Ajker Patrika

রামগঞ্জে মা ও শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পৃথক দুটি ব্রিজের নিচ থেকে নারী ও তাঁর শিশু সন্তানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত ওই নারীর স্বামীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ শনিবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে রামগঞ্জ থানা-পুলিশ। 

গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে রামগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—নিহত নারীর স্বামী জামাল উদ্দিন (৪১) ও গাড়িচালক বেলাল হোসেন (৪০)। জামাল উদ্দিন চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ মতলবের বহরি গ্রামের রুহুল আমিন মিঝির ছেলে। 

নিহতেরা হলেন—রওশন আরা বেগম ও তাঁর শিশু সন্তান নুসরাত। রওশন আরা বেগম ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার আজলপাড়া গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে ও জামাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

গ্রেপ্তারকৃত জামাল উদ্দিনের বরাত দিয়ে র‍্যাব বলছে, ২০১৯ সালে জামাল উদ্দিন রওশন ও আরা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তিনি জামাল উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে তাঁরা রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। 

দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত ১৫ এপ্রিল স্ত্রী রওশন আরা গলাটিপে এবং শিশু সন্তান নুসরাতকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জামাল উদ্দিন। হত্যার পর স্ত্রী ও সন্তানের লাশ কাঠের আলমারিতে ঢুকিয়ে রাখেন। পরে ওই দিন রাতে জামাল উদ্দিন তাঁর পরিচিত এক পিকআপ চালককে ডেকে নেন এবং একই বাসার জনৈক ভাড়াটিয়ার সহযোগিতায় কাঠের আলমারিতে মরদেহ ভরে পিকআপে তুলে বের হন। এরপর রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ি সড়কের হানুবাইশ ব্রিজের নিচে শিশু নুসরাত ও পার্শ্ববর্তী আলীপুর ব্রিজের নিচে স্ত্রী রওশন আরার মরদেহ ফেলে আত্মগোপনে যান জামাল উদ্দিন। 

ঘটনার চার দিন পর (১৯ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয় লোকজন ব্রিজের নিচে অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ দেখে রামগঞ্জ থানা-পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পরে রামগঞ্জ থানা-পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বিষয়টি নিয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে র‍্যাবের সদস্যরা।

এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় রামগঞ্জ থানা-পুলিশ সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে মরদেহ দুটি ও পরিধেয় বস্ত্রের ছবিসহ ব্যাপক প্রচারণা চালায়। পরে তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা রামগঞ্জ থানায় গিয়ে দুটি শনাক্ত করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের আত্মীয়েরা জামাল উদ্দিনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ (শনিবার) গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত