Ajker Patrika

পটুয়াখালীতে যুবদল নেতার পা ভেঙে দিলেন সহকর্মীরা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি  
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ১৩
কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবদল নেতা রাকিব বিশ্বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবদল নেতা রাকিব বিশ্বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে যুবদলের এক নেতাকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

আহত রাকিব বিশ্বাস (৩০) ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজারের পশ্চিম পাশে বালুর মাঠে রাকিবের ওপর এ হামলা চালানো হয়। পিটিয়ে তাঁর বাম পা ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাকিব জানান, জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের মধ্যে গতকাল সকালে ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ করে ইউনিয়ন পরিষদ। খবর পাওয়া যায়, বেশ কিছু নিবন্ধিত জেলের কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের চাল দেন ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক। তিনি এ চাল দিতে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। এ ঘটনায় রাকিব, মহিপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু, ধুলাসার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদসহ কয়েকজন সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানালে চাল দেওয়া বন্ধ করা হয়। এ সময় রাকিবের সঙ্গে আবু বক্করের কথা-কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনার জেরে রাতে ধুলাসার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গাজী কথা বলার জন্য রাকিবকে বালুর মাঠে নিয়ে যান। সেখানে লাঠি, পাইপ ও হাতুড়ি নিয়ে তাঁর ওপর হামলা করেন ইউনিয়ন যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টু, দপ্তর সম্পাদক সিদ্দিক, সদস্য আল-আমিন, আবু বক্কর, মহিব, জালাল উদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মোল্লা ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদস্য নাঈম ফরাজী। তাঁরা রাকিবকে পিটিয়ে সংজ্ঞাহীন করে তাঁর বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যান।

জানতে চাইলে বিএনপি নেতা আবু বক্কর বলেন, ‘আমার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি তো দূরের কথা, তার (রাকিব) সঙ্গে আমার কোনো কথাই হয়নি। মারধরের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

অন্যদিকে যুবদল নেতা পিন্টু বলেন, ‘গতকাল রাতে ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আমাদের জানিয়েছেন, রাকিবকে কারা যেন মারধর করেছে। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।’

যোগাযোগ করা হলে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত