Ajker Patrika

বাবুগঞ্জে সেতুর খুঁটি দেবে সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন, ঘটছে দুর্ঘটনা

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
বাবুগঞ্জে সেতুর খুঁটি দেবে সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন, ঘটছে দুর্ঘটনা

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ভূতের দিয়া (নতুনচর) গ্রামের দক্ষিণ ভূতেরদিয়া (নতুনচর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছে স্কুলের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের লোকজন ওই সেতু দিয়ে চলাচল করেন। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ / ৭ বছর আগে দক্ষিণ ভূতেরদিয়া (নতুনচর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পারাপার ও এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ২০১৫–১৬ অর্থবছরে ১ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু গত দুই মাস আগে সেতুর খুঁটি দেবে হেলে পড়েছে এবং সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 

আজ বুধবার সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটির পিলার দেবে গেছে। সেতুর দক্ষিণ পাশে কাঠ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসীরা। 

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সেতু দিয়ে শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, এলাকাবাসীও আসা-যাওয়া করতে ভয় পায়। কয়েক দিন আগে মো. আবু বকর নামে একজন সেতু দিয়ে পারাপারের সময় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এলাকার প্রায় ৫০টি পরিবারের লোকজন এই সেতু দিয়ে পারাপার করেন। 

বাসিন্দারা আরও বলেন, এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। তাঁদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে এই সেতু দিয়ে বাজারে যেতে হয়। বর্তমানে সেতুটি দেবে যাওয়ায় এলাকার মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। তাই সেতুটি সংস্কারের জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।

দক্ষিণ ভূতের দিয়া নতুনচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব আতঙ্কে আছি। ওই ব্রিজ ছাড়া বিদ্যালয়ে আসার বিকল্প কোনো পথ নেই। যেকোনো সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে। আমি ব্রিজটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

কেদারপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আরিফ মাহমুদ বলেন, সেতুটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এরই মধ্যে সেতুটি দ্রুত সংস্কারের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরে আলম বেপারী বলেন, সেতুটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমীনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। উপজেলা প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অবহিত করব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত