Ajker Patrika

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
বরগুনার আমতলী-তালতলী উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কের বেহাল দশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরগুনার আমতলী-তালতলী উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কের বেহাল দশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরগুনা জেলার উপকূলীয় উপজেলা আমতলী-তালতলী যোগাযোগের একমাত্র আঞ্চলিক সড়কটির বেহাল দশা। ৩৫ কিলোমিটার সড়কে হাজার হাজার গর্ত ও খানাখন্দের ভরপুর হয়ে আছে। এতে উপকূলীয় দুই উপজেলার অন্তত লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, আমতলী-তালতলীর ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার উপকূলীয় আঞ্চলিক সড়ক। দুই উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি। এ সড়ক দিয়ে লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত। এ ছাড়া সোনাকাটা ইকোপার্ক ও ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। ওই সড়কের ২৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হাজার হাজার গর্ত ও খানাখন্দে ভরপুর। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সোনাকাটা ইকোপার্ক পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ রয়েছে। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ওই সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার, কড়াইবাড়িয়া বাজার থেকে হরিণবাড়িয়া সেতু পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এবং তালতলী সেতু থেকে ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক গর্ত ও খানাখন্দে ভরপুর। ২০-৩০ গজ দূরত্বে রয়েছে বড় বড় খানাখন্দ।

স্থানীয়রা বলছেন, এ সড়ক যেন রীতিমতো ডোবায় পরিণত হয়েছে। গর্তে গাড়ি আটকে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। খানাখন্দের কারণে সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই খানাখন্দ সড়ক দিয়ে যানবাহন ও মানুষ যাতায়াত করছে।

সরেজমিন খা গেছে, সড়কের ইট-পাথরের সুরকি বের হয়ে মাটি উঠে গেছে। গর্তে গাড়ির চাকা ফেঁসে যাচ্ছে। কাদা মাটিতে মিশে সড়ক একাকার হয়ে গেছে। সড়কের গর্তগুলো ছোট আকারের ডোবার সমান।

তালতলী উপজেলার ব্যবসায়ী মো. শামীম পাটোয়ারী বলেন, সড়ক যেন হাজারো খানাখন্দের সমাহার। সড়ক দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরেছে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

তারিকাটা এলাকার শহীদুল ইসলাম ও বাহাদার বলেন, এক বছর ধরে সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের লোকজন দেখেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারের ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির বলেন, সড়ক নির্মাণের দুই বছরের মাথায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। সড়ক দিয়ে গাড়ি ও মানুষ চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি জানান তিনি।

মোটরসাইকেলচালক নজরুল ইসলাম, রুবেল মিয়া ও শাহ আলম তালুকদার বলেন, সড়কের এমন বেহাল দশা গাড়ি চালানো মুশকিল। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা।

বাসচালক মজিবুর রহমান ও আবদুস সালাম বলেন, সড়কের বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচল করতে সমস্যা হয়।

বরগুনার আমতলী-তালতলী উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কের বেহাল দশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরগুনার আমতলী-তালতলী উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কের বেহাল দশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

তালতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কড়াইবাড়িয়া বাজার থেকে হরিণবাড়িয়া পর্যন্ত সড়কের খুবই খারাপ অবস্থা। আগামী অর্থবছরের প্রথম ধাপে এ সড়ক সংস্কার করা হবে। তিনি আরও বলেন, তালতলী থেকে ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে পর্যন্ত সড়কটি ওই অর্থবছরের দ্বিতীয় ধাপে সংস্কার করব।

আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা পর্যন্ত আট কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে সংস্কার প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।

বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ওই সড়কের বিষয়টি আমি জেনেছি। সংস্কার প্রকল্পের আওতায় আনতে কাজ চলছে। ২৪ কিলোমিটার সড়ক একসঙ্গে সংস্কার করা সম্ভব হবে না। তবে পর্যায়ক্রমে আসছে অর্থবছরে ওই সড়ক সংস্কার করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা চুরির জন্য সন্দেহ করায় মা-মেয়েকে হত্যা

এনসিপির ১২৫ প্রার্থী: তালিকায় ১৪ নারী, বিএনপির দুই ও জাপার এক নেতা

খালেদা ও তারেকের ২ আসনে প্রার্থী দিল এনসিপি

কুষ্টিয়ায় যুবককে গুলির পর কুপিয়ে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা

‘নিরামিষ ক‍্যাপশনে’ আসিফ-মাহফুজকে শুভকামনা জানালেন ফারুকী, অরিজিনাল ক‍্যাপশন বললেন পারসোনালি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, পারদ নেমেছে ৮ ডিগ্রিতে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ১১
পঞ্চগড়ের করোতোয়া নদী থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড়ের করোতোয়া নদী থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ।

স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলায় সূর্য ওঠার কারণে কিছুটা উষ্ণতা থাকে, তবে বিকেল গড়ানোর পর থেকেই ঠাণ্ডা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে এমন ঠাণ্ডা নামে যে ভারী কাপড় ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে যায়। ভোর পর্যন্ত কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে চারপাশ জমে থাকে। সাধারণ মানুষ থেকে দিনমজুর সবাইকে এই সময়টায় শীতের দাপট সবচেয়ে বেশি ভোগায়।

পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রার ওঠানামা ছিল উল্লেখযোগ্য। বৃহস্পতিবার ৯ দশমিক ২, বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রবিবার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২ দশমিক ০, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মিলগেট এলাকার দিনমজুর আবুল হোসেন বলেন, ‘বাবা, এই শীতটা না রাত থেইকা ভোর পর্যন্ত গা কাঁপায়। হাত-পা জমে আসে। কামে যাইতে গিয়া মাটিজোড়া ধরতে পারি না। দুই-তিন দিন হইল ঠাণ্ডাডা আর সহনয়, কবে আরেকটু গরম হইবু কে জানে।’

একই এলাকার দিনমজুর মাহবুব আলম বলেন, “সূর্য উঠলে একটু গরম পাই, কিন্তু সন্ধ্যা পড়লেই আবার ঠাণ্ডা নেমে আসে। আমাগো মতো গরিব মানুষই আগে টের পাই। কাম করতে গেলেই বাতাস গায়ে কইটে ধরে।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা চুরির জন্য সন্দেহ করায় মা-মেয়েকে হত্যা

এনসিপির ১২৫ প্রার্থী: তালিকায় ১৪ নারী, বিএনপির দুই ও জাপার এক নেতা

খালেদা ও তারেকের ২ আসনে প্রার্থী দিল এনসিপি

কুষ্টিয়ায় যুবককে গুলির পর কুপিয়ে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা

‘নিরামিষ ক‍্যাপশনে’ আসিফ-মাহফুজকে শুভকামনা জানালেন ফারুকী, অরিজিনাল ক‍্যাপশন বললেন পারসোনালি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কারাবন্দি যুবক ও দুই জুলাই যোদ্ধার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ‘মিথ্যা মামলা’ দেওয়ার অভিযোগ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির একটি মামলায় এমন এক যুবককে আসামি করা হয়েছে, যিনি ঘটনার সময় কারাগারে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে দলবলসহ একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চার লাখ টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগ তোলা হয়েছে। একই মামলায় দুই জুলাই যোদ্ধাকেও আসামি করা হয়েছে, যাঁরা ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে দাবি করছেন।

গত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের দপ্তরে ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজনের একটি লিখিত অভিযোগে এই তথ্য জানা গেছে। মোহাম্মদ শাহীন নামে একজন গেজেটেড জুলাইযোদ্ধা এই অভিযোগটি করেছেন। শাহীন পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবেও আছেন। গত বছর ১৮ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর মো. হাসান নামে এক ব্যক্তি নিজেকে স্কেভেটর অপারেটর পরিচয় দিয়ে বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি দিয়ে নগরের খুলশী থানায় চাঁদাবাজির মামলাটি করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে গত ১৮ নভেম্বর দিবাগত রাত ১ টায় নগরের পলিটেকনিক্যাল এলাকা থেকে একটি স্কেভেটর জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।

জানা গেছে, মামলায় ইসমাইল হোসেন ওরফে মাইকেল বাবু (৩০) নামে এক যুবককে ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে, যিনি মামলায় উল্লিখিত তারিখে চাঁদাবাজির ঘটনার প্রায় আড়াই সপ্তাহ আগে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন। মামলায় উল্লিখিত তারিখের এক সপ্তাহ পরও তিনি কারাগারে ছিলেন।

নগরের বায়েজিদে রুবি গেইট এলাকার বাসিন্দা মাইকেল বাবু এলাকায় ছাত্রদলকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পুলিশের জিআরও শাখার তথ্যে, গত ৩ নভেম্বর ইসমাইল হোসেন ওরফে মাইকেল বাবু বায়েজিদ থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন, ২৫ নভেম্বর আদালত ওই আসামিকে জামিন দেন। পরদিন ২৬ নভেম্বর তিনি কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন।

চাঁদাবাজির একই মামলায় নগর পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও জুলাইযোদ্ধা মো. শাহীন ও তাঁর ভাই ফাহিমকেও আসামি করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের কাছে দেয়া অভিযোগে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চাঁদাবাজির ভুয়া মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে প্রতিবেদনের আলোকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার নেওয়ার আবেদন করেছেন।

শাহীন অভিযোগে উল্লেখ করেন, মামলার বাদী হাসান সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও পাহাড়খেকো হিসেবে পরিচিত। জঙ্গল ছলিমপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. ইয়াছিনের অনুসারী তিনি। এস্কেভেটর দিয়ে রাতের আধারে পাহাড় কাটাই তাঁর কাজ। তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই ধরণের অপরাধীর করা সাজানো মামলাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

মোহাম্মদ শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি অপরাধী চক্র আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে আমি ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলায় আসামি বানিয়ে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘জঙ্গল ছলিমপুরে ইয়াছিন বাহিনীর চাঁদাবাজির সাম্রাজ্য ও সন্ত্রাসীদের আস্তানা রয়েছে। সে এখন ছলিমপুর সংলগ্ন বায়েজিদের পাহাড়ি এলাকা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। ওই চক্রের সঙ্গে প্রতিহিংসায় লিপ্ত কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকর্মী রয়েছে। সেই চক্রটি আমাদের ছাত্রদল ও যুবদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির মাধ্যমে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করছে।’

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে আমরা মামলাটি নিয়েছিলাম। তখন তো এতকিছু যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ থাকে না। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত চলছে, কে কারাগারে ছিল বা কার সম্পৃক্ততা ছিল না সেটা তদন্ত শেষে বেরিয়ে আসবে। তখন মামলায় কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া না গেলে তাঁকে আসামি থেকে বাদ দেওয়া হবে।’

মামলার বাদী মো. হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক আসামি কারাগারে ছিলেন সেটা তো ঘটনার অনেক পরে। আসলে তাঁরা দীর্ঘদিন থেকে আমার কাছে চাঁদাদাবি করে আসছে। শেষ পর্যন্ত আমার একটি স্কেভেটর জোরপূ্বক নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা চুরির জন্য সন্দেহ করায় মা-মেয়েকে হত্যা

এনসিপির ১২৫ প্রার্থী: তালিকায় ১৪ নারী, বিএনপির দুই ও জাপার এক নেতা

খালেদা ও তারেকের ২ আসনে প্রার্থী দিল এনসিপি

কুষ্টিয়ায় যুবককে গুলির পর কুপিয়ে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা

‘নিরামিষ ক‍্যাপশনে’ আসিফ-মাহফুজকে শুভকামনা জানালেন ফারুকী, অরিজিনাল ক‍্যাপশন বললেন পারসোনালি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে টমেটো খেতে ‘মড়ক’, দিশেহারা কৃষক

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
মড়কের কারণে আধা-পাকা টমেটো গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। সেই টমেটো তুলে কৃষকরা ফেলে দিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মড়কের কারণে আধা-পাকা টমেটো গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। সেই টমেটো তুলে কৃষকরা ফেলে দিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের চরাঞ্চলে টমেটো খেতে ‘মড়ক’ দেখা দিয়েছে। এতে গাছ মরে ঝরে পড়ছে আধা—পাকা টমেটো। ধারদেনা করে টমেটোর এমন ক্ষতিতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। এমন পরিস্থিতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকদের।

সম্প্রতি জেলার সদর উপজেলার বোররচর ইউনিয়নের বোররচর গ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের বিস্তৃত জমিতে গিয়ে দেখা যায় টমেটো, বেগুন, শিম, লাউ, করলা এবং কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। সর্বত্রই সবুজের সমারোহ। তবে বাম্পার ফলন হওয়া টমেটো খেতে দেখা দিয়েছে ’মড়ক’। এর কারণে আধা—পাকা টমেটো গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। সেই টমেটো তুলে কৃষকরা ফেলে দিচ্ছেন। নানা ধরণের কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না সমাধান।

সাত কাঠা জমিতে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করে টমেটো আবাদের কথা জানিয়ে কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে একবার চারা রোপন করার পরেই সেই চারা মারা গেছে। পরে আবার টমেটোর চারা রোপন করি। গাছে যখন ফলন এসে পাকতে শুরু করার সময় অজানা রোগে গাছ মরে টমেটো ঝরে পড়ছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা এবং পরামর্শ কোনটাই পাচ্ছি না। অন্তত তাদের পরামর্শ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারতাম। এবার যে ক্ষতি হয়েছে আগামী পাঁচ বছরেও তা পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।’

একই গ্রামের আরেক কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এখানে ১১শতাংশ সমান এক কাঠা। আমি ১৫ কাঠা জমিতে টমেটোর আবাদ করেছি। ফলন হয়েছিল দেখার মত। কিন্তু খেতের অধিকাংশ গাছ মরে গিয়ে টমেটো পড়ছে। এসব টমেটো ডোবায় ফেলে দিচ্ছি। টমেটো আবাদ করতে গিয়ে এখনো ৬ লাখ টাকা ঋণের মধ্যে রয়েছি। এসব আপনাদের বলেও লাভ নেই। আমার মত সকল কৃষকেরই একই সমস্যা। কিভাবে কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।’

মড়কের কারণে আধা-পাকা টমেটো গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। সেই টমেটো তুলে কৃষকরা ফেলে দিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মড়কের কারণে আধা-পাকা টমেটো গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। সেই টমেটো তুলে কৃষকরা ফেলে দিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চরাঞ্চলে এবার ১২শ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে জানিয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্ত জুবায়রা বেগম সাথী বলেন, ‘টমেটো গাছে মড়ক লেগেছে শুনার পরপরই চরাঞ্চলে গিয়েছি। খেত পরিদর্শন করে কৃষকদের নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করেছি। প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে প্রতিবছর একই জমিতে শুধু টমেটো চাষ করার কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। কৃষকরা অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করেন। যার কারণে মড়ক অব্যাহত রয়েছে। সেখানকার মাটি পরীক্ষা করে সুনির্দিষ্ট কারণ যাচাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, জেলায় এবছর ২২ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ফলনও প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়েছে। তবে সদর উপজেলার চরাঞ্চলে টমেটো গাছ মরে যাওয়ার খবর শুনে কৃষি কর্মকতার্দের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কৃষকরা বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হলে আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা চুরির জন্য সন্দেহ করায় মা-মেয়েকে হত্যা

এনসিপির ১২৫ প্রার্থী: তালিকায় ১৪ নারী, বিএনপির দুই ও জাপার এক নেতা

খালেদা ও তারেকের ২ আসনে প্রার্থী দিল এনসিপি

কুষ্টিয়ায় যুবককে গুলির পর কুপিয়ে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা

‘নিরামিষ ক‍্যাপশনে’ আসিফ-মাহফুজকে শুভকামনা জানালেন ফারুকী, অরিজিনাল ক‍্যাপশন বললেন পারসোনালি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩৫ ফুট নিচে ক্যামেরা পাঠিয়েও শিশুটিকে দেখা যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাত ১টা পর্যন্ত প্রায় ২৫ ফুট খনন করা সম্ভব হয়েছে। মাটি খুড়েই শিশুটির কাছে পৌঁছাতে চান উদ্ধার কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাত ১টা পর্যন্ত প্রায় ২৫ ফুট খনন করা সম্ভব হয়েছে। মাটি খুড়েই শিশুটির কাছে পৌঁছাতে চান উদ্ধার কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপ বসাতে খনন করা গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে (২) দেখতে কয়েক দফা ক্যামেরা নামিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে ৩৫ ফুট পরে ক্যামেরায় আর কিছু দেখা যায়নি। উদ্ধারকারীরা শিশুটিকেও দেখতে পাননি।

তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন উচ্চ খরাপ্রবণ এলাকা। এখানে মাটির ১২০ থেকে ১৩০ ফুট গভীরেও ভূ-গর্ভস্থ পানির সন্ধান মেলে না। এ জমির মালিক কছির উদ্দিন একটি গভীর নলকূপ বসাতে চেয়েছিলেন। তাই বছর খানেক আগে ৮ ফুট ব্যাসার্ধে খনন করেছিলেন। কিন্তু পানি না পেয়ে গভীর নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে গ্রামের রাকিবুল ইসলামের দুই বছর বয়সী ছেলে সাজিদ।

বুধবার দুপুরের এ ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধার কাজ শুরু করে। ক্যামেরা নামিয়ে তারা শিশুটিকে দেখতে পায়নি। বিকেল থেকে ওই সরু গর্তের পাশে ভেকু (স্কেভেটর) দিয়ে খনন শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। রাত ১টা পর্যন্ত প্রায় ২৫ ফুট খনন করা সম্ভব হয়েছে। এভাবে মাটি খুড়েই শিশুটির কাছে পৌঁছাতে চান উদ্ধার কর্মীরা। দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অসংখ্য মানুষ উৎকণ্ঠা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা দেখছেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে আছেন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খান। উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা ৩৫ ফুট পর্যন্ত গভীরে ক্যামেরা পাঠিয়ে ভিকটিমকে দেখতে পাইনি। আমরা ভিকটিমকে অক্ষতভাবে উদ্ধার করতে চাই। তবে ভিকটিম বেঁচে আছে কি না সেটাও আমরা জানি না। তাকে অক্ষতভাবে উদ্ধার করতে পাশে মাটি খনন করা হচ্ছে।’

ইউএনও নাঈমা খান বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ করছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আছে। উদ্ধার কাজ চলমান আছে। আল্লাহ যে শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়।’

শিশু সাজিদের মা রুনা খাতুন জানান, তাঁর তিন ছেলে। দুই বছরের সাজিদ মেজো। তাঁদের একটি ট্রলি দেবে গেলে ছোট ছেলে সাদমানকে কোলে নিয়ে আর সাজিদের হাত ধরে তিনি বাড়ির পাশের ওই মাঠে আসেন। ফেরার সময় সাজিদ ওই গর্তে পড়ে যায়।

রুনা বলেন, ‘আমি সামনে হাঁটছি, সাজিদ পেছনে। একটু পর পেছনে ঘুরে দেখি, সাজিদ নাই। শুধু মা মা ডাক শুনছি।’

সাজিদের মা জানান, গর্তের মুখে খড় ছিল। তাই গর্ত বোঝা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা চুরির জন্য সন্দেহ করায় মা-মেয়েকে হত্যা

এনসিপির ১২৫ প্রার্থী: তালিকায় ১৪ নারী, বিএনপির দুই ও জাপার এক নেতা

খালেদা ও তারেকের ২ আসনে প্রার্থী দিল এনসিপি

কুষ্টিয়ায় যুবককে গুলির পর কুপিয়ে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা

‘নিরামিষ ক‍্যাপশনে’ আসিফ-মাহফুজকে শুভকামনা জানালেন ফারুকী, অরিজিনাল ক‍্যাপশন বললেন পারসোনালি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত