পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে ভুঁইফোড় এনজিওর প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে নাসির উদ্দিন তালুকদার নামের এক সংসদ সদস্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে নাসির উদ্দিন তালুকদার ও তাঁর পরিবারের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের সাইফুল্লাহ নামের এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করেন। আর এই মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিকে আদালতের বিচারক মো. আশিকুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আসামির নাম মো. নাসির উদ্দিন তালুকদার। তিনি পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব প্রতীকের প্রার্থী ও এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এছাড়া মামলায় আসামি করা হয়েছে নাসির উদ্দিন তালুকদারের মামা মো. মোস্তফা জামান, তাঁর চাচা আব্দুল হাই তালুকদার, তাঁর স্ত্রী লাইজু পারভীন ও তাঁর খালু এনায়েত হোসেন এবং তাঁর স্যালিকা কাকলিকে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নাসির উদ্দীন নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ২০০২ সালে জনকর্ম সহায়ক সোসাইটি (জনক) নামে একটি নামসর্বস্ব ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন। আর এতে তিনি সাধারণ সম্পাদক ও তাঁর মামা মো. মোস্তফা জামানকে সভাপতি করে পটুয়াখালী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে জাকিয়া মঞ্জিলে জাঁকজমকপূর্ণ অফিস নিয়ে দীর্ঘদিন কার্যক্রম চালিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ মানুষের প্রায় কোটি টাকা গ্রহণ করে। তবে এর কিছুদিন পরেই নাসির উদ্দীন আত্মগোপনে চলে। পরে নাসির উদ্দীন ২০১২ সালের জুলাই মাসের ৫ তারিখে ভুক্তভোগীদের প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করে আবার আত্মগোপনে চলে যায়।
পরে গত ২৫ তারিখ নাসির উদ্দীন তালুকদার জৈনকাঠি এলাকার চন্দনবাড়িয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা গেলে ভুক্তভোগীরা টাকা পয়সার বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সুকৌশলে পালিয়ে আসে। আর এতে নাসির উদ্দীন তালুকদারকে না পেয়ে আদালতে আজ মামলা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী পক্ষের আইনজীবী ফোরকান রতন বলেন, ‘নাসির উদ্দিন তালুকদারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা বিচারক আশিকুর রহমানের আদালতে মামলা করলে তিনি মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’
এদিকে আজ দুপুরের দিকে আদালত প্রাঙ্গণ জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে নাসির উদ্দিন হাওলাদার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী সাইফুল্লাহ, ভুক্তভোগী পাখি আক্তার, রুহুল আমিন, জাহানুর বেগম ও শাহিনুর বেগম।
এ সময় বক্তারা বলেন, নাসির উদ্দীন তালুকদারের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। সে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন ও সম্পর্ক গড়ে তুলে। তারপর সেখানকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করে। প্রতারণার টাকায় একজন ভোটে দাঁড়াবে, আর মানুষ তাকে ভোট দেবে, তা হতে পারে না।
তবে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন তালুকদার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘যারা টাকা দাবি করছে তারা আমার সমিতিতে চাকরি করেছে। এবং
আমি সমিতি বন্ধ করে দিছি ১৫ বছর আগে, আর এখন বিশ বছর পরে এসে টাকা চাচ্ছে কেন, এত দিন কোথায় ছিল।’
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি নির্বাচন করছি তাই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কৌশল করে একটি গ্রুপ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনের পর আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করব।’
পটুয়াখালীতে ভুঁইফোড় এনজিওর প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে নাসির উদ্দিন তালুকদার নামের এক সংসদ সদস্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে নাসির উদ্দিন তালুকদার ও তাঁর পরিবারের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের সাইফুল্লাহ নামের এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করেন। আর এই মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিকে আদালতের বিচারক মো. আশিকুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আসামির নাম মো. নাসির উদ্দিন তালুকদার। তিনি পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব প্রতীকের প্রার্থী ও এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এছাড়া মামলায় আসামি করা হয়েছে নাসির উদ্দিন তালুকদারের মামা মো. মোস্তফা জামান, তাঁর চাচা আব্দুল হাই তালুকদার, তাঁর স্ত্রী লাইজু পারভীন ও তাঁর খালু এনায়েত হোসেন এবং তাঁর স্যালিকা কাকলিকে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নাসির উদ্দীন নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ২০০২ সালে জনকর্ম সহায়ক সোসাইটি (জনক) নামে একটি নামসর্বস্ব ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন। আর এতে তিনি সাধারণ সম্পাদক ও তাঁর মামা মো. মোস্তফা জামানকে সভাপতি করে পটুয়াখালী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে জাকিয়া মঞ্জিলে জাঁকজমকপূর্ণ অফিস নিয়ে দীর্ঘদিন কার্যক্রম চালিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ মানুষের প্রায় কোটি টাকা গ্রহণ করে। তবে এর কিছুদিন পরেই নাসির উদ্দীন আত্মগোপনে চলে। পরে নাসির উদ্দীন ২০১২ সালের জুলাই মাসের ৫ তারিখে ভুক্তভোগীদের প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করে আবার আত্মগোপনে চলে যায়।
পরে গত ২৫ তারিখ নাসির উদ্দীন তালুকদার জৈনকাঠি এলাকার চন্দনবাড়িয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা গেলে ভুক্তভোগীরা টাকা পয়সার বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সুকৌশলে পালিয়ে আসে। আর এতে নাসির উদ্দীন তালুকদারকে না পেয়ে আদালতে আজ মামলা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী পক্ষের আইনজীবী ফোরকান রতন বলেন, ‘নাসির উদ্দিন তালুকদারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা বিচারক আশিকুর রহমানের আদালতে মামলা করলে তিনি মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’
এদিকে আজ দুপুরের দিকে আদালত প্রাঙ্গণ জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে নাসির উদ্দিন হাওলাদার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী সাইফুল্লাহ, ভুক্তভোগী পাখি আক্তার, রুহুল আমিন, জাহানুর বেগম ও শাহিনুর বেগম।
এ সময় বক্তারা বলেন, নাসির উদ্দীন তালুকদারের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। সে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন ও সম্পর্ক গড়ে তুলে। তারপর সেখানকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করে। প্রতারণার টাকায় একজন ভোটে দাঁড়াবে, আর মানুষ তাকে ভোট দেবে, তা হতে পারে না।
তবে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন তালুকদার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘যারা টাকা দাবি করছে তারা আমার সমিতিতে চাকরি করেছে। এবং
আমি সমিতি বন্ধ করে দিছি ১৫ বছর আগে, আর এখন বিশ বছর পরে এসে টাকা চাচ্ছে কেন, এত দিন কোথায় ছিল।’
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি নির্বাচন করছি তাই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কৌশল করে একটি গ্রুপ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনের পর আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করব।’
গোপালগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রিকশাচালক রমজান মুন্সি নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিহত রমজান মুন্সির ভাই জামাল মুন্সি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হলেও কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি জামাল মুন্সি।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর গুলিস্তানে ট্রাকের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী প্রান্ত পাল (১৬) নামে এক কিশোর মারা গেছে। সে নিউমার্কেট এলাকায় বাবার সঙ্গে ঝালমুড়ি বিক্রি করত।
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের চাঁদনগর এলাকায় সংঘটিত একটি ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে থানা-পুলিশ। গৃহপরিচারিকা ছামছুন নাহার (৬৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত শামীম বেগকে (৫২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই হত্যার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র এবং চুরি করে নিয়ে যাওয়া একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি ও ল্যাপ
২ ঘণ্টা আগেখুলনায় ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সালাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁকে রূপসা উপজেলার নন্দনপুর জামরুলতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে