নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের নেছারাবাদের জলাবাড়ি ইউনিয়নে প্রায় সাত কিলোমিটার খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব খালের বেশির ভাগ স্থানে পাড় ড্রেসিং (ছেঁটে ফেলানো) করা হলেও ওপরে কোনো মাটি ওঠানো হয়নি।
আবার কিছু জায়গায় সামান্য মাটি খনন করেই কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যোগসাজশে চূড়ান্ত বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা চলছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই খাল খননের কাজ করানো হয়েছে।
জলাবাড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠান খননকাজ বাস্তবায়ন করছে। সঠিকভাবে খাল খনন করা না হলেও এরই মধ্যে মোট বরাদ্দ করা টাকার ৭১ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে প্রকল্প এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানান, এলজিইডির টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে জলাবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচটি খালের ৬ দশমিক ৯৫০ কিমি খনন করার ক্ষেত্রে সব কটি খালেই ফাঁকিবাজির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এভাবে খাল খনন মানুষের কোনো কাজে আসছে না। দায়সারাভাবে খনন করে চূড়ান্ত বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা করা হচ্ছে।
পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামের কৃষক রতন হালদার বলেন, মাদ্রা বাড়ানি খালের বেশির ভাগ জায়গার পাড় ছাঁটাই (ড্রেসিং) করেই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ওই কৃষকের অভিযোগ, সেচ সুবিধার জন্য খালের উজানের দিকে ভরাট হয়ে যাওয়া অংশে বেশি মাটি কাটার প্রয়োজন হলেও সেই অংশে পাড় ছাঁটাই করেই খনন করা
দেখানো হয়েছে পূর্ব জলাবাড়ি হাইস্কুলের পেছনের ৩০০ মিটারের বেশি খালে পাড় ছাঁটাই করে কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। এতে প্রকল্পের দীর্ঘ মেয়াদের কোনো সুফল আসবে না। শুধু শুধু আর্থ অপচয় হয়েছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে খাল খননের কাজে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রি-ওয়ার্ক মাপে ফাঁকফোকর রেখে ডিজাইন ও প্রাক্কলন তৈরি করেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। বিভিন্ন সমিতির যোগসাজশে টাকা ভাগাভাগির বিনিময়ে প্রাথমিক পর্যায়ে এসব প্রাক্কলন তৈরির সময় ডিজাইনে খালের উৎসমুখের গভীর খরস্রোতা (ছোট নৌযান চলাচলের মতো গভীর) অংশকে প্রকল্পভুক্ত করেন। সেই সুযোগে খালের সামান্য
মাটি না তুলেই পাড় ড্রেসিং করে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বিল নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
জানতে চাইলে জলাবাড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সম্পাদক বিপ্লব হালদার অভিযোগ করেন, তাঁকে এড়িয়ে সভাপতি সুব্রত হালদার নানা ছলচাতুরী করে এককভাবে প্রকল্পের কাজ করেছেন।
সমিতির সভাপতি সুব্রত কুমার হালদার বলেন, ‘ডিজাইনমতো সম্পূর্ণ কাজ করা হয়ে গেছে। সঠিকভাবে কাজ করলেও প্রকল্প প্রণয়ন থেকে শেষ পর্যন্ত বরাদ্দের ৩০-৩৫ শতাংশ টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে বিল তুলতে হয়।’
খাল খননকাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা পিরোজপুর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিজাইনমতো সঠিকভাবে খাল খনন করা হয়েছে। ডিজাইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
অনেক জায়গায় খালের পাড়ে মাটির অস্তিত্ব না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আশপাশের লোকজন হয়তো নিয়ে গেছেন।’
পিরোজপুরের নেছারাবাদের জলাবাড়ি ইউনিয়নে প্রায় সাত কিলোমিটার খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব খালের বেশির ভাগ স্থানে পাড় ড্রেসিং (ছেঁটে ফেলানো) করা হলেও ওপরে কোনো মাটি ওঠানো হয়নি।
আবার কিছু জায়গায় সামান্য মাটি খনন করেই কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যোগসাজশে চূড়ান্ত বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা চলছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই খাল খননের কাজ করানো হয়েছে।
জলাবাড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠান খননকাজ বাস্তবায়ন করছে। সঠিকভাবে খাল খনন করা না হলেও এরই মধ্যে মোট বরাদ্দ করা টাকার ৭১ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে প্রকল্প এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানান, এলজিইডির টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে জলাবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচটি খালের ৬ দশমিক ৯৫০ কিমি খনন করার ক্ষেত্রে সব কটি খালেই ফাঁকিবাজির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এভাবে খাল খনন মানুষের কোনো কাজে আসছে না। দায়সারাভাবে খনন করে চূড়ান্ত বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা করা হচ্ছে।
পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামের কৃষক রতন হালদার বলেন, মাদ্রা বাড়ানি খালের বেশির ভাগ জায়গার পাড় ছাঁটাই (ড্রেসিং) করেই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ওই কৃষকের অভিযোগ, সেচ সুবিধার জন্য খালের উজানের দিকে ভরাট হয়ে যাওয়া অংশে বেশি মাটি কাটার প্রয়োজন হলেও সেই অংশে পাড় ছাঁটাই করেই খনন করা
দেখানো হয়েছে পূর্ব জলাবাড়ি হাইস্কুলের পেছনের ৩০০ মিটারের বেশি খালে পাড় ছাঁটাই করে কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। এতে প্রকল্পের দীর্ঘ মেয়াদের কোনো সুফল আসবে না। শুধু শুধু আর্থ অপচয় হয়েছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে খাল খননের কাজে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রি-ওয়ার্ক মাপে ফাঁকফোকর রেখে ডিজাইন ও প্রাক্কলন তৈরি করেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। বিভিন্ন সমিতির যোগসাজশে টাকা ভাগাভাগির বিনিময়ে প্রাথমিক পর্যায়ে এসব প্রাক্কলন তৈরির সময় ডিজাইনে খালের উৎসমুখের গভীর খরস্রোতা (ছোট নৌযান চলাচলের মতো গভীর) অংশকে প্রকল্পভুক্ত করেন। সেই সুযোগে খালের সামান্য
মাটি না তুলেই পাড় ড্রেসিং করে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বিল নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
জানতে চাইলে জলাবাড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সম্পাদক বিপ্লব হালদার অভিযোগ করেন, তাঁকে এড়িয়ে সভাপতি সুব্রত হালদার নানা ছলচাতুরী করে এককভাবে প্রকল্পের কাজ করেছেন।
সমিতির সভাপতি সুব্রত কুমার হালদার বলেন, ‘ডিজাইনমতো সম্পূর্ণ কাজ করা হয়ে গেছে। সঠিকভাবে কাজ করলেও প্রকল্প প্রণয়ন থেকে শেষ পর্যন্ত বরাদ্দের ৩০-৩৫ শতাংশ টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে বিল তুলতে হয়।’
খাল খননকাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা পিরোজপুর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিজাইনমতো সঠিকভাবে খাল খনন করা হয়েছে। ডিজাইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
অনেক জায়গায় খালের পাড়ে মাটির অস্তিত্ব না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আশপাশের লোকজন হয়তো নিয়ে গেছেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে