Ajker Patrika

ময়মনসিংহে টমেটোখেতে ‘মড়ক’, দিশেহারা কৃষক

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৬
মড়কের কারণে আধা-পাকা টমেটো গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। সেই টমেটো তুলে কৃষকরা ফেলে দিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মড়কের কারণে আধা-পাকা টমেটো গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। সেই টমেটো তুলে কৃষকরা ফেলে দিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের চরাঞ্চলে টমেটো খেতে ‘মড়ক’ দেখা দিয়েছে। এতে গাছ মরে ঝরে পড়ছে আধা—পাকা টমেটো। ধারদেনা করে টমেটোর এমন ক্ষতিতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। এমন পরিস্থিতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকদের।

সম্প্রতি জেলার সদর উপজেলার বোররচর ইউনিয়নের বোররচর গ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের বিস্তৃত জমিতে গিয়ে দেখা যায় টমেটো, বেগুন, শিম, লাউ, করলা এবং কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। সর্বত্রই সবুজের সমারোহ। তবে বাম্পার ফলন হওয়া টমেটো খেতে দেখা দিয়েছে ’মড়ক’। এর কারণে আধা—পাকা টমেটো গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। সেই টমেটো তুলে কৃষকরা ফেলে দিচ্ছেন। নানা ধরণের কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না সমাধান।

সাত কাঠা জমিতে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করে টমেটো আবাদের কথা জানিয়ে কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে একবার চারা রোপন করার পরেই সেই চারা মারা গেছে। পরে আবার টমেটোর চারা রোপন করি। গাছে যখন ফলন এসে পাকতে শুরু করার সময় অজানা রোগে গাছ মরে টমেটো ঝরে পড়ছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা এবং পরামর্শ কোনটাই পাচ্ছি না। অন্তত তাদের পরামর্শ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারতাম। এবার যে ক্ষতি হয়েছে আগামী পাঁচ বছরেও তা পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।’

একই গ্রামের আরেক কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এখানে ১১শতাংশ সমান এক কাঠা। আমি ১৫ কাঠা জমিতে টমেটোর আবাদ করেছি। ফলন হয়েছিল দেখার মত। কিন্তু খেতের অধিকাংশ গাছ মরে গিয়ে টমেটো পড়ছে। এসব টমেটো ডোবায় ফেলে দিচ্ছি। টমেটো আবাদ করতে গিয়ে এখনো ৬ লাখ টাকা ঋণের মধ্যে রয়েছি। এসব আপনাদের বলেও লাভ নেই। আমার মত সকল কৃষকেরই একই সমস্যা। কিভাবে কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।’

মড়কের কারণে আধা-পাকা টমেটো গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। সেই টমেটো তুলে কৃষকরা ফেলে দিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মড়কের কারণে আধা-পাকা টমেটো গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। সেই টমেটো তুলে কৃষকরা ফেলে দিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চরাঞ্চলে এবার ১২শ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে জানিয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্ত জুবায়রা বেগম সাথী বলেন, ‘টমেটো গাছে মড়ক লেগেছে শুনার পরপরই চরাঞ্চলে গিয়েছি। খেত পরিদর্শন করে কৃষকদের নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করেছি। প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে প্রতিবছর একই জমিতে শুধু টমেটো চাষ করার কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। কৃষকরা অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করেন। যার কারণে মড়ক অব্যাহত রয়েছে। সেখানকার মাটি পরীক্ষা করে সুনির্দিষ্ট কারণ যাচাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, জেলায় এবছর ২২ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ফলনও প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়েছে। তবে সদর উপজেলার চরাঞ্চলে টমেটো গাছ মরে যাওয়ার খবর শুনে কৃষি কর্মকতার্দের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কৃষকরা বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হলে আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ১৪
আজ ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা হয়েছে। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা হয়েছে। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা আট ফুট ব্যাসার্ধের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে পাশে ৪০ ফুট গভীর গর্ত খনন করা হয়েছে। এরপর মূল সরু গর্তে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন সুড়ঙ্গ করার কাজ করছেন। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত শিশু সাজিদের দেখা মেলেনি।

এর আগে গতকাল বুধবার বেলা ১টার দিকে মায়ের পেছন পেছন হাঁটার সময় ওই গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। এর পর থেকে তাকে উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। গতকাল থেকে ওই গর্তে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

তানোরের এই এলাকা উচ্চ খরাপ্রবণ। এখানে মাটির ১২০ থেকে ১৩০ ফুট গভীরেও ভূগর্ভস্থ পানির সন্ধান মেলে না। এ জমির মালিক কছির উদ্দিন একটি গভীর নলকূপ বসাতে চেয়েছিলেন। তাই বছরখানেক আগে আট ফুট ব্যাসার্ধে খনন করেছিলেন। কিন্তু পানি না পেয়ে গভীর নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে গ্রামের রাকিবুল ইসলামের দুই বছর বয়সী ছেলে সাজিদ।

ফায়ার সার্ভিস ধারণা করেছিল, শিশুটি প্রায় ৩৫ ফুট নিচে পড়ে গেছে।

ক্যামেরা নামিয়ে তারা শিশুটিকে দেখতে পায়নি। বিকেল থেকে ওই সরু গর্তের পাশে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। পরপর তিনটি এক্সকাভেটর যন্ত্র আনা হয়। এগুলোর মাধ্যমে আজ ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা সম্ভব হয়। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। গর্ত কাটা শেষে এখন সুড়ঙ্গ কাটা হচ্ছে। আমরা শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে চাই।’

এদিকে অসংখ্য মানুষ উৎকণ্ঠা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা দেখছেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘাটাইলে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, যুবদলের দুই নেতা নিহত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুই যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার শালিয়াবহ–জাঙ্গালিয়া আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান।

পুলিশ ও নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহতরা হলেন রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোড়ারটেকি গ্রামের আবুল কাশেম (৪০) এবং লক্ষিন্দর ইউনিয়নের কাজলা গ্রামের হামিদুজ্জামান হামিদ (৩২)। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একাব্বর আলীর ছেলে কবির হোসেন (৩০)।

স্থানীয়রা জানান, রাতে তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে শালিয়াবহ চৌরাস্তা থেকে ঘোড়ারটেকির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি গাছে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই কাশেম ও হামিদুজ্জামান মারা যান। আহত কবিরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত দুজনই রসুলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর তাঁদের সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা ছিল।

খবর পেয়ে নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এসএম ওবায়দুল হক নাসির।

ঘাটাইল থানার ওসি মোকছেদুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা

জাবি প্রতিনিধি 
জিয়া উদ্দিন আয়ান ও নাদিয়া রহমান অণ্বেষা। ছবি: সংগৃহীত
জিয়া উদ্দিন আয়ান ও নাদিয়া রহমান অণ্বেষা। ছবি: সংগৃহীত

আগামী এক বছরের জন্য জাতীয় ছাত্রশক্তি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ আহসান এ কমিটি ঘোষণা করেন।

নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অণ্বেষা।

এছাড়া নতুন এই কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন তানভীর আহমেদ শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ।

কমিটির ঘোষণার পরে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ আহসান আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের নির্দেশ প্রদান করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, পারদ নেমেছে ৮ ডিগ্রিতে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ১১
পঞ্চগড়ের করোতোয়া নদী থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড়ের করোতোয়া নদী থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ।

স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলায় সূর্য ওঠার কারণে কিছুটা উষ্ণতা থাকে, তবে বিকেল গড়ানোর পর থেকেই ঠাণ্ডা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে এমন ঠাণ্ডা নামে যে ভারী কাপড় ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে যায়। ভোর পর্যন্ত কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে চারপাশ জমে থাকে। সাধারণ মানুষ থেকে দিনমজুর সবাইকে এই সময়টায় শীতের দাপট সবচেয়ে বেশি ভোগায়।

পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রার ওঠানামা ছিল উল্লেখযোগ্য। বৃহস্পতিবার ৯ দশমিক ২, বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রবিবার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২ দশমিক ০, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মিলগেট এলাকার দিনমজুর আবুল হোসেন বলেন, ‘বাবা, এই শীতটা না রাত থেইকা ভোর পর্যন্ত গা কাঁপায়। হাত-পা জমে আসে। কামে যাইতে গিয়া মাটিজোড়া ধরতে পারি না। দুই-তিন দিন হইল ঠাণ্ডাডা আর সহনয়, কবে আরেকটু গরম হইবু কে জানে।’

একই এলাকার দিনমজুর মাহবুব আলম বলেন, “সূর্য উঠলে একটু গরম পাই, কিন্তু সন্ধ্যা পড়লেই আবার ঠাণ্ডা নেমে আসে। আমাগো মতো গরিব মানুষই আগে টের পাই। কাম করতে গেলেই বাতাস গায়ে কইটে ধরে।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত