মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর লাউকাঠি নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মাহমুদের নেতৃত্বে প্রথম দিনে লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এদিকে পুনর্বাসন না করায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করায় বিপাকে পড়েছেন শতাধিক অসহায় পরিবার। এসব পরিবারগুলো তীব্র শীতের মধ্যে এখন শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
জানা যায়, পটুয়াখালী জেলা শহরের দুই পাশ দিয়ে বহমান লাউকাঠি ও লোহালিয়া নদী। এক সময়ের খরস্রোতা নদী দুটি দখল হতে হতে এখন প্রবাহ ছোট হয়ে আসছে। লোহালিয়া নদীর তীরের জৈনকাঠি থেকে শুরু হয়ে লাউকাঠি নদীর ব্রিজ পর্যন্ত সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনার মধ্যে শতাধিক রয়েছে বহুতল ভবন। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রশাসন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করলেও কিছুদিনের মধ্যে আবারও দখল হয়ে যায়। কিন্তু এবারও উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে তবে পুরোটাই উচ্ছেদ হবে নাকি প্রভাবশালীরা এর বাইরে থাকবে এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে শহরবাসী।
ওই এলাকার বাসিন্দা চায়ের দোকানি রাহিমা বেগম বলেন, ‘আমার জন্মের পর থেকে দেখেছি এখানে আমাদের ঘরবাড়ি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে, আর আমরা নিজেরা ঘর স্থাপন করে বসে আছি সেগুলো ভেঙে রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছে। একদিন আগে মাইকিং করেছে আমাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে। কোনো নোটিশ দেয়নি এত জরুরি ভাবে ভেঙে আমাদের রাস্তায় কেন নামানো হলো আমরা সেটাই বুঝতে পারছি না। আমাদের পুনর্বাসন করুন, আমাদের থাকার জায়গা দিন, এই শীতের মধ্যে আমরা কীভাবে রাত্রিযাপন করব। আমাদের এই জায়গা ছাড়া কোথাও থাকার মতো জায়গা নেই।’
দিনমজুর মো. নিজাম সিকদার বলেন, ‘আমি এখানে ১২ বছর ধরে আছি। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাই। এখন কোথায় যাব, কার কাছে যাব? এই মাঘ মাসের শীতের মধ্যে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কীভাবে দিন কাটাব? আমাদের দুইটা মাস সময় দিলেও হতো। অপরদিকে নদীর তীরে সরকারি খাস জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে বটে। কিন্তু থেকেই যাচ্ছে সরকারি খাস জমিতে গড়ে ওঠা আলোচিত সেই বহুতল পাকা ভবনগুলো। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজপত্র দেখিয়ে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেন ভবনের মালিকেরা। এসব ভবন মালিকেরা এ জমি তাঁদের মালিকানাধীন বলে দাবি করছেন।’
ওই এলাকার বৃষ্টি এন্টার প্রাইজ ভবনের মালিক মো. হাফিজুর রহমান সবির গাজী বলেন, ‘এই নদীর তীরে অন্তত ৩৯টি স্থাপনা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে ও আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। তাই আদালতের মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন এসব ঘর ভাঙতে পারে না। এ ছাড়া অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তত দুই/তিন মাস সময় দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।’
ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর আলাউদ্দিন আলাল বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা হলো এই পরিবারগুলো আমি তাদের জন্য অনেক অফিসে অফিসে গিয়েছি যেন তাঁদের পুনর্বাসন করা হয়। অন্তত পক্ষে খালি জায়গা দেওয়া হয় যেন তাঁরা ঘর উঠিয়ে এই মহামারির মধ্যে থাকতে পারে। এখন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের জন্য আমি তাঁদের কাছে অনুরোধ করেছি যেন কিছুদিন পরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু তারা আমার এই কথা রাখেননি।’
এ ব্যাপারে উচ্ছেদ অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মাহমুদ জানান, নদীর তীরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তবে, যারা উচ্চ আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কাগজপত্র দেখাতে পারবেন শুধুমাত্র তাঁদেরগুলো ভাঙা আপাতত স্থগিত রাখা হবে। প্রথম দিনে লঞ্চঘাট এলাকা থেকে শুরু করা হয়েছে এবং তা পুরো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা পর্যন্ত চলবে।
পটুয়াখালীর লাউকাঠি নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মাহমুদের নেতৃত্বে প্রথম দিনে লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এদিকে পুনর্বাসন না করায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করায় বিপাকে পড়েছেন শতাধিক অসহায় পরিবার। এসব পরিবারগুলো তীব্র শীতের মধ্যে এখন শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
জানা যায়, পটুয়াখালী জেলা শহরের দুই পাশ দিয়ে বহমান লাউকাঠি ও লোহালিয়া নদী। এক সময়ের খরস্রোতা নদী দুটি দখল হতে হতে এখন প্রবাহ ছোট হয়ে আসছে। লোহালিয়া নদীর তীরের জৈনকাঠি থেকে শুরু হয়ে লাউকাঠি নদীর ব্রিজ পর্যন্ত সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনার মধ্যে শতাধিক রয়েছে বহুতল ভবন। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রশাসন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করলেও কিছুদিনের মধ্যে আবারও দখল হয়ে যায়। কিন্তু এবারও উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে তবে পুরোটাই উচ্ছেদ হবে নাকি প্রভাবশালীরা এর বাইরে থাকবে এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে শহরবাসী।
ওই এলাকার বাসিন্দা চায়ের দোকানি রাহিমা বেগম বলেন, ‘আমার জন্মের পর থেকে দেখেছি এখানে আমাদের ঘরবাড়ি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে, আর আমরা নিজেরা ঘর স্থাপন করে বসে আছি সেগুলো ভেঙে রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছে। একদিন আগে মাইকিং করেছে আমাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে। কোনো নোটিশ দেয়নি এত জরুরি ভাবে ভেঙে আমাদের রাস্তায় কেন নামানো হলো আমরা সেটাই বুঝতে পারছি না। আমাদের পুনর্বাসন করুন, আমাদের থাকার জায়গা দিন, এই শীতের মধ্যে আমরা কীভাবে রাত্রিযাপন করব। আমাদের এই জায়গা ছাড়া কোথাও থাকার মতো জায়গা নেই।’
দিনমজুর মো. নিজাম সিকদার বলেন, ‘আমি এখানে ১২ বছর ধরে আছি। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাই। এখন কোথায় যাব, কার কাছে যাব? এই মাঘ মাসের শীতের মধ্যে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কীভাবে দিন কাটাব? আমাদের দুইটা মাস সময় দিলেও হতো। অপরদিকে নদীর তীরে সরকারি খাস জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে বটে। কিন্তু থেকেই যাচ্ছে সরকারি খাস জমিতে গড়ে ওঠা আলোচিত সেই বহুতল পাকা ভবনগুলো। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজপত্র দেখিয়ে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেন ভবনের মালিকেরা। এসব ভবন মালিকেরা এ জমি তাঁদের মালিকানাধীন বলে দাবি করছেন।’
ওই এলাকার বৃষ্টি এন্টার প্রাইজ ভবনের মালিক মো. হাফিজুর রহমান সবির গাজী বলেন, ‘এই নদীর তীরে অন্তত ৩৯টি স্থাপনা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে ও আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। তাই আদালতের মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন এসব ঘর ভাঙতে পারে না। এ ছাড়া অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তত দুই/তিন মাস সময় দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।’
ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর আলাউদ্দিন আলাল বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা হলো এই পরিবারগুলো আমি তাদের জন্য অনেক অফিসে অফিসে গিয়েছি যেন তাঁদের পুনর্বাসন করা হয়। অন্তত পক্ষে খালি জায়গা দেওয়া হয় যেন তাঁরা ঘর উঠিয়ে এই মহামারির মধ্যে থাকতে পারে। এখন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের জন্য আমি তাঁদের কাছে অনুরোধ করেছি যেন কিছুদিন পরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু তারা আমার এই কথা রাখেননি।’
এ ব্যাপারে উচ্ছেদ অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মাহমুদ জানান, নদীর তীরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তবে, যারা উচ্চ আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কাগজপত্র দেখাতে পারবেন শুধুমাত্র তাঁদেরগুলো ভাঙা আপাতত স্থগিত রাখা হবে। প্রথম দিনে লঞ্চঘাট এলাকা থেকে শুরু করা হয়েছে এবং তা পুরো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা পর্যন্ত চলবে।
কোটি টাকা লেনদেনে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একটি পশুর হাট ইজারায় ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে সমঝোতার অভিযোগ উঠেছে পৌর প্রশাসন ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সমঝোতার একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ ২১ দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাড়ে ১২ হাজার জনকে। কিন্তু কোনো শীর্ষ সন্ত্রাসী বা দাগি অপরাধী ধরা পড়েনি। আবার উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছুরি, রামদা, লাঠি, রডই বেশি; আগ্নেয়াস্ত্র মাত্র ৩৯টি। এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে পুলিশের লুট হওয়া...
৩ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
৩ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের নলকূপ স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তারা সরাসরি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের অনুগত স্থানীয় ঠিকাদারের প্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, নৈশপ্রহরীর স্বামী, নলকূপ বিক্রেতাসহ এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে...
৪ ঘণ্টা আগে