পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ভারতীয় জেলেদের দেশীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বরগুনার পাথরঘাটার মৎস্যজীবীরা। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের গোল চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় গবেষক দেশে এনে বঙ্গোপসাগরে গবেষণা করে ভারতের স্বার্থে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে শেখ হাসিনা সরকার। দেশের টাকা খরচ করে ভারতীয় গবেষকেদের করা গবেষণা বাংলাদেশের মৎস্য খাত ধ্বংস করে দিয়েছে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে নিঃস্ব হয়েছে হাজার হাজার জেলে পরিবার। ভারত প্রেমী শেখ হাসিনা সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ভারতীয় জেলেদের দেশীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধনে অংশ নেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি, বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতিসহ মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনের পাঁচ শতাধিক সদস্যরা। এতে ভার্চুয়ালে কলে যুক্ত হয়ে জেলেদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি।
পরে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের বরাবর ৬৫ দিনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুম আকন, দুলাল মাস্টার, মহিউদ্দিন এসমে, সগির মেম্বার প্রমুখ।
জেলে নেতারা বলেন, গত আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় জেলেদের। পাঁচ মাস ইলিশ মৌসুমের তিন মাস থাকে নিষেধাজ্ঞা। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের সময় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা তারা মানতে রাজি কিন্তু ৬৫ দিনের মানবে না জেলেরা।
তাঁরা বলেন, ২০১৯ সাল থেকে এই অধ্যাদেশের আলোকে বাংলাদেশের জেলেদের জুলুম অত্যাচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে সকল ধরনের মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি জেলেদের নির্যাতনসহ মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এই সময় বাংলাদেশের জেলেরা আর্থিক সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়ে।
জানা যায়, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য আইনের সংশোধনে ২০১৫ সালের ১৯ ধারায় প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ফিশিং ভ্যাসেলে মাছ শিকার বন্ধের আইন করা হয়। এ আইনে কেবল চট্টগ্রামের ২৫৫টি ফিশিং বোটের জন্য বলবৎ ছিল। পরে ২০১৯ সাল থেকে উপকূলের ইঞ্জিন চালিত কাঠের ট্রলার এগুলোকে এ আইনের আওতায় আনা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য-২ (আইন) অধিশাখা এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এই দীর্ঘসময় বঙ্গোপসাগরের কোনো স্থানেই যান্ত্রিক এমনকি ছোট্ট ডিঙি নৌকা কিংবা দাঁড়বাহী নৌকা মাছ ধরতে গেলেই আইনি ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়। ৬৫ দিন গভীর সমুদ্রগামী ফিশিং ভ্যাসেল এর সঙ্গে উপকূলীয় ইলিশ শিকারি ইঞ্জিন চালিত কাঠের ট্রলারে ৬৫ দিন অবরোধ দেওয়ায় বেকার হয়ে পরে বরগুনাসহ দক্ষিণ অঞ্চলের কয়েক লাখ জেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা জেলার মোট জনসংখ্যার ৮০ ভাগ মানুষই মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে কোনো না কোনো ভাবে জড়িত। দেশের বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনা পাথরঘাটা হওয়াতে বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম এলাকার ট্রলার মালিকেরা এখান থেকে তাদের মৎস্য ব্যবসা পরিচালনা করেন। ৬৫ দিনের অবরোধে এরা সবাই বেকার থাকে। এতে চরম বিপাকে পড়েন এ পেশার সঙ্গে জড়িত জেলে পরিবার, ট্রলার মালিক-শ্রমিক, আড়তদার, দাদনদার, বরফ কলের সঙ্গে সম্পৃক্তসহ জাল প্রস্তুতকারী, তেল সরবরাহকারী, খাবার সরবরাহকারী লাখ লাখ পরিবার। এ নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে জেলেরা বারবার আন্দোলন, মানববন্ধন করলেও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে।
বঙ্গোপসাগরে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ভারতীয় জেলেদের দেশীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বরগুনার পাথরঘাটার মৎস্যজীবীরা। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের গোল চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় গবেষক দেশে এনে বঙ্গোপসাগরে গবেষণা করে ভারতের স্বার্থে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে শেখ হাসিনা সরকার। দেশের টাকা খরচ করে ভারতীয় গবেষকেদের করা গবেষণা বাংলাদেশের মৎস্য খাত ধ্বংস করে দিয়েছে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে নিঃস্ব হয়েছে হাজার হাজার জেলে পরিবার। ভারত প্রেমী শেখ হাসিনা সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ভারতীয় জেলেদের দেশীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধনে অংশ নেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি, বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতিসহ মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনের পাঁচ শতাধিক সদস্যরা। এতে ভার্চুয়ালে কলে যুক্ত হয়ে জেলেদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি।
পরে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের বরাবর ৬৫ দিনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুম আকন, দুলাল মাস্টার, মহিউদ্দিন এসমে, সগির মেম্বার প্রমুখ।
জেলে নেতারা বলেন, গত আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় জেলেদের। পাঁচ মাস ইলিশ মৌসুমের তিন মাস থাকে নিষেধাজ্ঞা। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের সময় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা তারা মানতে রাজি কিন্তু ৬৫ দিনের মানবে না জেলেরা।
তাঁরা বলেন, ২০১৯ সাল থেকে এই অধ্যাদেশের আলোকে বাংলাদেশের জেলেদের জুলুম অত্যাচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে সকল ধরনের মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি জেলেদের নির্যাতনসহ মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এই সময় বাংলাদেশের জেলেরা আর্থিক সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়ে।
জানা যায়, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য আইনের সংশোধনে ২০১৫ সালের ১৯ ধারায় প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ফিশিং ভ্যাসেলে মাছ শিকার বন্ধের আইন করা হয়। এ আইনে কেবল চট্টগ্রামের ২৫৫টি ফিশিং বোটের জন্য বলবৎ ছিল। পরে ২০১৯ সাল থেকে উপকূলের ইঞ্জিন চালিত কাঠের ট্রলার এগুলোকে এ আইনের আওতায় আনা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য-২ (আইন) অধিশাখা এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এই দীর্ঘসময় বঙ্গোপসাগরের কোনো স্থানেই যান্ত্রিক এমনকি ছোট্ট ডিঙি নৌকা কিংবা দাঁড়বাহী নৌকা মাছ ধরতে গেলেই আইনি ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়। ৬৫ দিন গভীর সমুদ্রগামী ফিশিং ভ্যাসেল এর সঙ্গে উপকূলীয় ইলিশ শিকারি ইঞ্জিন চালিত কাঠের ট্রলারে ৬৫ দিন অবরোধ দেওয়ায় বেকার হয়ে পরে বরগুনাসহ দক্ষিণ অঞ্চলের কয়েক লাখ জেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা জেলার মোট জনসংখ্যার ৮০ ভাগ মানুষই মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে কোনো না কোনো ভাবে জড়িত। দেশের বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনা পাথরঘাটা হওয়াতে বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম এলাকার ট্রলার মালিকেরা এখান থেকে তাদের মৎস্য ব্যবসা পরিচালনা করেন। ৬৫ দিনের অবরোধে এরা সবাই বেকার থাকে। এতে চরম বিপাকে পড়েন এ পেশার সঙ্গে জড়িত জেলে পরিবার, ট্রলার মালিক-শ্রমিক, আড়তদার, দাদনদার, বরফ কলের সঙ্গে সম্পৃক্তসহ জাল প্রস্তুতকারী, তেল সরবরাহকারী, খাবার সরবরাহকারী লাখ লাখ পরিবার। এ নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে জেলেরা বারবার আন্দোলন, মানববন্ধন করলেও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে।
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
২ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
২ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
২ ঘণ্টা আগে