Ajker Patrika

রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
মো. ইব্রাহিম। ছবি: সংগৃহীত
মো. ইব্রাহিম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে চার দিনের ব্যবধানে প্রকাশ্যে মো. ইব্রাহিম (২৮) নামে আরও একজন যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১টার দিকে রাউজান সদর ইউনিয়নের পূর্ব রাউজান ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গাজীপাড়ায় সিএনজি অটোরিকশা স্টেশন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। তিনটি অটোরিকশায় করে ১০ থেকে ১২ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে তাঁর মাথায় ও বুকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।

জানা গেছে, নিহত ইব্রাহিম রাউজান সদর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের (আদর্শগ্রাম) মোহাম্মদ আলমের ছেলে।

ইব্রাহিমের মা খালেদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ঘরে ঘুমে ছিল। ফোন আসাতে তাড়াহুড়া করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে শুনি আমার ছেলেকে গুলি করেছে’।

ইব্রাহিম বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। তাঁর আড়াই বছর ও এক বছর বয়সী দুটি শিশুসন্তান রয়েছে।

ইব্রাহিমের চাচা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল হালিম বলেন, ‘আমরা স্টেশনে সবাই বসেছিলাম। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সন্ত্রাসীরা এসে গুলি করতে থাকে। এতে আমার ভাইপো (বড় ভাইয়ের ছেলে) ইব্রাহিমের মাথায় গুলি লাগে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আমরা দৌড়ে পালাতে সক্ষম হই।’

জানা যায়, তিনটি অটোরিকশায় করে আসা একদল দুর্বৃত্ত ইব্রাহিমকে মাথায় গুলি করে দ্রুত চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এদিকে, দুর্বৃত্তরা ইব্রাহিমকে হত্যা করে চলে যাওয়ার সময় কদলপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্দার তালুকদার বাড়ির সবজি ব্যবসায়ী আবুল কালামের ঘরে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তাঁর ছেলে আব্দুল মান্নানকে না পেয়ে তাঁর ভাই সিএনজি আটোচালক মো. নাঈমকে (২৬) পায়ে ও হাঁটুতে গুলি করে। তাঁকে প্রথমে রাউজান উপজেলা হাসপাতাল এবং পরে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবদল কর্মীর মাথায় ও বুকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয়।

এদিকে, এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গরিব উল্লাহপাড়া গ্রামের ভান্ডারি কলোনির একটি বাসায় ভাত খাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা যুবদল কর্মী মুহাম্মদ মানিক আবদুল্লাহকে (৩৬) গুলি করে হত্যা করে। নিহত মানিক আবদুল্লাহও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন। দুই দিনের ব্যবধানের পর পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত