অনলাইন ডেস্ক
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রধান শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। একের পর এক আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এই গোষ্ঠী।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার শেষ করার আগের দিন কাবুল বিমানবন্দরে তারা শক্তিশালী আত্মঘাতী হামলা করে। ওই হামলায় ১৬৯ জন আফগান ও ১৩ জন মার্কিন নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্য প্রাণ হারিয়েছিল। এরপর থেকে আফগানিস্তানে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আইএস জঙ্গিরা। এই হামলাগুলোর বেশির ভাগই হয়েছে রাজধানী কাবুলে। সম্প্রতি কাবুলে সেনা হাসপাতালে ফের হামলা চালায় আইএস। এতে মারা যায় কমপক্ষে ১৯ জন। এমন পরিস্থিতিতে তালেবান আফগানিদের নিরাপত্তা দিতে পারছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সেনা হাসপাতালের পাশে অবস্থিত এক দোকানের মালিক জানান, ‘তালেবানরা আমাদের কাফের বলত। এখন তালেবানকে যারা কাফের মনে করে, তারাই হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।’
সেনা হাসপাতালে হামলার পরদিন একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ফুটপাত থেকে রক্ত ধুয়ে ফেলার জন্য যাচ্ছিলেন। তালেবানের নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে তাঁকে রক্ত ও মানুষের দেহাবশেষ দেখিয়ে দিচ্ছিলেন পরিষ্কারের জন্য।
সেনা হাসপাতালে যখন আইএস হামলা চালায়, সেখানে ছুটে যায় আফগানিস্তানের বিশেষ বাহিনী। আইএসের হামলায় প্রাণ হারান ওই বাহিনীর কমান্ডার হামদুল্লাহ মোখলিস। সেই সঙ্গে মারা যান আরও তিন তালেবান যোদ্ধা।
হাসপাতালের একজন কর্মী জানান, তাঁরা তালেবানকে হাসপাতাল ভবনের বাইরের গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছিলেন। কারণ এর আগে সেগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের ওই কর্মী এএফপিকে বলেন, ‘তালেবান সদস্যরা আমাদের কথা শোনেনি। তারা জানে না কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। দ্বিতীয় দফার বিস্ফোরণে চারটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পরেও তারা দমকলবাহিনীর কর্মীদের ডাকেনি। আমাদেরই সব করতে হয়েছে।’
২০১৭ সালেও কাবুলের এই সেনা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল আইএস। ছয় ঘণ্টা ধরে চালানো ওই তাণ্ডবে জঙ্গিরা রুমে রুমে ঢুকে রোগীদের গুলি করে হত্যা করে। একজন চিকিৎসকের মতে, তালেবান ও আইএস একই। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের মধ্যে পার্থক্য দেখি না। তাদের একই চেহারা এবং একই পোশাক। আমার মতে, তারা একই গাধার দুটি কান।’
ওই চিকিৎসক জানান, তালেবানের চেয়ে আইএস আরও ভয়ংকর লড়াই করছে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য। তাদের রণকৌশল তালেবানের চেয়েও জটিল।
গত মঙ্গলবার কাবুলে সেনা হাসপাতালে হামলার সময় একজন মোটরসাইকেলচালক আত্মঘাতী হামলা চালায়। পরে বন্দুকধারীরা হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালায়। ২০ মিনিটের মধ্যে তালেবানের বিশেষ বাহিনী সেখানে যায়। তখন আরেকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ওই হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেন, ‘আমি এগুলো আগেও দেখেছি। একই পন্থা অবলম্বন করা হয়। প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটে। আমি অনেককেই দেখি তখন আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে। কিন্তু আমি তাদের উদ্ধার করতে যেতে পারি না। কারণ দ্বিতীয় বিস্ফোরণ দ্রুতই ঘটতে পারে।’
হামলার পর সেনা হাসপাতালের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের রেখে যাওয়া সুসজ্জিত সেনা ট্রাক নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে তালেবান সদস্যদের। রাস্তায় রাস্তায় চেক পয়েন্ট বসিয়ে তল্লাশিও চালিয়েছেন তালেবান সদস্যরা।
এদিকে আফগানিস্তানে আইএস জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রকাশ্যে শাস্তি দিচ্ছেন তালেবান সদস্যরা। কখনো তাদের গুলি করে হত্যা করছেন কখনো আবার শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশের তালেবানের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ডা. বশির বলেন, ‘আমরা বিশ্বকে বলছি চিন্তা না করতে। আমরা ৫২ দেশের যৌথ বাহিনীকে হারিয়ে দিয়েছি। সুতরাং আইএসের মতো ছোট দলকেও হারিয়ে দিতে পারব।’
তবে তালেবানের এমন বক্তব্যে ঠিক ভরসা পাচ্ছেন না সাধারণ আফগানরা। নিরাপত্তা নিয়ে তাদের আশঙ্কা তাই থেকেই যাচ্ছে।
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রধান শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। একের পর এক আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এই গোষ্ঠী।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার শেষ করার আগের দিন কাবুল বিমানবন্দরে তারা শক্তিশালী আত্মঘাতী হামলা করে। ওই হামলায় ১৬৯ জন আফগান ও ১৩ জন মার্কিন নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্য প্রাণ হারিয়েছিল। এরপর থেকে আফগানিস্তানে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আইএস জঙ্গিরা। এই হামলাগুলোর বেশির ভাগই হয়েছে রাজধানী কাবুলে। সম্প্রতি কাবুলে সেনা হাসপাতালে ফের হামলা চালায় আইএস। এতে মারা যায় কমপক্ষে ১৯ জন। এমন পরিস্থিতিতে তালেবান আফগানিদের নিরাপত্তা দিতে পারছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সেনা হাসপাতালের পাশে অবস্থিত এক দোকানের মালিক জানান, ‘তালেবানরা আমাদের কাফের বলত। এখন তালেবানকে যারা কাফের মনে করে, তারাই হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।’
সেনা হাসপাতালে হামলার পরদিন একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ফুটপাত থেকে রক্ত ধুয়ে ফেলার জন্য যাচ্ছিলেন। তালেবানের নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে তাঁকে রক্ত ও মানুষের দেহাবশেষ দেখিয়ে দিচ্ছিলেন পরিষ্কারের জন্য।
সেনা হাসপাতালে যখন আইএস হামলা চালায়, সেখানে ছুটে যায় আফগানিস্তানের বিশেষ বাহিনী। আইএসের হামলায় প্রাণ হারান ওই বাহিনীর কমান্ডার হামদুল্লাহ মোখলিস। সেই সঙ্গে মারা যান আরও তিন তালেবান যোদ্ধা।
হাসপাতালের একজন কর্মী জানান, তাঁরা তালেবানকে হাসপাতাল ভবনের বাইরের গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছিলেন। কারণ এর আগে সেগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের ওই কর্মী এএফপিকে বলেন, ‘তালেবান সদস্যরা আমাদের কথা শোনেনি। তারা জানে না কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। দ্বিতীয় দফার বিস্ফোরণে চারটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পরেও তারা দমকলবাহিনীর কর্মীদের ডাকেনি। আমাদেরই সব করতে হয়েছে।’
২০১৭ সালেও কাবুলের এই সেনা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল আইএস। ছয় ঘণ্টা ধরে চালানো ওই তাণ্ডবে জঙ্গিরা রুমে রুমে ঢুকে রোগীদের গুলি করে হত্যা করে। একজন চিকিৎসকের মতে, তালেবান ও আইএস একই। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের মধ্যে পার্থক্য দেখি না। তাদের একই চেহারা এবং একই পোশাক। আমার মতে, তারা একই গাধার দুটি কান।’
ওই চিকিৎসক জানান, তালেবানের চেয়ে আইএস আরও ভয়ংকর লড়াই করছে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য। তাদের রণকৌশল তালেবানের চেয়েও জটিল।
গত মঙ্গলবার কাবুলে সেনা হাসপাতালে হামলার সময় একজন মোটরসাইকেলচালক আত্মঘাতী হামলা চালায়। পরে বন্দুকধারীরা হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালায়। ২০ মিনিটের মধ্যে তালেবানের বিশেষ বাহিনী সেখানে যায়। তখন আরেকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ওই হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেন, ‘আমি এগুলো আগেও দেখেছি। একই পন্থা অবলম্বন করা হয়। প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটে। আমি অনেককেই দেখি তখন আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে। কিন্তু আমি তাদের উদ্ধার করতে যেতে পারি না। কারণ দ্বিতীয় বিস্ফোরণ দ্রুতই ঘটতে পারে।’
হামলার পর সেনা হাসপাতালের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের রেখে যাওয়া সুসজ্জিত সেনা ট্রাক নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে তালেবান সদস্যদের। রাস্তায় রাস্তায় চেক পয়েন্ট বসিয়ে তল্লাশিও চালিয়েছেন তালেবান সদস্যরা।
এদিকে আফগানিস্তানে আইএস জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রকাশ্যে শাস্তি দিচ্ছেন তালেবান সদস্যরা। কখনো তাদের গুলি করে হত্যা করছেন কখনো আবার শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশের তালেবানের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ডা. বশির বলেন, ‘আমরা বিশ্বকে বলছি চিন্তা না করতে। আমরা ৫২ দেশের যৌথ বাহিনীকে হারিয়ে দিয়েছি। সুতরাং আইএসের মতো ছোট দলকেও হারিয়ে দিতে পারব।’
তবে তালেবানের এমন বক্তব্যে ঠিক ভরসা পাচ্ছেন না সাধারণ আফগানরা। নিরাপত্তা নিয়ে তাদের আশঙ্কা তাই থেকেই যাচ্ছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালে যখন ২ লাখ সৈন্য পাঠিয়ে ইউক্রেনে আক্রমণের নির্দেশ দেন, তখন তাঁর লক্ষ্য ছিল কয়েক দিনের মধ্যে রাজধানী কিয়েভ দখল করা। এই আক্রমণের মাধ্যমে তিনি পশ্চিমাপন্থী সরকার উৎখাত করে ইউক্রেনকে আবার রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুতিন ব্যর্থ হন। তিন বছর পার হলেও
১৪ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি বিশ্ব কি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে? যদি এমনটা মনে হয়, তবে আপনার ধারণা ভুল নয়। বাস্তবিকই বিশ্বে সংঘাতের সংখ্যা বাড়ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থেকে শুরু করে ইসরায়েল-গাজা ও সুদান। এসব সংঘাতের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলো পুরুষেরাই চালাচ্ছে। অন্যদিকে, বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও ক্ষমতাধর পুরুষদের
২ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং এই বিষয়টি ‘প্যাক্স আমেরিকানা’ তথা জলে–স্থলে–অন্তরিক্ষে আমেরিকার একক প্রভাবের সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয়।
৩ দিন আগেবিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শাসন—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরে আবার ফিরে এসেছে এই প্রক্রিয়া। আগের দিন কানাডা-মেক্সিকোর ওপর কঠোর শুল্ক চাপিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুললেন ট্রাম্প। পরদিনই স্বীকার করলেন, এই শুল্ক আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকে ধ্বংস করতে পারে। পরে, সেই শঙ্কা থেকে অটোমোবাইল
৫ দিন আগে