে ডিন নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সহকর্মীদের আমাকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

এ বিষয়ে অধ্যাপক জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁদের হস্তক্ষেপে সহকর্মী ভোটারদের মাঝে এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সহকর্মীরা আমাকে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন। তাই আমি নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিন নির্বাচনে ৮টি অনুষদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামীকাল (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের একদিন আগে একজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চিঠি দিয়েছেন। তবে নিয়মানুযায়ী সেই চিঠি গ্রহণের সুযোগ নেই। 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে ৮টি অনুষদে হলুদ দল থেকে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। তবে ৬টি অনুষদে হলুদ দলের বিপরীতে সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থীও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দল ও সাদা দল থেকে বেরিয়ে আসা বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ নির্বাচনে অংশ নিলেও তাঁরা সব অনুষদে প্রার্থী দিতে পারেনি। এর মধ্যে সাদা দল তিনটি ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম চারটি অনুষদে প্রার্থী দিয়েছে। 

হলুদ দলের প্রার্থীরা হলেন, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দীন নিজামী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ, আইন অনুষদে অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে বর্তমান ডিন ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা, জীব বিজ্ঞান প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ড. মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদে ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ও বর্তমান ডিন ড. মো. রাশেদ-উন-নবী। 

হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ইতিহাস বিভাগের ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, বিজ্ঞান অনুষদে পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বর্তমান ডিন ড. মো. নাসিম হাসান ও অন্য বিদ্রোহী প্রার্থী ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমান নাসির উদ্দীন, আইন অনুষদে অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. কাজী তানভীর আহাম্মদ, জীব বিজ্ঞান অনুষদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর। 

সাদা দলের প্রার্থীরা হলেন, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, বিজ্ঞান অনুষদে রসায়ন বিভাগের ড. মো. আবদুল মান্নান, জীববিজ্ঞান অনুষদে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান। 

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের প্রার্থীরা হলেন, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. আবু নছর মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব চৌধুরী, জীব বিজ্ঞান অনুষদে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদে ইনস্টিটিউট পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। 

হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিন নির্বাচনে আমরা হলুদ দল থেকে আটটি অনুষদেই প্রার্থী দিয়েছি। প্রতিটি অনুষদেই জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’ 

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নসরুল কাদির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিন একাডেমিক পদ। তাই আমরা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছি।’ 

এদিকে শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতার কারণে ভোটার কম থাকায় সব অনুষদে সাদা দল প্রার্থী দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন। 

ড. শামীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটার অসমতার কারণে সব অনুষদে আমরা প্রার্থী দিইনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তো দীর্ঘদিন ধরে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হয়ে আসছে। সর্বশেষ তো জাতীয় পত্র-পত্রিকায় সবকিছুতে অসলো। এই নিয়োগগুলোর কারণে আমরা আগের অবস্থানে নেই।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনের আশা পূরণে ফাতেমা রা‌নী তীর্থোৎসবে মোমবাতি হাতে হাজারো ভক্ত

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
প্রায় ৩০ হাজার তীর্থযাত্রী হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুই কিলোমিটারের বেশি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রায় ৩০ হাজার তীর্থযাত্রী হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুই কিলোমিটারের বেশি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৩০ হাজার তীর্থযাত্রী হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুই কিলোমিটারের বেশি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল—‘মা মারিয়া’র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করা।

বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্ম পল্লিতে অনুষ্ঠিত হলো দুই দিনব্যাপী ‘ফাতেমা রানী তীর্থোৎসবের’ বর্ণাঢ্য আলোক শোভাযাত্রা। আজ (শুক্রবার) দুপুরে মহাখ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে এ বছরের তীর্থোৎসব। এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ বিদেশ থেকেও রোমান ক্যাথলিক তীর্থযাত্রীরা অংশ নেন।

শেরপুর-২
শেরপুর-২

পবিত্র খ্রিস্টযোগের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় তীর্থোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে রাত ৮টায় আলোক শোভাযাত্রা, ১১টায় মা মারিয়ার মূর্তিকে সামনে রেখে বিশাল প্যান্ডেলে আরাধনা এবং রাত ১২টায় নিরাময় অনুষ্ঠান ও নিশি জাগরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। শুক্রবার সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ ও সকাল ১০টায় মহাখ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের তীর্থোৎসব।

প্রধান অতিথি হিসেবে এবারের উৎসব উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস র‌্যান্ডেল। এবারের তীর্থের মূল সুর ছিল—‘আশার তীর্থযাত্রী: ফাতেমা রানী মা মারিয়া, বারমারী।’

রাজশাহী থেকে আগত তীর্থযাত্রী রোজিনা চাম্বুগং বলেন, ‘এখানে ভক্তরা মনের আশা পূরণের জন্য এবং অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে মা মারিয়ার কাছে প্রার্থনা করেন। এতে তাঁদের মনোবাসনা পূরণ হয়।’

খাগড়াছড়ি থেকে আসা জুয়েল ত্রিপুরা বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো এখানে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগছে।’

মুক্তাগাছা থেকে আসা কারিশমা চাম্বুগং বলেন, ‘মারিয়ার কাছে এলে মনে এক ধরনের শান্তি পাই। আমরা এখানে প্রার্থনা করি যেন জীবনের দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। প্রতিবছর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি।’

আয়োজক কমিটির সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই তীর্থযাত্রা প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়।

তীর্থোৎসব সমন্বয়কারী রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারি বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় সুন্দরভাবে সবকিছু সম্পন্ন হচ্ছে। এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।’

তীর্থের সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, এই উৎসবে সতর্কতা ও শতভাগ পেশাদারত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করেছেন সকল বাহিনীর সদস্যরা। চার স্তরের নিরাপত্তা বিধানে সাদাপোশাকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার, পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ

আজিজুল হক, বেনাপোল (যশোর) 
পণ্য প্রবেশদ্বারে ট্রাকচালকদের আগুন ব্যবহারে সচেতন করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পণ্য প্রবেশদ্বারে ট্রাকচালকদের আগুন ব্যবহারে সচেতন করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) থেকে বন্দরে পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ধূমপান ও আগুনের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে এবং ফায়ার সিস্টেমগুলো সচল রাখতে নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা নাশকতা রোধে পোশাকধারী কর্মীদের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও নজরদারি চলছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, প্রতিবছর এই বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়। এই বন্দরে সব সময় প্রায় ২ লাখ টন পণ্য মজুত থাকে।

গত ১৬ বছরে বেনাপোল বন্দরে বড় ধরনের ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যাতে আমদানি পণ্য পুড়ে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্দরের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার।

বর্তমানে বন্দরের পণ্যাগারে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১২ হাজার ৬৫৯ টন মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিলামযোগ্য পণ্য পড়ে আছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ২৫০ টন রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্য। এসব কেমিক্যাল ও রাসায়নিক পণ্য অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানিকারক আমিনুল হক বলেন, বন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এই রাসায়নিক দ্রব্যগুলো। এগুলো দ্রুত অপসারণ করা দরকার। এ ছাড়া ফায়ার স্টেশনে জনবল কম থাকায় দুর্ঘটনার সময় দ্রুত আগুন নেভানো যায় না, জনবল বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।

বেনাপোল বন্দর ফায়ার স্টেশনের ইন্সপেক্টর শাহিনুর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ড রোধে বন্দর কর্তৃপক্ষের সব নির্দেশনা তাঁরা পালন করছেন এবং ফায়ার সিস্টেমগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, ৯০ একর জায়গাজুড়ে স্থাপিত বন্দরে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে দুটি ফায়ার স্টেশনে মাত্র সাতজন জনবল রয়েছে। এই জনবল বাড়ানো হলে আরও বেশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) শামিম হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ড রোধে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বন্দরে পড়ে থাকা নিলাম ও ধ্বংসযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য কাস্টমসকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরাতে বা ধ্বংস করতে অনুরোধ করা হয়েছে। বন্দরের মধ্যে আগুন ব্যবহার ও কার্ডধারী ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে এবং বন্দর ব্যবহারকারী বাণিজ্যিক সংগঠন ও কাস্টমসের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রবেশকারীদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২৪ হাজার জাল টাকাসহ যুবক আটক

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: 
জাল টাকাসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাল টাকাসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২৪ হাজার টাকার জাল নোটসহ নুর আলম (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের আবদুল্লাহ মিয়ার হাট এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। নুর আলম জেলার সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরমটুয়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নুর আলম আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজারের একটি মুদিদোকানে সুজি কিনতে যান। তিনি দোকানদারকে ১ হাজার টাকার একটি নোট দিয়ে দ্রুত অবশিষ্ট টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন।

নোটটি দেখে দোকানদারের সন্দেহ হলে তিনি পাশের দোকানদারকে বিষয়টি জানান। পরে অন্য দোকানিদের সহযোগিতায় নুর আলমকে রাস্তা থেকে আটক করা হয় এবং চরজব্বার থানা-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ এসে নুর আলমকে তল্লাশি করে তাঁর মানিব্যাগ থেকে ২৪ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করে।

ওসি শাহীন মিয়া বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে চরজব্বার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

 নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
সাপের ছোবলে আক্রান্ত হয়ে পাতিলে করে সাপ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির রাজিয়া সুলতানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাপের ছোবলে আক্রান্ত হয়ে পাতিলে করে সাপ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির রাজিয়া সুলতানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সাপের ছোবলে আক্রান্ত হয়ে রাজিয়া সুলতানা (২৮) নামের এক গৃহবধূ সাপটিকে সঙ্গে নিয়েই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি।

জানা গেছে, উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ধরনজি গ্রামের মো. বেলাল হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা সন্ধ্যায় বাড়ির আঙিনায় কাজ করছিলেন। পাওয়ার টিলারে রাখা একটি বস্তা সরাতে গেলে একটি সাপের বাচ্চা তাঁকে ছোবল মারে। পরে পরিবারের লোকজন রাজিয়াকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসে। আশ্চর্যজনকভাবে রাজিয়া ওই সাপটিকেও একটি পাতিলে করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) স মু আল আফ মুকসিত বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে এক নারী সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে ভর্তি হন। সাপটি দেখে নিশ্চিত হয়েছি এটি “ঘরগিন্নি” নামের নির্বিষ প্রজাতির সাপ। তারপরও রোগীকে সতর্কতামূলক সব চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’

ছোবল খাওয়া রাজিয়ার স্বামী মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর আমার স্ত্রী আঙিনায় কাজ করছিল। হঠাৎ সাপের বাচ্চা কামড় দেয় হাতে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন সাপটি বিষধর না হলেও আতঙ্কের কারণে অনেক সময় রোগীর শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এ জন্য ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত