মারুফ কিবরিয়া ও রফিকুল ইসলাম খান, বরিশাল থেকে

সামান্য ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা বরিশাল নগরীতে ঘটে গেল, তা অভাবনীয়। রাজনৈতিক মারামারি-হানাহানি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় হয়। বরিশালেও তা-ই হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সাংসদের, যিনি আবার প্রতিমন্ত্রী, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বই এর নেপথ্যে। কিন্তু প্রশাসনযন্ত্র বা আমলাতন্ত্র এই বিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় তা এখন জাতীয় ইস্যু। এরও একটা প্রেক্ষাপট আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তারা।
উপজেলা পরিষদে চত্বর থেকে ব্যানার অপসারণ নিয়ে গত বুধবার রাতে ইউএনওর বাসভবনে হামলা করেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী যুবলীগ-ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের কর্মীরা। ওসব ব্যানার ছিল বরিশাল সদর আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারীদের। ওই রাতের হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় মেয়রসহ তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পরদিন দুটি মামলা করে পুলিশ প্রশাসন। এর বিপরীতে গতকাল দুটি পাল্টা মামলা হয়েছে আদালতে। আদালতে ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি থানার সদ্য সাবেক ওসি নুরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন এবং আরেক কর্মকর্তা। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সদর আসনে প্রার্থী হলে ওই সময় সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর সঙ্গে প্রচারণায় ছিলেন। কিন্তু জাহিদ ফারুক সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ে দুজনের মধ্যে। প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীরা অভিযোগ করেন, নানা সময় সভা-সমাবেশে অবজ্ঞা ও অসম্মান করা হয়েছে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে। যে কারণে দূরত্ব বাড়ে তাঁদের মধ্যে। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে কিছুদিন আগের দলের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানকের বাসভবনের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে মেয়র সাদিক প্রকাশ্যে এমপি জাহিদ ফারুককে উদ্দেশ করে নালিশ করেন নানকের কাছে। ওই সময় মেয়র নানককে জানান, প্রতিমন্ত্রী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থাকেন না। এ ঘটনায় দুজনের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপর থেকে প্রতিমন্ত্রী ও মেয়রকে আর এক মঞ্চে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্নভাবেই অবস্থান দেখা মেলে তাঁদের। দূরত্বের শেষ পেরেক হলো গত বছর নগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকে সদস্য হিসেবেও রাখা হয়নি। যদিও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বরিশাল সদর উপজেলা চত্বরে সরব দেখা যায়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী উপহারসামগ্রী বিতরণ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন, খেলাধুলার উদ্বোধন, সমাজসেবার মাধ্যমে বিভিন্ন অনুদান প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমেই দিত জেলা প্রশাসন। উপজেলা পরিষদ চত্বর অনেকটা একচেটিয়া ঘাঁটি হয়ে দাঁড়ায় জাহিদ ফারুকের। যে কারণে সেখানে নানা দিবসে কর্মসূচিতে ব্যানার ফেস্টুনে ভরে যেত তাঁর নামে। এর ওপর চলতি মাসে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিটি কাউন্সিলর দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করান প্রতিমন্ত্রী। নগরীর ছয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রকাশ্যেই জাহিদ ফারুককে সমর্থন করেছেন। তাঁর অনুসারী হতে যাচ্ছেন আরও ১৫ জন কাউন্সিলর। নগরীর মধ্যে এভাবে জাহিদ ফারুকের তৎপরতা মোটেও ভালোভাবে নিতে পারেননি মেয়র ও তাঁর অনুসারীরা।
মেয়রকে নিয়ে কাউন্সিলরদের মধ্যেও ক্ষোভ আছে। নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে আমাদের কোনো কাজ নেই। কাউন্সিলররা কোন পরিস্থিতিতে আছেন বলার ভাষা নেই। যে কারণে ১৫ থেকে ২০ জন কাউন্সিলর নগরভবনে যান না।’
মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ওপর অন্যায় করা হয়েছে। দলের দুঃসময়ে আমরা পাশে ছিলাম। কিন্তু রেজা হত্যা মামলায় আমাকে অনেক ভোগানো হয়েছে। আমার বাড়ি ভাঙতে গেছে। বরিশালবাসী জানেন এসব কে করেছে। যার ফল এখন ভোগ করছে।’
তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, প্রতিমন্ত্রী যে ত্রাণ কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নগরীতে দিচ্ছেন তা তো প্রধানমন্ত্রীর। প্রতিমন্ত্রীর ব্যানার অপসারণের জন্য তো সিটি করপোরেশনের লোকজন যাননি। তাঁরা নগরীর সৌন্দর্য রক্ষায় সব ধরনের ব্যানার অপসারণ করছেন। এ নিয়ে জল ঘোল করছে একটি মহল।
মেয়র পক্ষের কয়েজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে উপজেলা পরিষদ চত্বর। জেলা প্রশাসন বা উপজেলা প্রশাসনও তাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রতিমন্ত্রীকে প্রাধান্য দিতেন। এ নিয়ে অবহেলিত মনে করতেন মেয়র।
অন্যদিকে প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁদের কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত নেই। কিন্তু বিভিন্ন সময় মেয়রের কথাবার্তা এবং আচরণ তাঁদের ব্যথিত করেছে। এ কারণে তাঁর প্রতি কর্মকর্তাদের কিছু হলেও অসন্তোষ রয়েছে।
গত বুধবার রাতের ঘটনার নেপথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি গতকাল বলেন, ‘মামলার এজাহারেই সব উল্লেখ করেছি। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা ও মেয়রকে আসামি করা হয়েছে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমত মনে করি, ইউএনও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি পরিস্থিতি তৈরি করে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা পরিষদের ব্যানার তো ইউএনওর না। সিটি করপোরেশনের কাজে তিনি কেন বাধা দেবেন?’

সামান্য ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা বরিশাল নগরীতে ঘটে গেল, তা অভাবনীয়। রাজনৈতিক মারামারি-হানাহানি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় হয়। বরিশালেও তা-ই হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সাংসদের, যিনি আবার প্রতিমন্ত্রী, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বই এর নেপথ্যে। কিন্তু প্রশাসনযন্ত্র বা আমলাতন্ত্র এই বিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় তা এখন জাতীয় ইস্যু। এরও একটা প্রেক্ষাপট আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তারা।
উপজেলা পরিষদে চত্বর থেকে ব্যানার অপসারণ নিয়ে গত বুধবার রাতে ইউএনওর বাসভবনে হামলা করেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী যুবলীগ-ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের কর্মীরা। ওসব ব্যানার ছিল বরিশাল সদর আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারীদের। ওই রাতের হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় মেয়রসহ তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পরদিন দুটি মামলা করে পুলিশ প্রশাসন। এর বিপরীতে গতকাল দুটি পাল্টা মামলা হয়েছে আদালতে। আদালতে ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি থানার সদ্য সাবেক ওসি নুরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন এবং আরেক কর্মকর্তা। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সদর আসনে প্রার্থী হলে ওই সময় সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর সঙ্গে প্রচারণায় ছিলেন। কিন্তু জাহিদ ফারুক সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ে দুজনের মধ্যে। প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীরা অভিযোগ করেন, নানা সময় সভা-সমাবেশে অবজ্ঞা ও অসম্মান করা হয়েছে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে। যে কারণে দূরত্ব বাড়ে তাঁদের মধ্যে। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে কিছুদিন আগের দলের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানকের বাসভবনের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে মেয়র সাদিক প্রকাশ্যে এমপি জাহিদ ফারুককে উদ্দেশ করে নালিশ করেন নানকের কাছে। ওই সময় মেয়র নানককে জানান, প্রতিমন্ত্রী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থাকেন না। এ ঘটনায় দুজনের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপর থেকে প্রতিমন্ত্রী ও মেয়রকে আর এক মঞ্চে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্নভাবেই অবস্থান দেখা মেলে তাঁদের। দূরত্বের শেষ পেরেক হলো গত বছর নগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকে সদস্য হিসেবেও রাখা হয়নি। যদিও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বরিশাল সদর উপজেলা চত্বরে সরব দেখা যায়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী উপহারসামগ্রী বিতরণ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন, খেলাধুলার উদ্বোধন, সমাজসেবার মাধ্যমে বিভিন্ন অনুদান প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমেই দিত জেলা প্রশাসন। উপজেলা পরিষদ চত্বর অনেকটা একচেটিয়া ঘাঁটি হয়ে দাঁড়ায় জাহিদ ফারুকের। যে কারণে সেখানে নানা দিবসে কর্মসূচিতে ব্যানার ফেস্টুনে ভরে যেত তাঁর নামে। এর ওপর চলতি মাসে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিটি কাউন্সিলর দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করান প্রতিমন্ত্রী। নগরীর ছয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রকাশ্যেই জাহিদ ফারুককে সমর্থন করেছেন। তাঁর অনুসারী হতে যাচ্ছেন আরও ১৫ জন কাউন্সিলর। নগরীর মধ্যে এভাবে জাহিদ ফারুকের তৎপরতা মোটেও ভালোভাবে নিতে পারেননি মেয়র ও তাঁর অনুসারীরা।
মেয়রকে নিয়ে কাউন্সিলরদের মধ্যেও ক্ষোভ আছে। নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে আমাদের কোনো কাজ নেই। কাউন্সিলররা কোন পরিস্থিতিতে আছেন বলার ভাষা নেই। যে কারণে ১৫ থেকে ২০ জন কাউন্সিলর নগরভবনে যান না।’
মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ওপর অন্যায় করা হয়েছে। দলের দুঃসময়ে আমরা পাশে ছিলাম। কিন্তু রেজা হত্যা মামলায় আমাকে অনেক ভোগানো হয়েছে। আমার বাড়ি ভাঙতে গেছে। বরিশালবাসী জানেন এসব কে করেছে। যার ফল এখন ভোগ করছে।’
তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, প্রতিমন্ত্রী যে ত্রাণ কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নগরীতে দিচ্ছেন তা তো প্রধানমন্ত্রীর। প্রতিমন্ত্রীর ব্যানার অপসারণের জন্য তো সিটি করপোরেশনের লোকজন যাননি। তাঁরা নগরীর সৌন্দর্য রক্ষায় সব ধরনের ব্যানার অপসারণ করছেন। এ নিয়ে জল ঘোল করছে একটি মহল।
মেয়র পক্ষের কয়েজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে উপজেলা পরিষদ চত্বর। জেলা প্রশাসন বা উপজেলা প্রশাসনও তাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রতিমন্ত্রীকে প্রাধান্য দিতেন। এ নিয়ে অবহেলিত মনে করতেন মেয়র।
অন্যদিকে প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁদের কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত নেই। কিন্তু বিভিন্ন সময় মেয়রের কথাবার্তা এবং আচরণ তাঁদের ব্যথিত করেছে। এ কারণে তাঁর প্রতি কর্মকর্তাদের কিছু হলেও অসন্তোষ রয়েছে।
গত বুধবার রাতের ঘটনার নেপথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি গতকাল বলেন, ‘মামলার এজাহারেই সব উল্লেখ করেছি। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা ও মেয়রকে আসামি করা হয়েছে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমত মনে করি, ইউএনও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি পরিস্থিতি তৈরি করে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা পরিষদের ব্যানার তো ইউএনওর না। সিটি করপোরেশনের কাজে তিনি কেন বাধা দেবেন?’

মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র সার্ভারে জালিয়াতি করে কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল গ্যাস সরবরাহ। পাইপলাইন মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৯ জন নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আটজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সব বাতি অকেজো থাকায় সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারের মধ্যে সেতুর ওপর, এমনকি নিচেও মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। ফলে পথচারীরা অনেক সময় ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মাণ করা হয় সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। ৬৯৪ মিটার সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২৯৪ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মাণ শেষে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে উদ্বোধন করা হয়। চলাচলের সুবিধার জন্য সেতুটির ওপরে শতাধিক খুঁটি বসিয়ে সৌরবাতি লাগানো হয়। এক বছরের মাথায় বাতিগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সৌরবাতি বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগের মাধ্যমে বাতিগুলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর কয়েক মাস যেতেই আবার বাতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বছরের পর বছর সেতুর বাতিগুলো অকেজো হয়েই পড়ে রয়েছে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এক বছর ধরে সড়ক বিভাগই সেতুটির টোল আদায় করছে। এই সড়ক দিয়ে ঢাকা, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার জন্য কয়েক হাজার চলাচলকারী যানবাহন থেকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করার পরও সেতুটির বাতি নেই।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার থাকায় এ গুরুত্বপূর্ণ সেতুর ওপর প্রায় দুর্ঘটনাসহ চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া সেতুর ওপরে ও নিচে নেশার আড্ডাও বসে।
অটোরিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাতি না থাকার কারণে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ভয়ে এখন আর আগের মতো কেউ এখানে আসে না।
মাইক্রোবাসচালক ফেরদৌস ব্যাপারী বলেন, ‘সেতুতে সড়কবাতি না থাকায় অনেক সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তাই এই সেতুতে সড়কবাতি জরুরি’
পথচারী জালালউদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়ি সেতুর কাছেই। সন্ধ্যার পর এখান দিয়ে হাঁটতে ভয় লাগে। কারণ এখানে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, ‘ঠিকাদার নিয়োগ না থাকায় বাতিগুলো অকেজো হয়ে আছে। তাড়াতাড়ি ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। তখন বাতিগুলো ঠিক করা হবে। আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান হবে।’

মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সব বাতি অকেজো থাকায় সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারের মধ্যে সেতুর ওপর, এমনকি নিচেও মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। ফলে পথচারীরা অনেক সময় ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মাণ করা হয় সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। ৬৯৪ মিটার সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২৯৪ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মাণ শেষে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে উদ্বোধন করা হয়। চলাচলের সুবিধার জন্য সেতুটির ওপরে শতাধিক খুঁটি বসিয়ে সৌরবাতি লাগানো হয়। এক বছরের মাথায় বাতিগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সৌরবাতি বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগের মাধ্যমে বাতিগুলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর কয়েক মাস যেতেই আবার বাতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বছরের পর বছর সেতুর বাতিগুলো অকেজো হয়েই পড়ে রয়েছে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এক বছর ধরে সড়ক বিভাগই সেতুটির টোল আদায় করছে। এই সড়ক দিয়ে ঢাকা, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার জন্য কয়েক হাজার চলাচলকারী যানবাহন থেকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করার পরও সেতুটির বাতি নেই।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার থাকায় এ গুরুত্বপূর্ণ সেতুর ওপর প্রায় দুর্ঘটনাসহ চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া সেতুর ওপরে ও নিচে নেশার আড্ডাও বসে।
অটোরিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাতি না থাকার কারণে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ভয়ে এখন আর আগের মতো কেউ এখানে আসে না।
মাইক্রোবাসচালক ফেরদৌস ব্যাপারী বলেন, ‘সেতুতে সড়কবাতি না থাকায় অনেক সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তাই এই সেতুতে সড়কবাতি জরুরি’
পথচারী জালালউদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়ি সেতুর কাছেই। সন্ধ্যার পর এখান দিয়ে হাঁটতে ভয় লাগে। কারণ এখানে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, ‘ঠিকাদার নিয়োগ না থাকায় বাতিগুলো অকেজো হয়ে আছে। তাড়াতাড়ি ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। তখন বাতিগুলো ঠিক করা হবে। আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান হবে।’

সামান্য ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা বরিশাল নগরীতে ঘটে গেল, তা অভাবনীয়। রাজনৈতিক মারামারি-হানাহানি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় হয়। বরিশালেও তা-ই হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সাংসদের, যিনি আবার প্রতিমন্ত্রী, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বই এর নেপথ্যে। কিন্তু প্রশাসনযন্ত্র বা আমলাতন্ত্র
২৩ আগস্ট ২০২১
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র সার্ভারে জালিয়াতি করে কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল গ্যাস সরবরাহ। পাইপলাইন মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৯ জন নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আটজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র সার্ভারে জালিয়াতি করে কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. আরিফুর রহমান মিম ও আল আমিন। এর মধ্যে আরিফুর রহমানকে মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার আরিফুর রহমান পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাকি তিনজনের খোঁজে অভিযান চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি একটি রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা। আরিফুর রহমান মিম এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার গ্রাহক। বাকি দুজন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে পরিচয় শনাক্তকারী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জালিয়াতকারী চক্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের এনএসসি সার্ভারে অননুমোদিতভাবে প্রবেশের পর গ্রাহকের তথ্য পরিবর্তন এবং সঞ্চয়পত্রের অর্থ অন্য ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইউজার আইডি ব্যবহার করে একাধিক সঞ্চয়পত্র নগদায়ন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা চালায়।
গত ২৩ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে তিনটি সঞ্চয়পত্রের তথ্য পরিবর্তন করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংকের হিসাবে মোট ৭৫ লাখ টাকা স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্রুত পদক্ষেপে ৫০ লাখ টাকা উদ্ধার করে সরকারি খাতে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মহা-হিসাব নিরীক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা এস এম রেজভীর নামে কেনা ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভুয়া প্রক্রিয়ায় নগদায়ন করে তা আরিফুর রহমান মিমের হিসাবে জমা হয়। পরে ঢাকার দুটি শাখা থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়। যদিও তার লেনদেন সীমা ছিল ২ লাখ টাকা, কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে সেটি ১০ লাখ টাকায় বাড়ানো হয়।
একইভাবে রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা মারুফ এলাহী রনির নামে থাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের হিসাবে দুটি সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ৫০ লাখ টাকা জমা হয়। উভয় সঞ্চয়পত্রই ছিল পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র। তবে সময়মতো জালিয়াতি ধরা পড়ায় টাকা উত্তোলনের আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা স্থগিত করে।
ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বিএফআইইউ ও এনআরবিসি ব্যাংক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সংশ্লিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডধারী তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাঁদের ব্যবহৃত কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও নগদায়ন বন্ধ রয়েছে। এদিকে বিএফআইইউ সন্দেহভাজন সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে, যাতে আর কোনো অর্থ লেনদেন করা না যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র সার্ভারে জালিয়াতি করে কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. আরিফুর রহমান মিম ও আল আমিন। এর মধ্যে আরিফুর রহমানকে মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার আরিফুর রহমান পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাকি তিনজনের খোঁজে অভিযান চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি একটি রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা। আরিফুর রহমান মিম এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার গ্রাহক। বাকি দুজন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে পরিচয় শনাক্তকারী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জালিয়াতকারী চক্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের এনএসসি সার্ভারে অননুমোদিতভাবে প্রবেশের পর গ্রাহকের তথ্য পরিবর্তন এবং সঞ্চয়পত্রের অর্থ অন্য ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইউজার আইডি ব্যবহার করে একাধিক সঞ্চয়পত্র নগদায়ন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা চালায়।
গত ২৩ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে তিনটি সঞ্চয়পত্রের তথ্য পরিবর্তন করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংকের হিসাবে মোট ৭৫ লাখ টাকা স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্রুত পদক্ষেপে ৫০ লাখ টাকা উদ্ধার করে সরকারি খাতে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মহা-হিসাব নিরীক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা এস এম রেজভীর নামে কেনা ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভুয়া প্রক্রিয়ায় নগদায়ন করে তা আরিফুর রহমান মিমের হিসাবে জমা হয়। পরে ঢাকার দুটি শাখা থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়। যদিও তার লেনদেন সীমা ছিল ২ লাখ টাকা, কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে সেটি ১০ লাখ টাকায় বাড়ানো হয়।
একইভাবে রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা মারুফ এলাহী রনির নামে থাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের হিসাবে দুটি সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ৫০ লাখ টাকা জমা হয়। উভয় সঞ্চয়পত্রই ছিল পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র। তবে সময়মতো জালিয়াতি ধরা পড়ায় টাকা উত্তোলনের আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা স্থগিত করে।
ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বিএফআইইউ ও এনআরবিসি ব্যাংক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সংশ্লিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডধারী তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাঁদের ব্যবহৃত কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও নগদায়ন বন্ধ রয়েছে। এদিকে বিএফআইইউ সন্দেহভাজন সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে, যাতে আর কোনো অর্থ লেনদেন করা না যায়।

সামান্য ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা বরিশাল নগরীতে ঘটে গেল, তা অভাবনীয়। রাজনৈতিক মারামারি-হানাহানি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় হয়। বরিশালেও তা-ই হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সাংসদের, যিনি আবার প্রতিমন্ত্রী, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বই এর নেপথ্যে। কিন্তু প্রশাসনযন্ত্র বা আমলাতন্ত্র
২৩ আগস্ট ২০২১
মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল গ্যাস সরবরাহ। পাইপলাইন মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৯ জন নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আটজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল গ্যাস সরবরাহ। পাইপলাইন মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।
এর আগে বিকেলে সদর উপজেলার উলচাপাড়া এলাকায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় গ্যাস সরবরাহের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার গ্রাহক।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শফিকুল হক জানান, মহাসড়কের নিচে থাকা গ্যাস সরবরাহের ৬ ইঞ্চি পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে গ্যাস লিকেজ হতে থাকলে দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। পরে বাখরাবাদের কারিগরি দল ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন মেরামত শেষে রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল গ্যাস সরবরাহ। পাইপলাইন মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।
এর আগে বিকেলে সদর উপজেলার উলচাপাড়া এলাকায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় গ্যাস সরবরাহের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার গ্রাহক।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শফিকুল হক জানান, মহাসড়কের নিচে থাকা গ্যাস সরবরাহের ৬ ইঞ্চি পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে গ্যাস লিকেজ হতে থাকলে দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। পরে বাখরাবাদের কারিগরি দল ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন মেরামত শেষে রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।

সামান্য ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা বরিশাল নগরীতে ঘটে গেল, তা অভাবনীয়। রাজনৈতিক মারামারি-হানাহানি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় হয়। বরিশালেও তা-ই হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সাংসদের, যিনি আবার প্রতিমন্ত্রী, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বই এর নেপথ্যে। কিন্তু প্রশাসনযন্ত্র বা আমলাতন্ত্র
২৩ আগস্ট ২০২১
মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র সার্ভারে জালিয়াতি করে কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৯ জন নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আটজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেচৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৯ জন নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আটজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. মোস্তফা ও বিএসএফের পক্ষে ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ভবানীপুর নিউনিদিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার দীপংকর সাহার নেতৃত্বে একটি দল।
ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা হলো মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত এসকেন তালুকদারের ছেলে ইমরান হোসেন, চাঁদপুর সদরের লোধের গাঁও গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন গাজীর মেয়ে নাসরিন বেগম, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পূর্বচিপা বারইখালী গ্রামের আলম শিকদারের ছেলে রেজাউল শিকদার ও তাঁর স্ত্রী তানজিলা বেগম, একই জেলার চরহোগলা বুনিয়া গ্রামের মো. রুস্তম আলী শেখের ছেলে শাহিন শামীম, সদর উপজেলার আতাইকাঠি গ্রামের মৃত দলিলুদ্দিন শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ, আবুল শেখের স্ত্রী রিমা বেগম, পিরোজপুর সদর উপজেলার মধ্য দুর্গাপুর গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী সুখী বেগম ও তাঁর ছেলে আবু বক্কর (৫) এবং একই এলাকার আউয়াল হালদারের স্ত্রী নাসরিন।
আরও হলো বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামের মৃত সোলেমান মাঝির ছেলে রিয়াজ মাঝি, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীর চর আমিরগঞ্জ গ্রামের সুলতান ব্যাপারীর ছেলে হাসান ব্যাপারী, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত গাহুর মৃধার ছেলে আলমগীর মৃধা ও তাঁর ছেলে খাইরুল মৃধা, একই এলাকার মৃত গাহুর মৃধার ছেলে জাকির মৃধা, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের ইমাম হোসেনের মেয়ে লাবনী আক্তার, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চান্দ গ্রামের মৃত শওকত আলীর মেয়ে মোমেনা বেগম, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার কদমতলার (গুসার গ্রাম) মৃত আতিয়ার রহমান শেখের মেয়ে অন্তরা শেখ (২৮) ও একই এলাকার মৃত আতিয়ার শেখের মেয়ে নাজমা খাতুন।
সূত্র জানায়, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এরপর তারা ভারতের বিভিন্ন কারাগারে সাজাও খেটেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে বিষয়টি জানানো হলে তারা বাংলাদেশি কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হয়। আজ সীমান্ত পিলার ২১০৪/৭-এস-এর আওতাধীন এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ সমন্বয় বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ৮টায় বিজেপির পক্ষ থেকে ১৮ নারী-পুরুষ, একটি শিশুসহ ১৯ জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বিজিবি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে।

সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৯ জন নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আটজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. মোস্তফা ও বিএসএফের পক্ষে ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ভবানীপুর নিউনিদিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার দীপংকর সাহার নেতৃত্বে একটি দল।
ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা হলো মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত এসকেন তালুকদারের ছেলে ইমরান হোসেন, চাঁদপুর সদরের লোধের গাঁও গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন গাজীর মেয়ে নাসরিন বেগম, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পূর্বচিপা বারইখালী গ্রামের আলম শিকদারের ছেলে রেজাউল শিকদার ও তাঁর স্ত্রী তানজিলা বেগম, একই জেলার চরহোগলা বুনিয়া গ্রামের মো. রুস্তম আলী শেখের ছেলে শাহিন শামীম, সদর উপজেলার আতাইকাঠি গ্রামের মৃত দলিলুদ্দিন শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ, আবুল শেখের স্ত্রী রিমা বেগম, পিরোজপুর সদর উপজেলার মধ্য দুর্গাপুর গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী সুখী বেগম ও তাঁর ছেলে আবু বক্কর (৫) এবং একই এলাকার আউয়াল হালদারের স্ত্রী নাসরিন।
আরও হলো বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামের মৃত সোলেমান মাঝির ছেলে রিয়াজ মাঝি, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীর চর আমিরগঞ্জ গ্রামের সুলতান ব্যাপারীর ছেলে হাসান ব্যাপারী, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত গাহুর মৃধার ছেলে আলমগীর মৃধা ও তাঁর ছেলে খাইরুল মৃধা, একই এলাকার মৃত গাহুর মৃধার ছেলে জাকির মৃধা, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের ইমাম হোসেনের মেয়ে লাবনী আক্তার, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চান্দ গ্রামের মৃত শওকত আলীর মেয়ে মোমেনা বেগম, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার কদমতলার (গুসার গ্রাম) মৃত আতিয়ার রহমান শেখের মেয়ে অন্তরা শেখ (২৮) ও একই এলাকার মৃত আতিয়ার শেখের মেয়ে নাজমা খাতুন।
সূত্র জানায়, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এরপর তারা ভারতের বিভিন্ন কারাগারে সাজাও খেটেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে বিষয়টি জানানো হলে তারা বাংলাদেশি কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হয়। আজ সীমান্ত পিলার ২১০৪/৭-এস-এর আওতাধীন এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ সমন্বয় বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ৮টায় বিজেপির পক্ষ থেকে ১৮ নারী-পুরুষ, একটি শিশুসহ ১৯ জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বিজিবি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে।

সামান্য ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা বরিশাল নগরীতে ঘটে গেল, তা অভাবনীয়। রাজনৈতিক মারামারি-হানাহানি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় হয়। বরিশালেও তা-ই হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সাংসদের, যিনি আবার প্রতিমন্ত্রী, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বই এর নেপথ্যে। কিন্তু প্রশাসনযন্ত্র বা আমলাতন্ত্র
২৩ আগস্ট ২০২১
মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র সার্ভারে জালিয়াতি করে কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল গ্যাস সরবরাহ। পাইপলাইন মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।
৩ ঘণ্টা আগে