Ajker Patrika

নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে মির্জাগঞ্জ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে মির্জাগঞ্জ

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই মির্জাগঞ্জে ৬টি ইউনিয়নে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানারে ভরে গেছে হাটবাজার ও গ্রামাঞ্চল। দুপুর দুইটা বাজলেই মাইক দিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়। রাত আটটায় শেষ হয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করছেন প্রার্থীরা। চায়ের দোকানে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। 

মির্জাগঞ্জে ৬টি ইউনিয়নেই ২৮ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে মিছিল মিটিং তত বাড়ছে। তবে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও রয়েছে। 

এবারের ইউপি নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। বিদ্রোহীদের দল থেকে বহিষ্কার করলেও কোনো কোনো ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীরা রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। এ ছাড়াও সংরক্ষিত এবং সাধারণ সদস্য পদে ও একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। হাট-বাজারে বিভিন্ন চায়ের দোকানে দিচ্ছেন নির্বাচনী আড্ডা। সাধারণ ভোটারদের দাবি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হোক।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মুন্সিরহাট, ভুটিয়ারহাট, কাঠালতলী, নিউমার্কেট, চৈতা, শিশুরহাট, ভিকাখালী, কলাগাছিয়া, পোলের হাট, দেউলী, ভয়াং, কাকড়াবুনিয়া, পিপড়াখালী ও চত্রা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টারে ভরে গেছে। মহাসড়ক ও ছোট বড় সড়কে গাছের সঙ্গে রশি বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রার্থীদের পোস্টার। সব মিলিয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। 

রশিতে সাদা-কালো পোস্টার লাগানো হয়উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়—উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ২ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এতে চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৯৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। 

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১১ নভেম্বর। উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত তারিখের পূর্বেই চারজন প্রার্থী তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে ওই ইউনিয়নে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ও সংরক্ষিত এবং সাধারণ সদস্য পদেও প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখন ৫ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ২০ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

মাধবখালী ও মির্জাগঞ্জ ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, পোস্টার সাদা-কালো রঙের হইতে হবে। আয়তন ষাট সেন্টিমিটার ও পঁয়তাল্লিশ সেন্টিমিটারের অধিক হইতে পারবে না। আচরণবিধি সকল প্রার্থীকে সমান ভাবে মানতে হবে এর ব্যত্যয় হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত