Ajker Patrika

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শিশু, নারীসহ ২৫ রোহিঙ্গা আটক

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শিশু, নারীসহ ২৫ রোহিঙ্গা আটক

নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ১২ শিশু ও ৮ জন নারীসহ ২৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ভাসান চরের একাধিক ক্লাস্টারের বাসিন্দা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বোয়ালখালী ঘাট থেকে তাঁদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন—রশিদ উল্যাহ (২৫), আনোয়ারা (২২), মো. আমিন (৩), মো. সৈয়দ আমিন (১০ মাস), সেফায়েত উল্যাহ (৩০), হাসিনা বেগম (২৬), মো. নয়ন (১২), জান্নাতুল ফেরদৌস (৮), সুমাইয়া (৫), নূর মোহাম্মদ (২০), খালেদা (১৮), মো. ইলিয়াছ (৬ মাস), মো. জোবায়ের (২০), ফাতেমা (১৯), ছাদিয়া (৪), মো. জাবেদ (১), একরাম উল্যাহ (৩০), ফাতেমা (২৫), রহমত (৪), আসমা (২), আশেয়া বেগম (২৫), পারভিন আক্তার (৯), মো. হাসান (৪), উম্মে কুলসুম (২০), ফাতেমা খাতুন (৫০)। 

চরজব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস. এম মিজানুর রহমান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের মধ্যে ১২ জন শিশু ও আটজন নারী রয়েছে। কোস্টগার্ডের মাধ্যমে আজই তাঁদের ভাসানচরের ক্যাম্পের উদ্দেশে পাঠানো হবে। 

পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দালালের সহযোগিতায় ১২ শিশু ও ৮ জন নারীসহ ২৫ রোহিঙ্গা ভাসানচর ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়। যাত্রাপথে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন এলাকায় পৌঁছালে দালাল ও নৌকার মাঝিরা কৌশলে তাঁদের নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে চরজব্বর থানার পুলিশ ও সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৈতী সর্ববিদ্যা ঘটনাস্থলে গিয়ে রোহিঙ্গাদের মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসেন। 

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৈতী সর্ববিদ্যা বলেন, আটককৃত রোহিঙ্গাদের চরজব্বর থানার পুলিশি হেফাজতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কোস্টগার্ড সদস্যরা সুবর্ণচর এসে আটককৃতদের ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্মম হামলায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কিশোর শিহাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
কিশোর শিহাব আলী। ছবি: সংগৃহীত
কিশোর শিহাব আলী। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কিশোর শিহাব আলী। বাইরে অপেক্ষমাণ স্বজনেরা প্রার্থনা করছেন, সুস্থ জীবনে যেন ফিরে আসে ছেলেটি। দুর্বৃত্তদের নির্মম হামলায় ১৭ বছরেই থেমে যেতে বসেছে শিহাবের জীবন।

চলতি বছর এসএসসি পাস করা শিহাবের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে। বাবার নাম মিজানুর রহমান রিপন। রিপনের এক ছেলে এবং দুই মেয়ে; শিহাব সবার বড়। গত ২০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা হঠাৎ করে শিহাবের ওপর হামলা চালায়। শিহাবের পুরো শরীরে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়; বিশেষত মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।

হামলার পর থেকেই শিহাব অচেতন ছিল; ইতিমধ্যে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তবু শরীরের কোনো অঙ্গের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। আইসিইউর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকেরা তাকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

শিহাবের বাবা রিপন জানান, রাতের অন্ধকারে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক শিহাবের অবস্থা দেখে দ্রুত রামেক হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিহাবকে রামেক হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২১ তারিখে তাকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২২ তারিখে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং অস্ত্রোপচার করা হয়। এখনো সে আইসিইউতে।

রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা গোলাম মোস্তফার ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস জানান, ‘আহত শিহাবের ব্যাপারে আমার সরাসরি জানা নেই; তবে শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’

স্বজনেরা জানান, ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় বসন্তপুরে বাবার ফলের দোকান বন্ধ করে শিহাব তার পরিচিত তারেক ও হাবিবকে নিয়ে পাশের বান্দুড়িয়া এলাকায় যায়। তেঁতুলতলা এলাকার বাঁকের কাছে পৌঁছালে হঠাৎ এক ব্যক্তি তাদের পথরোধ করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আট থেকে দশ ব্যক্তি টর্চ ও লাঠি নিয়ে এগিয়ে আসে। শিহাব মোটরসাইকেল থেকে নেমে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলেও সঙ্গীর দুটি মোটরসাইকেল দ্রুত পালিয়ে যায়। শিহাব মাঠে দৌড়াতে গিয়ে দিক হারিয়ে একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয়; দুর্বৃত্তরাও পুকুরে নেমে তাকে ধরে পেটানো শুরু করে। পরে তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে আরও বেধড়ক মারধর করা হয়।

শিহাব তার ফোন বের করে সাহায্যের জন্য কল করার চেষ্টা করে; কিন্তু দুর্বৃত্তরা ফোন ছিনিয়ে নিয়ে আবার মারধর করে। একপর্যায়ে শিহাব অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যায়; এরপর লাঠি দিয়ে তাকে আরও পেটানো হয়। অবশেষে দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান এবং পরিচিতজনদের জানিয়ে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শিহাবের খালাতো ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘শিহাবকে যে রকমভাবে কুপিয়েছে, সেটা অমানবিক। আমরা চাই, হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’ পরিবারের সদস্যরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন, ছেলেটি কি বেঁচে থাকবে না, তাঁরা সে নিয়েই চিন্তিত। তাঁরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও করেছেন।

এ ঘটনায় শিহাবের বাবা রিপন ২৪ অক্টোবর রাতে নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিম (৩২)। তারা সবাই বান্দুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।

এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘মামলা করা হয়েছে। ছেলেটির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক; আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। মামলা করার পরই আসামিদের ধরার জন্য অভিযান শুরু করেছি। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় দুই ডাকাত দলের গোলাগুলি, নিহত ১

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় চিংড়ি জোনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম সিরাজুল ইসলাম (৩৭)। তিনি চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে এবং একটি ডাকাত দলের সদস্য। গুলিবিদ্ধ দুজনের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, চকরিয়ার উপকূলীয় চিংড়ি জোনে ডাকাতি, ঘের দখল, চাঁদা উত্তোলন করতেন জাহাঙ্গীর আলম ও নেজাম উদ্দিনের ডাকাত গ্রুপ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আলাদা গ্রুপ তৈরি করেন তাঁরা। এরপর কয়েক দফা দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শনিবার সকাল থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গোলাগুলিতে নেজাম ডাকাত গ্রুপের সদস্য সিরাজসহ আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে সিরাজকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ পর্যন্ত উভয় পক্ষের অন্তত ৮০-৯০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াছিন মিয়া বলেন, চিংড়ি জোন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সওদাগরঘোনা এলাকায় অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে হামলা-সংঘর্ষ, পৌরসভার ৩ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ

ভোলা প্রতিনিধি
পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যান জ্বলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যান জ্বলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভোলা শহরের নতুনবাজারে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পৌরসভার অন্তত ২০ কর্মচারী আহত হন। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আজ শনিবার বিকেলে নতুনবাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ও তার আশপাশে অভিযান চালানোর সময় হকার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করেছে হামলাকারীরা।

পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. ওমর ফারুক বলেন, নতুনবাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও হকাররা পৌরসভার জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা বসিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। বহুবার নোটিশ দেওয়ার পরেও তাঁরা তাঁদের স্থাপনা সরিয়ে নেননি। নোটিশের সর্বশেষ তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েক দিন পর আজ বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন ও হকাররা বিকেলে পৌরসভার কর্মীদের ওপর হামলা চালান। তাঁরা পৌরসভার তিনটি ময়লা বহনকারী পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেন।

পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. শরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রায় শেষ মুহূর্তে বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন ও হকাররা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ অন্তত ২০ জন আহত হই। হামলাকারীরা পৌরসভার তিনটি ময়লা বহনকারী পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পৌরসভার পিকআপ ভ্যানে আগুন জ্বলছিল। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’ ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী শরিফ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বরং আমাদের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দোকান ভেঙে ফেলেছে পৌরসভার লোকজন।’

এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গত ৮-১০ দিন ধরে পৌর এলাকায় বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছিলাম। আজ শনিবার ছিল এ অভিযানের শেষ দিন। যারা অবৈধভাবে পৌরসভার স্থাপনা দখল করেছিল, তারাই শেষ মুহূর্তে ময়লা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।’ এতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে চড়, তদন্ত করছে পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে রুস্তম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর সাত-আট বছর বয়সী মেয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল। তখন ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

পুলিশ দাবি করেছে, এতে তাদের কোনো সদস্য জড়িত নয়। কে শিশুটিকে চড় মেরেছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গত বৃহস্পতিবার ভোরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুই পক্ষের মারামারির সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে মো. জাহিদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হন। সেদিন সন্ধ্যায় সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তখন রুস্তমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুস্তমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে থাকা কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। পরে শিশুটিকে তার বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেন।

অভিযানের সময় সেখানে ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মফিজ উদ্দিন। ঘটনার বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি রুস্তমকে গ্রেপ্তারের পর সেখান থেকে নিয়ে আসছিলাম আমরা। ওখানে পুলিশের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকে ছিলেন। টানাহেঁচড়ার মধ্যে কে চড় মেরেছে, সেটি দেখিনি। আমরা তদন্ত করে সেটা বের করার চেষ্টা করছি।’

পুলিশ জানিয়েছে, মো. জাহিদ হত্যার ঘটনায় করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রুস্তম। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাঁকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় বিভিন্ন মামলার আসামিরা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নানা কৌশল নেয়। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী ও বাচ্চাদের দিয়ে নানা পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়।

ওই ঘটনার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। পুলিশ চড় মারেনি। রুস্তমকে গ্রেপ্তার করার পর মেয়েটি ওর বাবার কাছে এসে কান্না করতে থাকে। তখন ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। কাজটি ঠিক হয়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত