Ajker Patrika

সুন্দরবন: শিকারিদের দৌরাত্ম্যে হুমকিতে হরিণ

এস এস শোহান, বাগেরহাট আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট) 
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৭: ৩৬
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চান্দেশ্বর এলাকায় সম্প্রতি বনরক্ষীদের অভিযানে জব্দ করা ফাঁদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চান্দেশ্বর এলাকায় সম্প্রতি বনরক্ষীদের অভিযানে জব্দ করা ফাঁদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্যে হুমকির মুখে সুন্দরবনের হরিণ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা ও রামপাল, খুলনার দাকোপ এবং বরগুনার পাথরঘাটায় অনেকগুলো শিকারি চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শিকারিরা বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিতে জেলে সেজে খণ্ড খণ্ডভাবে সরঞ্জাম বনের ভেতর নিয়ে পরে একত্র করে ফাঁদ তৈরি করে। বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় চলে এই শিকার।

শরণখোলা, মোংলা ও মোরেলগঞ্জের বাসিন্দারা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তাঁরা প্রকাশ্যে হরিণ শিকার করতেন। পরে বন বিভাগের নানা নিষেধাজ্ঞা ও মামলা দেওয়ায় এসব এলাকার সাধারণ মানুষ শিকার বন্ধ করলেও চোরা শিকারি এবং অতি মুনাফালোভীরা শিকার অব্যাহত রাখে। সাম্প্রতিক সময়ে বরগুনার চরদোয়ানি, জ্ঞানপাড়া ও খুলনার কয়রা এলাকার মানুষ বেশি জড়াচ্ছে এই অপরাধে। তাদের শিকার করা হরিণের মাংস বিক্রি হয় খুলনা, পিরোজপুর ও বাগেরহাট শহরের টাকাওয়ালা মানুষের কাছে।

শরণখোলার বৃদ্ধ শামসুর রহমান বলেন, ‘একটা সময় মাসে দু-চারটা হরিণ আমাদের গ্রামে চলে আসত। অনেকে ধরে জবাই করে খেত। কিন্তু অন্তত ১০ বছর হলো, আমাদের এলাকার মানুষ হরিণ শিকারের কথা চিন্তাও করে না। কারণ, একবার মামলা হলে ছাড়াতে অনেক টাকা লাগে। তবে বর্তমানে বরগুনা ও কয়রার লোকজন হরিণ শিকার করে নিয়ে যায়। ওরা নদীপথে এসে নদীপথেই নিয়ে যায়। বনরক্ষীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।’

সুন্দরবনের পাশের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, বিশেষ অনুষ্ঠান, আপ্যায়ন, উপঢৌকন ও ঘুষ হিসেবে হরিণের মাংস ব্যবহৃত হয়। বিশেষ ব্যক্তির মাধ্যমে ফোনে অর্ডার করলেই মেলে মাংস। প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। বিভিন্ন পক্ষকে হাত করে চলে এই ব্যবসা। অনেক ক্ষেত্রে চামড়াসহ মাংস কেটে গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয় প্রমাণ হিসেবে। হরিণের মাংস বিক্রির জন্য গড়ে উঠেছে অবৈধ নেটওয়ার্ক। অপরিচিত বা সন্দেহজনক কারও কাছে স্বীকার না করলেও সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে সহজে মেলে এটি।

এ নিয়ে কথা হলে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, মাংসের চাহিদা বন্ধ না হলে সুন্দরবনের হরিণ শিকার বন্ধ হবে না। তিনি জানান, সুন্দরবনের বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণ। সুন্দরবন টিকিয়ে রাখতে হলে হরিণ রক্ষা খুবই জরুরি। তাই হরিণ শিকার বন্ধে আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভোক্তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

ফাঁদ ও বিষ: হরিণ শিকারের জন্য মালা, ছিটকা ও হাঁটা নামের তিন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে শিকারিরা। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মালা। এই ফাঁদ বনের মধ্যে গাছের সঙ্গে নির্দিষ্ট উচ্চতায় মালার মতো করে পাতা থাকে। হরিণ হেঁটে যাওয়ার সময় ফাঁদে মাথা প্রবেশ করালেই আটকে পড়ে। আর ছিটকা হচ্ছে লম্বা ও চিকন গাছের মাথা নিচু করে বেঁধে রাখা একটি ফাঁদ। যখন হরিণ ওই গাছের পাতা খাওয়া শুরু করে এবং নাড়া লাগে, তখন ফাঁদ সক্রিয় হয়ে হরিণের গলায় ফাঁস পড়ে যায়। হাঁটা ফাঁদ এমনভাবে পাতা থাকে যে হরিণ হেঁটে গেলেই আটকে পড়ে যায়।

ফাঁদ তৈরিতে আগে শুধু নাইলনের রশি ব্যবহার করলেও বর্তমানে সিলভারের তৈরি চিকন তার ব্যবহার করা হয়; যাতে সহজে হরিণ বা বনরক্ষীদের চোখে না পড়ে। এ ছাড়া বনের মধ্যে ছোট ছোট গর্তে জমে থাকা পানিতে বিষ দিয়ে রাখেন শিকারিরা। ওই পানি খেলে কিছুক্ষণের মধ্যে হরিণের শরীর অবশ হয়ে যায়, তখন সেগুলোকে ধরে জবাই করে শিকারিরা।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মে-জুন মাসে চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ৮৬টি অভিযান পরিচালনা করেন বনকর্মীরা। এসব অভিযান থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফাঁদ জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে শিকারের কাজে ব্যবহৃত ৫৩টি ট্রলার ও নৌকা জব্দ হয়। এই সময়ে ৩৪ জনকে আটক এবং ৭৯ জনকে আসামি করে ৫৪টি মামলা করা হয়। পাশাপাশি ৮৪ কেজি হরিণের মাংস, ছয়টি হরিণের মাথা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বন বিভাগ।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ১৫০ জনের তালিকা তৈরি করেছে। তালিকায় নাম আসা ব্যক্তিদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে বন বিভাগ।

প্যারালাল লাইন সার্চিং: সুন্দরবনে প্রাণী ও বনজ সম্পদ রক্ষায় সাধারণভাবে নদী-খালে নৌযানের মাধ্যমে টহল কার্যক্রম চলে বেশি। তবে এবার প্রথম বনে চোরা শিকারি ও অপরাধীদের ধরতে প্যারালাল লাইন সার্চিং (একসঙ্গে অনেক বনরক্ষীর সমতলে হেঁটে হেঁটে তল্লাশি) শুরু করেন বনরক্ষীরা। এতে সফলতাও মেলে। বনের মধ্যে নির্দিষ্ট উচ্চতায় শিকারিদের পেতে রাখা ও মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ফাঁদ জব্দ করেছেন বনরক্ষীরা। এ ছাড়া সম্প্রতি বনের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্তের জন্য ড্রোন ব্যবহার শুরু হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে সুন্দরবনে চোরা শিকারিরা হরিণ শিকার করে আসছে। সম্প্রতি আমরা প্যারালাল লাইন সার্চিং পদ্ধতিতে টহল জোরদার করায় শিকারিদের দৌরাত্ম্য কিছুটা কমেছে। দীর্ঘদিনের পেতে রাখা ফাঁদও পেয়েছি। বনের মধ্যে টহল বাড়ানো হচ্ছে। অপরাধমুক্ত সুন্দরবন গড়তে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যারা হরিণের মাংস খায়, তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। তাদের সামাজিকভাবে বর্জন করা দরকার।’

এই কর্মকর্তা আরও জানান, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে জনবলের সংকট রয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৫০০ একর বনের জন্য আছেন মাত্র একজন বনকর্মী। তাঁর অধীনে ১০০টি শূন্য পদ রয়েছে। এই পদগুলোতে জনবল নিয়োগ হলে কাজের তৎপরতা আরও বাড়বে। শিকার বন্ধ করতে পারলে হরিণের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। হরিণ বাঘের প্রধান খাবার। বনের পরিবেশ এবং হরিণের সংখ্যা বাড়াতে পারলে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যাও বাড়বে নিশ্চয়। বন বিভাগ সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

দুটি সমস্যা সমাধান হলেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের চুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছিনতাই প্রতিরোধের দাবিতে থানা ঘেরাও এলাকাবাসীর

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
টঙ্গী পূর্ব থানায় জড়ো হওয়া বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
টঙ্গী পূর্ব থানায় জড়ো হওয়া বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাই প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে থানা ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পরে বিক্ষুব্ধরা থানা ফটক ছেড়ে ভেতরে প্রবেশ করে স্লোগান দেন।

‎‎বিক্ষুব্ধরা বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পের টঙ্গী বাজার এলাকা থেকে গাজীপুরা বাসস্টেশন পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। গত শনিবার সকালে বিআরটি প্রকল্পের টঙ্গীর বাটাগেট অংশের উড়ালসেতুর ওপর ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হন। এভাবে প্রতিনিয়তই জীবন হারাচ্ছে মানুষ। ছিনতাই আতঙ্কে রয়েছে টঙ্গীর প্রতিটি মানুষ। পুলিশ ছিনতাই রোধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আজ আমরা থানা ঘেরাও করেছি। পরবর্তীকালে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।’

‎জানা গেছে, গত শনিবার সকালে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে সিদ্দিকুর রহমান নামে একজন সরকারি কর্মকর্তা নিহত হন। এ ঘটনায় গতকাল রোববার বিকেলে টঙ্গীর হাজি মাজার বস্তি এলাকা থেকে ইমরান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১। তাঁকে টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।

‎টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের পরিদর্শক তদন্ত মো. আতিকুর রহমান বলেন, র‍্যাব ইমরানকে থানায় হস্তান্তর করেছে। আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে টঙ্গীর কয়েক শ এলাকাবাসী থানার সামনে জড়ো হয়েছিলেন। পরে পুলিশের দিয়ে আশ্বাসে তাঁরা ফিরে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

দুটি সমস্যা সমাধান হলেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের চুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত, আহত ১০

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মামুন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন। আজ সোমবার সকালে উপজেলার নিলক্কিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর দড়িগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই জের ধরে সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে মামুন আহত হন। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মামুন মারা গেছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। সংঘর্ষের সময় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

দুটি সমস্যা সমাধান হলেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের চুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাহার। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাহার। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাহার (৫০) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার সকালে দুদক নোয়াখালীর উপসহকারী পরিচালক মো. জাহেদ আলম বাদী হয়ে দুদক বিশেষ আদালতে এ মামলাটি করেন।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বাহার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব। তিনি কাবিলপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।

দুদক জানায়, আনোয়ার হোসেন বাহার গত ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত কাবিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চলতি বছরের ১২ মে চেয়ারম্যান নিজের স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, দায়দেনা এবং আয়ের উৎস উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। গত ৩০ জুন বিবরণীর তথ্য যাচাইয়ের জন্য দুদক নোয়াখালীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, আনোয়ার হোসেন বাহার দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তাঁর নামে একটি দোতলা ভবন এবং জমিজমাসহ মোট ৪৭ লাখ ৩২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ২১ লাখ ৫৭ হাজার ৪১ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৬৮ লাখ ৮৯ হাজার ৪১ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছে। কিন্তু তিনি দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১০ লাখ ৭৭ হাজার ১৩২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং ৩৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ নিজ নামে ভোগদখলে রাখার তথ্য গোপন করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক নোয়াখালীর কোর্ট পরিদর্শক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আসামির বিরুদ্ধে মামলা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

দুটি সমস্যা সমাধান হলেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের চুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফেসবুকে ঘোষণার ৬ মাস পর টুঙ্গিপাড়ায় সমন্বয় কমিটি গঠন এনসিপির

 টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩২
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দেওয়ার ছয় মাস পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

আগামী তিন মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠন হওয়া পর্যন্ত এ কমিটি কার্যকর থাকবে বলে এনসিপির অফিশিয়াল পেজে জানানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এনসিপির গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আরিফুল দাড়িয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ৪ জুন এনসিপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেওয়া হয় টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়াসহ ২০টি উপজেলা সমন্বয় কমিটি আসছে। সেই ঘোষণার ছয় মাস পর গতকাল রোববার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সমন্বয় কমিটির ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারীর পদ পেয়েছেন মুতাসিম বিল্লাহ (এম বিল্লাহ)। এ ছাড়া যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদ পেয়েছেন শাহিদ আলম, শফিকুল ইসলাম, কোকিল মিয়াসহ ১০ জন। এ ছাড়া সদস্য পদ পেয়েছেন আরও ২৯ জন। সব মিলিয়ে ৪০ সদস্যবিশিষ্ট এ সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছে।

এনসিপির গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আরিফুল দাড়িয়া বলেন, গতকাল ৪০ সদস্যবিশিষ্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সমন্বয় কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের সম্প্রসারণ ও কার্যক্রম গতিশীল করতে এই কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

দুটি সমস্যা সমাধান হলেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের চুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত