Ajker Patrika

বরগুনা-২: ‘বাধাহীন’ মাঠে ভোটার উপস্থিতিই নাদিরার চ্যালেঞ্জ

বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা-২: ‘বাধাহীন’ মাঠে ভোটার উপস্থিতিই নাদিরার চ্যালেঞ্জ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সুলতানা নাদিরা। দলীয় স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী শক্ত কোনো প্রার্থীও নেই তাঁর। অনেকটা ফুরফুরে মেজাজেই থাকার কথা। কিন্তু ভোটের মাঠে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও ভোটার উপস্থিতিই এখন মূল চ্যালেঞ্জ এই প্রার্থীর। 

সুলতানা নাদিরা বরগুনা সংরক্ষিত নারী আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সংসদ সদস্য বরগুনা-২ আসনের (২০০৮-২০১৩) গোলাম সবুর টুলুর স্ত্রী। 

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা ২ আসন থেকে মোট ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ১১ জনের মধ্যে দলীয় কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল না। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান। কিন্তু ঋণ খেলাপির দায়ে প্রার্থিতা বাতিল হয় মিজানুরের। এ ছাড়াও জাকের পার্টি মনোনয়ন প্রত্যাহার, একজন স্বতন্ত্রসহ দুজনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় এ আসনে সুলতারা নাদিরাসহ মোট আটজন প্রার্থী ভোটের মাঠে টিকে আছেন। 

বিএনএফএর প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক আবদুর রহমান খোকন এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আওয়ামী লীগের কাছে আসনটি বিএনএফকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনএফকে বরগুনা-২ আসন ছেড়ে দেয়নি আওয়ামী লীগ। ফলে বরগুনা-২ আসনে সুলতানা নাদিরার উল্লেখযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী এখন বিএনএফের আবদুর রহমান খোকন। 

আবদুর রহমান খোকন একজন শিক্ষাবিদ, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। এলাকায় পদচারণায় খুবই কম থাকায় ভোটারদের কাছে খোকন একপ্রকার অপরিচিত মুখ। প্রচারণার মাঠেও শুরু পর থেকে এখনো পর্যন্ত আবদুর রহমান খোকনের তেমন কোনো সাড়া নেই। ফলে এ আসনের ভোটের মাঠে এক প্রকার বাধাহীন আওয়ামী লীগের সুলতানা নাদিরা। 

সুলতানা নাদিরার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত করানোটাই তাঁর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি। 

তিন মেয়েকে নিয়ে ভোটের মাঠে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেছেন সুলতানা নাদিরা। বড় মেয়ে ফারজানা সবুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। মেজ মেয়ে সাবরিনা নাদিরা তিয়াশা বাবার রেখে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মধুমতি টাইলস লিমিটেডের ফাইন্যান্স ডিরেক্টর। ছোট মেয়ে হাছছানা নাদিরা সবুর আইনে ইংল্যান্ড থেকে উচ্চতর ডিগ্রি (বার অ্যাট ল) নিয়েছেন। তিন মেয়েই এখন ভোটের মাঠে মায়ের সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতির জন্য প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। 

তবে গত ৫ বছর নারী সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার মানুষের বিপদে আপদে পাশে ছিলেন সুলতানা নাদিরা। প্রয়াত স্বামী গোলাম সবুর টুলু ফাউন্ডেশনের আওতায় সুলতানা নাদিরা ও ছোট মেয়ে হাছছানা নাদিরা সবুর এলাকায় শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সেবামূলক কাজের পাশাপাশি নারীদের স্বকর্মসংস্থানে শতাধিক দোকান করে দিয়েছেন। বিশেষ করে করোনাকালীন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এমনকি স্থানীয় ছোটখাটো সংকটেও এলাকায় ছুটে এসে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ফলে এলাকার ভোটারদের কাছে আস্থাভাজন নাম তিনি। 

এদিকে বড় মেয়ে ফারজানা সবুর রুমকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময় উপস্থিত থেকে চেয়ারম্যানদের সহযোগিতা করে বড় একটা অংশকে নিজেদের দলে বাগিয়েছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজে যুক্ত থেকে দলকেও কবজায় রেখেছেন। 

যে কারণে এ আসনে সুলতানা নাদিরার একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে। এসব বিবেচনায় দলীয় কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। তবে ভোটার উপস্থিতির চ্যালেঞ্জ উত্তরণে প্রচারণার মাঠ সরগরম রেখে ভোটারদের উপস্থিত করানোর কাজটাও যথাযথভাবে করতে চান সুলাতানা নাদিরা ও তাঁর মেয়েরা। 

বড় মেয়ে ফারজানা সবুর বলেন, ‘আমাদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও যেভাবে মাঠে প্রচারণায় থাকতাম সেভাবেই এখনো কাজ করছি। আমাদের তিন বোনের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মী সমর্থকেরা দিনরাত প্রচারণায় কাজ করছি। বিশেষ করে ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত করতে যা যা দরকার আমরা সব প্রচেষ্টা করব।’ 

ছোট মেয় হাছছানা নাদিরা বলেন, ‘আমাদের এখন কাজটা কী আমরা ভালো করেই জানি। এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই প্রচারণার মাঠে কাজ করছি।’ 

নৌকার মাঝি সুলতানা নাদিরা বলেন, ‘আমি মনে করি না আমার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আমার বিপরীতে এখানে সাতজন প্রার্থী আছেন। আমি সেভাবেই প্রচারণার মাঠে আছি। আশা করি বরগুনা-২ আসনে ৭০ ভাগ ভোটার কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে যা যা করার আমরা সেটাই করছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপক উন্নয়নের প্রচার করছি, একই সঙ্গে সরকারের নানা সহায়তা, প্রকল্প ও এবার আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ এসব বার্তা ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আদালত চত্বরে বাদীপক্ষকে মারধরের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে আজ রোববার মামলার বাদীপক্ষকে মারধর করা হয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে আজ রোববার মামলার বাদীপক্ষকে মারধর করা হয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে একটি মামলার বাদীপক্ষের ওপর আসামিপক্ষের আইনজীবীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। সন্তানদের সামনে এক নারী ও তাঁর স্বামীকে মারধরের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আসামিপক্ষের আইনজীবী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত ব্যক্তিরা হলেন রাজিয়া সুলতানা (৩৮), তাঁর স্বামী মো. ইরফান মিয়া (৪২) ও তাঁদের দুই শিশু-কিশোর সন্তান। এ ঘটনায় রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেন খান (৫০), ইসমাইল (৪৬), হিরণ (৩৮), শাহালম (৪৮), টিটু (৫০), রাসেল ব্যাপারী (৩৫), খোরশেদ আলম (৪০), আলামিন শাহ (৩৯) ও বিল্লাল হোসেনকে (৩৮) বিবাদী করা হয়েছে।

রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তাঁর জুনিয়ররা ও মুহুরি মিলে আমাদের ওপর হামলা করেন। তাঁরা আমার স্বামীকে ও আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় আমার শ্লীলতাহানি করা হয়।’

রাজিয়া সুলতানা আরও বলেন, ‘আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সরে যান। হামলার সময় আমার দুই শিশু-কিশোর ছেলেসন্তান এগিয়ে এলে তাদের আঘাত করা হয়। আমার এক শিশুসন্তান মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছে।’

হামলার কারণ সম্পর্কে রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা আমাদের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য আদালতে মামলা করেছিলাম। অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ওই মামলার বিবাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন। তিনি এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার স্বামীকে খুন করে বুড়িগঙ্গা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আজকে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আমাদের ওপর তাঁর জুনিয়ররা ও মুহুরি হামলা চালান।’

ঘটনার বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন খানের জুনিয়র আইনজীবী খোরশেদ আলম বলেন, ‘মূলত বাদী ও বিবাদীপক্ষের মধ্যে এই ঝামেলার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করতে গেলে তাঁরা আমাদের মুহুরির ওপর হামলা করেন। সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আমরা নিজেরাই ফেঁসে গিয়েছি।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমি ঘটনার এক ঘণ্টা পর আদালতে যাই। আর আমি যে তখন আদালতে ছিলাম না, তা ভিডিও দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়। আমি মনে করি, কোনো একজন এমপি প্রার্থী আমার গায়ে কালিমা লেপন করতে এই কাজ করাচ্ছেন।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা প্রধান বলেন, ‘বাদী ও বিবাদীপক্ষ উভয়ই দুষ্টু প্রকৃতির। তারা এর আগেও ঝামেলায় জড়িয়ে ছিল। আমরা মিটমাট করে দিয়েছিলাম। শুনেছি, আজও আবার একই ঘটনা ঘটেছে; যা আমাদের জন্য বিব্রতকর। আজকের ঘটনা সম্পর্কে আমি এখনো বিস্তারিত জানি না। বিষয়টির বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

ফতুল্লা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আদালত চত্বরে হামলার বিষয়ে কিছুক্ষণ আগে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নীলফামারী ইপিজেডের ৪টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী ইপিজেড
নীলফামারী ইপিজেড

শ্রমিক বিশৃঙ্খলার অভিযোগে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার ওই চারটি কারখানা কর্তৃপক্ষের জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। নোটিশে অবৈধ ও অঘোষিত শ্রমিক ধর্মঘট, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, কর্মবিরতি এবং উৎপাদন ব্যাহতের কথা উল্লেখ করা হয়।

উত্তরা ইপিজেডের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক নাজমুল আলম ওই চার কারখানা বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড ও সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

নোটিশে বলা হয়, ২৫ অক্টোবর থেকে কারখানার শ্রমিকেরা অবৈধ ও অঘোষিত ধর্মঘট, কর্মবিরতি এবং উৎপাদন ব্যাহতসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনার চেষ্টা করেও কোনো সমাধানে না আসায় কর্তৃপক্ষ কারখানা আইন ১৯৬৫-এর ধারা ১৩(১) অনুযায়ী ২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

এতে আরও বলা হয়, কারখানা বন্ধ থাকা অবস্থায় শ্রমিকদের বেতন, ওভারটাইম, ছুটি, বোনাসসহ অন্য পাওনা আইন অনুযায়ী প্রদান করা হবে। তবে এই সময়ে কোনো শ্রমিক বা কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কারখানায় প্রবেশ করতে পারবেন না।

পরিস্থিতি অনুকূলে এলে এবং উৎপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে কারখানা পুনরায় খোলার তারিখ জানানো হবে। ওই চার কারখানা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ১৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

হত্যা, দুর্নীতিসহ পৃথক পাঁচ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আগামী ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

শুনানিতে আইনজীবী মনসুরুল হক বলেন, তাঁর (খায়রুল হক) স্বাস্থ্যগত বিষয় ও বয়স বিবেচনায় জামিন আবেদন করা হয়েছে। তাঁরা এখন শুধু শর্ট রুল চাইছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রুল দেওয়াটা আদালতের বিষয়। তবে শর্ট রুল ও অন্তর্বর্তী আদেশের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তি আছে।

হাইকোর্ট বলেন, ‘আমরা দুই সপ্তাহের রুল দিচ্ছি।’ মনসুরুল হক বলেন, তিনি (খায়রুল হক) খুব অসুস্থ। হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কারাগারে। তিনি ১০ দিনের রুল চান। পরে আদালত ১০ দিন মঞ্জুর করেন।

২০ অক্টোবর আবেদনগুলো শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়। আদালত ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন।

গত ২৪ জুলাই ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে যাত্রাবাড়ীতে যুবদলের কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে করা মামলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার-সংক্রান্ত রায় জালিয়াতির অভিযোগে করা দুই মামলা ও বিধিবহির্ভূতভাবে প্লট নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উখিয়ায় নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
মোহাম্মদ শাহীন সারোয়ার ফরহাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহাম্মদ শাহীন সারোয়ার ফরহাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের উখিয়ায় রেজুখাল নদী থেকে মোহাম্মদ শাহীন সারোয়ার ফরহাদ (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া রেজুব্রিজসংলগ্ন এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ফরহাদ সোনারপাড়া বাজার এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে। সে স্থানীয় সোনারপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার বেলা ৩টার দিকে বাবা আব্দুল করিমের সঙ্গে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যায় ফরহাদ। হঠাৎ নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে নদীর স্রোতে ভেসে যায় সে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার চেষ্টা চালায়। পরে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালায়। আজ সকাল ১০টার দিকে রেজুব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ওসি জিয়াউল হক জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত