Ajker Patrika

সুন্দরবনের দুই এলাকায় পুড়েছে সাড়ে ৫ একর বনভূমি

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৫, ২১: ১৯
সুন্দরবনে আগুনে পুড়ে যাওয়া বড় গাছের গোড়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরবনে আগুনে পুড়ে যাওয়া বড় গাছের গোড়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের দুই এলাকার অগ্নিকাণ্ডে সাড়ে ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ধানসাগর স্টেশনের টেপার বিল এলাকার দেড় একর এবং ধানসাগর টহল ফাঁড়ির তেইশের ছিলা শাপলার বিল এলাকার ৪ দশমিক শূন্য ৫ একর বনভূমি রয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, টেপারবিল ও তেইশের ছিলা শাপলার বিল এলাকার বেশির ভাগ গাছ ঝলসে গেছে। বেশ কিছু বড় সুন্দরীগাছের গোড়া পুড়ে গেছে তেইশের ছিলা শাপলার বিলে। ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের তাপে ঝলসে যাওয়া এসব গাছ দ্রুতই মরে যাবে।

ডিএফও কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ঘটনাস্থলে এখন কোনো আগুন নেই। আগুন সম্পূর্ণরূপে নেভানো গেছে। তারপরও অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য জোয়ারের সময় পানি ছিটানো হচ্ছে। আগামীকালও পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর ফায়ার আউট ঘোষণা করা হবে।

কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম আরও বলেন, ‘পরপর দুটি এলাকায় আগুন ধরার কারণে আমাদের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আমরা দুটি স্থান ড্রোন ও জিপিএসের মাধ্যমে মনিটরিং করেছি। আপাতত সাড়ে ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জিপিএসের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি ঘটনায় আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। তখন ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’

আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গত শনিবার সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ির টেপার বিলে আগুন লাগে। রাতভর চেষ্টায় রোববার সকালে সেই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস। সুপ্ত আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী খুঁজতে বন বিভাগ ড্রোন ব্যবহার করে। তখন কলমতেজী এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তেইশের ছিলা শাপলার বিলে আগুনের অস্তিত্ব দেখতে পায় বন বিভাগ। সেই আগুনে সুন্দরবন পুড়েছে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়: মেঘমল্লার বসু

­যশোর প্রতিনিধি
যশোরে ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলনে মেঘমল্লার বসু। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরে ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলনে মেঘমল্লার বসু। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে ছাত্র ইউনিয়ন যশোরের ১৩তম সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মুক্তিযুদ্ধের অপূর্ণ যে লড়াই, সেই লড়াইকে পূর্ণতা দেওয়ার কথা বলেই জুলাই আন্দোলনে নেমেছিল জনগণ। কিন্তু একদল বিপথগামী বাংলাদেশবিরোধী শক্তি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এই চব্বিশকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড় করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলায় জেলায় মহল্লায় তাদের যে অপতৎপরতা, সেটা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সব জায়গায় বোঝানোর চেষ্টা করছে, জুলাই একাত্তরের লড়াইয়ের উল্টো। ৩০ লাখ মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কেউ যদি ফ্রান্স-আমেরিকায় বসে বলে, বাংলাদেশের শহীদ সংখ্যা দুই হাজার, তাহলে তার মোকাবিলা হবে রাজপথে। তার মোকাবিলা হবে বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিকভাবে।’

মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জনগণ জুলাইয়ে রক্ত দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন মেঘমল্লার বসু। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম তখন একাত্তরে যুদ্ধের প্রশ্নে যারা বলেছিল, যারা একাত্তরে যুদ্ধে যাচ্ছে, তারা ভারতের দালাল, হিন্দুদের দালাল, সেই একই গোষ্ঠী ২০২৫ দাঁড়িয়ে এই ধর্ম বিক্রির রাজনীতি করছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বাংলাদেশ বহু ধর্মের, মতের দেশ। সেখানে যে যার মতো ধর্ম পালন করবে। তাই কেউ নির্ধারণ করে দিতে পারবে না কে কিসের ধর্ম পালন করবে। ধর্ম চর্চার অধিকার মানুষের নাগরিক অধিকার, মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জুলাইয়ে রক্ত দিয়েছিলাম।’

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সমালোচনা করে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর যে সরকার এল, সেই সরকার প্রথমে অনেক বড় বড় কথা বলেছিল। আওয়ামী লীগের বৈদেশিক নীতি আর এই দেশে চলবে না। আমরা এমন নীতি চাই, যেখানে অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে সমমর্যাদাপূর্ণ। বাস্তবে আমরা দেখছি, ভারতের সঙ্গে যেসব অসমচুক্তি হয়েছে, সেই অসমচুক্তি একটিও দূর হয়নি। আদানির কাছ থেকে বেশি বেশি বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছে। রামপাল চুক্তি এখনো রয়েছে, ভারতের কাছে আম-ইলিশ পাঠিয়ে কূটনীতিক রাজনীতিক এখনো জারি রাখা হয়েছে। সাথে সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের কাছে দেশ বিক্রির যে পাঁয়তারা, সেটা অব্যাহত রয়েছে। দেশবিরোধী সকল শক্তিকে রুখে দিতে ছাত্র ইউনিয়ন সব সময় রাজপথে থাকবে।’

যশোর জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি নাজিফা জান্নাত, সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, সিপিবি যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু হাসান, উদীচী যশোর সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, জেলা বাসদ নেতা ইমরান খান, যশোরের ১৩তম সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ। এর আগে বিকেলে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ হস্তান্তর

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আট দিন পর দেশে এসেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের মধ্যে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়ন।

নিহত যুবক হলেন শান্ত ইসলাম (২৫)। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শিপন ইসলামের ছেলে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধীন আশ্রয়ণ বিওপি এলাকার সীমান্ত দিয়ে একদল চোরাকারবারি ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের নিউ উদয়া ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৫৪/৩-এস থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। এ সময় নিউ উদয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের বাধা দিলে চোরাকারবারিরা বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।

বিএসএফ সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে শান্ত ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শান্তকে ভারতের করিমপুর রুরাল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

শান্ত ইসলামের মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একাধিক আলোচনা ও পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৮ ডিসেম্বর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পর আজ শনিবার সন্ধ্যায় জামালপুর বিওপি-সংলগ্ন সীমান্ত পিলার ১৫২/৭-এস এলাকায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে ভারতীয় পুলিশ দৌলতপুর থানা-পুলিশের কাছে শান্ত ইসলামের লাশ হস্তান্তর করে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসিনার গুলিকে যারা ভয় পায়নি, তারা আর কাউকে ভয় পাবে না: হান্নান মাসউদ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
হাতিয়া উপজেলা জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাতিয়া উপজেলা জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘হাসিনার গুলিকে যারা ভয় পায়নি, তারা আর কাউকে বা কোনো শক্তিকেই ভয় পাবে না। ভয় পাবে তারা, যারা চাঁদাবাজি ও ধান্দাবাজিতে লিপ্ত। আর আমরা আছি সেই সকল চাঁদাবাজ ও ধান্দাবাজদের প্রতিরোধ করার জন্য।’

আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাতিয়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলার জাতীয় যুবশক্তির নতুন আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে এনসিপির মনোনীত প্রার্থী হান্নান মাসউদ বলেন, যুবকদের ঐক্যের মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করা সম্ভব। আগামী নির্বাচনে যে ভোটের বিপ্লব হবে, তা রক্ষার দায়িত্ব যুবকদের। মানুষের ভোটের আমানত রক্ষার দায়িত্ব যুবকদেরই নিতে হবে।

এনসিপি নেতা আরও বলেন, ‘যারা যুবশক্তির রাজনীতি করতে এসেছে, তারা সবাই নিজের পকেটের খরচে রাজনীতি করছে। নিজেদের মধ্যে পদের জন্য রাজনীতি করা যাবে না। যুবশক্তির পদ নিয়ে কোনো ধরনের ভুল-বোঝাবুঝি যেন না হয়। যুবলীগ-ছাত্রলীগের মতো রাজনীতি করলে চলবে না। সবাইকে মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে।’

এনসিপির হাতিয়া উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক শামছুল তিব্রিজের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় যুবশক্তির নোয়াখালী জেলা আহ্বায়ক নুরে আলম রিপন, হাতিয়া উপজেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈকত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সম্রাট আকবর, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নুরুল আফছার নিরব ও সিনিয়র সংগঠক ফারদিন নিলয় প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যশোরে বাবার সামনেই ছুরিকাঘাতে ছেলেকে হত্যা

­যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদর উপজেলায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় আব্দুস শহিদ নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতের পর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর সদর উপজেলায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় আব্দুস শহিদ নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতের পর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরে বৃদ্ধ বাবার সামনেই এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পাগলাদাহ মালোপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুস শহিদ (৪৫)। পেশায় রিকশাচালক শহিদ পাগলাদাহ এলাকার বশির আহমেদের ছেলে।

ঘটনার পর রক্তাক্ত ছেলের প্রাণ বাঁচাতে রিকশায় তুলে হাসপাতালে আনেন বশির। কিন্তু তাঁর প্রাণপণ চেষ্টা বৃথা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শহিদ বেঁচে নেই। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শহিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। মাদক-সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জের ধরে একই গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে শহিদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা শহিদকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেঝেতে শহিদের বাবা বশিরকে ঘিরে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। তাঁর সমস্ত শরীর ছেলের রক্তে ভেজা। সবাই তাঁকে জড়িয়ে কান্না করলেও চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যু দেখে বাকরুদ্ধ বৃদ্ধ বশির।

কিছুক্ষণ পর বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার তিন ছেলে, তিন মেয়ে। শহিদ সবার বড়। সন্ধ্যার দিকে শহীদ রিকশা চালিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। মালোপাড়ার রহমানের দোকানের সামনে একই এলাকার জাহাঙ্গীরের চার ছেলে আসিফ, মিরাজ, আলিফ, রিয়াজ এবং মানিক মিয়ার ছেলে ইরানের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হচ্ছিল। গন্ডগোল শুনে আমি বাড়ি থেকে বের হই। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আসিফ চাকু দিয়ে ছেলের বুকে, পিঠে আঘাত শুরু করে। আশপাশে নারী, পুরুষ তাকিয়ে দেখলেও দুর্বৃত্তদের হাতে চাকু থাকায় কেউ এগিয়ে আসেননি।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে বশির বলেন, ‘আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেও কাউকে ঠেকাতে পারিনি। চাকু দিয়ে বুকে পিঠে-আঘাত করায় শহিদ মাটিতে পড়ে যায়। পরে হামলাকারীর চলে গেলে স্থানীয় একজন রিকশাচালককে সঙ্গে নিয়ে ছেলেকে হাসপাতালে আনি। কিন্তু বাঁচাতে পারলাম না।’

নিহতের বোন শাহিদা খাতুন জানান, গতকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের কথা-কাটাকাটি হয়। তাঁরা তাঁর ভাইয়ের রিকশা কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন। আজ (শনিবার) বিকেলে ফের তাঁরা তাঁর ভাইয়ের রিকশা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন বাধা দিলে তাঁদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। তখনই ওই ব্যক্তিরা চাকু দিয়ে শহিদকে আঘাত করে হত্যা করেন।

শাহিদার ধারণা, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঘোরাফেরা করতেন শহিদ। তাঁদের মধ্যে আসিফ নামের একজন শহিদের কাছে কিছু টাকা পান। ওই টাকা নিয়েই বিরোধের সূত্র ধরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্রা মল্লিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শহিদ মারা যান। তাঁর বুকের বাঁ পাশে ও ওপরে বড় দুটি জখমের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।

যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক কাজী বাবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, শহিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মাদক-সংক্রান্ত বিরোধ ও টাকার নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছে। পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও তদন্ত শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত