Ajker Patrika

২০১৮-এর ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই কুসিকে মতবিনিময় সভায় হট্টগোল

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা থেকে
আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, ১৪: ৪৩
২০১৮-এর ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই কুসিকে মতবিনিময় সভায় হট্টগোল

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছে নির্বাচন কমিশন। স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বক্তব্য দেওয়ার সময় সভায় হট্টগোল শুরু হয়। পরে জেলা প্রশাসক পরিস্থিতি শান্ত করেন।

আজ রোববার বেলা ১১টার পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের উপস্থিতিতে সভা শুরু হয়। সভার শুরুতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী নির্বাচনী আচরণবিধি তুলে ধরে বক্তব্য দেন। পরে সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর আসনের বিভিন্ন প্রার্থী বক্তব্য দেন। তাঁরা সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন।

কাউন্সিলর প্রার্থীদের পরে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে একজন প্রতিনিধি বক্তব্য দেন। শুরুতে বক্তব্য দেন সদ্য সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।

পরে বক্তব্য দেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। কিন্তু তাঁর বক্তব্যে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মিলনায়তনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কয়েকজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী প্রতিবাদ জানান। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

নিজাম উদ্দিন কায়সার তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আজকে ভোটদানের ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সেটা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন বক্তব্য বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অনেক প্রহসনমূলক হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে এই কুমিল্লায়...’ ।

নিজাম উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দল ত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছি। ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা আছে। ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত। আমরা বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো রাতের বেলায় ভোট চাই না।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই শুরু হয় হট্টগোল। ছবি: আজকের পত্রিকাএ সময় মিলনায়তনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা প্রতিবাদ করেন। তাঁরা বলেন, তাঁদের বিতর্ক করার জন্য এ ধরনের কথা বলেছেন কায়সার। তার পরেও বক্তব্য দিতে থাকেন কায়সার। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। যাঁরা চিৎকার করছেন, তাঁরাই মানুষের ভোট হরণ করেছেন।’

পরে প্রতিবাদরত কাউন্সিলর প্রার্থীদের থামানোর জন্য মাইক হাতে নেন জেলা প্রশাসক। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিফাতের প্রতিনিধি আতিকুল্লাহ খোকন কয়েকজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থীকে নাম ধরে থামতে বলেন।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘আগের নির্বাচনে কী হয়েছিল, সেটি নিয়ে বলবেন না। এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন।’

কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল মঞ্চে বসে ওই হট্টগোল দেখেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরে আবারও বক্তব্য দেন নিজাম উদ্দিন কায়সার। তিনি তাঁর বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত