বিবিসি
ইরান যেন আবার ফিরে গেল আশির দশকে—যখন ইরাকের সঙ্গে আট বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে তার ভূখণ্ডে প্রতিনিয়ত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র পড়ত। তবে চলমান সময়ে এত বছর পর দেশটি নিজ ভূমিতে আবার এমন এক সামরিক আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে, যার তুলনা কেবল ইরান-ইরাক যুদ্ধেই টানা যায়।
দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট বোর্ডে চোখ রাখলে স্পষ্ট বোঝা যায় পরিস্থিতির গুরুত্ব। কেবল ইরানের দিকেই নয়, এর প্রতিবেশী ইরাকেরও একের পর এক ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। ইরান সরকার ইতিমধ্যে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে কেবল ইরান নয়, নিরাপত্তা উদ্বেগে ইরাকও হয়ে উঠেছে বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানপন্থী যেসব আধা সামরিক গোষ্ঠী সক্রিয়, বিশেষ করে ইরাকভিত্তিক গোষ্ঠীগুলো, তারা বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে—ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানে হামলা হলে তাতে শুধু ইরান নয়, আমেরিকার আঞ্চলিক স্বার্থ ও ঘাঁটিগুলোকেও বৈধ টার্গেট বলে বিবেচনা করা হবে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির এক উপদেষ্টার সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দোহা থেকে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বাগদাদ সরকার ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনা চালাচ্ছে—তাদের যেন প্রতিশোধমূলক হামলা থেকে নিবৃত্ত করা যায়। ইরান আক্রান্ত হলেও ইরাক যেন কোনো নতুন সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে, এটাই বাগদাদের চেষ্টা।
আরেকজন পররাষ্ট্রনীতি-সংক্রান্ত উপদেষ্টা আমাকে আগেই সতর্ক করেছিলেন, ইরানে কিছু ঘটলে তা হবে একেবারে ভিন্নমাত্রার, যেটা আগে কখনো দেখা যায়নি।’
তিনি ভুল বলেননি। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে অতীতে সীমিত পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ইরানের মূল ভূখণ্ডে এই মাত্রার কোনো হামলা গত কয়েক দশকে হয়নি। এই হামলার ব্যাপ্তি, ঘনত্ব ও স্পষ্ট বার্তাটি যে কেবল সামরিক নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও একটা গভীর সংকেত ছুড়ে দিয়েছে।
এই হামলার সময়কালটিও তাৎপর্যপূর্ণ। মাত্র দুই দিন পর ওমানের মাসকটে শুরু হওয়ার কথা ছিল ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ দফার পরোক্ষ আলোচনা। ওই আলোচনা কৌশলগত সম্পর্ক, পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবন ও আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনের একটি সম্ভাব্য সুযোগ ছিল। তবে এখন সে সম্ভাবনা অনিশ্চয়তার কুয়াশায় ঢেকে গেছে।
পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টাচ্ছে। এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না—আলোচনা হবে কি না, আঞ্চলিক উত্তেজনা কোন দিকে যাবে, কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো আসলেই হামলার শিকার হবে কি না।
তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, এই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। তেহরানের ভেতরে এই আক্রমণ কেবল ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার নতুন অধ্যায়ই নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তাকাঠামোয় ভূমিকম্প ডেকে আনতে পারে।
ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর এই প্রথম ইরান এমন এক মুহূর্তের মুখোমুখি, যেখানে আকাশসীমা বন্ধ, সীমান্তে সেনা, আঞ্চলিক জোটের হুমকি আর কূটনৈতিক অচলাবস্থা একসঙ্গে এসে জটিল এক পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নির্ধারণ করবে শুধু তেহরান বা তেল আবিব নয়, বাগদাদ, ওয়াশিংটন ও রিয়াদের অবস্থানও। আর সেই সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে একটি বিস্ফোরক অঞ্চলের ভবিষ্যৎ।
ইরান যেন আবার ফিরে গেল আশির দশকে—যখন ইরাকের সঙ্গে আট বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে তার ভূখণ্ডে প্রতিনিয়ত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র পড়ত। তবে চলমান সময়ে এত বছর পর দেশটি নিজ ভূমিতে আবার এমন এক সামরিক আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে, যার তুলনা কেবল ইরান-ইরাক যুদ্ধেই টানা যায়।
দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট বোর্ডে চোখ রাখলে স্পষ্ট বোঝা যায় পরিস্থিতির গুরুত্ব। কেবল ইরানের দিকেই নয়, এর প্রতিবেশী ইরাকেরও একের পর এক ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। ইরান সরকার ইতিমধ্যে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে কেবল ইরান নয়, নিরাপত্তা উদ্বেগে ইরাকও হয়ে উঠেছে বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানপন্থী যেসব আধা সামরিক গোষ্ঠী সক্রিয়, বিশেষ করে ইরাকভিত্তিক গোষ্ঠীগুলো, তারা বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে—ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানে হামলা হলে তাতে শুধু ইরান নয়, আমেরিকার আঞ্চলিক স্বার্থ ও ঘাঁটিগুলোকেও বৈধ টার্গেট বলে বিবেচনা করা হবে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির এক উপদেষ্টার সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দোহা থেকে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বাগদাদ সরকার ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনা চালাচ্ছে—তাদের যেন প্রতিশোধমূলক হামলা থেকে নিবৃত্ত করা যায়। ইরান আক্রান্ত হলেও ইরাক যেন কোনো নতুন সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে, এটাই বাগদাদের চেষ্টা।
আরেকজন পররাষ্ট্রনীতি-সংক্রান্ত উপদেষ্টা আমাকে আগেই সতর্ক করেছিলেন, ইরানে কিছু ঘটলে তা হবে একেবারে ভিন্নমাত্রার, যেটা আগে কখনো দেখা যায়নি।’
তিনি ভুল বলেননি। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে অতীতে সীমিত পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ইরানের মূল ভূখণ্ডে এই মাত্রার কোনো হামলা গত কয়েক দশকে হয়নি। এই হামলার ব্যাপ্তি, ঘনত্ব ও স্পষ্ট বার্তাটি যে কেবল সামরিক নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও একটা গভীর সংকেত ছুড়ে দিয়েছে।
এই হামলার সময়কালটিও তাৎপর্যপূর্ণ। মাত্র দুই দিন পর ওমানের মাসকটে শুরু হওয়ার কথা ছিল ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ দফার পরোক্ষ আলোচনা। ওই আলোচনা কৌশলগত সম্পর্ক, পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবন ও আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনের একটি সম্ভাব্য সুযোগ ছিল। তবে এখন সে সম্ভাবনা অনিশ্চয়তার কুয়াশায় ঢেকে গেছে।
পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টাচ্ছে। এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না—আলোচনা হবে কি না, আঞ্চলিক উত্তেজনা কোন দিকে যাবে, কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো আসলেই হামলার শিকার হবে কি না।
তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, এই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। তেহরানের ভেতরে এই আক্রমণ কেবল ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার নতুন অধ্যায়ই নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তাকাঠামোয় ভূমিকম্প ডেকে আনতে পারে।
ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর এই প্রথম ইরান এমন এক মুহূর্তের মুখোমুখি, যেখানে আকাশসীমা বন্ধ, সীমান্তে সেনা, আঞ্চলিক জোটের হুমকি আর কূটনৈতিক অচলাবস্থা একসঙ্গে এসে জটিল এক পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নির্ধারণ করবে শুধু তেহরান বা তেল আবিব নয়, বাগদাদ, ওয়াশিংটন ও রিয়াদের অবস্থানও। আর সেই সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে একটি বিস্ফোরক অঞ্চলের ভবিষ্যৎ।
ইসরায়েল ইরানের ওপর যে হামলা চালিয়েছে, তা এক অর্থে নজিরবিহীন। এই অভিযানের নাম তারা দিয়েছে অপারেশন রাইজিং লায়ন। ইরানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের ওপর। ১৯৮০-১৯৮৮ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর এটা ইরানের ভূখণ্ডের ওপর চালানো সব চাইতে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
১৬ মিনিট আগেআপাতদৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার লক্ষ্য ছিল তেহরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে পঙ্গু করা এবং দেশটির শাসন ব্যবস্থাকে দুর্বল করা। তবে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এই বেপরোয়া পদক্ষেপ অভ্যন্তরীণ এবং
৪ ঘণ্টা আগেএই ধরনের আলোচনা তেহরানের জন্য আকর্ষণীয়—দেশটির অর্থনীতি বিপর্যস্ত এবং নিষেধাজ্ঞা কমানোর প্রতিশ্রুতি তাদের কাছে লোভনীয়। এ ছাড়া ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক অভিযানের পর আলোচনার টেবিলে ইরানকে কম ছাড় দিতে হবে। তবে ইসরায়েলি হামলার মুখে এটি রাজনৈতিকভাবে আরও কঠিন। ট্রাম্প যেকোনো ছাড়কে নিজের বিজয় বলে ঘোষণা করবেন এবং
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্লেষকেরা বলছেন, এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চায় ইসরায়েল। তাদের আশা, শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিশ্রুতি ও দায় থেকে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে জড়াবে। সেই সঙ্গে ইরানে সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা করবে তেলআবিব।
৬ ঘণ্টা আগে