তরুণ চক্রবর্তী, কলকাতা
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচি নিয়েই ব্যস্ত রাহুল গান্ধী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, রাহুল খুব ভালোই জানেন, তাঁর হাতেই রয়েছে কংগ্রেসের উত্তরাধিকার। তাই দলের সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে মাতামাতি না করলেও দেশজুড়ে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার (৩ হাজার ৫৭০ কিমি) পদযাত্রা নিয়েই রাহুলের সব আগ্রহ। দেশটির রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দীর্ঘ পদযাত্রা কিছুটা হলেও অক্সিজেন জোগাতে পারে দেশের সবচেয়ে পুরোনো দলটিকে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপিবিরোধী ঐক্যের চাবিকাঠি কংগ্রেসের হাতেই। তাই বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন জরুরি। সারা দেশে বিজেপিকে বাদ দিলে জাতীয় দল হিসেবে একমাত্র কংগ্রেসেরই অস্তিত্ব রয়েছে। বাকিরা সীমাবদ্ধ আঞ্চলিক স্তরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নিতীশ কুমার বা চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো নেতারা এখনো জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে ততটা প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারেননি। নরেন্দ্র মোদির গুজরাট থেকে এসে সর্বভারতীয় স্তরে সফল হওয়ার পেছনে ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সাংগঠনিক শক্তি। কিন্তু উল্লিখিত নেতারা জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত হলেও দল সীমাবদ্ধ রাজ্যের রাজনীতিতেই। তাঁর জাতীয় পর্যায়ে ওঠার চেষ্টা করলেও এখনো তেমন কোনো সাফল্য ধরা দেয়নি।
ভারতে বিজেপিবিরোধী ঐক্য এখনো অধরা। বিশ্লেষকদের ধারণা, রাহুল গান্ধী ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা বুঝে গিয়েছেন—কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপিকে হারানোর শক্তি কারও নেই। আর কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের ক্ষমতা অক্ষত থাকবে আরও অনেকটা সময়। তাই কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে নেই রাহুল গান্ধীও। তিনি জানেন, সভাপতি যেই হোক না কেন, দলের নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাঁর হাতেই। তাই সাংগঠনিক নির্বাচনের বদলে দলকে শক্তিশালী করাতেই মন দিয়েছেন তিনি। দলে ভাঙন আটকাতে না পারলেও জনসংযোগ চালাতে হাতে নিয়েছেন নতুন কর্মসূচি।
রাহুলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতাদের একটি বড় অংশের মূলত দুটি অভিযোগ। এক, তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ধারাবাহিকতার অভাব। দুই, বড্ড বেশি সামাজিক গণমাধ্যমনির্ভর তিনি। এর বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কিছু বলার নেই। পরিবারতন্ত্র অবশ্য বিজেপি বললেও সাধারণ কংগ্রেস কর্মীরাও জানেন, গান্ধী পরিবার ছাড়া তাঁদের গতি নেই।
রাহুলকেও তাঁর বাবা ও প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মতো দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করার চেষ্টা হয়েছে। বহুল আলোচিত বফোর্স কেলেঙ্কারির জন্য ক্ষমতাচ্যুতও হয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। পরিষ্কার ইমেজই রয়েছে তাঁর। তেমনি রাহুলের বিরুদ্ধেও ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত হচ্ছে। তবে কংগ্রেসের নেতা-কর্মী তো বটেই, বিরোধীদেরও বড় অংশের বিশ্বাস, দুর্নীতি থেকে দূরেই থাকবেন রাহুল। তাঁর সরলতার বিষয়ে বিজেপিরও হেভিওয়েট নেতাদের প্রশংসা করে থাকেন ঘরোয়া আলোচনায়।
তবে হঠাৎ করে রাজনীতির ময়দান ছেড়ে দেওয়া নিয়ে তাঁর ওপর অনেকটাই বিরক্ত কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। ধারাবাহিকতার অভাবই রাহুলকে সাফল্য দিচ্ছে না বলে মনে করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যগুলো সামাজিক গণমাধ্যমে বিজেপিকে বিদ্ধ করলেও রাহুলের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে সেভাবে পৌঁছাচ্ছে না বলেও অনেকে মনে করেন। তাঁদের মতে, ধারাবাহিক মেঠো রাজনীতিই এই উপমহাদেশে জনসংযোগের বড় মাধ্যম।
তাই টানা দেড় শ দিনের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে সারা দেশেই রয়েছে বাড়তি আগ্রহ। টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর স্বাভাবিক কারণেই বিজেপির ওপর কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠানবিরোধী ক্ষোভ জন্মেছে মানুষের। সেই ক্ষোভকে কয়েকটি রাজ্যে কাজে লাগাতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। কিন্তু সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তাঁরা ব্যর্থ। কারণ নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প কোনো নেতা বা বিজেপির বিকল্প কোনো শক্তিশালী দল বিরোধীরা এখনো হাজির করতে পারেনি। এমনকি, বিজেপি বিরোধী জোটও হয়ে উঠেছে দিবাস্বপ্নের মতো। কারণ কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল বা আম আদমি পার্টির সম্পর্ক এই মুহূর্তে খুবই খারাপ। ফলে এই দুই দলের সঙ্গে নির্বাচনের আগে তো বটেই নির্বাচনের পরও জোট হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। এ ছাড়া কংগ্রেসের শক্তিও এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে।
এত সংকট–দুর্বলতার পরও ভারতে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী রাজনীতি অকল্পনীয়, অবাস্তব। এই অবস্থায় রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচি অবশ্যই কংগ্রেসকে কিছুটা হলেও বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে। ঘৃণা ও বিভেদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরার এই রাজনীতির সাফল্যের বিষয়ে অনেকেই আশাবাদী। বিশেষ করে ভারতের মতো নানা ভাষা ও নানা ধর্মের দেশে সম্প্রীতি সব সময়ই বড় ইস্যু। এই অবস্থায় সত্যিই যদি কংগ্রেস তাদের হারানো গৌরব কিছুটা হলেও উদ্ধার করতে পারে তবেই সম্ভব বিরোধীদের সম্মানজনক ঐক্য।
কয়েকটি দল জোটের বাইরে থাকলেও ক্ষতি নেই। বিরোধীরা জিততে পারে, এই সম্ভাবনাটুকু তৈরি করাই জরুরি হয়ে পড়েছে। বিজেপি এরই মধ্যে ঘটা করে বলতে শুরু করেছে ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়েও বিরোধীদের কোনো সম্ভাবনা নেই। ২০২৯ নিয়ে ভাবা উচিত বিরোধীদের। তাই কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলোর অবশ্যই মানুষের আস্থা ফিরে পেতে হলে পাল্টা কার্যকর প্রচার–জনসংযোগ জরুরি। এ কারণেই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সাফল্য অত্যন্ত জরুরি। জরুরি রাহুলের ধারাবাহিক মেঠো রাজনীতিতে পদার্পণও, এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচি নিয়েই ব্যস্ত রাহুল গান্ধী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, রাহুল খুব ভালোই জানেন, তাঁর হাতেই রয়েছে কংগ্রেসের উত্তরাধিকার। তাই দলের সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে মাতামাতি না করলেও দেশজুড়ে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার (৩ হাজার ৫৭০ কিমি) পদযাত্রা নিয়েই রাহুলের সব আগ্রহ। দেশটির রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দীর্ঘ পদযাত্রা কিছুটা হলেও অক্সিজেন জোগাতে পারে দেশের সবচেয়ে পুরোনো দলটিকে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপিবিরোধী ঐক্যের চাবিকাঠি কংগ্রেসের হাতেই। তাই বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন জরুরি। সারা দেশে বিজেপিকে বাদ দিলে জাতীয় দল হিসেবে একমাত্র কংগ্রেসেরই অস্তিত্ব রয়েছে। বাকিরা সীমাবদ্ধ আঞ্চলিক স্তরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নিতীশ কুমার বা চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো নেতারা এখনো জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে ততটা প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারেননি। নরেন্দ্র মোদির গুজরাট থেকে এসে সর্বভারতীয় স্তরে সফল হওয়ার পেছনে ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সাংগঠনিক শক্তি। কিন্তু উল্লিখিত নেতারা জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত হলেও দল সীমাবদ্ধ রাজ্যের রাজনীতিতেই। তাঁর জাতীয় পর্যায়ে ওঠার চেষ্টা করলেও এখনো তেমন কোনো সাফল্য ধরা দেয়নি।
ভারতে বিজেপিবিরোধী ঐক্য এখনো অধরা। বিশ্লেষকদের ধারণা, রাহুল গান্ধী ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা বুঝে গিয়েছেন—কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপিকে হারানোর শক্তি কারও নেই। আর কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের ক্ষমতা অক্ষত থাকবে আরও অনেকটা সময়। তাই কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে নেই রাহুল গান্ধীও। তিনি জানেন, সভাপতি যেই হোক না কেন, দলের নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাঁর হাতেই। তাই সাংগঠনিক নির্বাচনের বদলে দলকে শক্তিশালী করাতেই মন দিয়েছেন তিনি। দলে ভাঙন আটকাতে না পারলেও জনসংযোগ চালাতে হাতে নিয়েছেন নতুন কর্মসূচি।
রাহুলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতাদের একটি বড় অংশের মূলত দুটি অভিযোগ। এক, তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ধারাবাহিকতার অভাব। দুই, বড্ড বেশি সামাজিক গণমাধ্যমনির্ভর তিনি। এর বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কিছু বলার নেই। পরিবারতন্ত্র অবশ্য বিজেপি বললেও সাধারণ কংগ্রেস কর্মীরাও জানেন, গান্ধী পরিবার ছাড়া তাঁদের গতি নেই।
রাহুলকেও তাঁর বাবা ও প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মতো দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করার চেষ্টা হয়েছে। বহুল আলোচিত বফোর্স কেলেঙ্কারির জন্য ক্ষমতাচ্যুতও হয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। পরিষ্কার ইমেজই রয়েছে তাঁর। তেমনি রাহুলের বিরুদ্ধেও ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত হচ্ছে। তবে কংগ্রেসের নেতা-কর্মী তো বটেই, বিরোধীদেরও বড় অংশের বিশ্বাস, দুর্নীতি থেকে দূরেই থাকবেন রাহুল। তাঁর সরলতার বিষয়ে বিজেপিরও হেভিওয়েট নেতাদের প্রশংসা করে থাকেন ঘরোয়া আলোচনায়।
তবে হঠাৎ করে রাজনীতির ময়দান ছেড়ে দেওয়া নিয়ে তাঁর ওপর অনেকটাই বিরক্ত কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। ধারাবাহিকতার অভাবই রাহুলকে সাফল্য দিচ্ছে না বলে মনে করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যগুলো সামাজিক গণমাধ্যমে বিজেপিকে বিদ্ধ করলেও রাহুলের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে সেভাবে পৌঁছাচ্ছে না বলেও অনেকে মনে করেন। তাঁদের মতে, ধারাবাহিক মেঠো রাজনীতিই এই উপমহাদেশে জনসংযোগের বড় মাধ্যম।
তাই টানা দেড় শ দিনের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে সারা দেশেই রয়েছে বাড়তি আগ্রহ। টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর স্বাভাবিক কারণেই বিজেপির ওপর কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠানবিরোধী ক্ষোভ জন্মেছে মানুষের। সেই ক্ষোভকে কয়েকটি রাজ্যে কাজে লাগাতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। কিন্তু সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তাঁরা ব্যর্থ। কারণ নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প কোনো নেতা বা বিজেপির বিকল্প কোনো শক্তিশালী দল বিরোধীরা এখনো হাজির করতে পারেনি। এমনকি, বিজেপি বিরোধী জোটও হয়ে উঠেছে দিবাস্বপ্নের মতো। কারণ কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল বা আম আদমি পার্টির সম্পর্ক এই মুহূর্তে খুবই খারাপ। ফলে এই দুই দলের সঙ্গে নির্বাচনের আগে তো বটেই নির্বাচনের পরও জোট হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। এ ছাড়া কংগ্রেসের শক্তিও এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে।
এত সংকট–দুর্বলতার পরও ভারতে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী রাজনীতি অকল্পনীয়, অবাস্তব। এই অবস্থায় রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচি অবশ্যই কংগ্রেসকে কিছুটা হলেও বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে। ঘৃণা ও বিভেদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরার এই রাজনীতির সাফল্যের বিষয়ে অনেকেই আশাবাদী। বিশেষ করে ভারতের মতো নানা ভাষা ও নানা ধর্মের দেশে সম্প্রীতি সব সময়ই বড় ইস্যু। এই অবস্থায় সত্যিই যদি কংগ্রেস তাদের হারানো গৌরব কিছুটা হলেও উদ্ধার করতে পারে তবেই সম্ভব বিরোধীদের সম্মানজনক ঐক্য।
কয়েকটি দল জোটের বাইরে থাকলেও ক্ষতি নেই। বিরোধীরা জিততে পারে, এই সম্ভাবনাটুকু তৈরি করাই জরুরি হয়ে পড়েছে। বিজেপি এরই মধ্যে ঘটা করে বলতে শুরু করেছে ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়েও বিরোধীদের কোনো সম্ভাবনা নেই। ২০২৯ নিয়ে ভাবা উচিত বিরোধীদের। তাই কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলোর অবশ্যই মানুষের আস্থা ফিরে পেতে হলে পাল্টা কার্যকর প্রচার–জনসংযোগ জরুরি। এ কারণেই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সাফল্য অত্যন্ত জরুরি। জরুরি রাহুলের ধারাবাহিক মেঠো রাজনীতিতে পদার্পণও, এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক বেলুচ বিদ্রোহীদের প্রতি হুঁশিয়ারি অনেকের কাছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মনে হচ্ছে—ঠিক যেমনটা করেছিলেন ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালে। বিভাজন, দমন ও অস্বীকারের সেই পুরোনো কৌশলই যেন ফিরে এসেছে নতুন ইউনিফর্মে। ইতিহাস আবার প্রশ্ন করছে—পাকিস্তান কি কিছুই শিখল না?
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাণিজ্য যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির বেশ কিছু নজির রয়েছে। উনিশ শতকের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা বলতে ছয় বা তার বেশি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত টানা অর্থনৈতিক সংকোচন বোঝানো হয়। যদিও এর কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই।
৬ ঘণ্টা আগেমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দ্রুত অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত না পান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। ট্রাম্পের এমন মনোভাব নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
২ দিন আগেট্রাম্পের শুল্ক ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বিশাল ধাক্কা। এই দেশগুলো চিপস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে জড়িত। তারা এখন বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দ্বন্দ্বের মাঝে আটকা পড়েছে। যেখানে চীন তাদের শক্তিশালী প্রতিবেশী ও সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।
২ দিন আগে