জনগণের কাছে পরিষ্কার না করে মানবতার করিডর দুঃখজনক: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেছেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা কোন জায়গায় যাবে সেটি জনগণের কাছে পরিষ্কার না করে আপনি করিডর দিতে চাচ্ছেন? আপনাকে জনগণের মানসিকতা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যেখানে দেশ ও মানুষ বিপন্ন হতে পারে, সেই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দুঃখজনক।’

মে দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল সদর রোডে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক দলের আয়োজিত সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনি মানবতার করিডর দিতে চান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে, যেখানে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। আপনি নির্বাচিত নন, কিন্তু আপনি তো জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সমর্থিত সরকার। আপনি জনগণের আকাঙ্ক্ষা কী, সেটি শুনবেন না? আপনি এককভাবে আপনার কয়েকজন অ্যাডভাইজরকে নিয়ে মানবতার করিডর করবেন?’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা কোথায় পালিয়ে আছে? পার্শ্ববর্তী দেশে। কিন্তু কোথায় আছে? সে কথা ওখানকার প্রধানমন্ত্রীও বলেন না। আর কেউই বলে না।

শেখ হাসিনা হয়ে গেছেন ওসামা বিন লাদেনের খালাতো বোন। ওসামা বিন লাদেন কোন ‍গুহায়, কোন পাহাড়ে থাকত, কেউ যেমন জানত না, মাঝেমধ্যে ভিডিওবার্তা দিত। ঠিক সেভাবে শেখ হাসিনা এখন লাদেনের খালাতো বোন হয়ে ভিডিওবার্তা দেন।

রিজভী বলেন, ‘উনার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, যে ঘটনায় উনি বলেছেন ২২৭টি হত্যা নিশ্চিত হলো। যিনি কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তিনি কীভাবে বলতে পারেন, যারা তার নামে মামলা দিয়েছে, সেই ২২৭ জনের হত্যা নিশ্চিত হলো। তিনি হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। আপনি এত শিশু, কিশোর, শ্রমিক, রিকশাওয়ালার রক্ত পান করার পরও আপনার তৃষ্ণা মেটেনি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন কবে করা যায়, তার তারিখ সুনির্দিষ্ট করে বলুন।’

শ্রমিক দলের নেতা ফয়েজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

আরও বক্তব্য দেন বিএনপির বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, নির্বাহী সদস্য মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ, হাসান মামুন, এবায়দুল হক চান, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান ও সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহ, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।