বিবিসির প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে। কয়েক দশকের বৈরী সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে দুই দেশ সরাসরি বাণিজ্য শুরু করেছে। গত মাসে পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু, সামরিক সহযোগিতা এবং ভিসা সহজীকরণের বিষয়টি সামনে এসেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সম্পর্কের উন্নয়নকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বৈরিতা রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত। এই প্রতিবেদনে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ভারতের সাহায্য করার বিষয়টিও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যখন বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল। তবে ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে দূরত্ব ছিল বাংলাদেশের। এই সময় দিল্লির সমর্থন পেয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ায় দিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে টান পড়তে শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের গতিপথ মসৃণ ছিল না। এখন সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য। তবে ভারত এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ঢাকা ও ইসলামাবাদের এই সম্পর্ক খানিকটা কৌশলগত। এ প্রসঙ্গে লন্ডনের কিংস কলেজের জ্যেষ্ঠ ফেলো আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন যে সম্পর্কটা দেখা যাচ্ছে, সেটা খানিকটা কৌশলগত। তারা আসলে ভারতের প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
বিশেষজ্ঞরা এমন কথা বললেও শুধু বাণিজ্য নয়, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কে বেশ কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সামরিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল গত জানুয়ারিতে পাকিস্তান সফর করেছেন। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে করাচিতে অনুষ্ঠিত মহড়ায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। যদিও বাংলাদেশ সরকার আইএসআইয়ের কর্মকর্তাদের ঢাকা সফরের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে।
এ নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সিক্রি বলেন, অতীতেও বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের এমন সম্পর্ক ছিল।
ঢাকায় দায়িত্ব পালনের সময়ের কথা তুলে ধরে সিক্রি দাবি করেন, সেই সময় বাংলাদেশে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সেই সময় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি অংশ এবং পাকিস্তানের আইএসআই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। ভারত এই ইস্যুটি সেই সময় বারবার তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এসব নথি সেই সময় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছি।’ যদিও পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই সব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় এবং ঘাঁটিগুলো ভেঙে দেওয়া হয়।
সিক্রি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে যে সামরিক সম্পর্ক গড়ে উঠছে তা ভারতের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় উদ্বেগের জায়গা। তিনি বলেন, এটা শুধু একটি সামরিক সম্পর্ক নয়। পাকিস্তানের যারা সরকার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, তারা বাংলাদেশে ইসলামি দলগুলো যেমন জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করছে, যারা কি না বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসছে এপ্রিলে ঢাকা সফর করবেন। এরপর চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে নির্বাচন হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এরপর নির্বাচিত সরকার এসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনবে। তবে যা-ই হোক না কেন, দিল্লি চাইবে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে। কয়েক দশকের বৈরী সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে দুই দেশ সরাসরি বাণিজ্য শুরু করেছে। গত মাসে পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু, সামরিক সহযোগিতা এবং ভিসা সহজীকরণের বিষয়টি সামনে এসেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সম্পর্কের উন্নয়নকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বৈরিতা রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত। এই প্রতিবেদনে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ভারতের সাহায্য করার বিষয়টিও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যখন বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল। তবে ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে দূরত্ব ছিল বাংলাদেশের। এই সময় দিল্লির সমর্থন পেয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ায় দিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে টান পড়তে শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের গতিপথ মসৃণ ছিল না। এখন সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য। তবে ভারত এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ঢাকা ও ইসলামাবাদের এই সম্পর্ক খানিকটা কৌশলগত। এ প্রসঙ্গে লন্ডনের কিংস কলেজের জ্যেষ্ঠ ফেলো আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন যে সম্পর্কটা দেখা যাচ্ছে, সেটা খানিকটা কৌশলগত। তারা আসলে ভারতের প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
বিশেষজ্ঞরা এমন কথা বললেও শুধু বাণিজ্য নয়, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কে বেশ কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সামরিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল গত জানুয়ারিতে পাকিস্তান সফর করেছেন। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে করাচিতে অনুষ্ঠিত মহড়ায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। যদিও বাংলাদেশ সরকার আইএসআইয়ের কর্মকর্তাদের ঢাকা সফরের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে।
এ নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সিক্রি বলেন, অতীতেও বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের এমন সম্পর্ক ছিল।
ঢাকায় দায়িত্ব পালনের সময়ের কথা তুলে ধরে সিক্রি দাবি করেন, সেই সময় বাংলাদেশে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সেই সময় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি অংশ এবং পাকিস্তানের আইএসআই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। ভারত এই ইস্যুটি সেই সময় বারবার তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এসব নথি সেই সময় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছি।’ যদিও পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই সব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় এবং ঘাঁটিগুলো ভেঙে দেওয়া হয়।
সিক্রি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে যে সামরিক সম্পর্ক গড়ে উঠছে তা ভারতের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় উদ্বেগের জায়গা। তিনি বলেন, এটা শুধু একটি সামরিক সম্পর্ক নয়। পাকিস্তানের যারা সরকার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, তারা বাংলাদেশে ইসলামি দলগুলো যেমন জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করছে, যারা কি না বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসছে এপ্রিলে ঢাকা সফর করবেন। এরপর চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে নির্বাচন হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এরপর নির্বাচিত সরকার এসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনবে। তবে যা-ই হোক না কেন, দিল্লি চাইবে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে।
ট্রাম্প কি মিয়ানমারের জান্তার সঙ্গে যোগাযোগের পদক্ষেপ নেবেন এবং ‘এসএসি’–এর সঙ্গে মিত্রতার সূত্র খুঁজতে শুরু করবেন? এ ক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি হতে পারে, এসএসি–কে আলাদা করা এবং এর নিন্দা করা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে কেবল চীনের দিকে আরও ঠেলে দেবে। মিয়ানমারের আগের জান্তা সরকারের সময়ও মার্কিন নীতি নির্ধারকদে
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে নানা সংকটের মুখে পড়েছে টেক মোগল ইলন মাস্কের ব্যবসা। আবার এমন সময়ে তিনি ভারতে টেসলা ও স্টারলিংকের ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন। প্রশ্ন উঠেছে, ভারতে টেসলা ও স্টারলিংক ইলন মাস্কের ব্যবসায়িক সংকট কাটাতে পারবে কি না। এমন একটি...
৩ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্র একা নয়। বিশ্ব বিভিন্ন দেশের সরকার ক্রমবর্ধমান হারে বিটকয়েনকে রিজার্ভ ‘সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করছে। ব্রাজিলের কংগ্রেসম্যান ইরোস বিওনদিনি একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েন সংগ্রহে বাধ্য করা হয় এবং যতক্ষণ না সংগৃহীত বিটকয়েনের মূল্য দেশের মোট রিজার্ভের ৫ শতাংশ...
৪ দিন আগেদক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব একসময় নিরঙ্কুশ ছিল। কিন্তু এখন পররাষ্ট্রনীতিতে অবিমৃশ্যকারিতার কারণে দেশটির অবস্থান টালমাটাল। ২০২৩ সালের জুনে ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’–এর একটি মানচিত্র রাখা হয়েছে, যেখানে আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কাকে এর অংশ দেখান
৫ দিন আগে