Ajker Patrika

পটিয়ায় আদা চাষে বদলে গেছে জব্বারের জীবন

পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
আদাগাছ হাতে কৃষক আব্দুল জব্বার।
আদাগাছ হাতে কৃষক আব্দুল জব্বার।

চট্টগ্রামের পটিয়ার কচুয়াই গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার। এ বছর ছয় বিঘা জমিতে আদা চাষ করেছেন তিনি। জমি থেকে ৪০০ মণের বেশি আদা ওঠানোর আশা করছেন তিনি। বাজারদর অনুসারে ৪০০ মণ আদার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা, যেখানে উৎপাদন খরচ হয়েছে ৫ লাখ টাকার মতো। ইতিমধ্যে তিনি বাজারে আদা সরবরাহ শুরু করছেন।

জব্বার জানান, আদা চাষ তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। আর্থিক সাফল্য এনেছে। দেশে আদার ঘাটতি পূরণে বিপুল পরিমাণ আমদানির প্রয়োজন হয়, তাই তিনি আদার ঝাঁজের কদর বুঝতে পেরেছেন। আদা চাষ করে তিনি শুধু স্বাবলম্বী হননি, বরং এলাকার একজন সফল কৃষক হয়ে উঠেছেন।

দেশে বছরে ৩ লাখ টনের বেশি আদার চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয় ১ লাখ টনের কম। এই চাহিদার ঘাটতিকে সামনে রেখে ২০১৪ সালে জব্বার তাঁর জমিতে আদা চাষে হাত দেন। সরকারি কৃষি বিভাগের পরামর্শ এবং নিজের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাঁর ফলন ও আত্মবিশ্বাস।

চাষাবাদ বিস্তারে এবার প্রথমবারের মতো আব্দুল জব্বারকে সহযোগিতা করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। ব্যাংকের পটিয়া শাখার কর্মকর্তা রিজওয়ানুর রহমান বলেন, উদ্যোক্তা কৃষকদের বিনা জামানতে ও স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে কৃষি খাতে বিপ্লব আনা হচ্ছে। এর ফলে শুধু কৃষি নয়, পোলট্রি, মৎস্যসহ বিভিন্ন খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানান, ২০২৫-২৬ মৌসুমে উপজেলায় ৪৪ হেক্টর জমিতে আদা চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৮ টন হিসেবে সম্ভাব্য উৎপাদন ৩৫২ টন। কচুয়াই গ্রামের পাশাপাশি খরনা, হাইদগাঁও ও কেলিশহর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আদা চাষ দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

জব্বারের মতে, আদা চাষে সরকারের পক্ষ থেকে আরও বেশি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ