অনলাইন ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকাঠামোর ভেতরে উলটপালট চলছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শত বছরের অনুসৃত নীতির নজিরবহীন ইউটার্নের কারণে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।
ক্ষমতা নিয়েই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছেন এবং সরকারের কর্মী বাহিনীর ভেতরে ছাঁটাই শুরু করেছেন। আর বছরের পর বছর ধরে চলা মার্কিন সহায়তা বন্ধ এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে বিশ্বে নতুন অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের মতো বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি জি২০ অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের অনুপস্থিতি উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে এবং ভবিষ্যতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট বা যুদ্ধ মোকাবিলায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এই দুটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে।
আইএমএফ মূলত বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়া দেশগুলোকে ঋণ দেয়। যেমন গ্রিসের ঋণসংকট, আর্জেন্টিনার ধারাবাহিক ঋণখেলাপি হওয়া এবং ১৯৭৬ সালে যুক্তরাজ্যের আর্থিক দুরবস্থা ঠেকাতে আইএমএফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
আইএমএফ থেকে ঋণ পেতে হলে দেশগুলোকে বেশ কিছু কঠোর শর্ত পূরণ করতে হয়। এগুলোর মধ্যে আছে বাজেট ঘাটতি কমানো, স্বচ্ছ অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ, দুর্নীতি কমানো ও কর আদায় বাড়ানোর মতো সংস্কার পদক্ষেপ। আইএমএফের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস ও মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা।
অন্যদিকে, বিশ্বব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন করে। যেমন রেলপথ নির্মাণ, বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে স্বল্প সুদে ঋণ দেয় এই বিশ্ব সংস্থা। পরিবেশবান্ধব বন্ড বা ঝুঁকি বিমার মতো নতুন ধরনের বিনিয়োগ পরিকল্পনাও তৈরি করে বিশ্বব্যাংক। দেশগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য পরামর্শ এবং কারিগরি সহায়তাও দেয় এই বিশ্ব সংস্থা।
অর্থনীতি সচল রাখতে বহু উন্নয়নশীল আইএমএফের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। যেমন আর্জেন্টিনা যদি আইএমএফের ঋণ না পেত, তাহলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেত। এখন ৯০টির বেশি দেশ আইএমএফের কাছে ঋণী। এগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন ও মিসর সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতা।
আইএমএফের সঙ্গে চুক্তিতে থাকা দেশগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য। ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান আমুন্ডির এমার্জিং মার্কেটের বিভাগের প্রধান ইয়ারলান সিজদিকভ বলেন, ‘আইএমএফ দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নোঙর হিসেবে কাজ করছে।’
এ ছাড়া সৌদি আরবের মতো ধনী দেশগুলোও আইএমএফের ঋণ পরিকল্পনাকে ভিত্তি ধরে তাদের অর্থসহায়তা নির্ধারণ করে থাকে। সৌদি অর্থমন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে সমন্বয় করে ঋণ দেওয়া হলে প্রতিটি ডলার বা রিয়াল আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়।’
বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি বিনিয়োগ শাখা হলো ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। সংস্থাটি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পে অর্থায়ন করে। বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশালাকারের বিনিয়োগকে সহজতর করে আইএফসি।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে এবং দায়িত্বশীল অর্থনৈতিক নীতির প্রচারে কাজ করে উন্নত দেশগুলো।
আর এই বৈশ্বিক আর্থিক সংস্থাগুলোর সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত স্বার্থের কারণে মিসর, পাকিস্তান ও জর্ডানের মতো দেশগুলোর জন্য তহবিল প্রবাহ নিশ্চিতে প্রভাব বিস্তার করেছে।
অফিশিয়াল মনিটারি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ফোরামের (ওএমএফআইএফ) মার্কিন চেয়ারম্যান এবং সাবেক ট্রেজারি কর্মকর্তা মার্ক সোবেল বলেন, ‘বিদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে সেটির প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও পড়বে।’
আইএমএফের কঠোর শর্ত আরোপ উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিকে আরও চাপে ফেলে বলে অনেক দেশ মনে করে। উদাহরণস্বরূপ, কেনিয়ায় আইএমএফ-সমর্থিত আর্থিক সংস্কারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছিল। এ ছাড়া ১৯৯৭ সালের এশীয় অর্থনৈতিক সংকটেও আইএমএফের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। বড় আকারের বিক্ষোভ না হলেও বাংলাদেশে আইএমএফের শর্ত নিয়ে বিতর্ক-বিক্ষোভ আছে। তবে কিউবা, উত্তর কোরিয়া ও তাইওয়ানের মতো বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া সবাই আইএমএফের সদস্য।
এই প্রশ্ন করা হয়েছিল নিউবার্গার বারম্যানের এমার্জিং মার্কেটের ঋণ ব্যবস্থাপক কন নাজলিকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি হবে এক ভয়াবহ সংকট।’
আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার যুক্তরাষ্ট্র। আইএমএফে যুক্তরাষ্ট্রের ভোট ১৬ শতাংশের বেশি। এ কারণে সংস্থাটির নীতিনির্ধারণে মার্কিন প্রভাব ব্যাপক। বিশ্বব্যাংকেও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরে যায়, তাহলে চীনসহ অন্যান্য দেশ এ সুযোগ নিতে পারে। চীন বহুদিন ধরে আইএমএফের নীতিনির্ধারণে আরও বড় ভূমিকা চাচ্ছে। এখন আইএমএফে চীনের ভোটের ৫ শতাংশের কিছু বেশি।
মার্ক সোবেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি পেছনে সরে যায়, তাহলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং চীনের মতো দেশগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি হবে।
বিশ্বব্যাংক থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে মার্কিন কোম্পানিগুলো বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবে। আইএমএফের মালিকানা কাঠামো পরিবর্তিত হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অন্যদের হাতে চলে যেতে পারে। এর ফলে স্বচ্ছতা কমে যাবে বলে মার্ক মনে করেন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নীতিগত পরামর্শ না থাকলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা দুর্বল হতে পারে।
বিভিন্ন ক্রেডিট রেটিং সংস্থা এরই মধ্যে সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন প্রত্যাহার করলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের ঋণ প্রদানের সক্ষমতা কমে যেতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকাঠামোর ভেতরে উলটপালট চলছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শত বছরের অনুসৃত নীতির নজিরবহীন ইউটার্নের কারণে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।
ক্ষমতা নিয়েই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছেন এবং সরকারের কর্মী বাহিনীর ভেতরে ছাঁটাই শুরু করেছেন। আর বছরের পর বছর ধরে চলা মার্কিন সহায়তা বন্ধ এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে বিশ্বে নতুন অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের মতো বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি জি২০ অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের অনুপস্থিতি উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে এবং ভবিষ্যতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট বা যুদ্ধ মোকাবিলায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এই দুটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে।
আইএমএফ মূলত বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়া দেশগুলোকে ঋণ দেয়। যেমন গ্রিসের ঋণসংকট, আর্জেন্টিনার ধারাবাহিক ঋণখেলাপি হওয়া এবং ১৯৭৬ সালে যুক্তরাজ্যের আর্থিক দুরবস্থা ঠেকাতে আইএমএফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
আইএমএফ থেকে ঋণ পেতে হলে দেশগুলোকে বেশ কিছু কঠোর শর্ত পূরণ করতে হয়। এগুলোর মধ্যে আছে বাজেট ঘাটতি কমানো, স্বচ্ছ অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ, দুর্নীতি কমানো ও কর আদায় বাড়ানোর মতো সংস্কার পদক্ষেপ। আইএমএফের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস ও মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা।
অন্যদিকে, বিশ্বব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন করে। যেমন রেলপথ নির্মাণ, বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে স্বল্প সুদে ঋণ দেয় এই বিশ্ব সংস্থা। পরিবেশবান্ধব বন্ড বা ঝুঁকি বিমার মতো নতুন ধরনের বিনিয়োগ পরিকল্পনাও তৈরি করে বিশ্বব্যাংক। দেশগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য পরামর্শ এবং কারিগরি সহায়তাও দেয় এই বিশ্ব সংস্থা।
অর্থনীতি সচল রাখতে বহু উন্নয়নশীল আইএমএফের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। যেমন আর্জেন্টিনা যদি আইএমএফের ঋণ না পেত, তাহলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেত। এখন ৯০টির বেশি দেশ আইএমএফের কাছে ঋণী। এগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন ও মিসর সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতা।
আইএমএফের সঙ্গে চুক্তিতে থাকা দেশগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য। ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান আমুন্ডির এমার্জিং মার্কেটের বিভাগের প্রধান ইয়ারলান সিজদিকভ বলেন, ‘আইএমএফ দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নোঙর হিসেবে কাজ করছে।’
এ ছাড়া সৌদি আরবের মতো ধনী দেশগুলোও আইএমএফের ঋণ পরিকল্পনাকে ভিত্তি ধরে তাদের অর্থসহায়তা নির্ধারণ করে থাকে। সৌদি অর্থমন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে সমন্বয় করে ঋণ দেওয়া হলে প্রতিটি ডলার বা রিয়াল আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়।’
বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি বিনিয়োগ শাখা হলো ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। সংস্থাটি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পে অর্থায়ন করে। বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশালাকারের বিনিয়োগকে সহজতর করে আইএফসি।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে এবং দায়িত্বশীল অর্থনৈতিক নীতির প্রচারে কাজ করে উন্নত দেশগুলো।
আর এই বৈশ্বিক আর্থিক সংস্থাগুলোর সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত স্বার্থের কারণে মিসর, পাকিস্তান ও জর্ডানের মতো দেশগুলোর জন্য তহবিল প্রবাহ নিশ্চিতে প্রভাব বিস্তার করেছে।
অফিশিয়াল মনিটারি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ফোরামের (ওএমএফআইএফ) মার্কিন চেয়ারম্যান এবং সাবেক ট্রেজারি কর্মকর্তা মার্ক সোবেল বলেন, ‘বিদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে সেটির প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও পড়বে।’
আইএমএফের কঠোর শর্ত আরোপ উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিকে আরও চাপে ফেলে বলে অনেক দেশ মনে করে। উদাহরণস্বরূপ, কেনিয়ায় আইএমএফ-সমর্থিত আর্থিক সংস্কারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছিল। এ ছাড়া ১৯৯৭ সালের এশীয় অর্থনৈতিক সংকটেও আইএমএফের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। বড় আকারের বিক্ষোভ না হলেও বাংলাদেশে আইএমএফের শর্ত নিয়ে বিতর্ক-বিক্ষোভ আছে। তবে কিউবা, উত্তর কোরিয়া ও তাইওয়ানের মতো বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া সবাই আইএমএফের সদস্য।
এই প্রশ্ন করা হয়েছিল নিউবার্গার বারম্যানের এমার্জিং মার্কেটের ঋণ ব্যবস্থাপক কন নাজলিকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি হবে এক ভয়াবহ সংকট।’
আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার যুক্তরাষ্ট্র। আইএমএফে যুক্তরাষ্ট্রের ভোট ১৬ শতাংশের বেশি। এ কারণে সংস্থাটির নীতিনির্ধারণে মার্কিন প্রভাব ব্যাপক। বিশ্বব্যাংকেও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরে যায়, তাহলে চীনসহ অন্যান্য দেশ এ সুযোগ নিতে পারে। চীন বহুদিন ধরে আইএমএফের নীতিনির্ধারণে আরও বড় ভূমিকা চাচ্ছে। এখন আইএমএফে চীনের ভোটের ৫ শতাংশের কিছু বেশি।
মার্ক সোবেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি পেছনে সরে যায়, তাহলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং চীনের মতো দেশগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি হবে।
বিশ্বব্যাংক থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে মার্কিন কোম্পানিগুলো বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবে। আইএমএফের মালিকানা কাঠামো পরিবর্তিত হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অন্যদের হাতে চলে যেতে পারে। এর ফলে স্বচ্ছতা কমে যাবে বলে মার্ক মনে করেন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নীতিগত পরামর্শ না থাকলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা দুর্বল হতে পারে।
বিভিন্ন ক্রেডিট রেটিং সংস্থা এরই মধ্যে সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন প্রত্যাহার করলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের ঋণ প্রদানের সক্ষমতা কমে যেতে পারে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করছে ইউরোপের দেশগুলো। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র যে এটি করবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ইউরোপ কি আসলেই এটি নিশ্চিত করতে পারবে?
৮ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। ট্রাম্প ও তাঁর দলের বক্তব্য থেকে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র আর ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয়ভারের বড় অংশ বহনে রাজি নয়।
১৪ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ওই ঘটনাকে ‘ওভাল অফিসে জেলেনস্কির ওপর নির্মম তিরস্কার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ট্রাম্প ওই কোকেনসেবী ভাঁড়ের মুখের ওপর সত্যিটা বলে দিয়েছেন যে, কিয়েভ সরকার তৃতীয়...
১ দিন আগেবিশ্ব ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পুরনো শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে নতুন সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তিতে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছে। এটি সাধারণত স্বৈরশাসন, দমনমূলক শাসনব্যবস্থা বা ব্যর্থ গণতন্ত্রের পতনের পর গণআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে