রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজ
আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক অরাজকতা এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু থেকে শুরু করে টেন্ডার, নির্মাণ ও অর্থের ব্যবহার—প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন তাঁরই সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তার।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিয়মিত কলেজে উপস্থিত হচ্ছেন না। এতে কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি প্রভাব খাটিয়ে এসব অপকর্ম করেছেন। ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ পদ গ্রহণের পর থেকে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিশাল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যে রাজশাহীতে জমি কিনে তিনটি বাড়ি নির্মাণ, গ্রামের বাড়ি দোতলা করা, পরিবার সদস্যদের নামে লাখ লাখ টাকার ডিপিএস—সবই করেছেন কলেজের অর্থ থেকে।
পরীক্ষা, টেন্ডার ও ভর্তির টাকা আত্মসাৎ
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এতে ভর্তি বাবদ আয় হয় প্রায় ৩৮ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে শিক্ষার্থী ভর্তি বাবদ আয় হয় ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। আর খরচ দেখানো হয় মাত্র ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাকি ২৩ লাখ টাকার বেশি অর্থ ভুয়া বিল ও ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।
এদিকে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে উন্মুক্ত পরীক্ষায় প্রক্সির সুযোগ করে দিতেন অধ্যক্ষ। এ ছাড়া পরীক্ষায় প্রশ্ন সহজ করার নামে শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়াসহ ভর্তি বাতিল, অন্য কলেজে স্থানান্তর, মৌখিক পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু এবং হাজিরার ঘাটতি পূরণের জন্যও টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া টেন্ডার ছাড়াই বিভিন্ন নির্মাণকাজ, জমি লিজ, দোকানঘর, ক্যানটিন ও ভাস্কর্য নির্মাণেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
চাকরির নামে কোটি টাকার প্রতারণা
শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই অধ্যক্ষ। সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তার জানান, নয়জনের কাছ থেকে চাকরি স্থায়ী করার জন্য ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও ভুক্তভোগীরা এখনো তা পাননি। এ ছাড়া শিক্ষকদের জাতীয়করণের কথা বলে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। কিছু সুবিধাবাদী শিক্ষক এই কাজে সহযোগিতা করেছেন।
এদিকে ৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অধ্যক্ষ ও সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে বসে তদন্তের জন্য ৯ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করেন। বোর্ডের ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করার কথা। প্রতিবেদনে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিললে ১৮ লাখ টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়।
জানতে চাইলে ফিশ সহায়ক পদে চাকরিরত মিজানুর রহমান বলেন, ‘অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেবে বলে অধ্যক্ষের নাম করে আব্দুস সাত্তার আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছিল। আমি চার বছর কলেজের পদার্থ ও ভূগোল বিভাগে চাকরি করেছি। হঠাৎ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অধ্যক্ষ স্যার আমাকে কলেজে আসতে নিষেধ করেছেন। তারপর থেকে আমি আর কলেজে যাচ্ছি না।’
একই পদের আরেক চাকরিপ্রত্যাশী হিমেল বাবু বলেন, ‘আমার থেকে আব্দুস সাত্তার দুবার ৯০ হাজার করে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষ আমাকে চাকরি দেয়নি। কয়েকবার অধ্যক্ষের কাছে টাকার জন্য গেছি। কিন্তু টাকাও দিচ্ছে না, চাকরিও দিচ্ছে না।’
চৌডালা জোহুর আহম্মেদ মিঞা কলেজের প্রভাষক শাহরিয়ার কামাল বলেন, ‘রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজে নিয়োগ হওয়ার জন্য সেখানকার কমিটির মাধ্যমে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু অধ্যক্ষ আমার কাগজ মাউশিতে পাঠায়নি। যে কারণে সেখানে আমার নিয়োগটা হয়নি। তারপর থেকে আমার টাকা ফেরত চাচ্ছি, কিন্তু দিচ্ছে না। আমার মতো বহু শিক্ষককে নিয়োগের কথা বলে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের লোকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি তাদের সরেজমিনে তদন্ত করতে বলেছি।’
অপর প্রশ্নের উত্তরে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা সরানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ, সকল কিছু পরিপত্র অনুযায়ী হয়। আর টাকা কলেজের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। অভ্যুত্থানের পর থেকে অসুস্থতা ও নানা ঝুট-ঝামেলার কারণে নিয়মিত কলেজ করতে সমস্যা হচ্ছে।’ ওমরাহ হজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ. ন. ম. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজ অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুনীতির বিষয়গুলো মাউশি দেখে। আমাদের দপ্তরের যেটা করণীয় আছে, আমরা সেটা অবশ্যই অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে করব।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি কলেজ শাখা-১-এর উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘অধ্যক্ষ মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক অরাজকতা এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু থেকে শুরু করে টেন্ডার, নির্মাণ ও অর্থের ব্যবহার—প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন তাঁরই সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তার।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিয়মিত কলেজে উপস্থিত হচ্ছেন না। এতে কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি প্রভাব খাটিয়ে এসব অপকর্ম করেছেন। ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ পদ গ্রহণের পর থেকে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিশাল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যে রাজশাহীতে জমি কিনে তিনটি বাড়ি নির্মাণ, গ্রামের বাড়ি দোতলা করা, পরিবার সদস্যদের নামে লাখ লাখ টাকার ডিপিএস—সবই করেছেন কলেজের অর্থ থেকে।
পরীক্ষা, টেন্ডার ও ভর্তির টাকা আত্মসাৎ
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এতে ভর্তি বাবদ আয় হয় প্রায় ৩৮ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে শিক্ষার্থী ভর্তি বাবদ আয় হয় ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। আর খরচ দেখানো হয় মাত্র ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাকি ২৩ লাখ টাকার বেশি অর্থ ভুয়া বিল ও ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।
এদিকে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে উন্মুক্ত পরীক্ষায় প্রক্সির সুযোগ করে দিতেন অধ্যক্ষ। এ ছাড়া পরীক্ষায় প্রশ্ন সহজ করার নামে শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়াসহ ভর্তি বাতিল, অন্য কলেজে স্থানান্তর, মৌখিক পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু এবং হাজিরার ঘাটতি পূরণের জন্যও টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া টেন্ডার ছাড়াই বিভিন্ন নির্মাণকাজ, জমি লিজ, দোকানঘর, ক্যানটিন ও ভাস্কর্য নির্মাণেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
চাকরির নামে কোটি টাকার প্রতারণা
শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই অধ্যক্ষ। সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তার জানান, নয়জনের কাছ থেকে চাকরি স্থায়ী করার জন্য ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও ভুক্তভোগীরা এখনো তা পাননি। এ ছাড়া শিক্ষকদের জাতীয়করণের কথা বলে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। কিছু সুবিধাবাদী শিক্ষক এই কাজে সহযোগিতা করেছেন।
এদিকে ৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অধ্যক্ষ ও সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে বসে তদন্তের জন্য ৯ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করেন। বোর্ডের ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করার কথা। প্রতিবেদনে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিললে ১৮ লাখ টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়।
জানতে চাইলে ফিশ সহায়ক পদে চাকরিরত মিজানুর রহমান বলেন, ‘অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেবে বলে অধ্যক্ষের নাম করে আব্দুস সাত্তার আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছিল। আমি চার বছর কলেজের পদার্থ ও ভূগোল বিভাগে চাকরি করেছি। হঠাৎ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অধ্যক্ষ স্যার আমাকে কলেজে আসতে নিষেধ করেছেন। তারপর থেকে আমি আর কলেজে যাচ্ছি না।’
একই পদের আরেক চাকরিপ্রত্যাশী হিমেল বাবু বলেন, ‘আমার থেকে আব্দুস সাত্তার দুবার ৯০ হাজার করে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষ আমাকে চাকরি দেয়নি। কয়েকবার অধ্যক্ষের কাছে টাকার জন্য গেছি। কিন্তু টাকাও দিচ্ছে না, চাকরিও দিচ্ছে না।’
চৌডালা জোহুর আহম্মেদ মিঞা কলেজের প্রভাষক শাহরিয়ার কামাল বলেন, ‘রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজে নিয়োগ হওয়ার জন্য সেখানকার কমিটির মাধ্যমে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু অধ্যক্ষ আমার কাগজ মাউশিতে পাঠায়নি। যে কারণে সেখানে আমার নিয়োগটা হয়নি। তারপর থেকে আমার টাকা ফেরত চাচ্ছি, কিন্তু দিচ্ছে না। আমার মতো বহু শিক্ষককে নিয়োগের কথা বলে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের লোকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি তাদের সরেজমিনে তদন্ত করতে বলেছি।’
অপর প্রশ্নের উত্তরে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা সরানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ, সকল কিছু পরিপত্র অনুযায়ী হয়। আর টাকা কলেজের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। অভ্যুত্থানের পর থেকে অসুস্থতা ও নানা ঝুট-ঝামেলার কারণে নিয়মিত কলেজ করতে সমস্যা হচ্ছে।’ ওমরাহ হজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ. ন. ম. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজ অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুনীতির বিষয়গুলো মাউশি দেখে। আমাদের দপ্তরের যেটা করণীয় আছে, আমরা সেটা অবশ্যই অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে করব।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি কলেজ শাখা-১-এর উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘অধ্যক্ষ মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজ
আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক অরাজকতা এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু থেকে শুরু করে টেন্ডার, নির্মাণ ও অর্থের ব্যবহার—প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন তাঁরই সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তার।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিয়মিত কলেজে উপস্থিত হচ্ছেন না। এতে কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি প্রভাব খাটিয়ে এসব অপকর্ম করেছেন। ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ পদ গ্রহণের পর থেকে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিশাল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যে রাজশাহীতে জমি কিনে তিনটি বাড়ি নির্মাণ, গ্রামের বাড়ি দোতলা করা, পরিবার সদস্যদের নামে লাখ লাখ টাকার ডিপিএস—সবই করেছেন কলেজের অর্থ থেকে।
পরীক্ষা, টেন্ডার ও ভর্তির টাকা আত্মসাৎ
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এতে ভর্তি বাবদ আয় হয় প্রায় ৩৮ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে শিক্ষার্থী ভর্তি বাবদ আয় হয় ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। আর খরচ দেখানো হয় মাত্র ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাকি ২৩ লাখ টাকার বেশি অর্থ ভুয়া বিল ও ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।
এদিকে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে উন্মুক্ত পরীক্ষায় প্রক্সির সুযোগ করে দিতেন অধ্যক্ষ। এ ছাড়া পরীক্ষায় প্রশ্ন সহজ করার নামে শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়াসহ ভর্তি বাতিল, অন্য কলেজে স্থানান্তর, মৌখিক পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু এবং হাজিরার ঘাটতি পূরণের জন্যও টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া টেন্ডার ছাড়াই বিভিন্ন নির্মাণকাজ, জমি লিজ, দোকানঘর, ক্যানটিন ও ভাস্কর্য নির্মাণেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
চাকরির নামে কোটি টাকার প্রতারণা
শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই অধ্যক্ষ। সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তার জানান, নয়জনের কাছ থেকে চাকরি স্থায়ী করার জন্য ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও ভুক্তভোগীরা এখনো তা পাননি। এ ছাড়া শিক্ষকদের জাতীয়করণের কথা বলে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। কিছু সুবিধাবাদী শিক্ষক এই কাজে সহযোগিতা করেছেন।
এদিকে ৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অধ্যক্ষ ও সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে বসে তদন্তের জন্য ৯ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করেন। বোর্ডের ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করার কথা। প্রতিবেদনে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিললে ১৮ লাখ টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়।
জানতে চাইলে ফিশ সহায়ক পদে চাকরিরত মিজানুর রহমান বলেন, ‘অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেবে বলে অধ্যক্ষের নাম করে আব্দুস সাত্তার আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছিল। আমি চার বছর কলেজের পদার্থ ও ভূগোল বিভাগে চাকরি করেছি। হঠাৎ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অধ্যক্ষ স্যার আমাকে কলেজে আসতে নিষেধ করেছেন। তারপর থেকে আমি আর কলেজে যাচ্ছি না।’
একই পদের আরেক চাকরিপ্রত্যাশী হিমেল বাবু বলেন, ‘আমার থেকে আব্দুস সাত্তার দুবার ৯০ হাজার করে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষ আমাকে চাকরি দেয়নি। কয়েকবার অধ্যক্ষের কাছে টাকার জন্য গেছি। কিন্তু টাকাও দিচ্ছে না, চাকরিও দিচ্ছে না।’
চৌডালা জোহুর আহম্মেদ মিঞা কলেজের প্রভাষক শাহরিয়ার কামাল বলেন, ‘রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজে নিয়োগ হওয়ার জন্য সেখানকার কমিটির মাধ্যমে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু অধ্যক্ষ আমার কাগজ মাউশিতে পাঠায়নি। যে কারণে সেখানে আমার নিয়োগটা হয়নি। তারপর থেকে আমার টাকা ফেরত চাচ্ছি, কিন্তু দিচ্ছে না। আমার মতো বহু শিক্ষককে নিয়োগের কথা বলে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের লোকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি তাদের সরেজমিনে তদন্ত করতে বলেছি।’
অপর প্রশ্নের উত্তরে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা সরানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ, সকল কিছু পরিপত্র অনুযায়ী হয়। আর টাকা কলেজের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। অভ্যুত্থানের পর থেকে অসুস্থতা ও নানা ঝুট-ঝামেলার কারণে নিয়মিত কলেজ করতে সমস্যা হচ্ছে।’ ওমরাহ হজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ. ন. ম. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজ অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুনীতির বিষয়গুলো মাউশি দেখে। আমাদের দপ্তরের যেটা করণীয় আছে, আমরা সেটা অবশ্যই অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে করব।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি কলেজ শাখা-১-এর উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘অধ্যক্ষ মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক অরাজকতা এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু থেকে শুরু করে টেন্ডার, নির্মাণ ও অর্থের ব্যবহার—প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন তাঁরই সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তার।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিয়মিত কলেজে উপস্থিত হচ্ছেন না। এতে কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি প্রভাব খাটিয়ে এসব অপকর্ম করেছেন। ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ পদ গ্রহণের পর থেকে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিশাল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যে রাজশাহীতে জমি কিনে তিনটি বাড়ি নির্মাণ, গ্রামের বাড়ি দোতলা করা, পরিবার সদস্যদের নামে লাখ লাখ টাকার ডিপিএস—সবই করেছেন কলেজের অর্থ থেকে।
পরীক্ষা, টেন্ডার ও ভর্তির টাকা আত্মসাৎ
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এতে ভর্তি বাবদ আয় হয় প্রায় ৩৮ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে শিক্ষার্থী ভর্তি বাবদ আয় হয় ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। আর খরচ দেখানো হয় মাত্র ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাকি ২৩ লাখ টাকার বেশি অর্থ ভুয়া বিল ও ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।
এদিকে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে উন্মুক্ত পরীক্ষায় প্রক্সির সুযোগ করে দিতেন অধ্যক্ষ। এ ছাড়া পরীক্ষায় প্রশ্ন সহজ করার নামে শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়াসহ ভর্তি বাতিল, অন্য কলেজে স্থানান্তর, মৌখিক পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু এবং হাজিরার ঘাটতি পূরণের জন্যও টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া টেন্ডার ছাড়াই বিভিন্ন নির্মাণকাজ, জমি লিজ, দোকানঘর, ক্যানটিন ও ভাস্কর্য নির্মাণেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
চাকরির নামে কোটি টাকার প্রতারণা
শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই অধ্যক্ষ। সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তার জানান, নয়জনের কাছ থেকে চাকরি স্থায়ী করার জন্য ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও ভুক্তভোগীরা এখনো তা পাননি। এ ছাড়া শিক্ষকদের জাতীয়করণের কথা বলে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। কিছু সুবিধাবাদী শিক্ষক এই কাজে সহযোগিতা করেছেন।
এদিকে ৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অধ্যক্ষ ও সাবেক অফিস সহায়ক আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে বসে তদন্তের জন্য ৯ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করেন। বোর্ডের ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করার কথা। প্রতিবেদনে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিললে ১৮ লাখ টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়।
জানতে চাইলে ফিশ সহায়ক পদে চাকরিরত মিজানুর রহমান বলেন, ‘অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেবে বলে অধ্যক্ষের নাম করে আব্দুস সাত্তার আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছিল। আমি চার বছর কলেজের পদার্থ ও ভূগোল বিভাগে চাকরি করেছি। হঠাৎ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অধ্যক্ষ স্যার আমাকে কলেজে আসতে নিষেধ করেছেন। তারপর থেকে আমি আর কলেজে যাচ্ছি না।’
একই পদের আরেক চাকরিপ্রত্যাশী হিমেল বাবু বলেন, ‘আমার থেকে আব্দুস সাত্তার দুবার ৯০ হাজার করে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষ আমাকে চাকরি দেয়নি। কয়েকবার অধ্যক্ষের কাছে টাকার জন্য গেছি। কিন্তু টাকাও দিচ্ছে না, চাকরিও দিচ্ছে না।’
চৌডালা জোহুর আহম্মেদ মিঞা কলেজের প্রভাষক শাহরিয়ার কামাল বলেন, ‘রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজে নিয়োগ হওয়ার জন্য সেখানকার কমিটির মাধ্যমে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু অধ্যক্ষ আমার কাগজ মাউশিতে পাঠায়নি। যে কারণে সেখানে আমার নিয়োগটা হয়নি। তারপর থেকে আমার টাকা ফেরত চাচ্ছি, কিন্তু দিচ্ছে না। আমার মতো বহু শিক্ষককে নিয়োগের কথা বলে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের লোকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি তাদের সরেজমিনে তদন্ত করতে বলেছি।’
অপর প্রশ্নের উত্তরে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা সরানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ, সকল কিছু পরিপত্র অনুযায়ী হয়। আর টাকা কলেজের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। অভ্যুত্থানের পর থেকে অসুস্থতা ও নানা ঝুট-ঝামেলার কারণে নিয়মিত কলেজ করতে সমস্যা হচ্ছে।’ ওমরাহ হজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ. ন. ম. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজ অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুনীতির বিষয়গুলো মাউশি দেখে। আমাদের দপ্তরের যেটা করণীয় আছে, আমরা সেটা অবশ্যই অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে করব।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি কলেজ শাখা-১-এর উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘অধ্যক্ষ মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
১ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেগুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা চাঁচকৈড় রসুনহাট, গরুর হাট ও গুরুদাসপুর বাজারঘাট এলাকার আবর্জনা গাড়িতে তুলে এনে নদীর তীরে বা সরাসরি পানিতে ফেলে দিচ্ছে। শুধু ঘরবাড়ির বর্জ্য নয়, বিভিন্ন কারখানা ও ক্লিনিক থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের নালা-পাইপের বর্জ্যও নন্দকুঁজা নদীতে পড়ছে। এতে নদীর পানি যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। তবু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।
রসুনহাটসংলগ্ন নদীপাড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরজুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ফেলা নানান আবর্জনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেসব বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার গাড়িতে করে এনে নদীর ধারে ফেলে রাখেন। এতে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নদীপারের বাসিন্দা জানান, একসময় এই নদীতে দল বেঁধে গোসল করতেন তাঁরা, মাছ ধরতেন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা ছিল এটি। এখন নদীতে নামাই যায় না। দূষিত পানিতে শরীর চুলকায়, আগের মতো মাছও আর মেলে না। নদীর প্রতি মানুষের নির্ভরতা কমে যাচ্ছে, তারা চান, আগের সেই স্বাভাবিক নদী ফিরে আসুক।
জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় বহুবার আন্দোলন করেছি, পৌর মেয়রকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম; তবু নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখন তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দেবেন, যেন নদীতে আর আবর্জনা ফেলা না হয়।

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা চাঁচকৈড় রসুনহাট, গরুর হাট ও গুরুদাসপুর বাজারঘাট এলাকার আবর্জনা গাড়িতে তুলে এনে নদীর তীরে বা সরাসরি পানিতে ফেলে দিচ্ছে। শুধু ঘরবাড়ির বর্জ্য নয়, বিভিন্ন কারখানা ও ক্লিনিক থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের নালা-পাইপের বর্জ্যও নন্দকুঁজা নদীতে পড়ছে। এতে নদীর পানি যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। তবু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।
রসুনহাটসংলগ্ন নদীপাড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরজুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ফেলা নানান আবর্জনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেসব বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার গাড়িতে করে এনে নদীর ধারে ফেলে রাখেন। এতে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নদীপারের বাসিন্দা জানান, একসময় এই নদীতে দল বেঁধে গোসল করতেন তাঁরা, মাছ ধরতেন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা ছিল এটি। এখন নদীতে নামাই যায় না। দূষিত পানিতে শরীর চুলকায়, আগের মতো মাছও আর মেলে না। নদীর প্রতি মানুষের নির্ভরতা কমে যাচ্ছে, তারা চান, আগের সেই স্বাভাবিক নদী ফিরে আসুক।
জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় বহুবার আন্দোলন করেছি, পৌর মেয়রকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম; তবু নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখন তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দেবেন, যেন নদীতে আর আবর্জনা ফেলা না হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক অরাজকতা এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু থেকে শুরু করে টেন্ডার, নির্মাণ ও অর্থের ব্যবহার—প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ তাঁর
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
১ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেমুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সুবর্ণচর (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ শিশু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের প্রথম আট দিনে (১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত) মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮৪ জনের মধ্যে শিশু ৬৭২ জন। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই আট দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬১৯টি শিশু। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সরা ব্যস্ত রোগীর চাপ সামলাতে। শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের সঙ্গে। চার দিন ধরে তাঁর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে মুনতাহা জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে বাড়িতে রেখে পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা দিলেও জ্বর কমেনি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে আসেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
আসমা বলেন, ‘বাচ্চাটা চার দিনের জ্বরে কাহিল হয়ে গেছে। ঘাড় তুলতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঠান্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়া) প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে। এখন ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। শয্যা পাচ্ছি না। বলতে পারছি না কবে সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরতে পারব।’
চর আলাউদ্দিনের বাসিন্দা শেফালী আক্তারের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সৈকত ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে জোসনার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি জানান, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে, আগে বুঝতে পারেননি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ জ্বর। কিন্তু হাসপাতালে দুই দফায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. সোহেল সারওয়ার জানান, সুবর্ণচরের চরাঞ্চল থেকে শিশুরা বেশি আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছর তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যে শিশুগুলো মারা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নবজাতক ও পাঁচ বছরের মধ্যে। পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়, তখন হাসপাতালে আসেন এতে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। আমরা সাধ্য অনুযায়ী এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি।’
এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) জানাতে পারব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নিয়ে আসে। আমরা সেসব শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। অনেক রোগীর অভিভাবক আছেন, জেলা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তখন সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে মারা যায়।’

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ শিশু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের প্রথম আট দিনে (১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত) মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮৪ জনের মধ্যে শিশু ৬৭২ জন। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই আট দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬১৯টি শিশু। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সরা ব্যস্ত রোগীর চাপ সামলাতে। শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের সঙ্গে। চার দিন ধরে তাঁর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে মুনতাহা জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে বাড়িতে রেখে পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা দিলেও জ্বর কমেনি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে আসেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
আসমা বলেন, ‘বাচ্চাটা চার দিনের জ্বরে কাহিল হয়ে গেছে। ঘাড় তুলতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঠান্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়া) প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে। এখন ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। শয্যা পাচ্ছি না। বলতে পারছি না কবে সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরতে পারব।’
চর আলাউদ্দিনের বাসিন্দা শেফালী আক্তারের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সৈকত ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে জোসনার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি জানান, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে, আগে বুঝতে পারেননি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ জ্বর। কিন্তু হাসপাতালে দুই দফায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. সোহেল সারওয়ার জানান, সুবর্ণচরের চরাঞ্চল থেকে শিশুরা বেশি আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছর তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যে শিশুগুলো মারা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নবজাতক ও পাঁচ বছরের মধ্যে। পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়, তখন হাসপাতালে আসেন এতে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। আমরা সাধ্য অনুযায়ী এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি।’
এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) জানাতে পারব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নিয়ে আসে। আমরা সেসব শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। অনেক রোগীর অভিভাবক আছেন, জেলা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তখন সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে মারা যায়।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক অরাজকতা এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু থেকে শুরু করে টেন্ডার, নির্মাণ ও অর্থের ব্যবহার—প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ তাঁর
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৩৮ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বজিত রায়, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত শুক্রবার তাহিরপুরের শনির হাওর এবং জামালগঞ্জের হালি হাওর ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গা দিয়ে পানি নামছে নদীতে। অধিকাংশ বাঁধ এলাকায় কাজ শুরুর মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। শনির হাওরের সাহেবনগর, জালালপুর, নয়ানগর, মারালা, ইগ্রামপুর, নিশ্চিন্তপুর, মুরাদনগর, শ্রীপুর হয়ে তাহিরপুর পর্যন্ত যেসব জায়গায় প্রতিবছর বাঁধের কাজ হয়, সেসব জায়গায় বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো আলামত চোখে পড়েনি। শুধু তা-ই নয়, হালি হাওরের একাংশ ঘুরে একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে।
হাওর-সচেতন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরের রাজধানীখ্যাত সুনামগঞ্জ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। ওই বোরো ফসল হাতছাড়া হলে দুঃখের সীমা থাকে না এখানকার মানুষের। টেকসই ঝুঁকিমুক্ত বাঁধই পারে এক ফসলি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখতে। এর মধ্যে বাঁধের কাজে ব্যত্যয় ঘটলে গোটা হাওরাঞ্চল ঝুঁকিতে পড়বে।
কথা হয় তাহিরপুরের শনির হাওর পারের নয়ানগর গ্রামের কৃষক বাপ্পি মিয়ার সঙ্গে। বাঁধের প্রাক্কলন-জরিপের কাজ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরার গেরামের আশপাশে প্রতিবছরই পিআইসিরা বাঁধের কাজ করে। এই বছর জরিপের কাজ এখনো হইছে না, কয়দিনের মধ্যে হয়তো করব। সময় তো চইল্যা যাইতাছে (চলে যাচ্ছে)। তাড়াতাড়ি (দ্রুত) কাজ না করলে তো পরে আমরার দৌড়াদৌড়ি করন (করা) লাগে।’
জানা যায়, ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে ভয়াবহ হাওর বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ওই বছর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। সেই দুর্নীতি ঠেকাতে নতুন কাবিটা নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার। এই নীতিমালার আলোকে বিলুপ্ত হয় আগের ঠিকাদারি প্রথা। হাওরপারের কৃষিজীবী মানুষের সমন্বয়ে পিআইসি গঠন করে বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার নতুন নির্দেশনা জারি করা হয় নীতিমালায়। কিন্তু পুরোনো প্রথাই বলবৎ আছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে।
নীতিমালায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন; ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার কথা বলা আছে। কিন্তু পিআইসি গঠন দূরের কথা, এখন পর্যন্ত প্রাক্কলন ও জরিপের কাজই শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষক ও হাওর-সচেতন মানুষের মাঝে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার ও মেরামতে এ বছর ৬৯০টি পিআইসি গঠন করা হতে পারে। এ কাজে প্রাথমিক বরাদ্দ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। জেলার ৯৫টি হাওরের মধ্যে বাঁধের কাজ হবে ৫৩টি হাওরে। চলতি বছরে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ এলাকায় সংস্কার ও মেরামতের কাজ হবে। ধর্মপাশা ও শাল্লায় বাঁধের কাজ সবচেয়ে বেশি।
শাল্লা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি তরুণ কান্তি দাস বলেন, ‘২০১৭ সালের প্রলয়ংকরী হাওর বিপর্যয়ের পর বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ আসেনি। যে কারণে বাঁধ হওয়া না হওয়া নিয়ে তেমন প্রভাব পড়েনি। যদি অকালবন্যা পেয়ে বসে, তাহলে কৃষকের সর্বনাশ হবে। এখনো প্রাক্কলন-জরিপের কাজই চলছে। কাজের এই মন্থরগতি বিপদে ফেলতে পারে হাওরবাসীকে।’
পিআইসি গঠনপ্রক্রিয়া চলমান আছে জানিয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরে এখন পর্যন্ত ৮৬টি ক্লোজার (বাঁধের বড় ভাঙা) শনাক্ত করা হয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলার ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বাঁধে জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। প্রাক্কলনের কাজও ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত শুক্রবার তাহিরপুরের শনির হাওর এবং জামালগঞ্জের হালি হাওর ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গা দিয়ে পানি নামছে নদীতে। অধিকাংশ বাঁধ এলাকায় কাজ শুরুর মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। শনির হাওরের সাহেবনগর, জালালপুর, নয়ানগর, মারালা, ইগ্রামপুর, নিশ্চিন্তপুর, মুরাদনগর, শ্রীপুর হয়ে তাহিরপুর পর্যন্ত যেসব জায়গায় প্রতিবছর বাঁধের কাজ হয়, সেসব জায়গায় বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো আলামত চোখে পড়েনি। শুধু তা-ই নয়, হালি হাওরের একাংশ ঘুরে একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে।
হাওর-সচেতন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরের রাজধানীখ্যাত সুনামগঞ্জ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। ওই বোরো ফসল হাতছাড়া হলে দুঃখের সীমা থাকে না এখানকার মানুষের। টেকসই ঝুঁকিমুক্ত বাঁধই পারে এক ফসলি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখতে। এর মধ্যে বাঁধের কাজে ব্যত্যয় ঘটলে গোটা হাওরাঞ্চল ঝুঁকিতে পড়বে।
কথা হয় তাহিরপুরের শনির হাওর পারের নয়ানগর গ্রামের কৃষক বাপ্পি মিয়ার সঙ্গে। বাঁধের প্রাক্কলন-জরিপের কাজ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরার গেরামের আশপাশে প্রতিবছরই পিআইসিরা বাঁধের কাজ করে। এই বছর জরিপের কাজ এখনো হইছে না, কয়দিনের মধ্যে হয়তো করব। সময় তো চইল্যা যাইতাছে (চলে যাচ্ছে)। তাড়াতাড়ি (দ্রুত) কাজ না করলে তো পরে আমরার দৌড়াদৌড়ি করন (করা) লাগে।’
জানা যায়, ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে ভয়াবহ হাওর বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ওই বছর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। সেই দুর্নীতি ঠেকাতে নতুন কাবিটা নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার। এই নীতিমালার আলোকে বিলুপ্ত হয় আগের ঠিকাদারি প্রথা। হাওরপারের কৃষিজীবী মানুষের সমন্বয়ে পিআইসি গঠন করে বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার নতুন নির্দেশনা জারি করা হয় নীতিমালায়। কিন্তু পুরোনো প্রথাই বলবৎ আছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে।
নীতিমালায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন; ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার কথা বলা আছে। কিন্তু পিআইসি গঠন দূরের কথা, এখন পর্যন্ত প্রাক্কলন ও জরিপের কাজই শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষক ও হাওর-সচেতন মানুষের মাঝে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার ও মেরামতে এ বছর ৬৯০টি পিআইসি গঠন করা হতে পারে। এ কাজে প্রাথমিক বরাদ্দ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। জেলার ৯৫টি হাওরের মধ্যে বাঁধের কাজ হবে ৫৩টি হাওরে। চলতি বছরে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ এলাকায় সংস্কার ও মেরামতের কাজ হবে। ধর্মপাশা ও শাল্লায় বাঁধের কাজ সবচেয়ে বেশি।
শাল্লা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি তরুণ কান্তি দাস বলেন, ‘২০১৭ সালের প্রলয়ংকরী হাওর বিপর্যয়ের পর বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ আসেনি। যে কারণে বাঁধ হওয়া না হওয়া নিয়ে তেমন প্রভাব পড়েনি। যদি অকালবন্যা পেয়ে বসে, তাহলে কৃষকের সর্বনাশ হবে। এখনো প্রাক্কলন-জরিপের কাজই চলছে। কাজের এই মন্থরগতি বিপদে ফেলতে পারে হাওরবাসীকে।’
পিআইসি গঠনপ্রক্রিয়া চলমান আছে জানিয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরে এখন পর্যন্ত ৮৬টি ক্লোজার (বাঁধের বড় ভাঙা) শনাক্ত করা হয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলার ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বাঁধে জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। প্রাক্কলনের কাজও ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক অরাজকতা এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু থেকে শুরু করে টেন্ডার, নির্মাণ ও অর্থের ব্যবহার—প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ তাঁর
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেকলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তবে তিনি কোন রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচন করবেন, তা এখনো নিশ্চিত করেননি।
আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন কলাপাড়া উপজেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া জেড এম কাওসার, মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান ইউসুফসহ মুফতি হাবিবুর রহমানের অনুসারীরা।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণার মাধ্যমে পটুয়াখালী-১ ও ৪ আসনে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁর ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও আমির পটুয়াখালী-১ আসনে নির্বাচন করার জন্য নির্ধারণ করে দেন। এ কারণে তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্ট্রোক করে তিনি বুঝতে পারেন, এই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ায় তাঁর হৃদয়ের রক্তনালি ছিঁড়ে গেছে। তাই তিনি ফিরে এসেছেন।
হাবিবুর রহমান আরও জানান, তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার মানুষের পাশে থাকবেন এবং আগামী দিনে তিনি এই অঞ্চলের চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়াবেন। বর্তমানে যেভাবে তিনি সাধারণ জীবন যাপন করছেন, এরচেয়ে বেশি বিলাসী জীবন যাপন করবেন না, গাড়ি হবে না, বাড়ি হবে না, তিনি যা আছেন, তা-ই থাকবেন।
এর আগে বিকেলে তিনি শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে কলাপাড়া পৌর শহরে শোডাউন দেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তবে তিনি কোন রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচন করবেন, তা এখনো নিশ্চিত করেননি।
আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন কলাপাড়া উপজেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া জেড এম কাওসার, মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান ইউসুফসহ মুফতি হাবিবুর রহমানের অনুসারীরা।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণার মাধ্যমে পটুয়াখালী-১ ও ৪ আসনে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁর ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও আমির পটুয়াখালী-১ আসনে নির্বাচন করার জন্য নির্ধারণ করে দেন। এ কারণে তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্ট্রোক করে তিনি বুঝতে পারেন, এই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ায় তাঁর হৃদয়ের রক্তনালি ছিঁড়ে গেছে। তাই তিনি ফিরে এসেছেন।
হাবিবুর রহমান আরও জানান, তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার মানুষের পাশে থাকবেন এবং আগামী দিনে তিনি এই অঞ্চলের চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়াবেন। বর্তমানে যেভাবে তিনি সাধারণ জীবন যাপন করছেন, এরচেয়ে বেশি বিলাসী জীবন যাপন করবেন না, গাড়ি হবে না, বাড়ি হবে না, তিনি যা আছেন, তা-ই থাকবেন।
এর আগে বিকেলে তিনি শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে কলাপাড়া পৌর শহরে শোডাউন দেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক অরাজকতা এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট ইস্যু থেকে শুরু করে টেন্ডার, নির্মাণ ও অর্থের ব্যবহার—প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ তাঁর
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
১ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে