Ajker Patrika

৩৭ বছর বয়সে নিয়োগ, পাস না করেই প্রকৌশলী

  • সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আমির আবদুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে ৪৪ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগ জমা পড়েছে
  • এ বিষয়ে গঠিত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে
 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫: ৩৩
আমির আবদুল্লাহ খান
আমির আবদুল্লাহ খান

জাল সনদ ব্যবহার করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আমির আবদুল্লাহ খান চসিকের প্রকৌশল বিভাগের বিদ্যুৎ শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত।

এদিকে পাস না করেই চাকরি নেওয়ার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সাত দিনের মধ্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-২ শাখার উপসচিব খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।

মন্ত্রণালয়ে আমির আবদুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে ৪৪ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের সঙ্গে ডকুমেন্টও সরবরাহ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আমির আবদুল্লাহ খানের নিয়োগের সময় বয়স ছিল ৩৭ বছর। অথচ সরকারি চাকরিতে সে সময় প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ৩০ বছর। এ ছাড়া প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেননি তিনি। তার পরও সাত বছর আগে উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান আমির।

তথ্যমতে, তৎকালীন এক প্রধান প্রকৌশলীর প্রভাবে ২০০৫ সালে নিয়োগ পান আমির আবদুল্লাহ। এ ক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। অন্যদিকে তিনি সিটি করপোরেশনে চাকরি করলেও চকবাজারের আলী প্লাজায় টিভি-ফ্রিজ মেকানিকের কাজ করেন।

আজকের পত্রিকার হাতে আসা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আমির আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৯৯৬ সালে। কোর্স শেষে সনদ গ্রহণ করেন ১৯৯৭ সালে। ওই সনদের মেয়াদ ছিল এক বছর। কিন্তু কোর্স শেষের ওই সনদ দিয়েই ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিচয়ে বাতি পরিদর্শক হিসেবে সিটি করপোরেশনে যোগদান করেন তিনি। অথচ তিনি ওই সময় ডিপ্লোমা পাস করতে পারেননি।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, নথিতে আমির আব্দুল্লাহ বাতি পরিদর্শকের স্ববেতনে উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ২০০৯ সালে ১৫ ডিসেম্বর যোগদান করেন। অথচ তিনি ডিপ্লোমা পাসই করেননি। মেয়রের অনুমোদনও ছিল না তখন। এসব বিষয়ে জানতে আমির আবদুল্লাহ খানের মোবাইল ফোনে বারবার কল দিলেও সাড়া দেননি তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজের আগেই বের হয়ে যেতে বলা হয় জেলেনস্কিকে

‘আমাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করলে থানা ঘেরাও করব’, সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল

এনসিপির কর্মীদের ঢাকায় আনতে সরকারের বাস রিকুইজিশন, সমালোচনার ঝড়

সৈয়দ জামিলের অভিযোগের জবাবে যা লিখলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত