Ajker Patrika

‘গোঁয়াছি’ বাজার রমরমা

প্রতিনিধি, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) 
‘গোঁয়াছি’ বাজার রমরমা

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের কাঞ্চন নগর বাজার বর্তমানে পেয়ারায় সয়লাব। উপজেলার কাঞ্চন নগরের পাহাড়ি পেয়ারা আসছে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের পাশের এ বাজারে। এ অঞ্চলের পেয়ারাকে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় ‘গোঁয়াছি’।

চট্টগ্রামে সুমিষ্ট পেয়ারা বলতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশের কাঞ্চন নগরের পেয়ারাকেই বোঝায়। উপজেলার বাইরে এটি কাঞ্চন পেয়ারা নামেও পরিচিত। স্বাদে-পুষ্টিতে ভরপুর কাঞ্চন পেয়ারার কদর রয়েছে দেশব্যাপী।

দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসে এখানকার পেয়ারা কিনে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যান। শুধু তাই নয় এ বাজারের পেয়ারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, বাহরাইন ও কুয়েতে রপ্তানি হচ্ছে।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল ও পাহাড়ের পাদদেশে উৎপাদিত পেয়ারা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে টানা চার মাস ধরে পাওয়া যায়। কিন্তু লকডাউনের কারণে এবারে চিত্র ছিল ভিন্ন। বাজারে পেয়ারা থাকলেও ছিল না পাইকারি ক্রেতা।

তাই মৌসুমের শুরুতে হতাশায় ছিলেন চাষিরা। অনেক চাষির পেয়ারা গাছেই নষ্ট হচ্ছিল। অবশেষে লকডাউন শিথিলের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে আসতে শুরু করেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারেরা। পাল্টে যায় বাজারের চিত্রও। কাঞ্চন বাজার ছাড়াও  রওশন হাট, পটিয়া বাজার, চন্দনাইশ বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা, গাছবাড়িয়া, বাদামতল ও বাগিচা হাটে বিক্রি বেশি।

পেয়ারা চাষি আবদুর রাজ্জাক বলেন, এই অঞ্চলে পেয়ারা বিক্রি হয় লাল সালু কাপড়ে মোড়ানো বোঝা হিসেবে। দুটি বোঝা বিশিষ্ট প্রতি ভাঁড় পেয়ারা বিক্রি হয় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। কোনো কোনো ভাঁড় ২ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কমপক্ষে ১৫টি স্থানে দৈনিক কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি হয়। 
পেয়ারা চাষি নুরুল কবির সোহেল বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় পেয়ারা বাজারে আনতে অনেক কষ্ট হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, উপজেলায় ১ হাজার একর পাহাড়ি এলাকা ও সমতল ভূমিতে পেয়ারা চাষ হয়ে থাকে। হাশিমপুর ও কাঞ্চন নগর গ্রামে আছে আনুমানিক দুই হাজার বাগান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত