Ajker Patrika

ঝালকাঠিতে বাস দুর্ঘটনা: তদন্ত কমিটি আরও ৭ দিন সময় চায়

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
Thumbnail image

ঝালকাঠিতে বাস পুকুরে পরে ১৭ জন নিহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসন গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি দ্বিতীয় দফায় আরও ৭ দিনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। আজ বুধবার বিকেলে কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট মামুন শিবলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্ত কাজ শেষ করতে আরও সময় দরকার। তাই ৭ দিনের সময় বাড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আবেদন করা হয়েছে। দেখি কয়দিন সময় বাড়ান তিনি। 

এদিকে বাসার স্মৃতি পরিবহনের চালক মোহন খানকে আশুলিয়া থেকে এবং সুপার ভাইজার মিজানকে রাজাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও হেলপার আকাশ অধরাই রয়ে গেছে। গ্রেপ্তারকৃত চালক মোহন খান জানিয়েছেন, বাসের গতি মিটার নষ্ট ছিল এবং বেপরোয়া গতির কারনেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পরে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ঝালকাঠির ছত্রকান্দা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস বাসার স্মৃতি পুকুরে ডুবে ১৭ জন নিহত এবং অন্তত ৩৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ৩দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বললেও প্রথম দফায় ২ দিনের সময় বাড়ান এবং পরবর্তীতে আজ বুধবার ফের ৭ দিনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। 

এ ঘটনায়  ঝালকাঠি সদর থানায় রোববার রাতে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯৮/১০৫ ধারায় সদর থানার এসআই সুশংকর মল্লিক বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আসামিরা হলেন বাসচালক মোহন খান, সুপার ভাইজার ফয়সাল মিজান, চালকের সহকারী আকাশ।

বিআরটিএ ও শ্রমিক ইউনিয়ন বলছে, গাড়ির ২০২৫ সালের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রুট পারমিট রয়েছে, ২০২৪ সালের ৯ মে পর্যন্ত ট্যাক্স টোকেন পরিশোধ করা হয়েছে। ২০১১ সালে তৈরি করা বাসটির ফিটনেস আছে ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি বিআরটিএ পরিদর্শক অনিমেষ মন্ডল। 

চালক মোহন হাওলাদারের ভারী যানবাহন চালানোর অনুমতি ছিল না। তিনি ‘বাসার স্মৃতি’ পরিবহনের বাসটির সুপারভাইজার ছিলেন। ২০২০ সালে হালকা যানবাহনের লাইসেন্স নেন। বছর খানেক আগে মালিক জেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আকন তাঁকে চালক নিয়োগ দেন। 

তবে মোহনাকে দিয়ে বাস না চালাতে মালিককে একাধিকবার বলেও কাজ না হওয়ায় ৬ মাস আগে মালিক সমিতিকে লিখিত জানান জেলা শ্রমিক সমিতির নেতারা। উদ্ধার হওয়া বাসটি বর্তমানে ঝালকাঠি পাম্পের মোড়ে রয়েছে। শনিবার সকালে ভান্ডারিয়া থেকে বরিশালের উদ্দেশে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ছত্রকান্দা এলাকায় নিযন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে ডুকে ১৭ জন নিহত হন এবং ৩৫ জন আহত হন। বাসের যাত্রীরা বাস ড্রাইভারের অবহেলা ও অদক্ষতাকে দুষছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত