Ajker Patrika

নিষেধাজ্ঞার আগের দিন কলাপাড়ায় মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৬: ৪১
Thumbnail image

আজ ১৩ অক্টোবর থেকে সাগর ও নদীতে শুরু হয়েছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তাই নিষেধাজ্ঞার আগে শেষ দিনে পটুয়াখালীর কলাপাড়া শহরসহ বিভিন্ন বাজারে মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। তবে ক্রেতারা জানিয়েছেন দাম খুব একটা কমেনি।

সন্ধ্যার পর পরই মাইকিং করে কলাপাড়া পৌর শহরের মাছ বাজার, আলীপুর, মহিপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইলিশ বিক্রি শুরু হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁক-ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে এসব বাজার। তবে আগের তুলনায় দাম তেমন কমেনি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল ১৫ শ থেকে ১৬ শ টাকা কেজি দরে। 

শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনে গভীর সাগর থেকে মহিপুর ও আলীপুর বিএফডিসি মার্কেটে জেলেদের নিয়ে আসা ইলিশই দক্ষিণের এসব বাজারে  বিক্রি হয়েছে বলে জানায় মৎস্য বিভাগ।

কলাপাড়া পৌর শহরের মাছ বাজারে আসা ক্রেতা জুয়েল হোসেন বলেন, রাত ১১টা পর্যন্ত বাজারে ছিলাম। মাইকিং করে মাছ বিক্রি হলেও মাছের দাম তেমন কমেনি। 

নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগের দিনেও কলাপাড়ার বাজারে ইলিশের দাম কমেনিঅপর ক্রেতা এরশাদুল ইসলাম বলেন, জাটকা সাড়ে চার শ টাকা দিয়ে কিনেছি। ইলিশের দাম অনেক চড়া।

কলাপাড়া বাজারের মাছ বিক্রেতা মাসুম বলেন, বাজারে আজ জাটকা সাড়ে ৩ শ থেকে শুরু করে ১৬ শ টাকা পর্যন্ত কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে। পাইকারি মাছের দাম বেশি থাকায় বিক্রি করে তেমন লাভ করা যায় না। পূর্ব পুরুষের পেশায় আছি তাই বাদও দিতে পারি না। 

নিষেধাজ্ঞার আগের দিন কলাপাড়ায় মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, নিষেধাজ্ঞার খবরে মধ্যরাত পর্যন্ত মাছ বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার মিলন মেলা ছিল। এ বছর মাছ কম ধরা পড়ায় দাম অনেকটা বেশি ছিল। আশা করছি নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ বেশি পাওয়া যাবে। তখন দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত