Ajker Patrika

পরীক্ষার আগে একই পথে, পরে আলাদা হয়ে গেলেন বাবা-মেয়ে

বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
মেয়েকে পরীক্ষার হলে দিয়ে হাসপাতালে মারা যান বাবা মো. মাহাবুবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
মেয়েকে পরীক্ষার হলে দিয়ে হাসপাতালে মারা যান বাবা মো. মাহাবুবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পরীক্ষার্থী তাসফিয়ার জীবনে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা। পরীক্ষার হলে তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল বাবার। অথচ যাওয়ার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার বাবা। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাসিফয়াকে নিয়ে যায় পরীক্ষার হলে, আর তার বাবাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। পরে তার বাবা মারা যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাসফিয়া উপজেলার কালিশুরী এস এ ইনস্টিটিউট থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তার বাবা মো. মাহাবুবুর রহমান ওই ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তাদের বাড়ি উপজেলার ভরিপাশা গ্রামে।

স্বজন সূত্রে জানা যায়, তাসফিয়ার বাবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে গাড়িতে রওনা হন। হাসপাতালের পথে পরীক্ষার কেন্দ্র থাকায় তাসফিয়াও একই গাড়ি ওঠে। কেন্দ্রের কাছে সে নেমে যায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। পরে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হয়ে বাবার মৃত্যু সংবাদ পায় তাসফিয়া। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে সে।

কালিশুরী এস এ ইনস্টিটিউটের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ জানান, তাসফিয়া পরীক্ষার হলে ছিল যখন, তার বাবার মৃত্যু সংবাদ আসে। তাসফিয়াকে জানানোর মতো ভাষা তাঁদের কাছে ছিল না। দীর্ঘদিন এই বিদ্যালয়ে তিনি (মাহাবুবুর রহমান) সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করেছেন।

কালিশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মাহবুবুর রহমানের তিন মেয়ের মধ্যে তাসফিয়া মেজো। পরীক্ষার পর তাসফিয়া জানতে পারে তার বাবা আর নেই। একজন সন্তান হিসেবে সে নিজেকে কীভাবে সামাল দেবে তা ভাবতে পারছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত