Ajker Patrika

পিআর ও শাপলা প্রতীক নিয়ে জটিলতা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: ইসি আনোয়ারুল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৮
কর্মশালায় বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্মশালায় বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

মোট ভোটের অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল আন্দোলন করছে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দলীয় প্রতীক নিয়ে জটিলতা। নির্বাচন কমিশনের তালিকায় শাপলা প্রতীক নেই। কিন্তু এনসিপি দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা পাওয়ার দাবিতে অনড়।

তবে এসব বিষয় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেছেন, পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন ও এনসিপির প্রতীক নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নির্বাচন আয়োজনে কোনো প্রভাব ফেলবে।

আজ শুক্রবার(২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ সাটুহল মিলনায়তনে একটি কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বিদ্যমান আইনে সমস্ত কাজ করে যাচ্ছে এবং করবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করতে পারে না ও করবে না। সুতরাং আইনে যেভাবে আছে নির্বাচন কমিশন সেভাবেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা মনে করি, ত্রয়োদশ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন সদা প্রস্তুত।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার ইসলাম সরকার বলেন, ‘খুব নিবীড়ভাবে পরীক্ষা—নীরিক্ষা করে অতীতের নির্বাচনে যারা অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হবে।’

‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্ নিরুপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালাটির আয়োজন করে সিবিটিইপি প্রকল্প।

কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন— নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার (এসপি) রেজাউল করিম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাশ্মীরের চিকিৎসক জঙ্গি সংগঠন জইশের সদস্য, হরিয়ানায় তাঁর বাসায় মিলল ৩ টন বিস্ফোরক

দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হরিয়ানায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার, কিসের ইঙ্গিত

ছিন্নভিন্ন শরীর, হাত পড়ে আছে রাস্তায়—প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় দিল্লি বিস্ফোরণের বীভৎসতা

রাজধানীর সাত এলাকায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, তিন গাড়িতে আগুন

দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ১৩, বহু আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার ফ্ল্যাটে ছিলেন ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

ফরিদপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফারুক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফারুক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফারুক হোসেনকে (৭২) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক তরুণীকেও আটক করা হয়।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল-সংলগ্ন নূরজাহান ভবন থেকে তাঁদের আটক করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। আটকের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ভবনে চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে আটক ফারুক হোসেনের। যার মধ্যে তিনটি ভাড়া দেওয়া এবং একটিতে তিনি অবস্থান করছিলেন। তবে কবে থেকে ওই বাসায় অবস্থান করছিলেন, সে বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া একই বাসা থেকে নাসরিন আক্তার (২৮) নামের এক তরুণীকেও আটক করা হয়। আটকের সময় নাসরিন আক্তারকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে পরিচয় দেন ফারুক হোসেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসরিন শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার বাসিন্দা প্রয়াত শ্রমিক লীগ নেতা ফিরোজ শেখের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে। এ ছাড়া তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখা রয়েছে, ফরিদপুর যুব মহিলা লীগের সদস্য।

জানা গেছে, ফারুক হোসেনের নামে কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, তাঁর (ফারুক হোসেন) নামে থানায় দুটি মামলা রয়েছে এবং দুটি মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাশ্মীরের চিকিৎসক জঙ্গি সংগঠন জইশের সদস্য, হরিয়ানায় তাঁর বাসায় মিলল ৩ টন বিস্ফোরক

দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হরিয়ানায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার, কিসের ইঙ্গিত

ছিন্নভিন্ন শরীর, হাত পড়ে আছে রাস্তায়—প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় দিল্লি বিস্ফোরণের বীভৎসতা

রাজধানীর সাত এলাকায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, তিন গাড়িতে আগুন

দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ১৩, বহু আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
মো. মহিউদ্দিন
মো. মহিউদ্দিন

‘ভাই, আমি যে চাকরি করি, আমি ভাই এর মধ্যে কোনো ফাঁক রাখি না। আমি যদি ৫ টাকা খাই, এ কাজ আমি করি না যে সিনিয়র অফিসারকে ফাঁকি দেব। এ কাজ আমি করি না, কোনো দিনও না। এখন আমার কোনো সমস্যা হলে সিনিয়র অফিসার আমাকে সেফ করে কীভাবে?’ মোবাইলে মাহমুদ হাসান লিমন নামের এক আসামির সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহিউদ্দিন।

বর্তমানে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত মহিউদ্দিন এর আগে ছিলেন চন্দ্রিমা থানায়। কথোপকথনটি সে সময়ের। আসামিপক্ষ বলছে, এসআই মহিউদ্দিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে টাকা নিয়েছেন।

ওই মামলার আসামিদের একজন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান শিশিল। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বড় ভাই মেহেদী হাসান সিজারের শাশুড়ি হাবিবা আক্তার মুক্তার মামলায় তাঁকে ও তাঁর বন্ধু মাহমুদ হাসান লিমনকে আসামি করা হয়। এ সুযোগে এসআই মহিউদ্দিন ও ওসি আবুল কালাম আজাদ অভিযোগপত্র দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেই ওসি আবুল কালাম আজাদও এখন বোয়ালিয়া থানায়।

গত ২ জুলাই শহরের ভদ্রা পারিজাত আবাসিক এলাকায় হাবিবা আক্তার মুক্তার বাসায় মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনির অবস্থানের খবরে বাসাটি অবরুদ্ধ করে ছাত্র-জনতা। তবে পুলিশের তল্লাশিতে সেখানে রনির সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় মামলা করেন মুক্তা। মামলায় শিশিল ও লিমনকেও আসামি করা হয়। ঘটনার সঙ্গে যে শিশিল সম্পৃক্ত নন, তা এসআই মহিউদ্দিনের কথোপকথনে উঠে আসে। শিশিলকে তিনি বলছিলেন, শিশিলের সম্পৃক্ত না থাকার বিষয়টি কিছুতেই মানছেন না ওসি আবুল কালাম আজাদ।

এ-সংক্রান্ত কয়েকটি ফোনকল রেকর্ডও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এক ফোনালাপে শিশিল এসআই মহিউদ্দিনকে বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে যেটা হবে, সেটা করবেন। আমার পক্ষেও করার দরকার নাই।’ তবে শেষ পর্যন্ত সিনিয়র অফিসারদের কথা বলে টাকা নেন মহিউদ্দিন।

আরেক ফোনালাপে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মামলার মনিটরিং অফিসার হলো ডিসি স্যার। ডিসির ওপরে হলো কমিশনার...। সব ডিরেকশন উনারা দেন। আমরা চাকরি করি ভাই, সবাইকে লিয়েই (নিয়ে)।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মহিউদ্দিন বলেন, ‘যা বলি, আমার গায়ে লেগে যায়। মাঝখানে অনেক কথা কেটে দিয়ে কিছু অংশ ওরা প্রচার করছে।’ আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাশ্মীরের চিকিৎসক জঙ্গি সংগঠন জইশের সদস্য, হরিয়ানায় তাঁর বাসায় মিলল ৩ টন বিস্ফোরক

দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হরিয়ানায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার, কিসের ইঙ্গিত

ছিন্নভিন্ন শরীর, হাত পড়ে আছে রাস্তায়—প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় দিল্লি বিস্ফোরণের বীভৎসতা

রাজধানীর সাত এলাকায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, তিন গাড়িতে আগুন

দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ১৩, বহু আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দাম্পত্য কলহ, স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে দিলেন স্বামী

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)  প্রতিনিধি
ভুক্তভোগী গৃহবধূ শারমিন আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
ভুক্তভোগী গৃহবধূ শারমিন আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে শারমিন আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর মুখে গরম রডের ছ্যাঁকা ও কাঁচি দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী আলমগীর হোসেনের (৩৫) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক রয়েছেন।

গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় শারমিনকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ছোট দাউদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও প্রতিবেশীরা শারমিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

দিনভর ঘটনাটি গোপন থাকলেও সোমবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা সুফিয়া বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসে। দুই সন্তানের জননী শারমিন আক্তার একই গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। আলমগীর সাদা মিয়ার ছেলে। তিনি হাটে ছাগল বেচাকেনা করেন।

হাসপাতালে শারমিনের পাশে থাকা তাঁর মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে আলমগীর। আজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন নৃশংস নির্যাতন করেছে। আমরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ঘটনাটি জানার পরই হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রাতে ওই নারীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাশ্মীরের চিকিৎসক জঙ্গি সংগঠন জইশের সদস্য, হরিয়ানায় তাঁর বাসায় মিলল ৩ টন বিস্ফোরক

দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হরিয়ানায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার, কিসের ইঙ্গিত

ছিন্নভিন্ন শরীর, হাত পড়ে আছে রাস্তায়—প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় দিল্লি বিস্ফোরণের বীভৎসতা

রাজধানীর সাত এলাকায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, তিন গাড়িতে আগুন

দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ১৩, বহু আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনা জেলা পরিষদ: কর্মকর্তার কক্ষে ‘হারানো’ নথি

  • এক বছরের বেশি সময় আগে নথি গায়েব হয়।
  • প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষ থেকে উদ্ধার।
  • কর্মচারীরা আলমারিতে রেখেছে, দাবি কর্মকর্তার।
খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৩
এস এম মাহাবুবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
এস এম মাহাবুবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।

এর আগে এসব নথির তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ শাখার উপসচিবের কাছে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২১ এপ্রিল সংস্থাটির খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নথি গায়েব হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও ১৭ আগস্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বাদী হয়ে একই থানায় অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এজাহারে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় ২০০-২৫০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি জেলা পরিষদের প্রধান ফটক ভেঙে হামলা চালায়। এ সময় তারা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়িয়ে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এ ছাড়া আসামিরা ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫ হাজার ৩৬০ টাকার মালপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। তারা জেলা পরিষদ ভবনের প্রতিটি কক্ষে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এর মধ্যে চেকবই, চেক রেজিস্টার, ক্যাশবই, জমি ইজারা রেজিস্টার, অডিট রেজিস্টার, খেয়াঘাট রেজিস্টার, ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত নথি প্রভৃতি রয়েছে।

এদিকে গত ২১ এপ্রিল ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চলমান রয়েছে তার তালিকা ও বরাদ্দ করা নথির তথ্য চেয়ে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ শাখার উপসচিবের কাছে চিঠি দেয় দুদক। কিন্তু জেলা পরিষদ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয় যে, নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে ২৮৪টি নথি পাওয়া গেলেও গুরুত্বপূর্ণ ৬টির হদিস মেলেনি। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারের নেতৃত্বে এসব নথির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। একপর্যায়ে এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে মাহাবুবুর রহমানের দাবি, ‘কিছু ফাইল কর্মচারীরা পেয়ে আমার আলমারিতে রেখেছিল। ওটা এমন কিছু না।’ এই নথিগুলো দুদক চেয়েছিল কি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার স্মরণে নেই।’

তাছলিমা আক্তার বলেন, ‘যে ফাইলগুলো পাওয়া গেছে, এগুলো ২১ এপ্রিল দুদক আমাদের কাছে চেয়েছিল। ৫ আগস্টের পর আমরা যে ফাইলগুলো বা নথি উদ্ধার করেছিলাম তার মধ্যে এগুলো ছিল না। এসব নথি উদ্ধারের বিষয়টি স্থানীয় সরকার ও দুদককে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, মাহাবুবুর রহমানকে ইতিপূর্বে দুই দফায় নেত্রকোনা ও বগুড়া জেলা পরিষদে বদলি করা হয়। এর মধ্যে নেত্রকোনায় যোগদানের দুদিন পরেই ফের বদলির আদেশ নিয়ে খুলনায় ফেরেন। আর বগুড়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে যেতেই হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাশ্মীরের চিকিৎসক জঙ্গি সংগঠন জইশের সদস্য, হরিয়ানায় তাঁর বাসায় মিলল ৩ টন বিস্ফোরক

দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হরিয়ানায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার, কিসের ইঙ্গিত

ছিন্নভিন্ন শরীর, হাত পড়ে আছে রাস্তায়—প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় দিল্লি বিস্ফোরণের বীভৎসতা

রাজধানীর সাত এলাকায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, তিন গাড়িতে আগুন

দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ১৩, বহু আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত