আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
‘আমি মামলাটামলা সবি করেছি। কিন্তু খুনির তো বিচার হচ্ছে না। একটা বিচার পাচ্ছি না। আমরা ইউনূসকে বসাচ্ছিল সব। একমত হইয়া। আমরা তো সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছি না। খালি ওই ধর-পাকড়া হচ্ছে। কোন বিচার নাই। এক বছর হইয়া গেল, আসামির তো কোনো বিচার হচ্ছে না। আসামি ধরা ছাড়া দিচ্ছে।’ কথাগুলো বলছিলেন জুলাই আন্দোলনে শহীদ তারেক হোসেনের বাবা আশাদুল ইসলাম।
১০ বছর আগে স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার দক্ষিণ ইসলামপুর গ্রামের আশাদুল ইসলাম (৪২)। ঢাকায় গিয়ে শুরু করেন রিকশা চালানো, থাকতেন বস্তিতে। শুরুর দিনগুলোতে খেয়ে-না খেয়ে কেটেছে। এর মধ্যে বড় ছেলে ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান চালানো শুরু করে, ছোট ছেলে কাঠমিস্ত্রির কাজ নেয়। ধীরে ধীরে সংসারে কিছুটা স্বস্তি ফিরছিল।
তবে সেই স্বপ্ন থেমে যায় হঠাৎ করেই। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন, ৫ আগস্ট ২০২৪ দুপুরে খাওয়া শেষ করে দুই বন্ধুর সঙ্গে বিজয় মিছিলে বের হন তারেক হোসেন (১৯)। ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার সামনের চৌরাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পেটে চারটি ও বাঁ হাতে একটি গুলি লাগে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৯ আগস্ট বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশের ছোড়া গুলিতেই তারেকসহ পাঁচজন আহত হন এবং এর মধ্যে চারজন মারা যান। হাসপাতালের মৃত্যুসনদে লেখা আছে, শটগানের গুলিতে তারেক মারা যান।
আক্ষেপ করে শহীদ তারেকের বাবা আশাদুল বলেন, ‘পুলিশকে একটি কথা বলছি। পুলিশও আমাদের কথা শুনছে না। এখন নতুন দেশ। নতুভাবে চলাফেরা করব। আমরা স্বাধীন চাহি। এখন ছাত্র ভাইয়েরা যত আছে। এখানে বিএনপি-জামায়াত কাহারির ভেদাভেদ নাই। সবাই মেলে একমত হয়ে ইউনূস সাহেবকে বসানো হয়েছে। আমরা একাই বসাতে পারেনি। ওকে বসিয়ে হামারগে লাভ কী, বিচার যদি নাহি করতে পারে। হামরা খুনিদের বিচার চাহি।’
ছেলে হারানোর শোক, ক্ষোভ ও অভিমানে আশাদুল ইসলাম আর ঢাকায় ফেরেননি। আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘সন্তান হারানোর কষ্ট কেবল বাবা-মা বুঝে। আমার ছেলে মারা যাওয়ার পরে সরকারি সহযোগিতা ছাড়া অনেকেই আমাকে সাহায্য করেছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই সুখ-শান্তি পাচ্ছি না। ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে পারি না। শরীর ফুলে যাচ্ছে। রক্ত চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে হাত-পা অবশ হয়ে যায়। যত দিন যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে রোগ এসে শরীরে বাসা বাঁধছে। ছেলের গেজেট হয়েছে। কোনো ভাতা পাচ্ছি না। যা টাকা পেয়েছি, তা ঋণ পরিশোধ করতে শেষ হয়ে গেছে।
তারেকের মা ফিদুশি খাতুন বলেন, ‘আমি তো বিচার পাই না। হামার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। হামার স্বামী তো অসুস্থ। খেটে খেতে পারছে না। হামার ছেলে হামার সংসার চালাত। হামি এখন কী হালে চলছি, এক আল্লাহ ভালো জানে।’
‘আমি মামলাটামলা সবি করেছি। কিন্তু খুনির তো বিচার হচ্ছে না। একটা বিচার পাচ্ছি না। আমরা ইউনূসকে বসাচ্ছিল সব। একমত হইয়া। আমরা তো সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছি না। খালি ওই ধর-পাকড়া হচ্ছে। কোন বিচার নাই। এক বছর হইয়া গেল, আসামির তো কোনো বিচার হচ্ছে না। আসামি ধরা ছাড়া দিচ্ছে।’ কথাগুলো বলছিলেন জুলাই আন্দোলনে শহীদ তারেক হোসেনের বাবা আশাদুল ইসলাম।
১০ বছর আগে স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার দক্ষিণ ইসলামপুর গ্রামের আশাদুল ইসলাম (৪২)। ঢাকায় গিয়ে শুরু করেন রিকশা চালানো, থাকতেন বস্তিতে। শুরুর দিনগুলোতে খেয়ে-না খেয়ে কেটেছে। এর মধ্যে বড় ছেলে ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান চালানো শুরু করে, ছোট ছেলে কাঠমিস্ত্রির কাজ নেয়। ধীরে ধীরে সংসারে কিছুটা স্বস্তি ফিরছিল।
তবে সেই স্বপ্ন থেমে যায় হঠাৎ করেই। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন, ৫ আগস্ট ২০২৪ দুপুরে খাওয়া শেষ করে দুই বন্ধুর সঙ্গে বিজয় মিছিলে বের হন তারেক হোসেন (১৯)। ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার সামনের চৌরাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পেটে চারটি ও বাঁ হাতে একটি গুলি লাগে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৯ আগস্ট বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশের ছোড়া গুলিতেই তারেকসহ পাঁচজন আহত হন এবং এর মধ্যে চারজন মারা যান। হাসপাতালের মৃত্যুসনদে লেখা আছে, শটগানের গুলিতে তারেক মারা যান।
আক্ষেপ করে শহীদ তারেকের বাবা আশাদুল বলেন, ‘পুলিশকে একটি কথা বলছি। পুলিশও আমাদের কথা শুনছে না। এখন নতুন দেশ। নতুভাবে চলাফেরা করব। আমরা স্বাধীন চাহি। এখন ছাত্র ভাইয়েরা যত আছে। এখানে বিএনপি-জামায়াত কাহারির ভেদাভেদ নাই। সবাই মেলে একমত হয়ে ইউনূস সাহেবকে বসানো হয়েছে। আমরা একাই বসাতে পারেনি। ওকে বসিয়ে হামারগে লাভ কী, বিচার যদি নাহি করতে পারে। হামরা খুনিদের বিচার চাহি।’
ছেলে হারানোর শোক, ক্ষোভ ও অভিমানে আশাদুল ইসলাম আর ঢাকায় ফেরেননি। আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘সন্তান হারানোর কষ্ট কেবল বাবা-মা বুঝে। আমার ছেলে মারা যাওয়ার পরে সরকারি সহযোগিতা ছাড়া অনেকেই আমাকে সাহায্য করেছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই সুখ-শান্তি পাচ্ছি না। ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে পারি না। শরীর ফুলে যাচ্ছে। রক্ত চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে হাত-পা অবশ হয়ে যায়। যত দিন যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে রোগ এসে শরীরে বাসা বাঁধছে। ছেলের গেজেট হয়েছে। কোনো ভাতা পাচ্ছি না। যা টাকা পেয়েছি, তা ঋণ পরিশোধ করতে শেষ হয়ে গেছে।
তারেকের মা ফিদুশি খাতুন বলেন, ‘আমি তো বিচার পাই না। হামার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। হামার স্বামী তো অসুস্থ। খেটে খেতে পারছে না। হামার ছেলে হামার সংসার চালাত। হামি এখন কী হালে চলছি, এক আল্লাহ ভালো জানে।’
প্রতারণা করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত যুবককে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য ডিবি পুলিশ কৌশল করেছে। এত বড় প্রতারককে ধরার জন্য ডিবি পুলিশের টিমের পুরস্কার পাওয়ার কথা, কিন্তু সামান্য ভুল-বোঝাবুঝির জন্য তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
১২ মিনিট আগেরাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় বরখাস্ত ১৪ সদস্য গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বুধবার তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
২৯ মিনিট আগেরাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় লাগা আগুনে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ছয়টি মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাদের ময়নাতদন্ত ছাড়াও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব মরদেহ আগামীকাল বৃহস্পতিবার হস্তান্তর করা হবে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অপি দাশের পর তাঁর সঙ্গে থাকা ছাত্রদলের কর্মী তানিমও মারা গেছেন। আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিম (২০) মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে