মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার অপসারিত মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মেয়র অপসারিত হওয়ার পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়রাও। তাঁদের অভিযোগ, কুয়াকাটা পৌর শহরে ঢোকার জন্য সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদা নেওয়া হতো। শুধু তা-ই নয়, পৌর এলাকায় ডিম-ডাব বিক্রিতেও ‘ইজারা পদ্ধতি’র প্রচলন করেন তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হাওলাদার একসময় জাতীয় পার্টির (জাপা) রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী) আসনে জাপার মনোনয়ন পান তিনি। যদিও পরে নির্বাচনে অংশ নেননি। পরে ২০২০ সালে কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন আনোয়ার। এরপরই তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই সেরনিয়াবাত আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
ডিম-ডাব ইজারা
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, পৌরসভার ভেতরের হাট ও বাজার ইজারা দেওয়ার কথা থাকলেও আনোয়ার হাওলাদার নিজের মতো করে ডিম, ডাব, গোশত মহল বানিয়ে আলাদা ইজারা দিতেন। নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বাৎসরিকভাবে ইজারা দিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেন। এতে কুয়াকাটা পৌর শহরে ডিম-ডাব বিক্রি করতে হলে ব্যবসায়ীদের প্রতিটি পণ্যে খাজনা দিতে হতো সংশ্লিষ্ট ইজারাদারকে।
ডিম ইজারাদার ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি গত বছর ইজারা নিয়েছিলাম। এ বছর টেন্ডারের মাধ্যমে মেয়রের কাছ থেকে মন্টু দফাদার নামের একজন ৫ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন। আর দোকান থেকে ডিম পাইকারি বিক্রি করেন জাকির। তাঁরা ডিমপ্রতি ২৫ পয়সা খাজনা নেন।’
ডাবের ইজারাদার আব্দুর রব মাঝি বলেন, ‘এ বছর চৈত্র মাসে মেয়রে ২ লাখ টাহা দিয়া ইজারা নিছি আগামী চৈত্র মাস পর্যন্ত। কুয়াকাটায় ১৫ জনের মতো ডাব বিক্রি করেন। তাঁরা প্রতিদিন ডাব উঠাইলে ডাবপ্রতি ১ টাকা করে নেই।’
মহাসড়কে চাঁদাবাজি
আনোয়ার হাওলাদার বাসস্ট্যান্ড ইজারার নামে নিজস্ব লোকজন দিয়ে সড়কে চাঁদাবাজি করতেন। এখনো সে ব্যবস্থা বহাল রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভা বাসস্ট্যান্ডের সামনে মহাসড়কে থামানো হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক, থ্রিহুইলার, লরি। চালক ও তাঁর সহকারীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে টাকা।
বরিশাল থেকে মালপত্র নিয়ে আসা একটি পিকআপের চালক পলাশ হোসেন বলেন, ‘কুয়াকাটায় ঢুকতে এবং বের হতে হলে টোল দিতে হয় ১০০ টাকা। সপ্তাহে দু-তিনবার আসি, প্রতিবারই দিতে হয়।’
সৈকত থেকে ময়লা নেওয়া বন্ধ, জ্বলে না সড়কবাতি
উপজেলা প্রশাসন সৈকতের দখল হওয়া জমি উদ্ধার করা শুরু করলে সাবেক এই মেয়র উপজেলা প্রশাসনকে বাধা দেন। সৈকতে একক আধিপত্য বিস্তার করতে না পারায় গত ১৪ এপ্রিল সমুদ্রসৈকত থেকে ময়লা নেওয়া বন্ধ ও রাতে সড়কবাতি না জ্বালানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের অনুসন্ধান
এদিকে আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তুলে গত বছর দুদকে অভিযোগ দেন এক ব্যক্তি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। সর্বশেষ গত ৭ জুলাই সতর্কতামূলক সুরক্ষা কাজ প্রকল্পের আওতায় কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ২ কিলোমিটার সড়কের যাচাই-বাছাই ও মূল্য নিরূপণের অনুসন্ধান করেন দুদক।
পটুয়াখালী জেলা দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাসেল রনি বলেন, ‘সাবেক মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি। অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে অপসারিত মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘আপনারা গিয়ে পৌরসভায় দেখেন রুল টানানো আছে, ডিম-ডাব থেকে কত টাকা নেবে। এ ছাড়া কুয়াকাটা পৌরসভার রাস্তা ব্যবহারের কারণে ট্রাক থেকে টাকা নেওয়া হতো। তবে মাইক্রো, মাহিন্দ্রা থেকে টাকা আদায় করা হতো না। এখনো পৌরসভা টাকা নিচ্ছে, আর এই টাকা পৌরসভার রাজস্বে জমা হয়।’
আনোয়ার হাওলাদার আরও বলেন, ‘আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। উল্টো রাজনীতি করে ৩-৪ কোটি টাকা দেনা হয়ে গেছি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো মিথ্যা।’
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার অপসারিত মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মেয়র অপসারিত হওয়ার পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়রাও। তাঁদের অভিযোগ, কুয়াকাটা পৌর শহরে ঢোকার জন্য সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদা নেওয়া হতো। শুধু তা-ই নয়, পৌর এলাকায় ডিম-ডাব বিক্রিতেও ‘ইজারা পদ্ধতি’র প্রচলন করেন তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হাওলাদার একসময় জাতীয় পার্টির (জাপা) রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী) আসনে জাপার মনোনয়ন পান তিনি। যদিও পরে নির্বাচনে অংশ নেননি। পরে ২০২০ সালে কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন আনোয়ার। এরপরই তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই সেরনিয়াবাত আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
ডিম-ডাব ইজারা
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, পৌরসভার ভেতরের হাট ও বাজার ইজারা দেওয়ার কথা থাকলেও আনোয়ার হাওলাদার নিজের মতো করে ডিম, ডাব, গোশত মহল বানিয়ে আলাদা ইজারা দিতেন। নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বাৎসরিকভাবে ইজারা দিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেন। এতে কুয়াকাটা পৌর শহরে ডিম-ডাব বিক্রি করতে হলে ব্যবসায়ীদের প্রতিটি পণ্যে খাজনা দিতে হতো সংশ্লিষ্ট ইজারাদারকে।
ডিম ইজারাদার ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি গত বছর ইজারা নিয়েছিলাম। এ বছর টেন্ডারের মাধ্যমে মেয়রের কাছ থেকে মন্টু দফাদার নামের একজন ৫ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন। আর দোকান থেকে ডিম পাইকারি বিক্রি করেন জাকির। তাঁরা ডিমপ্রতি ২৫ পয়সা খাজনা নেন।’
ডাবের ইজারাদার আব্দুর রব মাঝি বলেন, ‘এ বছর চৈত্র মাসে মেয়রে ২ লাখ টাহা দিয়া ইজারা নিছি আগামী চৈত্র মাস পর্যন্ত। কুয়াকাটায় ১৫ জনের মতো ডাব বিক্রি করেন। তাঁরা প্রতিদিন ডাব উঠাইলে ডাবপ্রতি ১ টাকা করে নেই।’
মহাসড়কে চাঁদাবাজি
আনোয়ার হাওলাদার বাসস্ট্যান্ড ইজারার নামে নিজস্ব লোকজন দিয়ে সড়কে চাঁদাবাজি করতেন। এখনো সে ব্যবস্থা বহাল রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভা বাসস্ট্যান্ডের সামনে মহাসড়কে থামানো হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক, থ্রিহুইলার, লরি। চালক ও তাঁর সহকারীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে টাকা।
বরিশাল থেকে মালপত্র নিয়ে আসা একটি পিকআপের চালক পলাশ হোসেন বলেন, ‘কুয়াকাটায় ঢুকতে এবং বের হতে হলে টোল দিতে হয় ১০০ টাকা। সপ্তাহে দু-তিনবার আসি, প্রতিবারই দিতে হয়।’
সৈকত থেকে ময়লা নেওয়া বন্ধ, জ্বলে না সড়কবাতি
উপজেলা প্রশাসন সৈকতের দখল হওয়া জমি উদ্ধার করা শুরু করলে সাবেক এই মেয়র উপজেলা প্রশাসনকে বাধা দেন। সৈকতে একক আধিপত্য বিস্তার করতে না পারায় গত ১৪ এপ্রিল সমুদ্রসৈকত থেকে ময়লা নেওয়া বন্ধ ও রাতে সড়কবাতি না জ্বালানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের অনুসন্ধান
এদিকে আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তুলে গত বছর দুদকে অভিযোগ দেন এক ব্যক্তি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। সর্বশেষ গত ৭ জুলাই সতর্কতামূলক সুরক্ষা কাজ প্রকল্পের আওতায় কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ২ কিলোমিটার সড়কের যাচাই-বাছাই ও মূল্য নিরূপণের অনুসন্ধান করেন দুদক।
পটুয়াখালী জেলা দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাসেল রনি বলেন, ‘সাবেক মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি। অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে অপসারিত মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘আপনারা গিয়ে পৌরসভায় দেখেন রুল টানানো আছে, ডিম-ডাব থেকে কত টাকা নেবে। এ ছাড়া কুয়াকাটা পৌরসভার রাস্তা ব্যবহারের কারণে ট্রাক থেকে টাকা নেওয়া হতো। তবে মাইক্রো, মাহিন্দ্রা থেকে টাকা আদায় করা হতো না। এখনো পৌরসভা টাকা নিচ্ছে, আর এই টাকা পৌরসভার রাজস্বে জমা হয়।’
আনোয়ার হাওলাদার আরও বলেন, ‘আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। উল্টো রাজনীতি করে ৩-৪ কোটি টাকা দেনা হয়ে গেছি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো মিথ্যা।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
২ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৩ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৪ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৪ ঘণ্টা আগে