Ajker Patrika

শহীদকন্যাকে ধর্ষণ: তিনজনকে অভিযুক্ত করে পুলিশের অভিযোগপত্র

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ মে ২০২৫, ২১: ২২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদের মেয়ে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার দুমকি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে আজ শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

এদিকে ওই কলেজছাত্রীর মায়ের বরাতে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, অভিযোগপত্রে মেয়েটির মা সন্তুষ্ট। এখন তাঁর একটাই চাওয়া—আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়ি যাওয়ার পথে গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলায় ওই কলেজছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে দুমকি থানায় একটি মামলা করে। পরে এজাহারভুক্ত দুই কিশোরকে আইনের আওতায় এনে যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠায় পুলিশ। মামলার তদন্ত চলাকালে গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, বাদী দুই আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। মামলার তদন্তকালে এ ঘটনায় আরেক আসামি ইমরান মুন্সির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। তাই তিনজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তবে ইমরান মুন্সিকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

ওসি জানান, মামলার তদন্ত চলাকালে গত ২৬ এপ্রিল রাতে ঢাকার শেখেরটেক এলাকায় বাদী আত্মহত্যা করে। তাই মামলাটির তদন্ত দ্রুত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই কলেজছাত্রীর বাবা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত