ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মধ্যে গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার বেড়েছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে দাম বৃদ্ধির হার মাত্র ৮ শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কার মধ্যেও যতটুকু দাম বেড়েছে, তাকে ‘তুলনামূলক স্থিতিশীল’ বলা চলে। এমন ঝুঁকির মধ্যেও বাজার কেন চড়ছে না, তাতে বিস্মিত বাজার বিশ্লেষকেরা।
জ্বালানি বিশ্লেষকেরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য বৃহত্তর সংঘাতের ঝুঁকির মধ্যে বাজার কীভাবে এতটা শান্ত আচরণ করছে, তা বিস্ময়কর। তেল রপ্তানির বৃহত্তর এই অঞ্চলে যুদ্ধ শুরু হলে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের সদস্য ইরান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক। বিশ্বের জ্বালানি তেলের চাহিদার আনুমানিক ৪ শতাংশ পূরণ করে ইরান। আর ইসরায়েলি আক্রমণের কারণে ইরান থেকে তেল সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাশ বলেছে, ইরান ক্রমাগত তেল উৎপাদনে ব্যর্থ হলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। একধাপ এগিয়ে সুইডিশ ব্যাংক এসইবি বলেছে, পরিস্থিতি খারাপ হলে, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ২০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির পরও জ্বালানি তেলের দাম এখনো অনেক বেশি না বাড়ার কারণ হিসেবে অনেক বিশ্লেষক বলেছেন, জ্বালানি তেলের বাজারে ‘শর্ট সেল’ চলছে। এটি এমন পরিস্থিতি, যখন নিকট ভবিষ্যতে কম দামে কেনার আশায় বিনিয়োগকারীরা কোনো পণ্য বা ইক্যুইটি বিক্রি করে দেন।
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান কার্লাইলের এনার্জি পাথওয়ের স্ট্র্যাটেজিক অফিসার জেফ কুরি সিএনবিসিকে বলেন, ‘তেলের বাজারের বেশি ‘শর্ট সেল’ চলছে। তবে কেবল জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রেই নয়, ইক্যুইটির ক্ষেত্রেও একই বিষয় দেখা যাবে। সাধারণভাবে, বিনিয়োগকারীরা এমন পরিস্থিতি পছন্দ করেন না। কারণ, সামনের বছর বিপুল তেল সরবরাহে বাজার সয়লাব হবে বলে তাঁরা উদ্বিগ্ন।’
জেফ কুরি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি কিন্তু ভিন্ন। এখন উৎপাদন কম, বর্তমান দামের সূচকও ফিউচার মার্কেটের চেয়ে বেশি এবং চাহিদাও জোরালো। এই পরিস্থিতি যে বেশি ভালো, তা নয়। তবু চীনে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে এবং ওপেকের উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত এখনো বহাল। তাই কিছুটা রক্ষা আছেই।
এই বাজার বিশ্লেষক বলেন, এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য সম্ভাব্য ব্যাপক সংঘাতের মুখে পড়েছে। এর ফলে জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই দামের ক্ষেত্রে বাজারে স্বল্প মেয়াদে ইতিবাচক পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে, জোরালো সূচকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা আগামী বছর ব্যাপক সরবরাহের শঙ্কায় বর্তমান পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
জেফ কুরির মতো একই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনার্জি অ্যাসপেক্টের রিসার্চ ডিরেক্টর অমৃতা সেন। সিএনবিসিকে তিনি বলেন, প্রণোদনা চীনের অর্থনীতিতে জোরালো চাহিদা সৃষ্টিতে ব্যর্থ হবে বলে তেল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ভাবছে। তাই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জ্বালানি কেনার বিষয়ে তাঁরা আস্থাশীল নন।
অমৃতা সেন আরও বলেন, তা ছাড়া চলতি বছরের শেষ দিকে হয়তো ওপেক এবং ওপেকের বাইরের দেশগুলো জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়াবে বলে বাজারসংশ্লিষ্টরা ভাবছেন। এই অবস্থায় বাজার কিছুটা শ্লথ হওয়ায় তেলের দামের এই অবস্থা। কিন্তু পরিস্থিতি কেটে গেলেই হুট করে তেলের দাম (ব্যারেলপ্রতি) ৮০ ডলারে উঠে যেতে পারে খুব শিগগির।’
গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অপরিশোধিত ব্রেন্ট জ্বালানি তেলের—যা আগামী ডিসেম্বরে ডেলিভারি দেওয়া হবে—দাম দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ২৬ ডলারে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বিক্রি হয়েছে ৭৪ দশমিক ৩৪ ডলারে। যা আগের দামের চেয়ে দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
বিগত কয়েক দিনের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গত বৃহস্পতিবার। যেদিন প্রায় সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছিল ৫ শতাংশের বেশি। ইসরায়েল ইরানের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার রাখে—বাইডেনের এই মন্তব্যের পর এই মূল্যবৃদ্ধি হয়।
তেলের বাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান পিভিএমের অ্যানালিস্ট টমাস ভারগা সিএনবিসিকে বলেন, ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগের কারণে তেলের বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বগতি পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ কারণেই তেলের দর স্থিতিশীল থেকে উচ্চতর হচ্ছে, ইক্যুইটি শেয়ার দুর্বল হচ্ছে এবং ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। এই আশঙ্কা (ভূরাজনৈতিক উদ্বেগ) আগামী দিনে ব্যাপকভাবে প্রশমিত হবে, যদি এই অঞ্চল থেকে তেল সরবরাহ বা হরমুজ প্রণালির মধ্য দিয়ে যাতায়াত সরাসরি প্রভাবিত না হয়।’
ইরান ও ওমানের মাঝে অবস্থিত সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালি দিয়ে বিশ্বের বেশির ভাগ জ্বালানি তেল পরিবাহিত হয়। কারণ এই জলপথই মধ্যপ্রাচ্যকে বিশ্বের বাকি দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত করেছে। এ বিষয়ে ভারগা বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে অন্তর্নিহিত মৌলিক বিষয়গুলো আবারও বাজারের প্রভাবক হয়ে উঠবে।’
এই অঞ্চলের ভূরাজনীতির বিষয়টি এখন অনেকটাই অনিশ্চিত। ইরানের হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান ‘বড় ভুল’ করেছে এবং তাদের ‘চড়া মূল্য চোকাতে হবে।’ তবে ছেড়ে কথা বলেনি ইরানও। গত বৃহস্পতিবার কাতার সফররত ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইরান যুদ্ধ চায় না। তবে ইসরায়েল ফের আক্রমণ করলে ব্যাপক কড়া জবাব দেবে তেহরান।
এসইবির প্রধান কমোডিটি অ্যানালিস্ট বিয়ানে শিয়েলড্রপ বলেছেন, উচ্চ ঝুঁকি থাকার পরও তেলের দাম আশ্চর্যজনকভাবে স্থিতিশীল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটি স্বল্প মেয়াদে কেনাবেচার কারণে হচ্ছে, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির পরও আমি বলব, তেলের বাজার আশ্চর্যজনকভাবে দুর্বল।
শিয়েলড্রপ বলেন, গত সেপ্টেম্বরে অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার আগে প্রায় ১৮ মাস বা তারও বেশি সময় ধরে ৮০ থেকে ৮৫ ডলারের মধ্যে ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে বর্তমানে যে সংখ্যক তেল কেনাবেচার চুক্তি হচ্ছে সেটিকে ‘খুবই নগণ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মধ্যে গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার বেড়েছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে দাম বৃদ্ধির হার মাত্র ৮ শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কার মধ্যেও যতটুকু দাম বেড়েছে, তাকে ‘তুলনামূলক স্থিতিশীল’ বলা চলে। এমন ঝুঁকির মধ্যেও বাজার কেন চড়ছে না, তাতে বিস্মিত বাজার বিশ্লেষকেরা।
জ্বালানি বিশ্লেষকেরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য বৃহত্তর সংঘাতের ঝুঁকির মধ্যে বাজার কীভাবে এতটা শান্ত আচরণ করছে, তা বিস্ময়কর। তেল রপ্তানির বৃহত্তর এই অঞ্চলে যুদ্ধ শুরু হলে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের সদস্য ইরান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক। বিশ্বের জ্বালানি তেলের চাহিদার আনুমানিক ৪ শতাংশ পূরণ করে ইরান। আর ইসরায়েলি আক্রমণের কারণে ইরান থেকে তেল সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাশ বলেছে, ইরান ক্রমাগত তেল উৎপাদনে ব্যর্থ হলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। একধাপ এগিয়ে সুইডিশ ব্যাংক এসইবি বলেছে, পরিস্থিতি খারাপ হলে, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ২০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির পরও জ্বালানি তেলের দাম এখনো অনেক বেশি না বাড়ার কারণ হিসেবে অনেক বিশ্লেষক বলেছেন, জ্বালানি তেলের বাজারে ‘শর্ট সেল’ চলছে। এটি এমন পরিস্থিতি, যখন নিকট ভবিষ্যতে কম দামে কেনার আশায় বিনিয়োগকারীরা কোনো পণ্য বা ইক্যুইটি বিক্রি করে দেন।
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান কার্লাইলের এনার্জি পাথওয়ের স্ট্র্যাটেজিক অফিসার জেফ কুরি সিএনবিসিকে বলেন, ‘তেলের বাজারের বেশি ‘শর্ট সেল’ চলছে। তবে কেবল জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রেই নয়, ইক্যুইটির ক্ষেত্রেও একই বিষয় দেখা যাবে। সাধারণভাবে, বিনিয়োগকারীরা এমন পরিস্থিতি পছন্দ করেন না। কারণ, সামনের বছর বিপুল তেল সরবরাহে বাজার সয়লাব হবে বলে তাঁরা উদ্বিগ্ন।’
জেফ কুরি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি কিন্তু ভিন্ন। এখন উৎপাদন কম, বর্তমান দামের সূচকও ফিউচার মার্কেটের চেয়ে বেশি এবং চাহিদাও জোরালো। এই পরিস্থিতি যে বেশি ভালো, তা নয়। তবু চীনে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে এবং ওপেকের উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত এখনো বহাল। তাই কিছুটা রক্ষা আছেই।
এই বাজার বিশ্লেষক বলেন, এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য সম্ভাব্য ব্যাপক সংঘাতের মুখে পড়েছে। এর ফলে জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই দামের ক্ষেত্রে বাজারে স্বল্প মেয়াদে ইতিবাচক পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে, জোরালো সূচকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা আগামী বছর ব্যাপক সরবরাহের শঙ্কায় বর্তমান পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
জেফ কুরির মতো একই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনার্জি অ্যাসপেক্টের রিসার্চ ডিরেক্টর অমৃতা সেন। সিএনবিসিকে তিনি বলেন, প্রণোদনা চীনের অর্থনীতিতে জোরালো চাহিদা সৃষ্টিতে ব্যর্থ হবে বলে তেল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ভাবছে। তাই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জ্বালানি কেনার বিষয়ে তাঁরা আস্থাশীল নন।
অমৃতা সেন আরও বলেন, তা ছাড়া চলতি বছরের শেষ দিকে হয়তো ওপেক এবং ওপেকের বাইরের দেশগুলো জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়াবে বলে বাজারসংশ্লিষ্টরা ভাবছেন। এই অবস্থায় বাজার কিছুটা শ্লথ হওয়ায় তেলের দামের এই অবস্থা। কিন্তু পরিস্থিতি কেটে গেলেই হুট করে তেলের দাম (ব্যারেলপ্রতি) ৮০ ডলারে উঠে যেতে পারে খুব শিগগির।’
গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অপরিশোধিত ব্রেন্ট জ্বালানি তেলের—যা আগামী ডিসেম্বরে ডেলিভারি দেওয়া হবে—দাম দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ২৬ ডলারে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বিক্রি হয়েছে ৭৪ দশমিক ৩৪ ডলারে। যা আগের দামের চেয়ে দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
বিগত কয়েক দিনের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গত বৃহস্পতিবার। যেদিন প্রায় সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছিল ৫ শতাংশের বেশি। ইসরায়েল ইরানের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার রাখে—বাইডেনের এই মন্তব্যের পর এই মূল্যবৃদ্ধি হয়।
তেলের বাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান পিভিএমের অ্যানালিস্ট টমাস ভারগা সিএনবিসিকে বলেন, ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগের কারণে তেলের বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বগতি পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ কারণেই তেলের দর স্থিতিশীল থেকে উচ্চতর হচ্ছে, ইক্যুইটি শেয়ার দুর্বল হচ্ছে এবং ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। এই আশঙ্কা (ভূরাজনৈতিক উদ্বেগ) আগামী দিনে ব্যাপকভাবে প্রশমিত হবে, যদি এই অঞ্চল থেকে তেল সরবরাহ বা হরমুজ প্রণালির মধ্য দিয়ে যাতায়াত সরাসরি প্রভাবিত না হয়।’
ইরান ও ওমানের মাঝে অবস্থিত সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালি দিয়ে বিশ্বের বেশির ভাগ জ্বালানি তেল পরিবাহিত হয়। কারণ এই জলপথই মধ্যপ্রাচ্যকে বিশ্বের বাকি দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত করেছে। এ বিষয়ে ভারগা বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে অন্তর্নিহিত মৌলিক বিষয়গুলো আবারও বাজারের প্রভাবক হয়ে উঠবে।’
এই অঞ্চলের ভূরাজনীতির বিষয়টি এখন অনেকটাই অনিশ্চিত। ইরানের হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান ‘বড় ভুল’ করেছে এবং তাদের ‘চড়া মূল্য চোকাতে হবে।’ তবে ছেড়ে কথা বলেনি ইরানও। গত বৃহস্পতিবার কাতার সফররত ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইরান যুদ্ধ চায় না। তবে ইসরায়েল ফের আক্রমণ করলে ব্যাপক কড়া জবাব দেবে তেহরান।
এসইবির প্রধান কমোডিটি অ্যানালিস্ট বিয়ানে শিয়েলড্রপ বলেছেন, উচ্চ ঝুঁকি থাকার পরও তেলের দাম আশ্চর্যজনকভাবে স্থিতিশীল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটি স্বল্প মেয়াদে কেনাবেচার কারণে হচ্ছে, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির পরও আমি বলব, তেলের বাজার আশ্চর্যজনকভাবে দুর্বল।
শিয়েলড্রপ বলেন, গত সেপ্টেম্বরে অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার আগে প্রায় ১৮ মাস বা তারও বেশি সময় ধরে ৮০ থেকে ৮৫ ডলারের মধ্যে ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে বর্তমানে যে সংখ্যক তেল কেনাবেচার চুক্তি হচ্ছে সেটিকে ‘খুবই নগণ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের নিজ বাড়িতে বসে হারলিন কাপুর (ছদ্মনাম) উদাস কণ্ঠে বলেন, ‘২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আমি রিপোর্টিং নয়, বেশির ভাগ সময় অফিসের ডেস্কেই কাটিয়েছি।’
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে এই দ্বন্দ্ব নিরসনের উপায় আপাতত দেখা যাচ্ছে না। আধুনিক ইতিহাসে বাণিজ্যে এত বড় বিঘ্ন ঘটানোর পেছনে ট্রাম্পের উদ্দেশ্য পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও মনে হচ্ছে, তিনি চীনের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে আগেরবারের চেয়ে কম আগ্রহী।
৬ ঘণ্টা আগেভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। এর মূলে রয়েছে কাশ্মীর ভূখণ্ড নিয়ে আঞ্চলিক বিরোধ, ধর্ম ও আদর্শিক পার্থক্য এবং ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পরবর্তী ঐতিহাসিক ঘটনাবলী। আঞ্চলিক বিরোধ একাধিকবার সশস্ত্র যুদ্ধে গড়িয়েছে। আন্তর্জতিক হস্তক্ষেপে সাময়িক সময়ের জন্য অস্ত্রবিরতি হলেও দীর্ঘমেয়াদি
১ দিন আগেভারত আবারও ‘সংঘাত উসকে দেওয়া ও সংযম দেখানো’র মধ্যে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে। এটি হলো প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধের এক ভঙ্গুর ভারসাম্য। এই পুনরাবৃত্ত চক্রটি যারা উপলব্ধি করেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম অজয় বিসারিয়া। পুলওয়ামা হামলার সময় তিনি পাকিস্তানে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন।
১ দিন আগে