Ajker Patrika

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতি যে কতটা নড়বড়ে, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ট্রাম্প

বিবিসি
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, ১৯: ৪২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গতকাল সোমবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একবুক আশা নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইরান ও ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধের সমাপ্তি হলো। এই চুক্তি দুই দেশের জন্যই ‘ভালোবাসা, শান্তি ও সমৃদ্ধি’ বয়ে আনবে। কিন্তু রাত না পেরোতেই তিনি হাড়ে হাড়ে টের পেলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ থামানো, আর তা ধরে রাখা এক জিনিস নয়।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণার সময়সীমা অতিক্রম করার পর ইরান থেকে রকেট ছোড়ার খবর ও তেহরানে নতুন বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসতেই ট্রাম্প একের পর সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে শুরু করেন। হোয়াইট হাউসের সাউথ লন থেকে সাংবাদিকদের সামনে তিনি যে অশ্রাব্য ভাষায় ইরান ও ইসরায়েলকে সতর্ক করেন, তা একদিকে যেমন বিরল, অন্যদিকে চরম হতাশা ও চাপের প্রতিফলন।

ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে গিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পুঁজি উজাড় করে দিয়েছেন। তিনি কেবল ঘোষণায় থেমে থাকেননি, যুক্তরাষ্ট্রকে সক্রিয় পক্ষ বানিয়েছেন এই সংঘাতে, এমনকি মার্কিন সেনাদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়—যা এই সমঝোতার চাবিকাঠি হিসেবে দেখানো হয়েছিল।

কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সমঝোতার কাঠামো নড়বড়ে, অনিশ্চিত এবং যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এরই মধ্যে ইসরায়েল ও ইরান উভয়েই হামলা করেছে।

তবু ওয়াশিংটন ছেড়ে ইউরোপের ন্যাটো সম্মেলনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে ট্রাম্প ফের দাবি করেন, ‘যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে। সব বিমান ঘুরে দাঁড়াবে, আকাশে বন্ধুত্বসূচক ওয়েভ করবে ইরানের দিকে। কেউ আহত হবে না।’

ন্যাটোর বৈঠকে যেতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার আগে ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে বারবার সংযত থাকার আহ্বান জানান।

কিন্তু ট্রাম্পের উড়োজাহাজ যখন ইউরোপে নামবে, তখন এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবে থাকবে কি না? কারণ, যুদ্ধবিরতি রক্ষা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে এমনভাবে জড়িয়ে ফেলেছেন যে, এটি ভেঙে পড়লে তাঁর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরাজয় হিসেবেই দেখা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত