শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হঠাৎ ধসে পড়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের ১০ গ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাঁধটির প্রায় ৫০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। প্রবল পানির চাপে ধসে যায় বাঁধসংলগ্ন সড়ক, উপড়ে পড়ে গাছপালা, আর কৃষিজমির বড় অংশ তলিয়ে গেছে। ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা বাঁধ ধসের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলা আর পাইপ বসানো প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।
প্রায় পাঁচ দশক আগে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যাণী গ্রামের বাঙ্গালী নদীর তীরে কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নির্মিত হয়েছিল।
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ধসে যাওয়া বাঁধের ফাঁক দিয়ে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই বাঁধের ওপর নির্ভর করেই এলাকার মানুষ কৃষিপণ্য পরিবহন, চলাচল ও যোগাযোগ কার্যক্রম চালাতেন। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় অনেকেই সর্বস্ব হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা না হলে বন্যার পানিতে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঙ্গালী নদীর উত্তরে নির্মিত এ বাঁধের দক্ষিণে রয়েছে বিল জয়সাগর খাল। এই খাল দিয়ে আগে অন্তত ২০টি গ্রামের পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পর সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বর্ষায় প্রায় এক হাজার একর জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকে। জলাবদ্ধতা দূর করতে এক দশক আগে এলাকাবাসী বাঁধের নিচে পাইপ স্থাপন করেন। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা স্লুইসগেট স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস ছাড়া আর কিছু মেলেনি।
এলাকাবাসী বলেন, এবারের বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন পাইপ স্থাপন করার জন্য সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে অর্থ উত্তোলন করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, এই কাজে মাটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বাঁধটি ধসে পড়েছে। সরকারি প্রকল্পের ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে চারটি পাইপ বসানো হয়েছিল। তার বাইরেও এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা তোলা হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে অব্যবস্থাপনা থাকায় কাজ শেষ হয়নি, বরং বাঁধই ধসে গেল।
চককল্যাণী গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, ধসের ফলে তাঁর প্রায় পাঁচ বিঘা ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। এসব জমিতে শাকসবজি চাষ করা হয়েছিল। দোকানি আবুল কাশেম বলেন, তাঁর দোকানটি বাঁধসংলগ্ন ছিল। ধসের সময় কিছু মালামাল সরাতে পারলেও দোকানটি ভেঙে পড়ে এবং পানিতে ভেসে যায়। স্থানীয় কারখানার মালিক রিপন আহমেদ জানান, তাঁর জালি টুপি তৈরির কারখানা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। এতে তাঁর পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে উঠে এসেছে অনিয়মের অভিযোগ। প্রকল্প সভাপতি ছিলেন সুঘাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুন্নবী তালুকদার। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে তাঁর ভূমিকা ছিল না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার তাঁর কাছ থেকে কেবল চেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন বিল জয়সাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। এদিকে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি প্রকল্প কমিটির কেউ নন। ১৭ জুলাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাঁর কাছে ১০ ইঞ্চি ব্যাস ও ২৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের পাইপ পাঠান। তিনি স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে সেগুলো বসান। সরকারি প্রকল্পে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে কাজ করানো নিয়েও এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘বাঁধটি সংস্কারের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের সভাপতির অসহযোগিতার কারণে অন্য একজনের মাধ্যমে মাত্র ৫০ হাজার টাকার পাইপ বসানো হয়েছে। বাঁধ ধসের আগে দক্ষিণ পাশে একটি অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দারা সেটি খুলে দিলে অতিরিক্ত পানির চাপে মূল বাঁধ ভেঙে যায়। আর স্থানীয়ভাবে টাকা তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান জানান, প্রকল্প সভাপতির অনুমোদন ছাড়া অন্য কারও মাধ্যমে কাজ করানো এবং জনগণের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন অনিয়ম। তিনি এসব বিষয়ে আগে অবগত ছিলেন না। যদি প্রকল্প বাস্তবায়নে অবহেলা বা অনিয়ম থেকে থাকে, তবে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ভাঙা বাঁধের স্থানে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হঠাৎ ধসে পড়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের ১০ গ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাঁধটির প্রায় ৫০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। প্রবল পানির চাপে ধসে যায় বাঁধসংলগ্ন সড়ক, উপড়ে পড়ে গাছপালা, আর কৃষিজমির বড় অংশ তলিয়ে গেছে। ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা বাঁধ ধসের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলা আর পাইপ বসানো প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।
প্রায় পাঁচ দশক আগে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যাণী গ্রামের বাঙ্গালী নদীর তীরে কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নির্মিত হয়েছিল।
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ধসে যাওয়া বাঁধের ফাঁক দিয়ে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই বাঁধের ওপর নির্ভর করেই এলাকার মানুষ কৃষিপণ্য পরিবহন, চলাচল ও যোগাযোগ কার্যক্রম চালাতেন। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় অনেকেই সর্বস্ব হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা না হলে বন্যার পানিতে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঙ্গালী নদীর উত্তরে নির্মিত এ বাঁধের দক্ষিণে রয়েছে বিল জয়সাগর খাল। এই খাল দিয়ে আগে অন্তত ২০টি গ্রামের পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পর সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বর্ষায় প্রায় এক হাজার একর জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকে। জলাবদ্ধতা দূর করতে এক দশক আগে এলাকাবাসী বাঁধের নিচে পাইপ স্থাপন করেন। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা স্লুইসগেট স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস ছাড়া আর কিছু মেলেনি।
এলাকাবাসী বলেন, এবারের বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন পাইপ স্থাপন করার জন্য সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে অর্থ উত্তোলন করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, এই কাজে মাটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বাঁধটি ধসে পড়েছে। সরকারি প্রকল্পের ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে চারটি পাইপ বসানো হয়েছিল। তার বাইরেও এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা তোলা হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে অব্যবস্থাপনা থাকায় কাজ শেষ হয়নি, বরং বাঁধই ধসে গেল।
চককল্যাণী গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, ধসের ফলে তাঁর প্রায় পাঁচ বিঘা ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। এসব জমিতে শাকসবজি চাষ করা হয়েছিল। দোকানি আবুল কাশেম বলেন, তাঁর দোকানটি বাঁধসংলগ্ন ছিল। ধসের সময় কিছু মালামাল সরাতে পারলেও দোকানটি ভেঙে পড়ে এবং পানিতে ভেসে যায়। স্থানীয় কারখানার মালিক রিপন আহমেদ জানান, তাঁর জালি টুপি তৈরির কারখানা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। এতে তাঁর পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে উঠে এসেছে অনিয়মের অভিযোগ। প্রকল্প সভাপতি ছিলেন সুঘাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুন্নবী তালুকদার। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে তাঁর ভূমিকা ছিল না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার তাঁর কাছ থেকে কেবল চেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন বিল জয়সাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। এদিকে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি প্রকল্প কমিটির কেউ নন। ১৭ জুলাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাঁর কাছে ১০ ইঞ্চি ব্যাস ও ২৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের পাইপ পাঠান। তিনি স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে সেগুলো বসান। সরকারি প্রকল্পে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে কাজ করানো নিয়েও এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘বাঁধটি সংস্কারের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের সভাপতির অসহযোগিতার কারণে অন্য একজনের মাধ্যমে মাত্র ৫০ হাজার টাকার পাইপ বসানো হয়েছে। বাঁধ ধসের আগে দক্ষিণ পাশে একটি অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দারা সেটি খুলে দিলে অতিরিক্ত পানির চাপে মূল বাঁধ ভেঙে যায়। আর স্থানীয়ভাবে টাকা তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান জানান, প্রকল্প সভাপতির অনুমোদন ছাড়া অন্য কারও মাধ্যমে কাজ করানো এবং জনগণের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন অনিয়ম। তিনি এসব বিষয়ে আগে অবগত ছিলেন না। যদি প্রকল্প বাস্তবায়নে অবহেলা বা অনিয়ম থেকে থাকে, তবে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ভাঙা বাঁধের স্থানে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হঠাৎ ধসে পড়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের ১০ গ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাঁধটির প্রায় ৫০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। প্রবল পানির চাপে ধসে যায় বাঁধসংলগ্ন সড়ক, উপড়ে পড়ে গাছপালা, আর কৃষিজমির বড় অংশ তলিয়ে গেছে। ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা বাঁধ ধসের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলা আর পাইপ বসানো প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।
প্রায় পাঁচ দশক আগে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যাণী গ্রামের বাঙ্গালী নদীর তীরে কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নির্মিত হয়েছিল।
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ধসে যাওয়া বাঁধের ফাঁক দিয়ে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই বাঁধের ওপর নির্ভর করেই এলাকার মানুষ কৃষিপণ্য পরিবহন, চলাচল ও যোগাযোগ কার্যক্রম চালাতেন। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় অনেকেই সর্বস্ব হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা না হলে বন্যার পানিতে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঙ্গালী নদীর উত্তরে নির্মিত এ বাঁধের দক্ষিণে রয়েছে বিল জয়সাগর খাল। এই খাল দিয়ে আগে অন্তত ২০টি গ্রামের পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পর সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বর্ষায় প্রায় এক হাজার একর জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকে। জলাবদ্ধতা দূর করতে এক দশক আগে এলাকাবাসী বাঁধের নিচে পাইপ স্থাপন করেন। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা স্লুইসগেট স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস ছাড়া আর কিছু মেলেনি।
এলাকাবাসী বলেন, এবারের বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন পাইপ স্থাপন করার জন্য সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে অর্থ উত্তোলন করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, এই কাজে মাটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বাঁধটি ধসে পড়েছে। সরকারি প্রকল্পের ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে চারটি পাইপ বসানো হয়েছিল। তার বাইরেও এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা তোলা হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে অব্যবস্থাপনা থাকায় কাজ শেষ হয়নি, বরং বাঁধই ধসে গেল।
চককল্যাণী গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, ধসের ফলে তাঁর প্রায় পাঁচ বিঘা ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। এসব জমিতে শাকসবজি চাষ করা হয়েছিল। দোকানি আবুল কাশেম বলেন, তাঁর দোকানটি বাঁধসংলগ্ন ছিল। ধসের সময় কিছু মালামাল সরাতে পারলেও দোকানটি ভেঙে পড়ে এবং পানিতে ভেসে যায়। স্থানীয় কারখানার মালিক রিপন আহমেদ জানান, তাঁর জালি টুপি তৈরির কারখানা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। এতে তাঁর পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে উঠে এসেছে অনিয়মের অভিযোগ। প্রকল্প সভাপতি ছিলেন সুঘাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুন্নবী তালুকদার। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে তাঁর ভূমিকা ছিল না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার তাঁর কাছ থেকে কেবল চেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন বিল জয়সাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। এদিকে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি প্রকল্প কমিটির কেউ নন। ১৭ জুলাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাঁর কাছে ১০ ইঞ্চি ব্যাস ও ২৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের পাইপ পাঠান। তিনি স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে সেগুলো বসান। সরকারি প্রকল্পে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে কাজ করানো নিয়েও এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘বাঁধটি সংস্কারের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের সভাপতির অসহযোগিতার কারণে অন্য একজনের মাধ্যমে মাত্র ৫০ হাজার টাকার পাইপ বসানো হয়েছে। বাঁধ ধসের আগে দক্ষিণ পাশে একটি অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দারা সেটি খুলে দিলে অতিরিক্ত পানির চাপে মূল বাঁধ ভেঙে যায়। আর স্থানীয়ভাবে টাকা তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান জানান, প্রকল্প সভাপতির অনুমোদন ছাড়া অন্য কারও মাধ্যমে কাজ করানো এবং জনগণের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন অনিয়ম। তিনি এসব বিষয়ে আগে অবগত ছিলেন না। যদি প্রকল্প বাস্তবায়নে অবহেলা বা অনিয়ম থেকে থাকে, তবে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ভাঙা বাঁধের স্থানে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হঠাৎ ধসে পড়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের ১০ গ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাঁধটির প্রায় ৫০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। প্রবল পানির চাপে ধসে যায় বাঁধসংলগ্ন সড়ক, উপড়ে পড়ে গাছপালা, আর কৃষিজমির বড় অংশ তলিয়ে গেছে। ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা বাঁধ ধসের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলা আর পাইপ বসানো প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।
প্রায় পাঁচ দশক আগে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যাণী গ্রামের বাঙ্গালী নদীর তীরে কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নির্মিত হয়েছিল।
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ধসে যাওয়া বাঁধের ফাঁক দিয়ে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই বাঁধের ওপর নির্ভর করেই এলাকার মানুষ কৃষিপণ্য পরিবহন, চলাচল ও যোগাযোগ কার্যক্রম চালাতেন। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় অনেকেই সর্বস্ব হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা না হলে বন্যার পানিতে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঙ্গালী নদীর উত্তরে নির্মিত এ বাঁধের দক্ষিণে রয়েছে বিল জয়সাগর খাল। এই খাল দিয়ে আগে অন্তত ২০টি গ্রামের পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পর সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বর্ষায় প্রায় এক হাজার একর জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকে। জলাবদ্ধতা দূর করতে এক দশক আগে এলাকাবাসী বাঁধের নিচে পাইপ স্থাপন করেন। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা স্লুইসগেট স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস ছাড়া আর কিছু মেলেনি।
এলাকাবাসী বলেন, এবারের বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন পাইপ স্থাপন করার জন্য সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে অর্থ উত্তোলন করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, এই কাজে মাটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বাঁধটি ধসে পড়েছে। সরকারি প্রকল্পের ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে চারটি পাইপ বসানো হয়েছিল। তার বাইরেও এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা তোলা হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে অব্যবস্থাপনা থাকায় কাজ শেষ হয়নি, বরং বাঁধই ধসে গেল।
চককল্যাণী গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, ধসের ফলে তাঁর প্রায় পাঁচ বিঘা ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। এসব জমিতে শাকসবজি চাষ করা হয়েছিল। দোকানি আবুল কাশেম বলেন, তাঁর দোকানটি বাঁধসংলগ্ন ছিল। ধসের সময় কিছু মালামাল সরাতে পারলেও দোকানটি ভেঙে পড়ে এবং পানিতে ভেসে যায়। স্থানীয় কারখানার মালিক রিপন আহমেদ জানান, তাঁর জালি টুপি তৈরির কারখানা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। এতে তাঁর পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে উঠে এসেছে অনিয়মের অভিযোগ। প্রকল্প সভাপতি ছিলেন সুঘাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুন্নবী তালুকদার। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে তাঁর ভূমিকা ছিল না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার তাঁর কাছ থেকে কেবল চেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন বিল জয়সাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। এদিকে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি প্রকল্প কমিটির কেউ নন। ১৭ জুলাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাঁর কাছে ১০ ইঞ্চি ব্যাস ও ২৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের পাইপ পাঠান। তিনি স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে সেগুলো বসান। সরকারি প্রকল্পে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে কাজ করানো নিয়েও এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘বাঁধটি সংস্কারের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের সভাপতির অসহযোগিতার কারণে অন্য একজনের মাধ্যমে মাত্র ৫০ হাজার টাকার পাইপ বসানো হয়েছে। বাঁধ ধসের আগে দক্ষিণ পাশে একটি অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দারা সেটি খুলে দিলে অতিরিক্ত পানির চাপে মূল বাঁধ ভেঙে যায়। আর স্থানীয়ভাবে টাকা তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান জানান, প্রকল্প সভাপতির অনুমোদন ছাড়া অন্য কারও মাধ্যমে কাজ করানো এবং জনগণের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন অনিয়ম। তিনি এসব বিষয়ে আগে অবগত ছিলেন না। যদি প্রকল্প বাস্তবায়নে অবহেলা বা অনিয়ম থেকে থাকে, তবে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ভাঙা বাঁধের স্থানে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

বরিশাল নগরীতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম আজ রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাসেল গাজী (৪৫), মো. রোকন খান
৮ মিনিট আগে
কক্সবাজারের টেকনাফের হাবিরছড়াসংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে চার নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
১২ মিনিট আগে
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ....
৩০ মিনিট আগে
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল নগরীতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম আজ রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাসেল গাজী (৪৫), মো. রোকন খান (৩৩), রাজিব জমাদ্দার (৩৫) ও জাহিদ হাওলাদার (৩৬)।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার অজিবর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় রাসেল, রাজিব ও জাহিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি রোকন খান মামলার বিচার চলাকালে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন।
অজিবর রহমান আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর গ্রেপ্তার এই চার আসামি অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তবে পুলিশ তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে নগরের একটি এলাকায় এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তখন গৃহবধূর বয়স ছিল ১৮ বছর। প্রথমে ৯ নভেম্বর ঘরে ঢুকে রাসেল গাজী তাঁকে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এর পরদিন ওই নারী বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। চালক তাঁকে নিয়ে ভুল পথে রওনা দেন। একপর্যায়ে আসামিরা মোটরসাইকেলে তাঁর পিছু নেন এবং নির্জন স্থানে পৌঁছে গৃহবধূকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।

বরিশাল নগরীতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম আজ রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাসেল গাজী (৪৫), মো. রোকন খান (৩৩), রাজিব জমাদ্দার (৩৫) ও জাহিদ হাওলাদার (৩৬)।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার অজিবর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় রাসেল, রাজিব ও জাহিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি রোকন খান মামলার বিচার চলাকালে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন।
অজিবর রহমান আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর গ্রেপ্তার এই চার আসামি অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তবে পুলিশ তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে নগরের একটি এলাকায় এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তখন গৃহবধূর বয়স ছিল ১৮ বছর। প্রথমে ৯ নভেম্বর ঘরে ঢুকে রাসেল গাজী তাঁকে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এর পরদিন ওই নারী বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। চালক তাঁকে নিয়ে ভুল পথে রওনা দেন। একপর্যায়ে আসামিরা মোটরসাইকেলে তাঁর পিছু নেন এবং নির্জন স্থানে পৌঁছে গৃহবধূকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হঠাৎ ধসে পড়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের ১০ গ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাঁধটির প্রায় ৫০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। প্রবল পানির চাপে ধসে যায় বাঁধসংলগ্ন সড়ক, উপড়ে পড়ে গাছপালা, আর কৃষিজমির...
২৫ জুলাই ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফের হাবিরছড়াসংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে চার নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
১২ মিনিট আগে
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ....
৩০ মিনিট আগে
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
৩৪ মিনিট আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফের হাবিরছড়াসংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে চার নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় মানব পাচারকারী অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটক পাচারকারী টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিবছড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (৫৫)।
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা সালাউদ্দিন রশিদ বলেন, আটক পাচারকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর উদ্দেশ্যে নারী-শিশুসহ কয়েকজনকে হাবিরছড়ার পাহাড়ি এলাকায় বন্দী করে রাখা হয়েছিল। গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর একটি বিশেষ দল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে চার নারী, এক শিশুসহ পাঁচজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র উন্নত জীবনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরি ও অল্প খরচে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়া পাচারের ফাঁদে ফেলে। পাচারের আগে তাদের পাহাড়ি এলাকায় বন্দী রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হতো।
উদ্ধার ব্যক্তিদের ও আটক মানব পাচারকারীর বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।

কক্সবাজারের টেকনাফের হাবিরছড়াসংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে চার নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় মানব পাচারকারী অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটক পাচারকারী টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিবছড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (৫৫)।
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা সালাউদ্দিন রশিদ বলেন, আটক পাচারকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর উদ্দেশ্যে নারী-শিশুসহ কয়েকজনকে হাবিরছড়ার পাহাড়ি এলাকায় বন্দী করে রাখা হয়েছিল। গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর একটি বিশেষ দল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে চার নারী, এক শিশুসহ পাঁচজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র উন্নত জীবনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরি ও অল্প খরচে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়া পাচারের ফাঁদে ফেলে। পাচারের আগে তাদের পাহাড়ি এলাকায় বন্দী রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হতো।
উদ্ধার ব্যক্তিদের ও আটক মানব পাচারকারীর বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হঠাৎ ধসে পড়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের ১০ গ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাঁধটির প্রায় ৫০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। প্রবল পানির চাপে ধসে যায় বাঁধসংলগ্ন সড়ক, উপড়ে পড়ে গাছপালা, আর কৃষিজমির...
২৫ জুলাই ২০২৫
বরিশাল নগরীতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম আজ রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাসেল গাজী (৪৫), মো. রোকন খান
৮ মিনিট আগে
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ....
৩০ মিনিট আগে
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ তদন্ত করছে।
লুৎফর রহমান যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান (৫০), জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুম (৪০) ও তানোর পৌর বিএনপির নেতা মো. ইয়াসিন (৫২)।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা অভিযোগটা পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা আছে। ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা দেখব। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে লুৎফর রহমান উল্লেখ করেন, ২৩ অক্টোবর তানোরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া এসেছিলেন। তিনি একজন সাংবাদিক হিসেবে সেখানে যান। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে মিজানুর রহমান তাঁকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল শুরু করেন। পরে অন্য আসামিদের হুকুম দিয়ে বলেন, ‘...জনমের মতো সাংবাদিকতা শিখিয়ে দে।’ হুকুম পেয়ে রবিউল ইসলাম কুসুম তাঁর গালে সজোরে থাপ্পড় মারেন।’
অভিযোগে সাংবাদিক লুৎফর লেখেন, ‘আমি অতর্কিত হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়ি এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইয়াসিন আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিলা, ফোলা ও কালশিরা জখম করেন। একপর্যায়ে কুসুম হুমকি দিয়ে বলেন, গাড়ি থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে চিরদিনের মতো শেষ করে দে। যা হয় পরে দেখা যাবে।’ ইয়াসিন গলা চেয়ে ধরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। তখন মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখানে সিসি ক্যামেরা আছে, ধরা পড়ে যাবি।’ প্রায় ১০ মিনিট ধরে আসামিরা আমাকে কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারার পর মিজানুর রহমান আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং বলেন, ‘এ মুহূর্তে এলাকা ছেড়ে যাবি, নতুবা এখানেই তোর লাশ পড়ে যাবে।’ পরে অনেকে ছুটে এসে আমাকে আসামিদের হাত থেকে রক্ষা করেন।’
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘চড়-থাপ্পড়ের কারণে আমি বাম কানের শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলি।’ পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক লুৎফর রহমান।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিম টুটুল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমিও অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিও বিষয়টি জেনে আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে দেখব।’
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেদিন কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার কার্ড দেওয়া হচ্ছিল। লুৎফর রহমান বিএনপির লোক পরিচয়ে কার্ড নিতে এসেছিলেন। তখন আমাদের লোকজন জিজ্ঞেস করেন, তিনি কীসের বিএনপি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। দলের লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমি সেখানে ছিলাম বলে তাঁকে বাঁচিয়েছি। তা না হলে তো তাঁকে মেরেই ফেলত।’
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল ছিল। সেদিন প্রধান অতিথি হিসেবে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনকে বরণ করা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করা হয়। পরে মিজানুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ তদন্ত করছে।
লুৎফর রহমান যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান (৫০), জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুম (৪০) ও তানোর পৌর বিএনপির নেতা মো. ইয়াসিন (৫২)।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা অভিযোগটা পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা আছে। ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা দেখব। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে লুৎফর রহমান উল্লেখ করেন, ২৩ অক্টোবর তানোরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া এসেছিলেন। তিনি একজন সাংবাদিক হিসেবে সেখানে যান। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে মিজানুর রহমান তাঁকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল শুরু করেন। পরে অন্য আসামিদের হুকুম দিয়ে বলেন, ‘...জনমের মতো সাংবাদিকতা শিখিয়ে দে।’ হুকুম পেয়ে রবিউল ইসলাম কুসুম তাঁর গালে সজোরে থাপ্পড় মারেন।’
অভিযোগে সাংবাদিক লুৎফর লেখেন, ‘আমি অতর্কিত হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়ি এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইয়াসিন আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিলা, ফোলা ও কালশিরা জখম করেন। একপর্যায়ে কুসুম হুমকি দিয়ে বলেন, গাড়ি থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে চিরদিনের মতো শেষ করে দে। যা হয় পরে দেখা যাবে।’ ইয়াসিন গলা চেয়ে ধরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। তখন মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখানে সিসি ক্যামেরা আছে, ধরা পড়ে যাবি।’ প্রায় ১০ মিনিট ধরে আসামিরা আমাকে কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারার পর মিজানুর রহমান আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং বলেন, ‘এ মুহূর্তে এলাকা ছেড়ে যাবি, নতুবা এখানেই তোর লাশ পড়ে যাবে।’ পরে অনেকে ছুটে এসে আমাকে আসামিদের হাত থেকে রক্ষা করেন।’
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘চড়-থাপ্পড়ের কারণে আমি বাম কানের শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলি।’ পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক লুৎফর রহমান।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিম টুটুল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমিও অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিও বিষয়টি জেনে আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে দেখব।’
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেদিন কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার কার্ড দেওয়া হচ্ছিল। লুৎফর রহমান বিএনপির লোক পরিচয়ে কার্ড নিতে এসেছিলেন। তখন আমাদের লোকজন জিজ্ঞেস করেন, তিনি কীসের বিএনপি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। দলের লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমি সেখানে ছিলাম বলে তাঁকে বাঁচিয়েছি। তা না হলে তো তাঁকে মেরেই ফেলত।’
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল ছিল। সেদিন প্রধান অতিথি হিসেবে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনকে বরণ করা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করা হয়। পরে মিজানুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হঠাৎ ধসে পড়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের ১০ গ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাঁধটির প্রায় ৫০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। প্রবল পানির চাপে ধসে যায় বাঁধসংলগ্ন সড়ক, উপড়ে পড়ে গাছপালা, আর কৃষিজমির...
২৫ জুলাই ২০২৫
বরিশাল নগরীতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম আজ রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাসেল গাজী (৪৫), মো. রোকন খান
৮ মিনিট আগে
কক্সবাজারের টেকনাফের হাবিরছড়াসংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে চার নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
১২ মিনিট আগে
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
৩৪ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ তাঁর স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।
আজ রোববার দুপুরে ফরিদপুর র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এর আগে সকালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকা থেকে মামলার একমাত্র আসামি সৌরভ কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি ফরিদপুর সদরের বঙ্গেশ্বরদি গ্রামের বাসুদেব দাসের ছেলে এবং পেশায় গ্যারেজের মিস্ত্রি।
তারিকুল ইসলাম জানান, ২০ অক্টোবর সকালে মধুখালী পৌরসভার গাড়াখোলা এলাকায় শাশুড়ির ভাড়াবাসায় ঢুকে বন্যাকে শ্বাস রোধ করে পালিয়ে যান সৌরভ। পরদিন ২১ অক্টোবর মধুখালী থানায় সৌরভকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন বন্যার মা শেফালী রানী।
হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরে তারিকুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করেন সৌরভ ও বন্যা। বিষয়টি তখন বন্যার মা মেনে নেননি। সৌরভ ও বন্যা দুই বছর ধরে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়, যার বয়স দুই বছর। সম্প্রতি তাঁরা এলাকায় ফিরে আসেন। বিভিন্ন সময় বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাঁকে আটকে রাখা হয়। সর্বশেষ দুর্গাপূজার আগে বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে যাওয়ার পর সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে সৌরভ জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন শাশুড়ি।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে ২০ অক্টোবর শাশুড়ির বাসায় যান সৌরভ। এ সময় বাইরে থেকে বন্যাকে অশ্লীল ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখে তিনি ঘরে ঢুকে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে সন্তানকে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ওই সময় তাঁকে পেছন থেকে কিল-ঘুষি দিতে থাকেন স্ত্রী। এ নিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বন্যাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান সৌরভ। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর নিহতের মা শেফালী রানী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে সৌরভ অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কলহের জের ধরে বন্যাকে হত্যা করা হয়।

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ তাঁর স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।
আজ রোববার দুপুরে ফরিদপুর র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এর আগে সকালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকা থেকে মামলার একমাত্র আসামি সৌরভ কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি ফরিদপুর সদরের বঙ্গেশ্বরদি গ্রামের বাসুদেব দাসের ছেলে এবং পেশায় গ্যারেজের মিস্ত্রি।
তারিকুল ইসলাম জানান, ২০ অক্টোবর সকালে মধুখালী পৌরসভার গাড়াখোলা এলাকায় শাশুড়ির ভাড়াবাসায় ঢুকে বন্যাকে শ্বাস রোধ করে পালিয়ে যান সৌরভ। পরদিন ২১ অক্টোবর মধুখালী থানায় সৌরভকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন বন্যার মা শেফালী রানী।
হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরে তারিকুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করেন সৌরভ ও বন্যা। বিষয়টি তখন বন্যার মা মেনে নেননি। সৌরভ ও বন্যা দুই বছর ধরে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়, যার বয়স দুই বছর। সম্প্রতি তাঁরা এলাকায় ফিরে আসেন। বিভিন্ন সময় বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাঁকে আটকে রাখা হয়। সর্বশেষ দুর্গাপূজার আগে বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে যাওয়ার পর সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে সৌরভ জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন শাশুড়ি।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে ২০ অক্টোবর শাশুড়ির বাসায় যান সৌরভ। এ সময় বাইরে থেকে বন্যাকে অশ্লীল ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখে তিনি ঘরে ঢুকে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে সন্তানকে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ওই সময় তাঁকে পেছন থেকে কিল-ঘুষি দিতে থাকেন স্ত্রী। এ নিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বন্যাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান সৌরভ। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর নিহতের মা শেফালী রানী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে সৌরভ অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কলহের জের ধরে বন্যাকে হত্যা করা হয়।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কাটাখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হঠাৎ ধসে পড়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের ১০ গ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাঁধটির প্রায় ৫০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। প্রবল পানির চাপে ধসে যায় বাঁধসংলগ্ন সড়ক, উপড়ে পড়ে গাছপালা, আর কৃষিজমির...
২৫ জুলাই ২০২৫
বরিশাল নগরীতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম আজ রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাসেল গাজী (৪৫), মো. রোকন খান
৮ মিনিট আগে
কক্সবাজারের টেকনাফের হাবিরছড়াসংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে চার নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
১২ মিনিট আগে
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক লুৎফর রহমান তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দৈনিক কালবেলা ও স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশে পত্রিকার তানোর উপজেলা প্রতিনিধি। পুলিশ তাঁর অভিযোগ....
৩০ মিনিট আগে