Ajker Patrika

রক্তদানের সময় ছাত্রলীগ কর্মীর ওপর হামলা, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭ 

হিজলা (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ৩৩
Thumbnail image

বরিশালের হিজলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ‘অপমান’ করায় অপর নেতার কর্মীর ওপর হাসপাতালে রক্তদানের সময় হামলা হয়েছে। একপর্যায়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় গ্রুপের মোট ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। 

আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে (সেবাচিম) পাঠানো হয়েছে। 

আহতরা হলেন সালাউদ্দিন সিকদারের ছেলে মাসুদ সিকদার (২৪), জাহাঙ্গীর দরজির ছেলে আনিস (৩০), এনায়েত হোসেন হাওলাদারের ছেলে আম্মান হাওলাদার (২৬), বরকত সিকদার (৩২), মৃত আবদুর রহমান হাওলাদারের ছেলে আলমগীর হাওলাদার (৫৫), সোলাইমান হাওলাদার (৫০) ও আলমগীর হাওলাদারের ছেলে সোয়েব হাওলাদার (১৮)। 

জানা গেছে, স্থানীয় এমপি পংকজ নাথের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার ও সাম্মী আহমেদের অনুসারী হিরণ হাওলাদারের মধ্যে এ সংঘর্ষ। 

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা রেমিডি মেডিকেল সার্ভিসের ভেতরে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সূত্রপাত নিয়ে উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। 

হাসপাতালে রক্তদানের সময় হামলার শিকার ও হিজলা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মাসুদ সিকদার বলেন, ‘রেমিডি মেডিকেল সার্ভিসে এক রোগীকে রক্তদানের সময় আলমগীর হাওলাদার ও তাঁর ভাই সোলাইমান হাওলাদারসহ কয়েকজন আমার ওপর হামলা চালায়। এ সংবাদ পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদারের ছেলে আম্মান লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে তাঁদের ওপরও হামলা চালায়।’ 

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জান্নাতের বাবা বেলায়েত চৌকিদার বলেন, ‘মাসুদ সিকদার আমার মেয়েকে রক্ত দেওয়ার সময় ৫-৬ জন লোক এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। তখন তিনি নিজ এলাকার ইউপি সদস্য রুমা বেগমকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।’ 

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘গত সোমবার হিজলা সরকারি কলেজে বরজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরণ হাওলাদারের সঙ্গে আমার লোকজনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। তখন তাঁরা হামলা করতে না পেরে আজকে এ হামলা চালিয়েছে।’ 

এ বিষয়ে বরজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরণ হাওলাদার বলেন, ‘সেদিন কলেজে এনায়েত হাওলাদারের লোকজন আমাদের অপমান করে। আজকের হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ঘটনা শুনে হাসপাতালে এসে দেখি আমার দুই ভাই ও ভাতিজা গুরুতর আহত।’ 

হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবাইর জানায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ সংবাদ শুনে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত