পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
কর্ণফুলী নদীর ওপরে ২০১০ সালে তৃতীয় শাহ আমানত সেতুর উদ্বোধন করা হয়। সেতু নির্মাণের ১২ বছর পেরোতে না পেরোতেই ত্রুটি ও ঝুঁকি চিহ্নিত করে এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞদের একটি টিম সেতুটি পরিদর্শন করেন। তাঁদের পরামর্শে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর দক্ষিণে চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার প্রান্তে রাম্বল স্ট্রিপ (গতিরোধক) বসিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
জানা যায়, সেতুটিতে যদি বড় ধরনের কোনো জটিলতা দেখা দেয় তাহলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৮ উপজেলা, পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও পর্যটন জেলা কক্সবাজারের সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অন্যদিকে, রাম্বল স্ট্রিপ বসানোতে চালক-যাত্রীদের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন এক ভোগান্তি। কারণ দ্রুতগতিতে আসা গাড়ি হঠাৎ ব্রেক করা যায় না। ব্রেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এরই মধ্যে দ্রুতগতিতে আসা মোটরসাইকেল, সিএনজি ট্যাক্সি ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া রাম্বল স্ট্রিপে ঝাঁকুনির ফলে অসুস্থ রোগীদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রান্তে রাম্বল স্ট্রিপে সাদা রং দিয়ে মার্ক করে দেওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেল এবং ছোটবড় পরিবহন হঠাৎ ব্রেক করে ধীর গতিতে চলাচল করছে। তবে কিছু যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় ব্রেক না করাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান।
মোটরসাইকেল চালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আগে এ রকম কোনো স্পিড ব্রেকার ছিল না। হঠাৎ এমন পদক্ষেপ নেওয়াতে দিশেহারা হয়ে বাইকের ব্রেকে চাপ দিই। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাই এবং হাতে পায়ে আঘাত পেয়েছি।
বাসচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, সড়ক থেকে সেতুতে ওঠার মুহূর্তে গতিরোধক দেওয়া হয়েছে। পটিয়া থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময়ও বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। দুপাশেই গতিরোধকগুলো দেওয়া হয়েছে। এতে ভারী যানবাহন ব্রেক করলে সেতুতে আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি হবে। এখন গতি থাকলেও গাড়ি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেমে যাচ্ছে। নামার মুহূর্তে গতিরোধকটি দুর্ঘটনা বাড়াতে পারে।
এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সজীব বলেন, শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে সেতু থেকে নামার সময় যে গতিরোধক বসানো হয়েছে তাতে সুবিধার চেয়ে দুর্ঘটনা বেশি হবে। বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন শত শত বাইকার মোটরসাইকেল চালিয়ে শহরে প্রবেশ করে। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের বাইরে থেকে ও কক্সবাজারে বাইক চালিয়ে বেড়াতে যান। সেতু থেকে নামার অংশে ওই গতিরোধকে বাইকারদের দুর্ঘটনায় পড়ার ঝুঁকি বেশি তৈরি হয়েছে।
শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজার পরিচালক (অপারেশন) অপূর্ব সাহা বলেন, এটা তেমন কিছু না। সেতুতে গাড়ির ধাক্কা ঠেকাতে মূলত রাম্বল স্ট্রিপ বসানো হয়েছে। অন্য কোনো কারণ সম্পর্কে আমার জানা নেই।
সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, শাহ আমানত সেতুতে উঠলে সব ধরনের গাড়ির গতি বেড়ে যায়। এমনকি গাড়ি ওঠার সময় একটা ধাক্কা লাগে। সেটা ঠেকাতে মূলত রাম্বল স্ট্রিপ বসানো হয়েছে। এ ছাড়া তেমন কিছু হয়নি। সেতুটির আয়ুষ্কাল প্রায় এক শ বছর। কিন্তু তাই বলে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে না তা কিন্তু নয়।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, তেমন কোনো বড় ত্রুটির বিষয়ে আমি বলতে পারছি না। বিশেষজ্ঞদের একটি টিম এসে দেখে গেছেন। সেতুর দক্ষিণ অংশে এক্সপানশন জয়েন্টে কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ওগুলো সারানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাঁদের পরামর্শ মতে রাম্বল স্ট্রিপ স্থাপন করা হয়।
কর্ণফুলী নদীর ওপরে ২০১০ সালে তৃতীয় শাহ আমানত সেতুর উদ্বোধন করা হয়। সেতু নির্মাণের ১২ বছর পেরোতে না পেরোতেই ত্রুটি ও ঝুঁকি চিহ্নিত করে এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞদের একটি টিম সেতুটি পরিদর্শন করেন। তাঁদের পরামর্শে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর দক্ষিণে চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার প্রান্তে রাম্বল স্ট্রিপ (গতিরোধক) বসিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
জানা যায়, সেতুটিতে যদি বড় ধরনের কোনো জটিলতা দেখা দেয় তাহলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৮ উপজেলা, পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও পর্যটন জেলা কক্সবাজারের সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অন্যদিকে, রাম্বল স্ট্রিপ বসানোতে চালক-যাত্রীদের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন এক ভোগান্তি। কারণ দ্রুতগতিতে আসা গাড়ি হঠাৎ ব্রেক করা যায় না। ব্রেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এরই মধ্যে দ্রুতগতিতে আসা মোটরসাইকেল, সিএনজি ট্যাক্সি ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া রাম্বল স্ট্রিপে ঝাঁকুনির ফলে অসুস্থ রোগীদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রান্তে রাম্বল স্ট্রিপে সাদা রং দিয়ে মার্ক করে দেওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেল এবং ছোটবড় পরিবহন হঠাৎ ব্রেক করে ধীর গতিতে চলাচল করছে। তবে কিছু যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় ব্রেক না করাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান।
মোটরসাইকেল চালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আগে এ রকম কোনো স্পিড ব্রেকার ছিল না। হঠাৎ এমন পদক্ষেপ নেওয়াতে দিশেহারা হয়ে বাইকের ব্রেকে চাপ দিই। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাই এবং হাতে পায়ে আঘাত পেয়েছি।
বাসচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, সড়ক থেকে সেতুতে ওঠার মুহূর্তে গতিরোধক দেওয়া হয়েছে। পটিয়া থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময়ও বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। দুপাশেই গতিরোধকগুলো দেওয়া হয়েছে। এতে ভারী যানবাহন ব্রেক করলে সেতুতে আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি হবে। এখন গতি থাকলেও গাড়ি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেমে যাচ্ছে। নামার মুহূর্তে গতিরোধকটি দুর্ঘটনা বাড়াতে পারে।
এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সজীব বলেন, শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে সেতু থেকে নামার সময় যে গতিরোধক বসানো হয়েছে তাতে সুবিধার চেয়ে দুর্ঘটনা বেশি হবে। বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন শত শত বাইকার মোটরসাইকেল চালিয়ে শহরে প্রবেশ করে। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের বাইরে থেকে ও কক্সবাজারে বাইক চালিয়ে বেড়াতে যান। সেতু থেকে নামার অংশে ওই গতিরোধকে বাইকারদের দুর্ঘটনায় পড়ার ঝুঁকি বেশি তৈরি হয়েছে।
শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজার পরিচালক (অপারেশন) অপূর্ব সাহা বলেন, এটা তেমন কিছু না। সেতুতে গাড়ির ধাক্কা ঠেকাতে মূলত রাম্বল স্ট্রিপ বসানো হয়েছে। অন্য কোনো কারণ সম্পর্কে আমার জানা নেই।
সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, শাহ আমানত সেতুতে উঠলে সব ধরনের গাড়ির গতি বেড়ে যায়। এমনকি গাড়ি ওঠার সময় একটা ধাক্কা লাগে। সেটা ঠেকাতে মূলত রাম্বল স্ট্রিপ বসানো হয়েছে। এ ছাড়া তেমন কিছু হয়নি। সেতুটির আয়ুষ্কাল প্রায় এক শ বছর। কিন্তু তাই বলে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে না তা কিন্তু নয়।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, তেমন কোনো বড় ত্রুটির বিষয়ে আমি বলতে পারছি না। বিশেষজ্ঞদের একটি টিম এসে দেখে গেছেন। সেতুর দক্ষিণ অংশে এক্সপানশন জয়েন্টে কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ওগুলো সারানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাঁদের পরামর্শ মতে রাম্বল স্ট্রিপ স্থাপন করা হয়।
রাজধানীর গেন্ডারিয়াতে পূর্ব শত্রুতার জেরে আরিফুল ইসলাম বাবু (৩৫) নামে এক সিএনজি গ্যারেজের কমর্চারীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দয়াগঞ্জ রেললাইনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে সকাল ৮টার দিকে কর্তব্য
১ ঘণ্টা আগেদেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি। খনিটি দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি খনি এলাকার বাসিন্দাদের। এ যেন বাতির নিচেই অন্ধকার। খনিতে ২০-২৫ বছর ধরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ২৭৬ জন কর্মচারী চাকরি করলেও খনি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আজও তাঁদের চাকরি স্থায়ী হয়নি...
১ ঘণ্টা আগেবগুড়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালাক ও এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আয়া মাসুমাকে ভোলার বোরহানউদ্দিনে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় নিজ এলাকায় তাঁর জানাজা শেষে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দাফন
১ ঘণ্টা আগে