ফেনীতে আগের বছরের দ্বিগুণ সরিষার চাষ 

চলতি মৌসুমে ফেনীর ছয় উপজেলায় আগের বছরের দ্বিগুণ সরিষা চাষ হয়েছে। এবার ৬ হাজার ৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যেখানে ২০২৩ সালে ৩ হাজার ৪৯৪ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। আর সরিষা উৎপাদন হয়েছে ৪ হাজার ৬৭০ টন। চলতি মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪৭৩ হেক্টর জমি। 

ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে সরিষার আবাদ হয়েছিল ১ হাজার ৬৮০ হেক্টর। ২০২১ সালে চাষ হয়েছে ১ হাজার ৯০৭ হেক্টর। ২০২২ সালে চাষ হয়েছিল ১ হাজার ৮০৬ হেক্টর। জেলায় প্রণোদনা  পেয়েছে ১৬ হাজার ২০০ কৃষক। উৎপাদন বাড়াতে ২২ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ১৬.২০ টন বীজ ও ৫৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা মূল্যে ৩২৫ টন রাসায়নিক সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে ১৬ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে সোনাগাজী উপজেলায়। এখানে আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে। সদর উপজেলায় ১ হাজার ৯৩০ হেক্টর, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ৫৮০ হেক্টর, ফুলগাজী উপজেলায় ৬৩৫ হেক্টর, পরশুরাম উপজেলায় ২২৬ হেক্টর এবং দাগনভূঞা উপজেলায় ২২৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। 

দাগনভূঞার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. নুরনবী আজকের পত্রিকা বলেন, চলতি বছর সরকারি সার ও বীজ পেয়ে তিনি ৫৪ শতক জমিতে এবার সরিষার আবাদ করেছেন। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে, আগামী সাত–আট দিনের মধ্যে তিনি ফসল ঘরে তুলবেন।’ 

দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মজুমদার আজকের পত্রিকা বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় চলতি বছর সরিষার চাষ বেড়েছে, কিন্তু বৃষ্টির কারণে এবার ফলন দেরিতে লাগানোর কারণে এখনো অধিকাংশ স্থানে সরিষায় ফুল আসেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবারে উপজেলার সবচেয়ে বেশি সরিষা ফলন হয়েছে সিন্দুরপুর ইউনিয়নে।’ 

ফেনী সদরের পাঁচগাছিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রণব চন্দ্র মজুমদার আজকের পত্রিকা বলেন, ‘সদর উপজেলার মধ্যে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর সরিষা আবাদ বেড়েছে। কয়েকটি সরিষা খেতে মৌবক্স স্থাপন করা হয়েছে।’ এতে কৃষকেরা সরিষা চাষে উৎসাহিত ও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে তিনি মনে করেন। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. একরাম উদ্দিন আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি দুই মাস সময়ে কৃষকেরা সরিষা চাষ করে বাড়তি আয় করেন। গত বারের তুলনায় এবার জেলায় সরিষার চাষ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।’