Ajker Patrika

চবিতে নির্মাণকাজে চাঁদাবাজি, কাজ বন্ধের ঘোষণা ঠিকাদারদের

চবি প্রতিনিধি
চবিতে নির্মাণকাজে চাঁদাবাজি, কাজ বন্ধের ঘোষণা ঠিকাদারদের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে কাজ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন ঠিকাদারেরা। চাঁদাবাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তাঁরা কোনো কাজ করবেন না বলে জানান। আজ বৃহস্পতিবার উপাচার্য বরাবর এক চিঠিতে এই কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার সমিতির নেতারা।

সর্বশেষ গত সোমবার চাঁদার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ আব্দুর রাজ্জাককে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু মুন্সিসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মো. সেকান্দর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা করা হয়েছে, কিছু অছাত্রের চাঁদাবাজির বলি হচ্ছেন ঠিকাদারেরা। তাঁরা রড, ইট, সিমেন্ট ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিসহ সব ধরনের নির্মাণসামগ্রী চুরি করছেন। তাঁরা প্রকাশ্য ঠিকাদার, নির্মাণশ্রমিক ও প্রকৌশলীদের মারধর করছেন। সবশেষ ২৩ আগস্ট এসব অছাত্র পুলিশের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে এক ঠিকাদারকে গালাগাল করেছেন। তাঁকে রড দিয়ে মারধরের চেষ্টা করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, চাঁদাবাজির এসব অভিযোগ প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো অভিযোগ করায় শ্রমিকদের মারধর করে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী নিয়ে গেছেন চাঁদাবাজরা। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও মালামাল লুট হচ্ছে। প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঠিকাদারেরা মানহানিসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব ঘটনায় ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারেরা সব নির্মাণ-সংস্কারকাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মো. সেকান্দর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের নামধারী কিছু অছাত্র ঠিকাদারদের থেকে চাঁদা নিচ্ছে। তাদের চাঁদাবাজির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছি। ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ থাকবে।’

ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নমূলক কাজ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মঙ্গল। সেখানে কেউ যদি কোনো কিছু দাবি করে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তবে ঢালাওভাবে কোন ছাত্র সংগঠনকে দায়ী করা উচিত নয়। আর ছাত্রলীগে চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই।’ এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারকে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত