চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরে রুজিনা (২০) নামের এক তরুণীকে গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য এনে তাঁর মামা ও মামি পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চার মাস ধরে তাঁর ওপর এই নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতন সইতে না পেরে কাঁধে, হাতে, পিঠে ছ্যাঁকা ও ক্ষতচিহ্ন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন এই তরুণী।
বিকেলে রুজিনাকে রাস্তার ধারে বসে কাঁদতে দেখে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। অভিযোগের ভিত্তিতে রুজিনার মামা ও মামিকে আটক করা হয়েছে। আটক দম্পতি হলেন রোকেয়া বেগম ও কাউসার রুবেল মোল্লা।
নির্যাতনের শিকার রুজিনা বলেন, ‘মামা-মামি আমার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি। প্রতিদিন মারতেন। পিঠে ব্লেড ও দা দিয়ে জখম করেন। গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাঁকা দিতেন। পায়ের আঙুলগুলো পুতা দিয়ে থেঁতলে দেন। পুতা, দা, ছুরিসহ নানা কিছু দিয়ে শরীরে আঘাত করতেন। দুই হাতে পেটানোর কারণে ফুলে গেছে। আমাকে ঠিকমতো খাবার দিতেন না। কিছু হলেই নির্যাতন করতেন।’
রুজিনা আরও বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) মামি বাসায় ছিলেন না। এসেই কোনো না কোনো অজুহাতে মারতেন। তাই দরজা খুলে বের হয়ে যাই। আমার মামি আমার সঙ্গে যা করেছেন, আমি এর বিচার চাই।’
ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, আপন মামাতো বোন শিশু রাজিয়া ও মামাতো ভাই প্রতিবন্ধী রিফাতকে দেখাশোনা করার জন্য ছয় মাস আগে তাঁকে তাঁর মামা চাঁদপুরের বাসায় নিয়ে আসেন। শহরের মাদ্রাসা রোডে তাঁর মামা রুবেল মোল্লার বাসা। চার মাস ধরে কারণে-অকারণে ভুল ধরে রুজিনার ওপর অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতন চালান মামি রোকেয়া বেগম।
মোরশেদ আলম ও ফরহাদ হোসেন নামের দুই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রুজিনা রাস্তার পাশে বসে কাঁদছিলেন। তাঁকে কথায় কথায় নির্যাতন করা হয়, মামার বাসা থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন বলে জানান। পরে তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁর কাছ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ শুনে কাউসার রুবেল মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী রোকেয়াকে আটক করা হয়।
নির্যাতনের শিকার রুজিনার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের একটি গ্রামে। রুবেল মোল্লা আবুল মোল্লার ছেলে। রুজিনা তাঁর আপন ভাগনি। রুবেল মোল্লা ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
রুজিনা বলেন, ‘ছয় মাস আগে মামার বাসায় কাজ করার জন্য আনা হয়। কাজ করার সময় কারণে-অকারণে মামি মারধর করেন। কোনো ভুল হলেই মারধর করতেন এবং গালমন্দ করতেন। কাজ করলে ভুল হতেও পারে। আমাকে পুতা, কাঠ ও দা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। চার মাস ধরে এভাবে মারধর চলে। মামা কয়েকবার ওষুধ এনে দিয়েছেন, কিন্তু ক্ষত সারেনি।’
এদিকে ঘটনাটি জেনে থানায় আসেন রুজিনার বাবা আলী আহম্মদ ভূঁইয়া। তিনি মেয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মেয়েটিকে তাঁর বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।
আলী আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে এমন নির্যাতনের শিকার আমি জানতাম না। বাড়ি নিয়ে আসার জন্য বললে রুবেল বলত, পরে নিয়ে আসব। রুজিনা ঢাকায় আমার বড় মেয়ের কাছে ছিল। সেখান থেকে আমাকে না জানিয়ে রুবেলের বাসায় নিয়ে আসে। রোকেয়া আমার মেয়েকে এমন নির্যাতন করেছে, কেউ না দেখলে বিশ্বাস করবে না। এই নিষ্ঠুর মহিলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাই।’
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে গৃহকর্মী মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটির পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁদপুরে রুজিনা (২০) নামের এক তরুণীকে গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য এনে তাঁর মামা ও মামি পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চার মাস ধরে তাঁর ওপর এই নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতন সইতে না পেরে কাঁধে, হাতে, পিঠে ছ্যাঁকা ও ক্ষতচিহ্ন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন এই তরুণী।
বিকেলে রুজিনাকে রাস্তার ধারে বসে কাঁদতে দেখে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। অভিযোগের ভিত্তিতে রুজিনার মামা ও মামিকে আটক করা হয়েছে। আটক দম্পতি হলেন রোকেয়া বেগম ও কাউসার রুবেল মোল্লা।
নির্যাতনের শিকার রুজিনা বলেন, ‘মামা-মামি আমার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি। প্রতিদিন মারতেন। পিঠে ব্লেড ও দা দিয়ে জখম করেন। গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাঁকা দিতেন। পায়ের আঙুলগুলো পুতা দিয়ে থেঁতলে দেন। পুতা, দা, ছুরিসহ নানা কিছু দিয়ে শরীরে আঘাত করতেন। দুই হাতে পেটানোর কারণে ফুলে গেছে। আমাকে ঠিকমতো খাবার দিতেন না। কিছু হলেই নির্যাতন করতেন।’
রুজিনা আরও বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) মামি বাসায় ছিলেন না। এসেই কোনো না কোনো অজুহাতে মারতেন। তাই দরজা খুলে বের হয়ে যাই। আমার মামি আমার সঙ্গে যা করেছেন, আমি এর বিচার চাই।’
ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, আপন মামাতো বোন শিশু রাজিয়া ও মামাতো ভাই প্রতিবন্ধী রিফাতকে দেখাশোনা করার জন্য ছয় মাস আগে তাঁকে তাঁর মামা চাঁদপুরের বাসায় নিয়ে আসেন। শহরের মাদ্রাসা রোডে তাঁর মামা রুবেল মোল্লার বাসা। চার মাস ধরে কারণে-অকারণে ভুল ধরে রুজিনার ওপর অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতন চালান মামি রোকেয়া বেগম।
মোরশেদ আলম ও ফরহাদ হোসেন নামের দুই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রুজিনা রাস্তার পাশে বসে কাঁদছিলেন। তাঁকে কথায় কথায় নির্যাতন করা হয়, মামার বাসা থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন বলে জানান। পরে তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁর কাছ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ শুনে কাউসার রুবেল মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী রোকেয়াকে আটক করা হয়।
নির্যাতনের শিকার রুজিনার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের একটি গ্রামে। রুবেল মোল্লা আবুল মোল্লার ছেলে। রুজিনা তাঁর আপন ভাগনি। রুবেল মোল্লা ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
রুজিনা বলেন, ‘ছয় মাস আগে মামার বাসায় কাজ করার জন্য আনা হয়। কাজ করার সময় কারণে-অকারণে মামি মারধর করেন। কোনো ভুল হলেই মারধর করতেন এবং গালমন্দ করতেন। কাজ করলে ভুল হতেও পারে। আমাকে পুতা, কাঠ ও দা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। চার মাস ধরে এভাবে মারধর চলে। মামা কয়েকবার ওষুধ এনে দিয়েছেন, কিন্তু ক্ষত সারেনি।’
এদিকে ঘটনাটি জেনে থানায় আসেন রুজিনার বাবা আলী আহম্মদ ভূঁইয়া। তিনি মেয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মেয়েটিকে তাঁর বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।
আলী আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে এমন নির্যাতনের শিকার আমি জানতাম না। বাড়ি নিয়ে আসার জন্য বললে রুবেল বলত, পরে নিয়ে আসব। রুজিনা ঢাকায় আমার বড় মেয়ের কাছে ছিল। সেখান থেকে আমাকে না জানিয়ে রুবেলের বাসায় নিয়ে আসে। রোকেয়া আমার মেয়েকে এমন নির্যাতন করেছে, কেউ না দেখলে বিশ্বাস করবে না। এই নিষ্ঠুর মহিলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাই।’
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে গৃহকর্মী মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটির পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরে রুজিনা (২০) নামের এক তরুণীকে গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য এনে তাঁর মামা ও মামি পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চার মাস ধরে তাঁর ওপর এই নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতন সইতে না পেরে কাঁধে, হাতে, পিঠে ছ্যাঁকা ও ক্ষতচিহ্ন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন এই তরুণী।
বিকেলে রুজিনাকে রাস্তার ধারে বসে কাঁদতে দেখে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। অভিযোগের ভিত্তিতে রুজিনার মামা ও মামিকে আটক করা হয়েছে। আটক দম্পতি হলেন রোকেয়া বেগম ও কাউসার রুবেল মোল্লা।
নির্যাতনের শিকার রুজিনা বলেন, ‘মামা-মামি আমার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি। প্রতিদিন মারতেন। পিঠে ব্লেড ও দা দিয়ে জখম করেন। গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাঁকা দিতেন। পায়ের আঙুলগুলো পুতা দিয়ে থেঁতলে দেন। পুতা, দা, ছুরিসহ নানা কিছু দিয়ে শরীরে আঘাত করতেন। দুই হাতে পেটানোর কারণে ফুলে গেছে। আমাকে ঠিকমতো খাবার দিতেন না। কিছু হলেই নির্যাতন করতেন।’
রুজিনা আরও বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) মামি বাসায় ছিলেন না। এসেই কোনো না কোনো অজুহাতে মারতেন। তাই দরজা খুলে বের হয়ে যাই। আমার মামি আমার সঙ্গে যা করেছেন, আমি এর বিচার চাই।’
ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, আপন মামাতো বোন শিশু রাজিয়া ও মামাতো ভাই প্রতিবন্ধী রিফাতকে দেখাশোনা করার জন্য ছয় মাস আগে তাঁকে তাঁর মামা চাঁদপুরের বাসায় নিয়ে আসেন। শহরের মাদ্রাসা রোডে তাঁর মামা রুবেল মোল্লার বাসা। চার মাস ধরে কারণে-অকারণে ভুল ধরে রুজিনার ওপর অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতন চালান মামি রোকেয়া বেগম।
মোরশেদ আলম ও ফরহাদ হোসেন নামের দুই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রুজিনা রাস্তার পাশে বসে কাঁদছিলেন। তাঁকে কথায় কথায় নির্যাতন করা হয়, মামার বাসা থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন বলে জানান। পরে তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁর কাছ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ শুনে কাউসার রুবেল মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী রোকেয়াকে আটক করা হয়।
নির্যাতনের শিকার রুজিনার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের একটি গ্রামে। রুবেল মোল্লা আবুল মোল্লার ছেলে। রুজিনা তাঁর আপন ভাগনি। রুবেল মোল্লা ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
রুজিনা বলেন, ‘ছয় মাস আগে মামার বাসায় কাজ করার জন্য আনা হয়। কাজ করার সময় কারণে-অকারণে মামি মারধর করেন। কোনো ভুল হলেই মারধর করতেন এবং গালমন্দ করতেন। কাজ করলে ভুল হতেও পারে। আমাকে পুতা, কাঠ ও দা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। চার মাস ধরে এভাবে মারধর চলে। মামা কয়েকবার ওষুধ এনে দিয়েছেন, কিন্তু ক্ষত সারেনি।’
এদিকে ঘটনাটি জেনে থানায় আসেন রুজিনার বাবা আলী আহম্মদ ভূঁইয়া। তিনি মেয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মেয়েটিকে তাঁর বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।
আলী আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে এমন নির্যাতনের শিকার আমি জানতাম না। বাড়ি নিয়ে আসার জন্য বললে রুবেল বলত, পরে নিয়ে আসব। রুজিনা ঢাকায় আমার বড় মেয়ের কাছে ছিল। সেখান থেকে আমাকে না জানিয়ে রুবেলের বাসায় নিয়ে আসে। রোকেয়া আমার মেয়েকে এমন নির্যাতন করেছে, কেউ না দেখলে বিশ্বাস করবে না। এই নিষ্ঠুর মহিলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাই।’
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে গৃহকর্মী মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটির পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁদপুরে রুজিনা (২০) নামের এক তরুণীকে গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য এনে তাঁর মামা ও মামি পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চার মাস ধরে তাঁর ওপর এই নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতন সইতে না পেরে কাঁধে, হাতে, পিঠে ছ্যাঁকা ও ক্ষতচিহ্ন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন এই তরুণী।
বিকেলে রুজিনাকে রাস্তার ধারে বসে কাঁদতে দেখে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। অভিযোগের ভিত্তিতে রুজিনার মামা ও মামিকে আটক করা হয়েছে। আটক দম্পতি হলেন রোকেয়া বেগম ও কাউসার রুবেল মোল্লা।
নির্যাতনের শিকার রুজিনা বলেন, ‘মামা-মামি আমার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি। প্রতিদিন মারতেন। পিঠে ব্লেড ও দা দিয়ে জখম করেন। গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাঁকা দিতেন। পায়ের আঙুলগুলো পুতা দিয়ে থেঁতলে দেন। পুতা, দা, ছুরিসহ নানা কিছু দিয়ে শরীরে আঘাত করতেন। দুই হাতে পেটানোর কারণে ফুলে গেছে। আমাকে ঠিকমতো খাবার দিতেন না। কিছু হলেই নির্যাতন করতেন।’
রুজিনা আরও বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) মামি বাসায় ছিলেন না। এসেই কোনো না কোনো অজুহাতে মারতেন। তাই দরজা খুলে বের হয়ে যাই। আমার মামি আমার সঙ্গে যা করেছেন, আমি এর বিচার চাই।’
ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, আপন মামাতো বোন শিশু রাজিয়া ও মামাতো ভাই প্রতিবন্ধী রিফাতকে দেখাশোনা করার জন্য ছয় মাস আগে তাঁকে তাঁর মামা চাঁদপুরের বাসায় নিয়ে আসেন। শহরের মাদ্রাসা রোডে তাঁর মামা রুবেল মোল্লার বাসা। চার মাস ধরে কারণে-অকারণে ভুল ধরে রুজিনার ওপর অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতন চালান মামি রোকেয়া বেগম।
মোরশেদ আলম ও ফরহাদ হোসেন নামের দুই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রুজিনা রাস্তার পাশে বসে কাঁদছিলেন। তাঁকে কথায় কথায় নির্যাতন করা হয়, মামার বাসা থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন বলে জানান। পরে তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁর কাছ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ শুনে কাউসার রুবেল মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী রোকেয়াকে আটক করা হয়।
নির্যাতনের শিকার রুজিনার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের একটি গ্রামে। রুবেল মোল্লা আবুল মোল্লার ছেলে। রুজিনা তাঁর আপন ভাগনি। রুবেল মোল্লা ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
রুজিনা বলেন, ‘ছয় মাস আগে মামার বাসায় কাজ করার জন্য আনা হয়। কাজ করার সময় কারণে-অকারণে মামি মারধর করেন। কোনো ভুল হলেই মারধর করতেন এবং গালমন্দ করতেন। কাজ করলে ভুল হতেও পারে। আমাকে পুতা, কাঠ ও দা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। চার মাস ধরে এভাবে মারধর চলে। মামা কয়েকবার ওষুধ এনে দিয়েছেন, কিন্তু ক্ষত সারেনি।’
এদিকে ঘটনাটি জেনে থানায় আসেন রুজিনার বাবা আলী আহম্মদ ভূঁইয়া। তিনি মেয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মেয়েটিকে তাঁর বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।
আলী আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে এমন নির্যাতনের শিকার আমি জানতাম না। বাড়ি নিয়ে আসার জন্য বললে রুবেল বলত, পরে নিয়ে আসব। রুজিনা ঢাকায় আমার বড় মেয়ের কাছে ছিল। সেখান থেকে আমাকে না জানিয়ে রুবেলের বাসায় নিয়ে আসে। রোকেয়া আমার মেয়েকে এমন নির্যাতন করেছে, কেউ না দেখলে বিশ্বাস করবে না। এই নিষ্ঠুর মহিলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাই।’
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে গৃহকর্মী মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটির পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’
১ মিনিট আগে
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিচা গ্রামের মোলায়েমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি কারখানায় লিকেজ থেকে গ্যাস বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। রোববার ভোরে এম এস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং নামে ওই কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলার অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি গ্রামের মধ্যপাড়ায় হাডুডু খেলার পুরস্কার বিতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেরাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর)

কার্তিকের এই সময়ে যখন কৃষকের মাঠভরা ধান দেখে আনন্দের নিশ্বাস ফেলার কথা, তখন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর-তেরাইল মাঠের রোপা আমনচাষি মিরাজুল ইসলামকে হতাশা নিয়েই ছুটতে হচ্ছে মাঠে। কারেন্ট পোকার (ঘাসফড়িং) আক্রমণে তাঁর দেড় বিঘা জমির ধান একেবারে শেষ হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে তেমন সঠিক কোনো দিকনির্দেশনাও পাইনি। কৃষি অফিস থেকে যদি সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যেত কোন কীটনাশক ব্যবহার করলে ভালো হবে, তাহলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মজুরি খরচ, সার ও কীটনাশকের বাড়তি দামে কৃষকের নাভিশ্বাস উঠেছে। এর মধ্যেই আমনে কারেন্ট পোকার আক্রমণ মারাত্মক রূপ নিয়েছে। পোকার আক্রমণে কৃষক মিরাজুল ইসলামের ধানের গাছ শুকিয়ে সাদা হয়ে শুধু খড় দেখা যাচ্ছে। যেটুকু আছে, তা-ও দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় চাষি আব্দুল মজিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আগে থাইডন, বাসোডিনের মতো বিষ ছিল, যা প্রয়োগ করলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ হতো। কিন্তু এখনকার বিষে কোনো কাজ হয় না, এগুলো ভেজালে পরিপূর্ণ। বিষ কোম্পানিগুলো আসলে কী বিষ দেয়? এভাবে চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোথায় যাবে?’
আরেক ধানচাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মিরাজ নামের এই চাষির ধান কারেন্ট পোকার আক্রমণে এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে বিচালি (খড়) করাও সম্ভব না। ধানের জমি খড়ের মতো হয়ে গেছে। এই মাঠে তার ধান অত্যন্ত সুন্দর হয়েছিল এবং সে তার ধানের প্রতি খুবই যত্নবান ছিল। সে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত মিয়া বলেন, ‘রোপা আমন মৌসুমে স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের রোগ দেখা দেয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে এনেছি পুরোপুরি। বাজারে বিভিন্ন ভেজাল কীটনাশক রয়েছে। এর মধ্য থেকে আসলটা বাছাই করে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব উপসহকারী রয়েছে, তাদের বলা আছে কৃষকদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য।’

কার্তিকের এই সময়ে যখন কৃষকের মাঠভরা ধান দেখে আনন্দের নিশ্বাস ফেলার কথা, তখন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর-তেরাইল মাঠের রোপা আমনচাষি মিরাজুল ইসলামকে হতাশা নিয়েই ছুটতে হচ্ছে মাঠে। কারেন্ট পোকার (ঘাসফড়িং) আক্রমণে তাঁর দেড় বিঘা জমির ধান একেবারে শেষ হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে তেমন সঠিক কোনো দিকনির্দেশনাও পাইনি। কৃষি অফিস থেকে যদি সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যেত কোন কীটনাশক ব্যবহার করলে ভালো হবে, তাহলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মজুরি খরচ, সার ও কীটনাশকের বাড়তি দামে কৃষকের নাভিশ্বাস উঠেছে। এর মধ্যেই আমনে কারেন্ট পোকার আক্রমণ মারাত্মক রূপ নিয়েছে। পোকার আক্রমণে কৃষক মিরাজুল ইসলামের ধানের গাছ শুকিয়ে সাদা হয়ে শুধু খড় দেখা যাচ্ছে। যেটুকু আছে, তা-ও দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় চাষি আব্দুল মজিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আগে থাইডন, বাসোডিনের মতো বিষ ছিল, যা প্রয়োগ করলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ হতো। কিন্তু এখনকার বিষে কোনো কাজ হয় না, এগুলো ভেজালে পরিপূর্ণ। বিষ কোম্পানিগুলো আসলে কী বিষ দেয়? এভাবে চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোথায় যাবে?’
আরেক ধানচাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মিরাজ নামের এই চাষির ধান কারেন্ট পোকার আক্রমণে এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে বিচালি (খড়) করাও সম্ভব না। ধানের জমি খড়ের মতো হয়ে গেছে। এই মাঠে তার ধান অত্যন্ত সুন্দর হয়েছিল এবং সে তার ধানের প্রতি খুবই যত্নবান ছিল। সে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত মিয়া বলেন, ‘রোপা আমন মৌসুমে স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের রোগ দেখা দেয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে এনেছি পুরোপুরি। বাজারে বিভিন্ন ভেজাল কীটনাশক রয়েছে। এর মধ্য থেকে আসলটা বাছাই করে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব উপসহকারী রয়েছে, তাদের বলা আছে কৃষকদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য।’

নির্যাতনের শিকার রুজিনা বলেন, ‘মামা-মামি আমার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি। প্রতিদিন মারতেন। পিঠে ব্লেড ও দা দিয়ে জখম করেন। গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাঁকা দিতেন। পায়ের আঙুলগুলো পুতা দিয়ে থেঁতলে দেন। পুতা, দা, ছুরিসহ নানা কিছু দিয়ে শরীরে আঘাত করতেন। দুই হাতে পেটানোর কারণে ফুলে গেছে। আমাকে ঠিকমতো...
০৬ মার্চ ২০২৫
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিচা গ্রামের মোলায়েমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি কারখানায় লিকেজ থেকে গ্যাস বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। রোববার ভোরে এম এস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং নামে ওই কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলার অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি গ্রামের মধ্যপাড়ায় হাডুডু খেলার পুরস্কার বিতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেবদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিচা গ্রামের মোলায়েমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরের দিকে বদলগাছী উপজেলার আক্কেলপুর মধ্যপাড়া (মণ্ডলপাড়া) গ্রামে মুসা নামের এক ব্যক্তির নারকেলগাছে উঠেছিলেন আসলাম। ধারণা করা হচ্ছে, ডাব চুরি করার সময় তিনি গাছ থেকে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা গাছের নিচে ডাবসহ লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে বদলগাছী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাব পাড়তে গিয়ে পা ফসকে পড়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিচা গ্রামের মোলায়েমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরের দিকে বদলগাছী উপজেলার আক্কেলপুর মধ্যপাড়া (মণ্ডলপাড়া) গ্রামে মুসা নামের এক ব্যক্তির নারকেলগাছে উঠেছিলেন আসলাম। ধারণা করা হচ্ছে, ডাব চুরি করার সময় তিনি গাছ থেকে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা গাছের নিচে ডাবসহ লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে বদলগাছী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাব পাড়তে গিয়ে পা ফসকে পড়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার রুজিনা বলেন, ‘মামা-মামি আমার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি। প্রতিদিন মারতেন। পিঠে ব্লেড ও দা দিয়ে জখম করেন। গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাঁকা দিতেন। পায়ের আঙুলগুলো পুতা দিয়ে থেঁতলে দেন। পুতা, দা, ছুরিসহ নানা কিছু দিয়ে শরীরে আঘাত করতেন। দুই হাতে পেটানোর কারণে ফুলে গেছে। আমাকে ঠিকমতো...
০৬ মার্চ ২০২৫
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’
১ মিনিট আগে
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি কারখানায় লিকেজ থেকে গ্যাস বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। রোববার ভোরে এম এস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং নামে ওই কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলার অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি গ্রামের মধ্যপাড়ায় হাডুডু খেলার পুরস্কার বিতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিসিক শিল্পনগরীতে এমএস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং নামে একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন— কারখানাটির শ্রমিক আল আমিন (৩০), আজিজুল্লাহ (৩২), মো. সেলিম (৩৫), মো. জালাল মোল্লা (৪০), মো. নাজমুল হুদা (৩৫) এবং সিকিউরিটি গার্ড সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ (৩৫)।
দগ্ধরা জানান, সকালে কারখানার নিচতলায় বয়লার রুমে কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই সেই কক্ষে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এতে ৬ জনের শরীর ঝলসে যায়। সহকর্মীরা দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সবার অবস্থাই গুরুতর। কার শরীরে কত শতাংশ পুড়েছে তা পরবর্তীতে বলা যাবে।
ফতুল্লা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, সকালে এসএম ডাইং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কারাখানা থেকে কোনো তাদের (ফায়ার সার্ভিস) বিস্ফোরণের সংবাদ জানানো হয়নি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করছেন। বিস্ফোরণের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় কারখানাটির বেশ কয়েক শ্রমিক-কর্মচারী আহত হয়েছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগুনে দগ্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। অফিশিয়ালি আমাদের এই বিষয়ে কেউ তথ্য দেয়নি। গণমাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিসিক শিল্পনগরীতে এমএস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং নামে একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন— কারখানাটির শ্রমিক আল আমিন (৩০), আজিজুল্লাহ (৩২), মো. সেলিম (৩৫), মো. জালাল মোল্লা (৪০), মো. নাজমুল হুদা (৩৫) এবং সিকিউরিটি গার্ড সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ (৩৫)।
দগ্ধরা জানান, সকালে কারখানার নিচতলায় বয়লার রুমে কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই সেই কক্ষে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এতে ৬ জনের শরীর ঝলসে যায়। সহকর্মীরা দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সবার অবস্থাই গুরুতর। কার শরীরে কত শতাংশ পুড়েছে তা পরবর্তীতে বলা যাবে।
ফতুল্লা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, সকালে এসএম ডাইং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কারাখানা থেকে কোনো তাদের (ফায়ার সার্ভিস) বিস্ফোরণের সংবাদ জানানো হয়নি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করছেন। বিস্ফোরণের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় কারখানাটির বেশ কয়েক শ্রমিক-কর্মচারী আহত হয়েছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগুনে দগ্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। অফিশিয়ালি আমাদের এই বিষয়ে কেউ তথ্য দেয়নি। গণমাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’

নির্যাতনের শিকার রুজিনা বলেন, ‘মামা-মামি আমার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি। প্রতিদিন মারতেন। পিঠে ব্লেড ও দা দিয়ে জখম করেন। গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাঁকা দিতেন। পায়ের আঙুলগুলো পুতা দিয়ে থেঁতলে দেন। পুতা, দা, ছুরিসহ নানা কিছু দিয়ে শরীরে আঘাত করতেন। দুই হাতে পেটানোর কারণে ফুলে গেছে। আমাকে ঠিকমতো...
০৬ মার্চ ২০২৫
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’
১ মিনিট আগে
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিচা গ্রামের মোলায়েমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলার অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি গ্রামের মধ্যপাড়ায় হাডুডু খেলার পুরস্কার বিতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলার অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি গ্রামের মধ্যপাড়ায় হাডুডু খেলার পুরস্কার বিতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান, বিদ্যানন্দকাটির কামরুজ্জামান (২৮), মির্জাপুর গ্রামের আবু মুসা (২০), পাত্রপাড়া গ্রামের নয়ন (২১), সাগরদত্তকাটি গ্রামের সুমন হোসেন (২৫), মইনুল ইসলাম (২৫), মনোহরনগর গ্রামের আলী হাসান, মজিদপুর গ্রামের রিয়াদ হোসেন (২২) ও মাদারডাঙ্গা গ্রামের মাসুদ হোসেন (২৩)। রাতে আহত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খেলা দেখতে আসা একাধিক দর্শক জানান, আটদলীয় হাডুডু টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ও অতিথি নির্বাচন নিয়ে আয়োজক কমিটির দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
শনিবার দুপুরে পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মুকুল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করার পরই আয়োজক কমিটির একটি অংশ এতে আপত্তি জানিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকা মকবুল হোসেন মুকুলকে উদ্দেশ করে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকলে তিনি মঞ্চ থেকে চলে যান।
সন্ধ্যায় ওই হাডুডু খেলার ফাইনাল দেখার জন্য মঞ্চে আসেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান। ফাইনালে উপজেলার বুড়ুলি দল খুলনার চুকনগর দলকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের কাছে পুরস্কার হিসেবে ফ্রিজ হস্তান্তর করার সময় একদল যুবক মঞ্চে এসে অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় মঞ্চে থাকা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমানসহ আরও কয়েকজন আহত হন। হামলার কারণে দর্শকেরা ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খেলার রেফারি শওকত হোসেন বলেন, সুষ্ঠুভাবে হাডুডু খেলা সম্পন্ন হলেও পুরস্কার বিতরণের সময় ওই ঘটনা ঘটে। টুর্নামেন্টের সভাপতি রেজাউল করিম সরদার বলেন, ‘হামলা শুরু হলে আমি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করি।’
পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, ‘কিছু যুবক পুরস্কার বিতরণের সময় হামলা চালিয়েছে। ওই সময় আমি সেখানে ছিলাম না এবং এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয়ও নয়।’
এ ব্যাপারে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের বিট পুলিশিংয়ের সহকারী কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মামুন বলেন, খেলার অনুষ্ঠানে মারামারির ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলার অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি গ্রামের মধ্যপাড়ায় হাডুডু খেলার পুরস্কার বিতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান, বিদ্যানন্দকাটির কামরুজ্জামান (২৮), মির্জাপুর গ্রামের আবু মুসা (২০), পাত্রপাড়া গ্রামের নয়ন (২১), সাগরদত্তকাটি গ্রামের সুমন হোসেন (২৫), মইনুল ইসলাম (২৫), মনোহরনগর গ্রামের আলী হাসান, মজিদপুর গ্রামের রিয়াদ হোসেন (২২) ও মাদারডাঙ্গা গ্রামের মাসুদ হোসেন (২৩)। রাতে আহত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খেলা দেখতে আসা একাধিক দর্শক জানান, আটদলীয় হাডুডু টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ও অতিথি নির্বাচন নিয়ে আয়োজক কমিটির দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
শনিবার দুপুরে পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মুকুল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করার পরই আয়োজক কমিটির একটি অংশ এতে আপত্তি জানিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকা মকবুল হোসেন মুকুলকে উদ্দেশ করে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকলে তিনি মঞ্চ থেকে চলে যান।
সন্ধ্যায় ওই হাডুডু খেলার ফাইনাল দেখার জন্য মঞ্চে আসেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান। ফাইনালে উপজেলার বুড়ুলি দল খুলনার চুকনগর দলকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের কাছে পুরস্কার হিসেবে ফ্রিজ হস্তান্তর করার সময় একদল যুবক মঞ্চে এসে অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় মঞ্চে থাকা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমানসহ আরও কয়েকজন আহত হন। হামলার কারণে দর্শকেরা ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খেলার রেফারি শওকত হোসেন বলেন, সুষ্ঠুভাবে হাডুডু খেলা সম্পন্ন হলেও পুরস্কার বিতরণের সময় ওই ঘটনা ঘটে। টুর্নামেন্টের সভাপতি রেজাউল করিম সরদার বলেন, ‘হামলা শুরু হলে আমি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করি।’
পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, ‘কিছু যুবক পুরস্কার বিতরণের সময় হামলা চালিয়েছে। ওই সময় আমি সেখানে ছিলাম না এবং এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয়ও নয়।’
এ ব্যাপারে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের বিট পুলিশিংয়ের সহকারী কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মামুন বলেন, খেলার অনুষ্ঠানে মারামারির ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্যাতনের শিকার রুজিনা বলেন, ‘মামা-মামি আমার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি। প্রতিদিন মারতেন। পিঠে ব্লেড ও দা দিয়ে জখম করেন। গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাঁকা দিতেন। পায়ের আঙুলগুলো পুতা দিয়ে থেঁতলে দেন। পুতা, দা, ছুরিসহ নানা কিছু দিয়ে শরীরে আঘাত করতেন। দুই হাতে পেটানোর কারণে ফুলে গেছে। আমাকে ঠিকমতো...
০৬ মার্চ ২০২৫
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’
১ মিনিট আগে
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিচা গ্রামের মোলায়েমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি কারখানায় লিকেজ থেকে গ্যাস বিস্ফোরণে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। রোববার ভোরে এম এস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং নামে ওই কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে