আজকের পত্রিকা ডেস্ক
কাতারকে যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো অঙ্গরাজ্যে একটি বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ সুবিধা (Air Force Facility) নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার পেন্টাগনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ঘোষণা দেন।
হেগসেথ জানান, এই কেন্দ্র আইডাহোর মাউন্টেন হোম এয়ারবেসে নির্মিত হবে, যেখানে কাতারের পাইলটদের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের পারস্পরিক অংশীদারত্বের আরেকটি দৃষ্টান্ত।’
হেগসেথ আরও বলেন, ‘আজ আমরা কাতারি এমিরি এয়ারফোর্স ফ্যাসিলিটি নির্মাণের জন্য স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রে গর্বিতভাবে সই করছি। এই ঘাঁটিতে কাতারের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ও পাইলটরা অবস্থান করবে, যা আমাদের যৌথ প্রশিক্ষণ, সামরিক সক্ষমতা ও পারস্পরিক সমন্বয় বাড়াবে।’
কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাউদ বিন আবদুর রহমান আল-থানির সঙ্গে যৌথ বৈঠকে হেগসেথ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর ভরসা রাখতে পারে।’ তবে কতগুলো এফ-১৫ বিমান সেখানে থাকবে বা ঘাঁটিটি কবে চালু হবে, তা তিনি জানাননি।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র কাতারের প্রতিরক্ষায় সামরিক পদক্ষেপসহ সব রকম ব্যবস্থা নেবে। এই পদক্ষেপকে অনেক বিশ্লেষক যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে একধরনের ‘অপ্রকাশিত সামরিক জোট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা ন্যাটো চুক্তির অনুরূপ।
এই সিদ্ধান্ত আসে গত ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় কাতারে অবস্থানরত হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে আঘাত হানার পর। ওই হামলায় কয়েকজন ফিলিস্তিনি নেতা ও এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন।
উল্লেখ্য, কাতারের আল-উদেইদ এয়ারবেস মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। এখানেই মার্কিন সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক বিমান অভিযানের সদর দপ্তর অবস্থিত। চলতি বছর শুরুর দিকে ইরান এই ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা ছিল তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন আক্রমণের প্রতিশোধ।
পেন্টাগনে বৈঠকে হেগসেথ কাতারের প্রশংসা করে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি প্রক্রিয়ায় কাতার ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ পালন করেছে। কাতার, মিসর ও তুরস্ক একসঙ্গে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কয়েক মাস ধরে পরোক্ষ আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।
তবে বিষয়টি আমেরিকানদের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের হোয়াইট হাউসের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যানন নিউজউইককে বলেছেন, ‘আমেরিকার পবিত্র মাটিতে কোনো বিদেশি শক্তির সামরিক ঘাঁটি কখনোই থাকা উচিত নয়।’
এই চুক্তি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন ম্যাগা ঘরানার প্রভাবশালী নেত্রী ও স্বঘোষিত ইসলামবিদ্বেষী লরা লুমারও। তিনি হোয়াইট হাউসে যথেষ্ট প্রভাবশালী এবং দাবি করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক নিয়োগ ও বরখাস্তের পেছনে তাঁরই ভূমিকা রয়েছে।
শুক্রবার এক্সে লুমার লিখেছেন, ‘কখনো ভাবিনি, রিপাবলিকানরা কাতারের মতো ‘সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকারী মুসলমানদের’ মার্কিন মাটিতে সামরিক ঘাঁটি দেবে, যাতে তারা আমেরিকানদের হত্যা করতে পারে। যদিও বাস্তবে কাতারকে আলাদা কোনো ঘাঁটি দেওয়া হচ্ছে না; বরং একটি মার্কিন ঘাঁটির ভেতরে তাদের জন্য একটি সুবিধা রাখার কথা বলা হয়েছে।’
লুমার বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনে কাতারের প্রভাব একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে কাতারকে বিমানঘাঁটি দেওয়া সম্পূর্ণ অনুচিত। তিনি ট্রাম্পের ২০১৭ সালের একটি বক্তৃতার ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, কাতার ‘উচ্চপর্যায়ে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করেছে’।
নিজেকে ‘গর্বিত ইসলামবিদ্বেষী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া লুমার আরও দাবি করেছেন, ৯/১১ ছিল একটি সাজানো ঘটনা। চলতি বছরের শুরুতে তিনি সফলভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করে গাজা যুদ্ধের কারণে আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘জীবন রক্ষাকারী’ মেডিকেল ভিসা কর্মসূচি বাতিল করান। এই চুক্তি ম্যাগা শিবিরের বাইরের অনেক রক্ষণশীল মহল থেকেও সমালোচনার মুখে পড়ে।
কনজারভেটিভ মিডিয়া দ্য ন্যাশনাল রিভিউর লেখক নোয়া রথম্যান প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এর কৌশলগত যুক্তিটা কী? আমাদের দিক থেকে বা কাতারের দিক থেকে? এই সিদ্ধান্তে আমরা নানা ধরনের ঝুঁকি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। কিন্তু কেন এটা করা হচ্ছে, কোনো শক্তিশালী যুক্তিই খুঁজে পাচ্ছি না।’
রিপাবলিকান রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাইক মাদ্রিদ এক্সে লিখেছেন, জো বাইডেনকে সমালোচনা করা হয়েছিল চীনা বেলুন আকাশে উড়তে দেওয়ার জন্য। আর এখন তারা কাতারকে পুরো একটি এয়ারবেস দিচ্ছে।
শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যাখ্যামূলক পোস্টে হেগসেথ বলেন, বিমানঘাঁটি মার্কিন নিয়ন্ত্রণেই থাকবে এবং কাতার বিমানবাহিনী নিজস্ব কোনো ঘাঁটি পাবে না।
টাইম ম্যাগাজিন যখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এই রক্ষণশীল সমালোচনার ব্যাপারে জানতে চায়, তখন তারা হেগসেথের পোস্টের দিকেই ইঙ্গিত করে। হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি।
অনেকে এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সামরিক সহযোগিতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ জার্মান বিমানবাহিনী দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করছে; সিঙ্গাপুরের এক হাজারের বেশি সেনা প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নেয়; ন্যাটোর আরও বেশ কয়েকটি মিত্রদেশের পাইলটও মার্কিন মাটিতে প্রশিক্ষণ পান।
তবে সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক নতুন করে নজরে এসেছে নানা সরকারি ও বেসরকারি চুক্তির কারণে।
এপ্রিলে ট্রাম্প পরিবারের কোম্পানি কাতারে একটি বিলাসবহুল গলফ রিসোর্ট নির্মাণের চুক্তি করে। এর এক মাস পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, কাতার সরকারের উপহার হিসেবে একটি বিলাসবহুল বোয়িং বিমান গ্রহণ করবেন তিনি। তিনি বলেন, এটি মার্কিন সরকারের অর্থ সাশ্রয় করবে এবং এটা না নেওয়াটাই বোকামি হবে।
এই সিদ্ধান্তে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট নেতারা সমালোচনায় মুখর হন। সিনেট সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার বলেন, ‘এই ধরনের কাজ দেখে এমনকি পুতিনও দুবার তাকাত।’ রিপাবলিকানরাও ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ওই বিমানঘাঁটির কারণে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর এড মার্কি যুক্তরাজ্যভিত্তিক ম্যাগাজিন টাইমকে বলেছেন, ‘ওই বিমানঘাঁটি ট্রাম্পের ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’কে ‘ব্রাইব ফোর্স ওয়ান’-এ পরিণত করবে।’
কাতার এই চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসরায়েল-হামাস শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েল শুক্রবার গাজা উপত্যকার কিছু এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয়, আর হামাস অবশিষ্ট ৪৮ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ২০০ সেনা ইসরায়েলে পাঠাবে।
হেগসেথ বলেন, গাজায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মতো কৃতিত্ব শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই অর্জন করতে পারতেন, আর এই প্রক্রিয়ার শুরু থেকে কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
কাতারকে যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো অঙ্গরাজ্যে একটি বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ সুবিধা (Air Force Facility) নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার পেন্টাগনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ঘোষণা দেন।
হেগসেথ জানান, এই কেন্দ্র আইডাহোর মাউন্টেন হোম এয়ারবেসে নির্মিত হবে, যেখানে কাতারের পাইলটদের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের পারস্পরিক অংশীদারত্বের আরেকটি দৃষ্টান্ত।’
হেগসেথ আরও বলেন, ‘আজ আমরা কাতারি এমিরি এয়ারফোর্স ফ্যাসিলিটি নির্মাণের জন্য স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রে গর্বিতভাবে সই করছি। এই ঘাঁটিতে কাতারের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ও পাইলটরা অবস্থান করবে, যা আমাদের যৌথ প্রশিক্ষণ, সামরিক সক্ষমতা ও পারস্পরিক সমন্বয় বাড়াবে।’
কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাউদ বিন আবদুর রহমান আল-থানির সঙ্গে যৌথ বৈঠকে হেগসেথ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর ভরসা রাখতে পারে।’ তবে কতগুলো এফ-১৫ বিমান সেখানে থাকবে বা ঘাঁটিটি কবে চালু হবে, তা তিনি জানাননি।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র কাতারের প্রতিরক্ষায় সামরিক পদক্ষেপসহ সব রকম ব্যবস্থা নেবে। এই পদক্ষেপকে অনেক বিশ্লেষক যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে একধরনের ‘অপ্রকাশিত সামরিক জোট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা ন্যাটো চুক্তির অনুরূপ।
এই সিদ্ধান্ত আসে গত ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় কাতারে অবস্থানরত হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে আঘাত হানার পর। ওই হামলায় কয়েকজন ফিলিস্তিনি নেতা ও এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন।
উল্লেখ্য, কাতারের আল-উদেইদ এয়ারবেস মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। এখানেই মার্কিন সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক বিমান অভিযানের সদর দপ্তর অবস্থিত। চলতি বছর শুরুর দিকে ইরান এই ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা ছিল তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন আক্রমণের প্রতিশোধ।
পেন্টাগনে বৈঠকে হেগসেথ কাতারের প্রশংসা করে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি প্রক্রিয়ায় কাতার ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ পালন করেছে। কাতার, মিসর ও তুরস্ক একসঙ্গে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কয়েক মাস ধরে পরোক্ষ আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।
তবে বিষয়টি আমেরিকানদের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের হোয়াইট হাউসের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যানন নিউজউইককে বলেছেন, ‘আমেরিকার পবিত্র মাটিতে কোনো বিদেশি শক্তির সামরিক ঘাঁটি কখনোই থাকা উচিত নয়।’
এই চুক্তি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন ম্যাগা ঘরানার প্রভাবশালী নেত্রী ও স্বঘোষিত ইসলামবিদ্বেষী লরা লুমারও। তিনি হোয়াইট হাউসে যথেষ্ট প্রভাবশালী এবং দাবি করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক নিয়োগ ও বরখাস্তের পেছনে তাঁরই ভূমিকা রয়েছে।
শুক্রবার এক্সে লুমার লিখেছেন, ‘কখনো ভাবিনি, রিপাবলিকানরা কাতারের মতো ‘সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকারী মুসলমানদের’ মার্কিন মাটিতে সামরিক ঘাঁটি দেবে, যাতে তারা আমেরিকানদের হত্যা করতে পারে। যদিও বাস্তবে কাতারকে আলাদা কোনো ঘাঁটি দেওয়া হচ্ছে না; বরং একটি মার্কিন ঘাঁটির ভেতরে তাদের জন্য একটি সুবিধা রাখার কথা বলা হয়েছে।’
লুমার বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনে কাতারের প্রভাব একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে কাতারকে বিমানঘাঁটি দেওয়া সম্পূর্ণ অনুচিত। তিনি ট্রাম্পের ২০১৭ সালের একটি বক্তৃতার ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, কাতার ‘উচ্চপর্যায়ে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করেছে’।
নিজেকে ‘গর্বিত ইসলামবিদ্বেষী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া লুমার আরও দাবি করেছেন, ৯/১১ ছিল একটি সাজানো ঘটনা। চলতি বছরের শুরুতে তিনি সফলভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করে গাজা যুদ্ধের কারণে আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘জীবন রক্ষাকারী’ মেডিকেল ভিসা কর্মসূচি বাতিল করান। এই চুক্তি ম্যাগা শিবিরের বাইরের অনেক রক্ষণশীল মহল থেকেও সমালোচনার মুখে পড়ে।
কনজারভেটিভ মিডিয়া দ্য ন্যাশনাল রিভিউর লেখক নোয়া রথম্যান প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এর কৌশলগত যুক্তিটা কী? আমাদের দিক থেকে বা কাতারের দিক থেকে? এই সিদ্ধান্তে আমরা নানা ধরনের ঝুঁকি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। কিন্তু কেন এটা করা হচ্ছে, কোনো শক্তিশালী যুক্তিই খুঁজে পাচ্ছি না।’
রিপাবলিকান রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাইক মাদ্রিদ এক্সে লিখেছেন, জো বাইডেনকে সমালোচনা করা হয়েছিল চীনা বেলুন আকাশে উড়তে দেওয়ার জন্য। আর এখন তারা কাতারকে পুরো একটি এয়ারবেস দিচ্ছে।
শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যাখ্যামূলক পোস্টে হেগসেথ বলেন, বিমানঘাঁটি মার্কিন নিয়ন্ত্রণেই থাকবে এবং কাতার বিমানবাহিনী নিজস্ব কোনো ঘাঁটি পাবে না।
টাইম ম্যাগাজিন যখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এই রক্ষণশীল সমালোচনার ব্যাপারে জানতে চায়, তখন তারা হেগসেথের পোস্টের দিকেই ইঙ্গিত করে। হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি।
অনেকে এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সামরিক সহযোগিতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ জার্মান বিমানবাহিনী দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করছে; সিঙ্গাপুরের এক হাজারের বেশি সেনা প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নেয়; ন্যাটোর আরও বেশ কয়েকটি মিত্রদেশের পাইলটও মার্কিন মাটিতে প্রশিক্ষণ পান।
তবে সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক নতুন করে নজরে এসেছে নানা সরকারি ও বেসরকারি চুক্তির কারণে।
এপ্রিলে ট্রাম্প পরিবারের কোম্পানি কাতারে একটি বিলাসবহুল গলফ রিসোর্ট নির্মাণের চুক্তি করে। এর এক মাস পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, কাতার সরকারের উপহার হিসেবে একটি বিলাসবহুল বোয়িং বিমান গ্রহণ করবেন তিনি। তিনি বলেন, এটি মার্কিন সরকারের অর্থ সাশ্রয় করবে এবং এটা না নেওয়াটাই বোকামি হবে।
এই সিদ্ধান্তে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট নেতারা সমালোচনায় মুখর হন। সিনেট সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার বলেন, ‘এই ধরনের কাজ দেখে এমনকি পুতিনও দুবার তাকাত।’ রিপাবলিকানরাও ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ওই বিমানঘাঁটির কারণে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর এড মার্কি যুক্তরাজ্যভিত্তিক ম্যাগাজিন টাইমকে বলেছেন, ‘ওই বিমানঘাঁটি ট্রাম্পের ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’কে ‘ব্রাইব ফোর্স ওয়ান’-এ পরিণত করবে।’
কাতার এই চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসরায়েল-হামাস শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েল শুক্রবার গাজা উপত্যকার কিছু এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয়, আর হামাস অবশিষ্ট ৪৮ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ২০০ সেনা ইসরায়েলে পাঠাবে।
হেগসেথ বলেন, গাজায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মতো কৃতিত্ব শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই অর্জন করতে পারতেন, আর এই প্রক্রিয়ার শুরু থেকে কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এবার ট্রাম্প প্রশাসন শুধু পূর্বের রিপাবলিকান ধারা অব্যাহতই রাখেনি, বরং নারীর অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের দ্বিদলীয় নীতিকাঠামোই ভেঙে দিয়েছে। এর ফলে ছয় দশকেরও বেশি সময়ের নীতিনির্দেশনা উল্টে গেছে।
১ ঘণ্টা আগেবিশ্লেষক ও কূটনীতিকদের মতে, এই সাফল্য টেকসই শান্তির পথে কত দূর এগোবে, তা নির্ভর করবে ট্রাম্প কতটা চাপ বজায় রাখতে পারেন তার ওপর। বিশেষ করে সেই নেতার ওপর, যাঁর সমর্থন তাঁর পরবর্তী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দরকার হবে। তিনি আর কেউ নন—ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
২১ ঘণ্টা আগেগাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ বন্ধ, জিম্মি–বন্দিবিনিময় এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারা। এর আগে হামাস এবং ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কাতার, তুরস্ক, মিসর, পাকিস্তান, জর্ডানের নেতারাও এই চুক্তিতে...
১ দিন আগেমাঝখানে কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে টানা দুই বছরের ভয়াবহ যুদ্ধের পর এখন এক বিশাল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে—গাজা সিটির ৮৩ শতাংশ ভবনই ক্ষতিগ্রস্ত। সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে অন্তত ১৭ হাজার ৭০০টি ভবন।
৩ দিন আগে