সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
জীবনের শেষ সময়ের যাত্রার সঙ্গী হন তাঁরা। আপন পর ভেদাভেদ ভুলে যে কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খুঁড়ে দেন তাঁরা। পেশাজীবনের পাশাপাশি পর ঝড়, তুফান ও প্রাকৃতিক বৈরী প্রতিকূলতার মাঝেও আত্মতৃপ্তির জন্য এ কাজ করে আসছেন সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি ইমামনগরের ১০ জন ব্যক্তি। মানবিক এ কাজের কারণে ইতিমধ্যে তাঁরা ‘শেষ যাত্রার সঙ্গী’ উপাধি পেয়েছেন।
আলোচিত ওই ১০ জন ব্যক্তি হলেন, ভাটিয়ারি ইমামনগর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ এরশাদ, মো. শাহেদ, মো. সজিব, মো. হানিফ, গিয়াস উদ্দিন, রাশেদ, ইকবাল, সোহেল, ইরফান ও সাদ্দাম। পেশায় কেউ কৃষক, কেউবা রাজমিস্ত্রি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অথবা দিনমজুর। কিন্তু কর্ম জীবনের ভিড়েও শেষ যাত্রার সঙ্গী হতে একসঙ্গে দল বেঁধে ছুটে চলেন ওরা দশজন।
শুধু কবর খোঁড়াই নয়, করোনাকালীন সময়ে করোনা উপসর্গে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের গোসল ও দাফনের সব ধরনের কাজে নির্ভয়ে সহযোগিতা করেছেন তাঁরা। পরকালের পূর্ণ সঞ্চয়ের আশায় দীর্ঘ এক যুগেরও অধিক সময় ধরে বিনা পারিশ্রমিকে কবর খোঁড়ার কাজ করছেন তাঁরা।
তাঁদের মধ্যে মোহাম্মদ এরশাদ পেশায় একজন শ্রমিক ও মো. হানিফ পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁরা দুজন বলেন, প্রতিটি মানুষকে একদিন না একদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে। মৃত্যু নামক এ চির সত্যকে আমাদেরও একদিন আলিঙ্গন করতে হবে। তাই সামাজিক ও মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা মৃত ব্যক্তিকে শেষ বিদায় দিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিনা পারিশ্রমিকে কবর খোঁড়ার কাজ করছি। আমরা যখনই কোথাও কেউ মারা যাওয়ার খবর পাই, তখনই সকল কাজকর্ম ফেলে কবর খননের সকল সরঞ্জামাদি নিয়ে হাজির হয়ে যাই মৃত ব্যক্তির বাড়িতে। সুনিপুণভাবে কবর খোঁড়ার পর নিজ হাতে কবরে শুইয়ে দিই আমরা। করোনাকালে মানুষ যখন একে অপরের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল, তখনো আমরা মৃত্যুর সংবাদ পেলে নিজ উদ্যোগে ছুটে যেতাম মৃত ব্যক্তির বাড়িতে। তখন কবর খোঁড়ার পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির গোসলও করিয়েছি আমরা।
তাঁরা আরও জানান, আর্থিক সহায়তা দিয়ে মানুষকে সাহায্য করার ক্ষমতা তাদের না থাকলেও কবর খোঁড়ার মাধ্যমে যে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছেন এতেই তাঁদের আত্মতৃপ্তি। শরীরের শক্তি সামর্থ্য যত দিন থাকবে তত দিন এ কাজ করে যাবেন বলে জানান তাঁরা।
ইমামনগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, কর্ম জীবনে এই দশজন নানামুখী পেশায় জড়িত থাকলেও মৃত ব্যক্তিকে শেষ বিদায় দিতে তাঁরা মুহূর্তেই এক হয়ে যান। শেষ বিদায়ের সঙ্গী হতে তাঁরা রাত, দিন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে ছুটে চলেন সমানতালে। করোনাকালে যখন মানুষ মৃত্যু ভয়ে একে অপরের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল, তখনো তাঁরা নির্ভয়ে ছুটেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। মানবিক গুণাবলির এ খেটে খাওয়া মানুষগুলো তাঁদের কর্ম গুনের কারণে সকল শ্রেণির মানুষের অন্তরে ঠাঁই করে নিয়েছেন। তাঁরা ইতি মধ্যে অনেকের কাছে পরিচিত লাভ করেছেন ‘শেষ বিদায়ের বন্ধু’ হিসেবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর মাসুম জানান, খেটে খাওয়া মানুষ হয়েও তাঁরা সামাজিক যে কর্মকাণ্ড করছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁদের এ কর্মগুণের কারণে ইতিমধ্যে অনেকের হৃদয়ের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছেন।
জীবনের শেষ সময়ের যাত্রার সঙ্গী হন তাঁরা। আপন পর ভেদাভেদ ভুলে যে কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খুঁড়ে দেন তাঁরা। পেশাজীবনের পাশাপাশি পর ঝড়, তুফান ও প্রাকৃতিক বৈরী প্রতিকূলতার মাঝেও আত্মতৃপ্তির জন্য এ কাজ করে আসছেন সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি ইমামনগরের ১০ জন ব্যক্তি। মানবিক এ কাজের কারণে ইতিমধ্যে তাঁরা ‘শেষ যাত্রার সঙ্গী’ উপাধি পেয়েছেন।
আলোচিত ওই ১০ জন ব্যক্তি হলেন, ভাটিয়ারি ইমামনগর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ এরশাদ, মো. শাহেদ, মো. সজিব, মো. হানিফ, গিয়াস উদ্দিন, রাশেদ, ইকবাল, সোহেল, ইরফান ও সাদ্দাম। পেশায় কেউ কৃষক, কেউবা রাজমিস্ত্রি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অথবা দিনমজুর। কিন্তু কর্ম জীবনের ভিড়েও শেষ যাত্রার সঙ্গী হতে একসঙ্গে দল বেঁধে ছুটে চলেন ওরা দশজন।
শুধু কবর খোঁড়াই নয়, করোনাকালীন সময়ে করোনা উপসর্গে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের গোসল ও দাফনের সব ধরনের কাজে নির্ভয়ে সহযোগিতা করেছেন তাঁরা। পরকালের পূর্ণ সঞ্চয়ের আশায় দীর্ঘ এক যুগেরও অধিক সময় ধরে বিনা পারিশ্রমিকে কবর খোঁড়ার কাজ করছেন তাঁরা।
তাঁদের মধ্যে মোহাম্মদ এরশাদ পেশায় একজন শ্রমিক ও মো. হানিফ পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁরা দুজন বলেন, প্রতিটি মানুষকে একদিন না একদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে। মৃত্যু নামক এ চির সত্যকে আমাদেরও একদিন আলিঙ্গন করতে হবে। তাই সামাজিক ও মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা মৃত ব্যক্তিকে শেষ বিদায় দিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিনা পারিশ্রমিকে কবর খোঁড়ার কাজ করছি। আমরা যখনই কোথাও কেউ মারা যাওয়ার খবর পাই, তখনই সকল কাজকর্ম ফেলে কবর খননের সকল সরঞ্জামাদি নিয়ে হাজির হয়ে যাই মৃত ব্যক্তির বাড়িতে। সুনিপুণভাবে কবর খোঁড়ার পর নিজ হাতে কবরে শুইয়ে দিই আমরা। করোনাকালে মানুষ যখন একে অপরের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল, তখনো আমরা মৃত্যুর সংবাদ পেলে নিজ উদ্যোগে ছুটে যেতাম মৃত ব্যক্তির বাড়িতে। তখন কবর খোঁড়ার পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির গোসলও করিয়েছি আমরা।
তাঁরা আরও জানান, আর্থিক সহায়তা দিয়ে মানুষকে সাহায্য করার ক্ষমতা তাদের না থাকলেও কবর খোঁড়ার মাধ্যমে যে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছেন এতেই তাঁদের আত্মতৃপ্তি। শরীরের শক্তি সামর্থ্য যত দিন থাকবে তত দিন এ কাজ করে যাবেন বলে জানান তাঁরা।
ইমামনগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, কর্ম জীবনে এই দশজন নানামুখী পেশায় জড়িত থাকলেও মৃত ব্যক্তিকে শেষ বিদায় দিতে তাঁরা মুহূর্তেই এক হয়ে যান। শেষ বিদায়ের সঙ্গী হতে তাঁরা রাত, দিন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে ছুটে চলেন সমানতালে। করোনাকালে যখন মানুষ মৃত্যু ভয়ে একে অপরের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল, তখনো তাঁরা নির্ভয়ে ছুটেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। মানবিক গুণাবলির এ খেটে খাওয়া মানুষগুলো তাঁদের কর্ম গুনের কারণে সকল শ্রেণির মানুষের অন্তরে ঠাঁই করে নিয়েছেন। তাঁরা ইতি মধ্যে অনেকের কাছে পরিচিত লাভ করেছেন ‘শেষ বিদায়ের বন্ধু’ হিসেবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর মাসুম জানান, খেটে খাওয়া মানুষ হয়েও তাঁরা সামাজিক যে কর্মকাণ্ড করছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁদের এ কর্মগুণের কারণে ইতিমধ্যে অনেকের হৃদয়ের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছেন।
রাজধানীর আদাবরে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে আদাবর থানাধীন সুনিবিড় হাউজিং নবদিগন্ত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সড়কে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ মিনিট আগেফেনী পুলিশ লাইনসে সহকর্মীর বঁটির কোপে মো. রহমত আলী (৫৪) নামের বিশেষ আনসারের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক আনসার সদস্য আলী মনোয়ার হোসেনকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ লাইনসের মেসে এ ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগেচট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের বিরুদ্ধে নিজ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এবং সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে সরকারি খাস জায়গা পাঁচ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দিয়েছেন। ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি অস্থায়ী ভাড়ানামা চুক্তিপত্র সম্পাদনের মাধ্যমে সরকারি এই জায়গা দেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগেযশোরে সাম্প্রতিক সময়ে খুনাখুনির পাশাপাশি চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। এমনকি প্রকাশ্যে দিনদুপুরে ঘটছে খুনের ঘটনা। সর্বশেষ এক দিনের ব্যবধানে দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে। এ নিয়ে গত মে থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ মাসে ২৩ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া রাত নামলেই ছিনতাই ও চুরি হচ্ছে অহরহ।
১ ঘণ্টা আগে