লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনে নারী সদস্য পদপ্রার্থী মোসাম্মৎ নাসিদা বেগম। দ্বিতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তবে নাসিদা বেগম একজন ভিক্ষুক হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিকে ভিন্ন চোখে দেখছেন এলাকার অনেকে। অন্যদিকে তাঁর এই বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছেন এলাকায় অনেক সাধারণ ভোটার। সব মিলিয়েই একটি আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বিষয়টি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নাসিদা বেগম পেশায় একজন ভিক্ষুক। দ্বিতীয়বারের মতো আসন্ন বদরপুর ইউনিয়ন থেকে ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী ফজলু খাঁ দিনমজুরির কাজ করতেন। ১৫ বছর আগে মারা যান। তাঁদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছেন। এক ছেলে ঢাকায় রিকশা চালান, আরেক ছেলে এই ইউনিয়নে দেবিরচর বাজারে জুতা সেলাই করে সংসার চালান। মেয়েরা ঢাকায় থাকেন, সেখানে অন্যের বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করছেন। নাসিদা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তাঁর নিজের ৮ শতাংশ জমি এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের একটি ঘর রয়েছে। সেই ঘরে এক ছেলেকে নিয়ে থাকেন তিনি।
সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে তালগাছ প্রতীকে জনসংযোগ, উঠান বৈঠক আর প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। নির্বাচনী এলাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভোট চাইছেন ‘তালগাছ’ প্রতীকের।
সংরক্ষিত সদস্য পদপ্রার্থী নাসিদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীও দিনমজুরির কাজ করে একবার ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন, তবে জয়ী হতে পারেননি। আমি এ নিয়ে দুবার নির্বাচনে প্রার্থী হলাম। এবার আমি জয়ী হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোট পার হলেই প্রার্থীরা জনগণকে ভুলে যায়, তাদের আর খোঁজখবর নেয় না, তাই আমি ক্ষোভেই প্রার্থী হয়েছি। জয়লাভ করতে পারলে গরিব মানুষের সেবা করব। এলাকার উন্নয়ন করব। ভোট যাতে সুষ্ঠু হয়, সেই দাবি জানাই।’
স্থানীয় ভোটার আবদুল মান্নান, খোরশেদ আলম ও শাহজাহান ব্যাপারী জানান, ‘গরিবদের সেবা করতে প্রার্থী হয়েছেন নাসিদা। ভোটারদের কাছ থেকেও তিনি সাড়াও পাচ্ছেন। এলাকার অনেকেই তাঁকে সহযোগিতা করছেন।’
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। সবখানেই নির্বাচনী আমেজ। এরই মধ্যে প্রার্থী নাসিদা বেগমকে ভিন্ন চোখে দেখছেন কেউ কেউ। একজন ভিক্ষুক হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি পুরো এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টার্নিং কর্মকর্তা আমীর খসরু গাজী বলেন, ‘অন্য প্রার্থীদের মতো নাসিদা বেগমও প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি ভিক্ষুক হলেও সব প্রার্থীকেই আমরা সমানভাবে দেখছি। নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই।’
প্রসঙ্গত, উপজেলার বদরগঞ্জ ইউনিয়নে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন। এই ইউপিতে তিনটি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৫৬৬ জন। এখানে একই পদে নাসিদা বেগমের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন আরও ছয় প্রার্থী।
ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনে নারী সদস্য পদপ্রার্থী মোসাম্মৎ নাসিদা বেগম। দ্বিতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তবে নাসিদা বেগম একজন ভিক্ষুক হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিকে ভিন্ন চোখে দেখছেন এলাকার অনেকে। অন্যদিকে তাঁর এই বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছেন এলাকায় অনেক সাধারণ ভোটার। সব মিলিয়েই একটি আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বিষয়টি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নাসিদা বেগম পেশায় একজন ভিক্ষুক। দ্বিতীয়বারের মতো আসন্ন বদরপুর ইউনিয়ন থেকে ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী ফজলু খাঁ দিনমজুরির কাজ করতেন। ১৫ বছর আগে মারা যান। তাঁদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছেন। এক ছেলে ঢাকায় রিকশা চালান, আরেক ছেলে এই ইউনিয়নে দেবিরচর বাজারে জুতা সেলাই করে সংসার চালান। মেয়েরা ঢাকায় থাকেন, সেখানে অন্যের বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করছেন। নাসিদা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তাঁর নিজের ৮ শতাংশ জমি এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের একটি ঘর রয়েছে। সেই ঘরে এক ছেলেকে নিয়ে থাকেন তিনি।
সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে তালগাছ প্রতীকে জনসংযোগ, উঠান বৈঠক আর প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। নির্বাচনী এলাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভোট চাইছেন ‘তালগাছ’ প্রতীকের।
সংরক্ষিত সদস্য পদপ্রার্থী নাসিদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীও দিনমজুরির কাজ করে একবার ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন, তবে জয়ী হতে পারেননি। আমি এ নিয়ে দুবার নির্বাচনে প্রার্থী হলাম। এবার আমি জয়ী হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোট পার হলেই প্রার্থীরা জনগণকে ভুলে যায়, তাদের আর খোঁজখবর নেয় না, তাই আমি ক্ষোভেই প্রার্থী হয়েছি। জয়লাভ করতে পারলে গরিব মানুষের সেবা করব। এলাকার উন্নয়ন করব। ভোট যাতে সুষ্ঠু হয়, সেই দাবি জানাই।’
স্থানীয় ভোটার আবদুল মান্নান, খোরশেদ আলম ও শাহজাহান ব্যাপারী জানান, ‘গরিবদের সেবা করতে প্রার্থী হয়েছেন নাসিদা। ভোটারদের কাছ থেকেও তিনি সাড়াও পাচ্ছেন। এলাকার অনেকেই তাঁকে সহযোগিতা করছেন।’
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। সবখানেই নির্বাচনী আমেজ। এরই মধ্যে প্রার্থী নাসিদা বেগমকে ভিন্ন চোখে দেখছেন কেউ কেউ। একজন ভিক্ষুক হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি পুরো এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টার্নিং কর্মকর্তা আমীর খসরু গাজী বলেন, ‘অন্য প্রার্থীদের মতো নাসিদা বেগমও প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি ভিক্ষুক হলেও সব প্রার্থীকেই আমরা সমানভাবে দেখছি। নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই।’
প্রসঙ্গত, উপজেলার বদরগঞ্জ ইউনিয়নে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন। এই ইউপিতে তিনটি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৫৬৬ জন। এখানে একই পদে নাসিদা বেগমের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন আরও ছয় প্রার্থী।
সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
১১ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে এক কারখানার দুই শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে মুক্তপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দাবির ফোন পেয়েই এক মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। অপহরণকারীরা দুজনকে তুলে নিয়ে বেদম মারধর করে বাড়িতে মুক্তিপণ দাবি করে ফোন দেয়। সন্তান অপহরণের শিকার এমন খবর পেয়ে এক নারী (মা) মারা গেল
২৮ মিনিট আগেবিশ্ব হিজাব দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবারের মতো ‘হিজাব র্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের ভিসি চত্বর থেকে র্যালিটি শুরু হয়। টিএসসি হয়ে রাসেল টাওয়ার ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে এটি শেষ হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
১ ঘণ্টা আগেঅবৈধপথে ইতালি যাওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে গিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে হত্যার ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিবারের অভিযোগ, ইতালি যাওয়ার জন্য প্রত্যেক পরিবার দালাল চক্রকে ১৬ লাখ টাকা দেয়। কিন্তু সেই টাকা লিবিয়ার মাফিয়াদের দেওয়া হয়নি বলে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা করে। হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বা
১ ঘণ্টা আগে